সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি।
তাই সেক্স পাওয়ার বা যৌন শক্তি শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবেই পাওয়া সম্ভব। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান স্বাস্থ্যসম্মত সেক্স বাড়ানোর উপায় আজ পযর্ন্ত বের করতে পারেনি। তাই আজকাল অনলাইনে, পথে-ঘাটে, হাট-বাজারে সেক্স বাড়ানোর যে গল্প বা ঔষধ পাওয়া যায় তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। রতিশক্তি বাড়ানোর অনেক ঔষধ বা টাকা কামানোর অসদুপায় আছে; যেগুলো অস্থায়ীভাবে সেক্স বাড়ায় সত্যি কিন্তু তা শরীরের জন্য তো বটেই, যৌন জীবনের জন্য তা আরও বেশি ক্ষতিকর। এসব খেয়ে অস্থায়ী সেক্স পাওয়ার পাওয়া গেলেও তা স্থায়ীভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করে। তবে এতো ভেজালের মাঝেও নির্ভরতার কথা হচ্ছে যে, প্রাকৃতিক উপায়ে বা স্বাভাবিক নিয়মে সেক্স পাওয়ারের উন্নতি ঘটানো
সম্ভব।
আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
খেজুর
রাসূল (সঃ) প্রতিদিন সকালে নাস্তা হিসেবে খেজুর খেতেন। খেজুর যৌন শক্তি ও সুস্বাস্থ্যর টনিক হিসেবে কাজ করে। তাই নাস্তা হিসেবে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়, সেই সাথে শরীরের গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়। রাসূল (সঃ) এঁর প্রিয় খাবার ছিল এটি। খেজুর চুষলে পিপাসা দমন হয়। তাজা খেজুর না পাওয়া গেলে শুস্ক খেজুরই যথেষ্ট।
খেজুরের চেয়ে আর কোন উত্তম জিনিস থাকলে আল্লাহ তা’আলা মরিয়াম (আঃ) কে ঈসা (আঃ) এর জন্মের পর তাই খাওয়াতেন। কুরআনে কারীমের সূরা মরিয়ামে আল্লাহ তা’আলা হযরত মরইয়ম (আঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, খেজুরের ডাল ধরে নাড়া দাও, তুমি তরতাজা সুপক্ক খেজুর পেয়ে যাবে।
এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রসূতির জন্য খেজুরের চেয়ে উত্তম খাবার দ্বিতীয়টি আর নেই।
হাকীমগন লিখেছেন, খেজুর খেলে নেফাসের রক্ত দ্বারা দেহের ভিতরের আবর্জনা বের হয়ে যায় -তা অধিক পরিমানে নির্গত হয় এবং স্ত্রীর স্বভাবে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ও দৈনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে এবং প্রসব ও শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে।
মধু
মধু এবং দুধ হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল ডাক্তার একত্র হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলে কখনোও তা পারবে না।
মাখন ও মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে Pleurisy তথা বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর মোটা করে।
রাসূল (সঃ) এঁর নিকট মধু খুব বেশী প্রিয় ছিল।
কারণ, আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর মধ্যে মানব জাতির রোগ নিরাময় রয়েছে।
কারণ, আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর মধ্যে মানব জাতির রোগ নিরাময় রয়েছে।
হাকীমগণ মধুর অসংখ্য উপকারিতা লিপিবদ্ধ করেছেন। খাঁটি মধুতে সেক্স পাওয়ারের সকল উপাদান বিদ্যমান। এছাড়াও সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী।
কলিজা
যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।
গরুর গোশত
কলিজার মত গরুর গোশতেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর গোশত খান। যেমন গরুর কাঁধের গোশতে, রানের গোশতে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার গোশতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
রসুন
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা রসুন খাও এবং তদ্দারা চিকিৎসা করাও। কারণ, এতে রোগ নিরাময় হয়। _জামউল জাওয়ামে
ডাক্তারদের মতেও রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেশাব জারী/স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন, এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়।
তবে রাসূল (সঃ) কাঁচা রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন।
বিভিন্ন বীজ
কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, শিম বীজ, ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।
ডিম
ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
দুধ
রাসূল (সঃ) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে বেশী প্রিয় ছিল।
রাসূল (সঃ) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে বেশী প্রিয় ছিল।
আলেমগন লিখেন, এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়; বীর্য তৈরি করে, চেহারা লালচে হয়, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।
বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য সেক্স পাওয়ারের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে এই ফ্যাট হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ঝিনুক
যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না, যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক না কেন, ঝিনুক যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রঙিন ফল
সেক্স পাওয়ার ঠিক রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে, তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।
জয়ফল
ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
টাটকা শাক সবজি
তরতাজা ও ফরমালিনমুক্ত শাক সবজিতে প্রচুর পরিমানে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন পাওয়া যায়। পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে, শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মোটকথা হচ্ছে যে, তাজা শাক সবজি সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে, ডার্ক চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধ বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরো, আপনার যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কালোজিরা
কালোজিরাকে বলা হয়, মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের মহৌষধ। এটা যৌনতার ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি ও স্তন্যকে সুগঠিত করে। পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস ও কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়। কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য উৎকৃষ্ট মানের ঔষধ। সর্দি, কাশি, বুকের ব্যাথা, পাকস্থলীতে বায়ু সঞ্চয় (অম্লপিত্ত) শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে অত্যধিক উপকারী। ব্রনের জন্যও উত্তম ঔষধ। এবং এতে শ্লেষ্মা, পুরাতন জ্বর, মূত্রথলির পাথর ও পান্ডুরোগ (কামিলা, জন্ডিস) আরোগ্য লাভ করে। তাছাড়া এটা মুদরে হায়েজ বা অধিক ঋতু স্রাব, মুদরে বাওল বা মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধক ও ক্রিমিনাশক।
রাসূল (সঃ) বলেন, “তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র সাম (মৃত্যু) ব্যতীত সর্বরোগের শেফা (আরোগ্য) রয়েছে।" -বুখারী ও মুসলিম
কফি
কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌন চাহিদা ঠিক রাখে।
বাদাম
চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। এগুলো শরীরে প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল তৈরী করার পাশাপাশি সেক্স হরমোন গুলোকে সঠিকভাবে পথনির্দেষ করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে যৌন স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে এটা পূরণ হয়ে যায়।
অ্যাসপারাগাস
অ্যাসপারাগাস যৌন আকাঙ্খা জাগ্রত করতে সাহায্য করে। যৌন ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।
যাফরান
পাকস্থলী, হৃদপিন্ড, ও যকৃতের কার্যমতা বৃদ্ধি করে। অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে যাফরান মিশ্রণ করলে ঔষধের কার্যমতা বৃদ্ধি পায়। এটা দারুন রতিবর্ধক। মন-মস্তিস্ক এবং দৃষ্টি শক্তির জন্যও যাফরানের জুড়ি নাই।
জয়ফল যত্রিক ও দারুচিনি
অত্যাধিক রতিশক্তি বর্ধক। বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে বার্ধক্যে লাঠির কাজ দেয়। মাংস পেশী ও গিরার ব্যাথায় উপকার সাধন করে।
ট্রাফল
ট্রাফল এক ধরনের ছত্রাক। ট্রাফলে পুরুষের যৌন হরমোনের মত একধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে, নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। যেমন, ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয়।
লম্বা মরিচ
মস্তিস্কের শক্তি বর্ধক, পাকস্থলী ও রতিশক্তি বর্ধক, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে ও কফের দোষ দূর করে। পিপুল দুধের সাথে জোশ দিয়ে পান করা উপকারী। লম্বা মরিচকে ছোট পিপুলও বলা হয়।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এটি খাওয়ার ফলে যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।
কিসমিস
মানব শরীরে যৌন উদ্দীপনা বা যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কিসমিসের সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয় না। আঙ্গুর ফলকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কিসমিসে রুপান্তর করা হয়। কিন্তু গুনের দিক থেকে আঙ্গুরের চাইতে কিসমিসের অবদান অনেক বেশি।
ওটমীল
ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। যেসব দানাজাতীয় শস্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে। যেমন গম, চাল, রাই ইত্যাদি। ফাইটোস্ট্রজেন আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই কার্যকরী।
যদিও আমাদের নিজের কিছু অনিয়ম ও বদঅভ্যাসের কারণে প্রকৃতিগতভাবে পাওয়া সেক্স পাওয়ার নষ্ট করে ফেলি (ব্যতিক্রম: রোগ বা দূর্ঘটনা)। কিন্তু সেটা অসৎ কিছু ডাক্তার, কবিরাজ, হেকীম, হার্বাল আর মনগড়া গল্পের নিয়ম-কানুনের ফাঁদে পড়ে বড্ড বেশি সমস্যা ভেবে স্বাভাবিক যৌনতার ধ্বংস ডেকে আনি। তাই যৌন জীবনকে টেকসই করার প্রত্যয়ে আজ থেকেই সচেতন হতে হবে।
@ সম্পর্কিত Jouno Seba : কি খেলে সেক্স বাড়ে, যে খাবারে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় । sex power. কোন খাবারে সেক্স বাড়ে, সেক্স, খাদ্য, যৌন শক্তি, খাবার, চাহিদা, sex libido. বৃদ্ধির, উপায় । 'যৌন শক্তি' । 'সেক্স পাওয়ার' । ফল
No comments:
Post a Comment