দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার সমাধান!

দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। এর জন্য সংসারে অশান্তিও তৈরি হতে পারে। এই বিষয়টি সম্পর্কে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। আসুন
জেনে নিই এটি আসলে কেন হয়, আর এর থেকে রক্ষা পেতে হলে কী করা উচিত।

আগে মনে করা হতো যে, PE (Premature Ejaculation)  শুধুমাত্র একটি মানসিক সমস্যা। তবে সাম্প্রতিক বি‌ভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মানসিক সমস্যার সাথে দ্রুত বীর্যপা‌তের শারীরিক কারণও রয়েছে। তবে তা দুটি ভাগে বিভক্ত। খুব কম সংখ্যক মানুষের এ সমস্যা থাকে। যা যৌনসক্রিয় কোন অঙ্গের ত্রুটিজনিত, যার নিরাময় করতে সেক্স থেরাপী ও মেডিসিনাল ট্রিটমেন্ট

চুমু‌ যখন মৃত্যু ফাঁদ!

মরণ ডেকে আনে চুমু! তাই এখনই সচেতন হোন সবাই।
মারিয়ানা সবার আদর নিয়েই বেঁচে থাকতে এসেছিল, কিন্তু আদরেই চলে যেতে হলো তাকে।
বাচ্চাদের দেখলে কে না আদর করতে চান। ওদের স্পর্শে স্বর্গীয় অনুভূতি মেলে।
শিশুদের কোলে নিয়ে বা জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়া আদরের অতি সাধারণ বর্হিপ্রকাশ। কিন্তু এই চুমুতেই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল আমেরিকার এক পরিবারে। এক চুমুর কারণে সংক্রমিত রোগে মারা যায় তাদের শিশুটি। সুস্থ-সবল হয়ে জন্ম নিলেও মাত্র ১৮ দিনের মাথায় দুনিয়া ত্যাগ করে সে। ঘটনাটি এ বছরের জুলাইয়ের। কিন্তু এ ঘটনা সব সময়ের জন্যে অভিভাবকদের কাছে শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে।
ওর নাম দেওয়া হয়েছিল মারিয়ানা সিফরিট। জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যে চুমুর কারণে সে মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়। যে চুমু দিয়েছিলেন তাদের দেহে ছিল এইচএসভি-১।
এটা এক ধরনের ভাইরাস। এইচএসভি-১ একেবারে সেই হার্পেস ভাইরাসের মতোই যার কারণে সাধারণ সর্দি হয়। ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিসেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছিল, এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মেনিনজাইটিস হওয়া বিরল ঘটনা। এতে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ওপর ছেয়ে থাকা টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চুমুর কারণেই যে মারিয়ানা মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিল তা বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা। তার বাবা-মা নিকলোল এবং শেন সিফরিটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাদের দেহে কোনো ভাইরাস মেলেনি। তার মানে পরিবারের অন্য কেউ কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের কেউ আদর করে শিশুটিকে চুমু দেয়। এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ওই ব্যক্তির দেহে বাস করছিল এই ভাইরাস।
শিশুটি তার জীবনের শেষ সপ্তাহ কাটায় ইউনিভার্সিটি অব লোয়া চিলড্রেন্স হসপিটালে। তার দেহে আরো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সব কিছুর নেপথ্যে ছিল ওই চুমু।
নিকোল সিফরিট তার ফেসবুক পোস্টে পৃথিবীর সবকল বাবা-মাকে সাবধান করতে চেয়েছিলেন। শিশুদের চুমু খাওয়া থেকে বিরত হতে সচেতন থাকতে বলেছেন সবাইকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নিকোল জানান, জুলাইয়ের এক তারিখে পৃথিবীতে আসে মারিয়ানা। কিন্তু এক সপ্তাহ পরই দুঃস্বপ্নের শুরু। সে খাচ্ছিল না। ঘুম থেকে উঠতো না। জ্বর, আলোতে সংবেদনশীলতা, মাথাব্যথা বা ঘাড় শক্ত হয়ে আসার মতো লক্ষণগুলো প্রকাশ পাচ্ছিল। এসব তথ্য তাকে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
ক্যালিফোর্নিয়ার কালাবাসাস পেডিয়াট্রিক্সের বিশেষজ্ঞ ড. তানিয়া আল্টমান জানান, বড়দের স্পর্শ বা চুমু থেকে শিশুর দেহে সহজেই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। কিন্তু তা মেনিনজাইটিস অবধি যাওয়া সচরাচর দেখা যায় না। জন্মের প্রথম দুই মাস শিশুর জন্যে খুবই জটিল সময়। তাদের যেকোনো অবস্থা বা যে সে চাইলেই স্পর্শ করা উচিত নয়। এ সময়টাতে ভাইরাস সংক্রমণসহ আরো অন্যান্য রোগ দেখা দিতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ন্যান্সি স্নাইডারম্যান জানান, সুস্থ হয়ে জন্মানোর পরও বড়দের অচেতনতার কারণে শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্য বা অন্যদের চুমু এক ভয়ানক বিষয়। প্রথম তিন সপ্তাহ তাদের দেহে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা সেভাবে বিকাশ লাভ করে না। তাই বাবা-মায়েদের সাবধান থাকতে হবে। তাদেরও শিশুটাকে চুমু খাওয়া উচিত নয়। অন্যদেরও বিনয়ের সঙ্গে এ কাজটি না করতে অনুরোধ করতে হবে।
পৃথিবীতে এসে শেষ পর্যন্ত আদরই তার জন্যে মরণ হয়ে দেখা দিলো। তাকে একটা ছোট্ট গোলাপী কফিনে কবরস্থ করা হয়। এই অবর্ণনীয় ক্ষতি থেকে শিক্ষা পেয়েছেন তার বাবা-মা। সেই শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক সবার ঘরে ঘরে।

পিরিয়ডের ব্যথায় মুক্তি মিলবে সহজেই

নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাবকারী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে পিরিয়ড, যাকে বাংলায় মাসিক বলা হয়। নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় সাধারণত ১০-১৬ বছরের মাঝামাঝি সময়ে। তবে বেশিরভাগ মেয়েদেরই ১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। সাধারণত ৫০ বছর বা তার অধিক বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

পিরিয়ড হয়েছে আর পেটের ব্যথায় ভোগেনি, এমন নারীর সংখ্যা নিতান্তই কম। পিরিয়ডের আগে ও পিরিয়ড চলাকালীন তলপেটে, স্তন, হাত-পায় ও কোমরে প্রচুর ব্যথা হয়। ব্যথার সময় মাথা ব্যথা ও বমিও হয় অনেকের। আর কর্মজীবী নারীরা এক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়েন। কারণ তাদের ঘর থেকে বের হতেই হয়। পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা দূর করার রয়েছে অনেক উপায়।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন বলেন, পিরিয়ডের আগে ও পড়ে ব্যথা হতেই পারে। তবে এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু খাবার বাদ দেয়া, ব্যায়াম, শরীরে ঠাণ্ডা না লাগান, গরম পানির সেঁক বিশেষ উপকারী। আর অতিরিক্ত ব্যথা হলে সাধারণ প্যারাসিটামল খেলেই যথেষ্ট।

আসুন জেনে নেই পিরিয়ড চলাকালীন স্তনে ব্যথা হলে কী করবেন...

১. তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন :
পিরিয়ড চলাকালীন খাদ্য তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন। বাড়তি লবণ, চা-কফি বা ক্যাফেইন জাতীয়  যে কোনো পানীয়, চিনি ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এতে পিরিয়ডের সময় স্তন ও তলপেট ব্যথা হতে মুক্তি পাবেন।

২. ব্যায়াম :
অনেক মেয়েরই পিরিয়ডের আগে ও পরে স্তনে ব্যথা হয়। তাই সাবধানে ব্যায়াম করতে করতে হবে। এমন কোনো ব্যায়াম করবেন না যাতে বুকে চাপ পড়ে। এমন ব্যায়াম করুন, যেগুলো শরীরের নিচের অংশে কার্যকর। এক্ষেত্রে সাইকেল চালানো, হাঁটা, ভুল ব্যায়াম পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেবে।

৩. কিছু স্তনে ব্যথা কমাবে :
কিছু বিশেষ ধরনের ব্যায়াম আছে, যেগুলো এই স্তনে ব্যথা কমায়।ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। স্তনকে সাপোর্ট দেয়, এমন ব্রা পরিধান করুন। সঠিক মাপের আরামদায়ক ব্রা ব্যথা কমাতে সহায়তা করবে।

৪. ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না :

পিরিয়ড চলাকালীন শরীরে ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। এ সময় ঠাণ্ডা লাগলে স্তন, হাত-পা ও  কোমরের ব্যথা বেড়ে যাবে। এছাড়া পিরিয়ড চলাকালীন স্তনে কোনো প্রকার চাপ দেবেন না, এতে ব্যথা আরও বাড়বে।

৫. গরম পানির সেক :
পিরিয়ড চলাকালীন তলপেট, স্তন, কোমর, হাত ও পায়ের ব্যথা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গরম পানির সেঁকা দিতে পারেন। তবে হালকা গরম তেল দিয়ে ব্যথায় অংশে ম্যাসেজ পারেন। যদি ব্যথা খুব বাড়ে তবে প্যারাসিটামল বা ব্যথা জাতীয় ওষুধ খেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া যাবে না।

৬. ডাক্তার :
শরীরে যে কোনো জায়গায় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

মলদ্বারে চুলকানি

মলদ্বারে চুলকানি সাধারণ একটি সমস্যা। প্রাচীনকালের চিকিৎসা সংক্রান্ত বই-পুস্তকেও এই সমস্যাটি সম্পর্কে লেখা পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, মলদ্বার বা পায়ুপথে স্নায়ুতন্ত্রের প্রাচুর্যের কারণে এই সমস্যাটি তীব্র আকারে অনুভূত হয়।

ক্ষেত্রবিশেষে এটি অত্যন্ত চরম অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর হয়ে ওঠে। তবে মলদ্বারে চুলকানি কোনো রোগ নয়। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে এটি প্রকাশ পায়। অল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব।

চুলকানির কারণ
সাধারণত মলদ্বার ও এর আশপাশে চুলকানি হয়ে থাকে। নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চুলকানির প্রকৃত কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। মলদ্বারে চুলকানির প্রধান কারণগুলো হচ্ছে-

অপরিচ্ছন্ন থাকা কিংবা অতিরিক্ত মলদ্বার পরিষ্কার দুটোই মলদ্বারে চুলকানির কারণ হতে পারে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুগন্ধি সাবান, রঙিন-সুগন্ধি ও খসখসে টয়লেট পেপার ব্যবহারও পায়ুপথে চুলকানির কারণ হতে পারে। যারা অতিরিক্ত ঘামান তাদের এই ধরনের সমস্যা হওয়ার আশংকা বেশি।

ছোটদের ক্ষেত্রে কৃমি চুলকানির প্রধান কারণ। সাধারণত রাতের বেলা ঘুমের সময় শিশুদের মলদ্বার চুলকায়। বড়দেরও কৃমির কারণে চুলকানি হতে পারে।

অনেক সময় মলদ্বার বা এর আশপাশে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে চুলকানি হয়। সাধারণত মহিলারা তুলনামূলক বেশি ছত্রাকের আক্রমণের শিকার হন।

যৌনবাহিত রোগও মলদ্বারে চুলকানির কারণ হতে পারে। যে সমস্ত চর্ম রোগে শরীরে চুলকানি হয় (যেমন-অ্যালার্জি) সবগুলোই মলদ্বারে চুলকানি করতে পারে। বিশেষ করে সোরিয়াসিস এবং কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস চুলকানির অন্যতম কারণ।

কফি, চকলেট, বিয়ার, বাদাম, টমেটো, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এবং মসলাদার খাবার থেকেও চুলকানি হয়।

অনেক সময় ওষুধের কারণে মলদ্বারে চুলকানি হয়। ওষুধের মধ্যে লেক্সেটিভ ও অ্যান্টিবায়োটিক মলদ্বারে চুলকানির কারণ হতে পারে।

সার্জিকাল রোগগুলোর মধ্যে সাধারণত এনাল ফিশার, পাইলস ও ফিস্টুলা মলদ্বারে চুলকানি করে থাকে।

আইবিএস, ডায়রিয়া এবং মল ধরে রাখার অক্ষমতাজনিত কারণেও চুলকানি হয়। খুব অল্প ক্ষেত্রে হলেও মলদ্বারের ক্যান্সার চুলকানির কারণ। ডায়বেটিস কখনও কখনও চুলকানির কারণ হতে পারে।

প্রতিকার
সাধারণত চুলকানির সঙ্গে মলদ্বারে ভেজা ভেজা ভাব ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমনকি মলদ্বার লাল হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ চুলকানির জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

সাধারণত ঘরে বসে কিছু নিয়ম মেনে চললেই চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যেমন-
অ্যালার্জি হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলা। মলত্যাগ ও অতিরিক্ত ঘামের পর মলদ্বার ধুয়ে মুছে পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা। সুতি কাপড়ের ঢিলাঢালা অন্তর্বাস ব্যবহার করা। রঙিন, সুগন্ধিযুক্ত ও খসখসে টয়লেট পেপার ব্যবহার না করা। সুগন্ধি সাবান ব্যবহার না করা।

অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক
বৃহদান্ত ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ

জরায়ু ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বাল্যবিয়ে

বিশ্বে জরায়ু মুখে ক্যান্সারে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা, বাড়ছে মৃত্যুর হার । বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের শতকরা ৩০ জনই জরায়ু মুখে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। গড়ে ১৮ জন নারী মারা যায় এই ঘাতক ক্যান্সারে।

যে কোনো বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকলেও ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। তবে ৫০ বছর বয়স্ক কিংবা এর থেকে বেশি বয়সের নারীরাও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।

তবে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত  হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে বাল্যবিয়েকে অন্যতম কারণ মনে করছেন ক্যান্সারবিশেষজ্ঞরা।

জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন (ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগ)। জরায়ু মুখে ক্যান্সারের বিষয়ে আলাপকালে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি।

হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, আমাদের দেশের বেশির ভাগ নারীরা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নন। জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অনেক নারীই এর লক্ষণ বুঝতে পারেন না। আবার ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক সময় গুরুত্ব দেন না। কিন্তু প্রথম কথা হলো নারীদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আসুন জেনে নেই জরায়ু মুখে ক্যান্সার কী এবং এর অন্যতম কারণ কী?

জরায়ু মুখ ক্যান্সার কী :
অবিন্যস্ত ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে অস্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোষকলার পি-কে টিউমার বলে।
টিউমার দু’ধরনের বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্ট টিউমার। এ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই হলো ক্যান্সার। জরায়ু মুখের দুষ্ট টিউমারটিকে বলে জরায়ু মুখের ক্যান্সার। জরায়ু ক্যান্সারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়।

১. বাল্যবিয়ে :

বাল্যবিয়ে জরায়ু মুখে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হলে মেয়েদের নানা ধরনের যৌন সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে জরায়ু মুখ ক্যান্সার।

২. ঘন ঘন সন্তান প্রসব :
ঘন ঘন সন্তান হওয়া জরায়ু ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ঘন ঘন সন্তান নেয়া মায়ের শরীরের জন্য ভালো না। এত স্বাস্থ্যহানি হয় এবং মায়েরা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।

৩. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা :

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কারণে জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন পরিষ্কার কাপড় বা ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। এই সময় অতি সতর্ক থাকতে হবে। পরিচ্ছন্ন না থাকলে জীবাণু ঢুকে ক্যান্সার হতে পারে।

৪. অপুষ্টি

নারীদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে  জরায়ু ক্যান্সার হয়ে থাকে। তাই মাসিক চলাকালীন বা অন্য সময়গুলোতে পুষ্টিসমৃদ্ধ  খাবার যেমন- ডিম, দুধ, কচুশাক, ফলমূল ইত্যাদি খেতে হবে।

৫. জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি :

জরায়ু ক্যান্সারের আরেকটি কারণ হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির কারণে অনেক সময় জরায়ু ক্যান্সার হয়ে থাকে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৬. প্যাপিলোমা ভাইরাস :
নীরব ঘাতক হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) জরায়ু মুখে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এতে  জরায়ুর মধ্যে তীব্র যন্ত্রণা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো লক্ষণ নেই। নির্দিষ্ট চিকিৎসা ও পরীক্ষার মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হয়। তবে এ ক্যান্সারেও  রক্তক্ষরণ হতে পারে।

পুরুষের দুর্বলতায় ঔষধি

বর্তমান যুগে বেশিরভাগ পুরুষের (Male) মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে তা হচ্ছে যৌন সমস্যা।

রসুন : প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান। এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায়।

পেঁয়াজ : সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খালি পেটে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়।

এ ছাড়া পেঁয়াজের রসের (Onion juice) সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়া সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন।

গাজর : ১৫০ গ্রাম গাজর কুচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল (অর্ধ সিদ্ধ) ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক অক্ষমতা কম হতে পারে।

কলা : আমরা প্রত্যেকেই জানি, যদি ডাক্তার থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। কিন্তু যদি আপনি যৌন স্বাস্থ্যে এবং যৌন বন্ধ্যাত্ব থেকে দূরে থাকতে চান, তবে প্রতিদিন কলা খান। কারণ এই ফলে ব্রমেলেইন (Bromelain) নামে এনজাইম আছে, যা যৌন বন্ধ্যাত্ব দূর করবে এবং যৌনশক্তি বাড়াবে। কলা ভিটামিন বি-এর একটি চমৎকার উৎস, যা দৈহিক শক্তি (Stamina) বাড়ায়।

ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক, মর্ডান হারবাল গ্রুপ।

কতক্ষণ ব্যবহার করবেন স্যানিটারি ন্যাপকিন

নারীর পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। এই অবস্থা গড়ে ২৮ দিন পর্যন্ত থাকে। পিরিয়ডের সময়টুকুতে অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই সচেতন হতে হবে নারীদের। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে ও চলাকালীন নারীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিকি পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময়টা নারীদের অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি স্বাস্থ্য-সচেতন হতে হয়। কারণ আপনার সামান্য অসাবধানতার কারণে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।

পিরিয়ডের সময়টুকুতে নারীই নানা ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি নিজের অজান্তেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সময় কিছু ভুল করে থাকেন। ভুলের কারণে হতে পারে চুলকানি,  র‌্যাশসহ ত্বকের নানা রকম অসুখ। তাই এই সময়ে সচেতন থাকা জরুরি। 

পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মা‌সি‌ক চলাকালীন পেট ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে।

পিরিয়ডের সময়টুকুতে ন্যাপকিন ব্যবহারের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন।

বেদৌরা শারমিন বলেন, পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।

তিনি বলেন, পিরিয়ডের সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি। অস্বাস্থ্যকর বস্তু ব্যবহারের জন্য মেয়েদের দুটি প্রধান সমস্যা দেখা দিতে পারে- প্রথমত, পাইরজেনিক অর্গানিজমে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হয়। এছাড়া ঋতুস্রাবের শেষের দিকে অল্প রক্তপাত হয় এবং এ কারণে সেই রক্ত দ্রুত শুকিয়ে সেখানে জীবাণুর আক্রমণ হয়, যা যোনিপথের সংস্পর্শে এসে চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন কোনোভাবেই তিন বা চার ঘণ্টার বেশি পরা উচিত নয়। ঋতুস্রাবের শুরুর দুই ও তিন দিন অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিঃসরণ হয়। এ সময় অনেকে ছয় বা সাত ঘণ্টা পর পর প্যাড পরিবর্তন করে। কিন্তু চতুর্থ বা পঞ্চম দিন থেকে স্রাব কমে আসায় একই ন্যাপকিন ২৪ ঘণ্টা বা আরও বেশি সময় ধরে অনেকে পরে থাকে। তাই হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।

কীভাবে ব্যবহার করবেন স্যানিটারি ন্যাপকিন

চার ঘণ্টার বেশি ন্যাপকিন ব্যবহার নয়
চার ঘণ্টার বেশি কোনোভাবেই ন্যাপকিন ব্যবহার করা যাবে না। চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন হতে পারে।

ন্যাপকিন বদলানোর সময় অসতর্কতা
ন্যাপকিন বদলে নতুন একটি ন্যাপকিন পরার আগে ভালোভাবে হাত ও ওই স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ও মুছে নিন। হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ধরার কারণে হাতে লেগে থাকা জীবাণু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।

বাথরুমে ন্যাপকিন রাখা যাবে না
টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা যাবে না। কারণ টয়লেটে থাকা নানা ধরনের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। জীবাণুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন আপনি। 

মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল করতে হবে। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণের ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ বিষয়টিতে অতিরিক্ত গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।

গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন

পুরুষত্বের সমস্যা

পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা সমাজে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে উঠতি বয়সের যুবকরা হতাশ। ফলে অভিভাবকরা বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

পুরুষত্বহীনতা : এটি পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকে বুঝায়।

শ্রেণীবিভাগ : পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-

* ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।

* পোনিট্রেশন ফেইলিউর : লিঙ্গের যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা।

* প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহবাসে দ্রুত বীর্য-স্খলন তথা স্থায়ীত্বের অভাব।

কারণ : প্রধান কারণ হলো-

* বয়সের পার্থক্য

* পার্টনারকে অপছন্দ (দেহ-সৌষ্ঠব, ত্বক ও মুখশ্রী)

* দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ

* ডায়াবেটিস

* যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গনোরিয়া)

* রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

* যৌনরোগ বা এইডস-ভীতি

* নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন

* সেক্স-এডুকেশন এর অভাব।

যুবকরা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন অথবা অকার্যকর ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। এর পার্শ্ব-ক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত সত্যিকারভাবে পুরুষত্বহীনতার আশংকা দেখা দেয়। যা থেকে পরবর্তীতে আরোগ্য লাভ করা অসম্ভব।

ডা. একেএম মাহমুদুল হক (খায়ের)
ত্বক, যৌন, অ্যালার্জি ও কসমেটিক সার্জন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

অবিবাহিত নারীদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায় অনিয়মিত পিরিয়ড

পিরিয়ড নারীদের কাছে একটি পরিচিত বিষয়। প্রত্যেক নারীর সাধারণত মাসে একবার পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে তবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত নারী রয়েছেন, যাদের মাসিক অনিয়মিত; তাদের মাতৃত্বের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। তাদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অনিয়মিত মাসিক বা ঋতুস্রাব নারীদের কাছে পরিচিত বিষয়। বিশেষ করে কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে কিশোরীরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। নিয়মিত ঋতুচক্র প্রতি মাসে দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী থাকে। বেশিরভাগ নারী প্রতি মাসের ২৮ তারিখের সাত দিন পূর্বে অথবা সাত দিন পরে ঋতুস্রাবের মুখোমুখি হয়।

অনিয়মিত পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে। আর যাদের এই মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয় না অথবা দুই মাস আবার কখনও ৪ মাস পর পর হয়, তখন তাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বলে।

অনিয়মিত পিরিয়ডের বিভিন্ন বিষয় জানিয়েছেন সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন।

বেদৌরা শারমিন বলেন, অনিয়মিত পিরিয়ড হলে অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেলে কয়েক মাস নিয়মিত হলেও আবার অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক হলে নারীদের মা হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া বন্ধ্যাত্বেরও ঝুঁকি থাকে।

তিনি বলেন, যে অবিবাহিত নারীরা আমাদের কাছে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা নিয়ে আসেন, তাদের আমরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকি। এর মধ্যে ওজন কম রাখতে, ব্যায়ম করতে, ডাল, ভাত, চিনি, রুটি, এসব খাবারে কার্বহাইড্রেট বেশি থাকে। তাই এসব খাবার পরিহার করা উচিত। এছাড়া বিয়ের পরে বাচ্চা নেয়ার সময় ডাক্তারের পারামর্শ নেয়া ভালো বলেও জানান তিনি।

অবিবাহিত নারীদের অনিয়মিত পিরিয়ড সম্পর্কে যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বেদৌরা শারমিন।

ওজন কমান
যে নারীদের অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডা. বেদৌরা শারমিন। কারণ অতিরিক্ত ওজনের ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ওজন কমানো জরুরি।

ব্যায়াম করা
অনিয়মিত মাসিক যাদের তাদের জন্য ব্যায়াম অনেক উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে অতিরিক্ত ওজন কমে এবং শরীর ভালো থাকে।

কার্বহাইড্রেট খাবার পরিহার করা
ডাল, ভাত, চিনি, রুটি, এসব খাবারে কার্বহাইড্রেট বেশি থাকে। তাই অনিয়মিত মাসিক যাদের হয় তাদের সব খাবার পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

ড. বেদৌরা শারমিন