২০১৬ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দাম্পত্য জীবনের প্রথম এক বছর যৌনতায় থাকে উপচে পড়া রোমাঞ্চ। পরে ক্রমেই তা স্থিত হতে থাকে। এ গবেষণাপত্রটি 'আর্কাইভস অব সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার'-এর।
দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন যারা, তারাই জানেন যৌনতা কতটুকু উপভোগ্য হয়। তবে প্রথম দিকে এ বিষয়টি দারুণ উত্তেজনাকর থাকলেও ক্রমেই তার অধঃপতন ঘটে।
যাই ঘটুন না কেন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে যুক্তরা সেক্স বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। তারা জীবনের বহু সময় যৌনতার নানা রূপ ও বৈশিষ্ট্য দেখেছেন। তাদের কাছ থেকে নেওয়া যেতে পারে বেশ কিছু টিপস। এগুলো দিয়েছেন 'ওম্যান অন ফায়ার: ৯ এলিমেন্টস টু ওয়ে আপ ইওর ইরোটিক এনার্জি, পারসোনাল পাওয়ার, অ্যান্ড সেক্সুয়াল ইন্টেলিজেন্স' বইয়ের লেখক ও বিশেষজ্ঞ অ্যামি জো গডার্ড।
১. সময় সম্পর্ককে গভীর করে :
এক সময় সারাক্ষণ হাতে হাত না রাখতে পারলে ভালো লাগে না। কিন্তু এ অবস্থা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তার মানে এই নয় যে, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসলে নতুন এক স্তরে প্রবেশ করছেন। সত্যিকার ভালোবাসায় আবদ্ধ দম্পতিরা আরো গভীরভাবে একে অপরকে উপলব্ধি করতে থাকেন। গডার্ডের মতে, সময়ের সঙ্গে তারা আরো বেশি অন্তরঙ্গতায় জড়িত পড়তে থাকেন। সম্পর্কে যোগ হয় আরো বেশি আবেগ।
২. আন্তরিক ও সহজাত সেক্সই গুণগতমানসম্পন্ন সেক্স :
দুজন একসঙ্গে বহুদিন থাকলে একে অপরের খুঁটিনাটি অভ্যাস বা অদ্ভুত আচরণ সম্পর্কে সজাগ থাকেন। সেই সঙ্গে যৌনজীবনের নানা বৈচিত্র্য অভিজ্ঞতায় যোগ হয়। অনেক নেতিবাচক অবস্থার পরও দুজন যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। সম্পর্কের শুরুর দিকে শঙ্কা কাজ করে। কিন্তু ক্রমেই তা স্বাভাবিক হয়ে আসে। আন্তরিক ও শঙ্কাবিহীন যৌনতাই সবচেয়ে উপভোগ্য।
৩. কল্পনাগুলো শেয়ার করুন :
যার সঙ্গে অনেক দিনের দাম্পত্য সম্পর্ক বিরাজ করছে, সেখানে কেবলমাত্র নেতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে এখানে নতুন কিছুরও যোগ ঘটতে পারে। যখন এ বিষয়ে কল্পনা বা অবাস্তবিক ইচ্ছা ভর করে, তখন একে অপরের কাছে সৎ থাকাই ভালো। এগুলো আসলে শেয়ারিংয়ের জন্যে। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্যে নয়। দুজনই মনে মনে বিশেষ কোনো চিন্তা নিয়ে উত্তেজিত থাকতে পারেন। এ কথা অপরের সঙ্গে শেয়ার করুন।
৪. চর্চাতেই দক্ষতা আসে :
সেক্স এমন এক কাজ যাতে দক্ষতা আসা প্রয়োজন। এর জন্যে চর্চার বিকল্প নেই। যৌনতার নানা বিষয় জানতে ও বুঝতে সময়ের প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে জড়িতরাই একে পুরোপুরি বুঝতে পারেন। নতুনদের কাছে তার অনেক রহস্যই উন্মোচিত হয় না। ধীরে ধীরে তা হতে থাকে। চর্চা চলতে থাকে, বাড়ে দক্ষতা।
৫. মনের কথা বিনিময় করুন :
দুজনের আন্তঃযোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। কেবলমাত্র আলোচনার অভাবে যৌনজীবনটা ভেস্তে যেতে পারে। গডার্ডের বহু দিনের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়িতদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তাদের যৌনজীবনটাও বহু আলোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। ফলে তা দিনে দিনে আরো পরিপক্ক হয়ে ওঠে। তারা একে অপরের বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হয়ে ওঠেন।
৬. মানসমম্পন্ন সেক্স বেডরুমকেও ছাড়িয়ে যায় :
গডার্ডের মতে, গুণগত মানসম্পন্ন সেক্স কেবল বেডরুমেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তার মানে এই নয় যে, যেখানে সেখানে সেক্স করতে বলা হচ্ছে। আসলে এটা মানসিক বিষয়। গভীর যৌন প্রাণশক্তির মাধ্যমে এটি উপভোগ্য হয়। এ ক্ষেত্রে মানুষ আরো বেশি শক্তিমান হয়ে ওঠে। তারা আরো বেশি যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। তারা আরো বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এটাই মানসম্পন্ন সেক্স।
৭. নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে :
নতুনদের ক্ষেত্রে এটি নতুন একটি কাজ। যেখান মিশে রয়েছে আশঙ্কা, উত্তেজনা, রোমাঞ্চ ইত্যাদি। এসব অনুভূতির তুলনা নেই। গোটা জীবনই সেক্স জীবনের সঙ্গে মিশে থাকবে। কাজেই এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। নতুন জিজ্ঞাসা নিয়ে অস্বস্তি থাকলে চলবে না। এটা কেবল গতানুগতিক ধারণা নয়। এটি চিরসহস্যময় এক জিনিস। একে উন্মোচিত করতে থাকুন। মনে জিজ্ঞাসা রাখুন এবং জানার চেষ্টা করুন।
@ যেভাবে সেক্স #মানসম্পন্ন সেক্স । দম্পতিদের মিলন #যৌনজীবন । ভালো সেক্স, টিকসই মিলন বা সেক্স
No comments:
Post a Comment