সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার ১ বা ২ সপ্তাহ পর কিছু লক্ষণ দৃশ্যমান হয়ে উঠতে পারে।
আপনি যদি বুঝতে না পারেন যে, আপনি গর্ভে সন্তান ধারণ করেছেন কি না সেক্ষেত্রে নিচের উপসর্গের মাধ্যমে জেনে নিতে
পারেন গর্ভবতী হওয়ার স্বাভাবিক বা প্রাথমিক লক্ষণগুলো।গর্ভবতী হওয়ার স্বাভাবিক লক্ষণসমূহঃ
* গর্ভে সন্তান ধারণ করলে নিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। আপনার মাসিক যদি সঠিক চক্র মেনে চলে এবং ঠিক সময়ে যদি আপনার মাসিক না হয়, তবে কোন রকম সমস্যা দেখা না গেলেও আপনি প্রাথমিকভাবে সন্তান সম্ভবা। তবে প্রথম ১২ সপ্তাহ অনিয়মিত ক্ষনস্থায়ী রক্তক্ষরণ দেখা যেতে পারে, যা নিয়মিত মাসিকের মতো নয়।
* আপনি যদি নিয়মিত আপনার শরীরের তাপমাত্রার চার্ট রেখে থাকেন, এবং দেখেন যে একনাগাড়ে ১৮ দিনের বেশি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তবে আপনি সন্তান সম্ভবা।
* গর্ভবতী হলে স্তন স্ফীত ও ভারী হয়ে যায়। অনেকটা ফুলে যায়, ব্যাথা হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে স্তনের বোঁটা বড় ও কালচে দাগ হয়। স্তনের এই ফুলে ওঠা এবং ব্যাথা অনেকটা মাসিক পূর্ববর্তী অবস্থায় ব্যাথার মত।
* হরমোন বদলের কারণে ব্রেনের অভ্যন্তরে মেসেজ বহনকারী নিউরোট্রান্সমিটারের পরিমানে পরিবর্তন আসে। ফলে মন মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
* নিউরোট্রান্সমিটারের প্রভাবে গর্ভবতী মা এসময় বেশ আবেগ অনুভব করেন, আবার অনেকে এসময় বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন।
* শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত আর অবসন্ন লাগতে শুরু করে। শরীরে শক্তি থাকে না। সারাক্ষণ ঘুম পায়।
* পেট ফুলে যাওয়ার অনুভুতি হয়। এটা অনেকটা মাসিক হবার আগ মুহুর্তের অনুভুতির মতো।
* বমি বমি ভাব হয় আবার বমি হয়েও যায়। সাধারণত গর্ভধাণের এক মাসের আগে বমি বমি ভাব দেখা দেয় না। তবে এর ব্যতিক্রমও লক্ষ্য করা যায়।
* গর্ভবস্থার শুরুর দিকে খাবারে অনীহা বোধ হওয়া বেশ স্বাভাবিক। স্বাভাবিক খাবারে অরুচি আসে। কোনো খাবারই খেতে ইচ্ছা করে না।
* হরমোনগত পরিবর্তনের কারণে শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে কিছুক্ষণ পরপর প্রস্রাবের অনুভূতি হতে থাকে। এই উপসর্গ আপনার প্রথম ট্রিমেস্টার বা ৬ সপ্তাহের মাথায় দেখা যাবে। এই অবস্থা কিছুদিন চলতে থাকবে এবং বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে তা আরও বাড়তে থাকবে।
* মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া বা মূর্ছা যাওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।
* এ সময়ে ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন হয়। খুব সহজেই কোনোকিছুর ঘ্রাণ পেয়ে থাকেন গর্ভবতী নারীরা।
* যে কোন খাদ্যদ্রব্যের গন্ধ আপনার মাঝে বমি ভাব নিয়ে আসতে পারে। এসময় আপনার খুব পছন্দের কোন খাবার খেতে বিস্বাদ লাগতে পারে।
*** এসব উপসর্গ ছাড়াও আপনি বাসায় বসেই প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে গর্ভধারনের অবস্থা জানতে পারেন।
সব টেস্টিং কিট সফলভাবে গর্ভধারনের অবস্থা ধরতে পারলেও, মাসিক মিস হবার সপ্তাহখানেক পরে টেস্ট রেজাল্ট ভুলও আসতে পারে। তাই আপনি উপরের উপসর্গগুলো দেখা দেওয়ার আগেই বাসায় বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন এবং কয়েকদিন পর আবারও টেস্ট করুন।
পরিশেষে, ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার সাথে সাথে গাইনি ডাক্তারের সরণাপন্ন হোন।
¿
¿
jounoseba সার্চ: কী কী লক্ষণে বুঝব যে আমি গর্ভবতী হয়েছি? | আপনি কি গর্ভবতী? সহজেই জেনে নিন আপনি গর্ভবতী কি না | নারী গর্ভধারণ করেছেন, pregnant signs, আপনি গর্ভবতী কি না ... প্রেগন্যান্সি টেস্ট, গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক সাত লক্ষণ, গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণ এ গ্যাস। গর্ভবতী, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন সমূহস্তন বড় হওয়া, ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া, বমি হওয়া, pregnancy test. গর্ভবতী উপায়, গর্ভধারনের প্রধান লক্ষন ও উপসর্গসমূহ, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো হলোঃ ঋতুস্রাব বন্ধ: আমি কি গর্ভবতী ? আপনি গর্ভবতী কিনা তা জানার প্রথম লক্ষন, গর্ভবতী হবার লক্ষণসমূহ, গর্ভবতী হবার লক্ষণ, প্রেগন্যান্সি টেস্ট. মাসিক বন্ধ, প্রধান ১০ টি চিহ্ন যা থেকে বোঝা যায় আপনি হয়ত গর্ভবতী
No comments:
Post a Comment