সেক্সের সময় বিভিন্ন কারণবশত আমাদের শরীর আমাদের শারিরীক প্রয়োজনের তুলনায় প্রয়োজনীয় লুব্রিকেশন তৈরি করতে সক্ষম হয় না। এজন্য কৃত্তিম জেলি বা লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যায়। এতে যোনির শুষ্কতা কমে যায়। নারীর যোনি শুষ্ক হয়ে থাকতে পারে যেমন: মানসিক চাপ, ক্লান্তি অথবা ঋতুস্রাব এসব অন্যতম কারণ।
অনেক তৈলাক্তকর পণ্য যেমন ভ্যাসলিন, পেট্টোলিয়াম, বডি লোশন এই ধরনের প্রোডাক্ট আপনার কনডমের লেটেক্র কে নষ্ট করে আপনার কনডমকে মুহূর্ত এর মধ্যে ছিদ্র করে দিতে পারে। কিন্তু জেলি বা লুব্রিকেন্ট ব্যবহার আপনার শরীরের প্রাকৃতিক লুব্রিকেশনের মতই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এটি খুব সহজই ধুয়ে ফেলা যাই, অন্যান পেট্টোলিয়াম মত শরীরের সাথে লেগে থাকে না।
যৌন সঙ্গম বা সেক্সের সময় জেলি বা লুব্রিকেন্টের ব্যবহার
যৌনক্রিয়ার সময়ে লুব্রিক্যান্টের ব্যবহার বাঙালীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম। বহু বাঙালী এই বিশেষ বস্তুটি সম্পর্কে ওয়াকিবহালই নন। জেনে নিন লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত।
সেক্সের সময় লুব্রিকেন্ট হিসেবে তেল, ভেসলিন অথবা কে ওয়াই জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এসবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত হয়না । তবে চুলকানি, এলার্জি বা অন্য কোন সমস্যা হলে বুঝতে হবে আপনার এটা ব্যবহার না করাই ভাল।
যৌন উত্তেজনার ফলে মেয়েদের যোনিতে একটি বিশেষ ধরনের রস নিঃসরণ হয় যা যোনির ভিতরে পুরুষাঙ্গের চলনে সাহায্য করে। এই স্বাভাবিক যোনিরসের ক্ষরণ বিভিন্ন কারণে ব্যাহত হতে পারে—
১) ৪০-এর কাছাকাছি বয়সি মেয়েদের যোনিরস ক্ষরণ কমে যায় মূলত মেনোপজের কারণে।
২) প্রি-মেনোপজ পর্যায়েও কমে যায় সেক্স ড্রাইভ ও তার ফলেও যোনিরসের ক্ষরণ ব্যাহত হয়।
৩) মেনোপজ না-হলেও স্ট্রেসজনিত কারণেও কমে যায় যোনিরস ক্ষরণ।
৪) সন্তানের জন্মের পরে বেশ কিছুদিন পর্যন্ত মেয়েদের সেক্স ড্রাইভ কমে যায়।
৫) হিস্টেরেক্টমি হলে, অর্থাৎ গর্ভাশয় বাদ গেলেও মেয়েদের যোনিরস ক্ষরণ অত্যন্ত কমে যায়।
৬) অ্যান্টি-ইস্ট্রোজেন ওষুধ এবং কেমোথেরাপির জন্যেও ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস দেখা যায়।
যোনি যথেষ্ট লুব্রিকেটেড না থাকা অবস্থায় সঙ্গমে গেলে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের যৌনাঙ্গই আহত হতে পারে। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা জরুরি। তা ছাড়া যে সব মেয়েদের পুরুষ সঙ্গীরা চেহারায় অনেকটা বেশি লম্বা-চওড়া, তাঁদের সব সময়েই লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা উচিত।
ঠিকঠাক মেডিকেটেড লুব্রিক্যান্টই ব্যবহারই সঠিক পদ্ধতি। অনেকে না জেনেই পেট্রোলিয়াম জেলি বা ক্রিম ব্যবহার করেন যা একেবারেই উচিত নয়। এগুলি থেকে র্যাশ এবং ইনফেকশন হতে পারে।
কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই লুব্রিক্যান্ট তৈরি করা যায় বটে তবে সে চেষ্টা না করাই শ্রেয়।
বিভিন্ন কন্ডোম কোম্পানিগুলিরই নানা ধরনের লুব্রিক্যান্ট পাওয়া যায় বাজারে। ওয়াটার বেসড অরগ্যানিক লুব্রিক্যান্টই অন্যান্য লুব্রিকেন্টের তুলনায় ভাল। তবে যোনিতে লাগানোর জন্য উপযুক্ত যে লুব্রিক্যান্ট তা কখনওই অ্যানাল সেক্স-এর জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। অ্যানাল সেক্স বা পায়ুমৈথুনের জন্য আলাদা লুব্রিক্যান্ট রয়েছে।
অলিভ অয়েল
হাতের নাগালে ও সহজে পাওয়া যায়- নাম তার অলিভ অয়েল। এটার গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি না থাকায়, নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।
কে-ওয়াই জেলি
কে-ওয়াই জেলি আপনাকে প্রাকৃতিক লুব্রিকেশন প্রদানে সহায়তা করতে পারে। যোনি শুষ্কতা কিন্তু অনেক মেয়ে /মহিলারই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই হয়ে থাকে।
কে-ওয়াই জেলি আপনার শরীরের প্রাকৃতিক লুব্রিকেশনের মতই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।এটি খুব সহজই ধুয়ে ফেলা যাই, অন্যান পেট্টোলিয়াম মত শরীরের সাথে লেগে থাকে না। সুতরাং আপনি কে-ওয়াই জেলি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্রঃ
যৌনি পিচ্ছিল করার জন্য সবচেয়ে ভালো জেল বা ওয়েল কি? condom দিয়ে সেক্স করার সময় যদি যৌনি পিচ্ছিল করার দরকার হয় তাহলে কি দিয়ে পিচ্ছিল করলে ভালো হবে? যৌনি পিচ্ছিল করা,,, জেলি ব্যবহারের উপকারিতা, sex jell
No comments:
Post a Comment