‘XXX’ লেখার কারণ কি ?

গাণিতিক হিসেবেএক্সদিয়ে অজ্ঞাত রাশি বোঝানো হলেও, পর্ন সিনেমার পর্দায় ব্যাপারটা তা নয়।এক্সসেখানে বিশেষ এক ধরনের ছবির চিহ্ন! পর্নোগ্রাফি। কিন্তু ‘X’-এর মার্কা দিয়ে কেন বোঝানো হয় মার্কামারা সেইসব ছবিকে? এসব নোংরা বিআবার "ব্লু ফিল্ম" (Blue Film) হিসেবেও ধিক রিচিত।

প্রথম সন্তান নেবার পর যৌনদীপ্ত ত্বক পে‌তে...

যে মুহূর্ত একজন হিলা বা প্রথম সন্তানের মা অনুজ্বল হওয়া বা কুঁচিত হওয়া আবিষ্কার করেন, তার সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্নটি তখন বাস্তবতা হয়ে ওঠে।বেশিরভাগ মহিলারা বোটক্স বা কৃত্রিম মুখ উজ্জ্বলতার চেষ্টা করে। এজিং সবসময় বয়সের একটি ফলাফল নয়, কিন্তু এটি তীব্র সময়সূচীর একটি ফলাফল হতে পারে। একটি সুস্থ রুটিন অনুসরণ করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে প্রবীণ চিহ্ন। নীচে কয়েকটি সহজ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আপনি আপনার দৈনন্দিন রুটিনের মধ্যে করতে পারেন। তাহলে আপনার বুড়িয়ে যাওয়া দূর বে, উজ্জ্বলতাও অটুট থাকবে।

মা হবার পর ফিটনেস ফিরে পাওয়ার ব্যায়াম

গর্ভাবস্থা নারীদের দৈহিক ও মানসিক অবসাদ এবং নানা রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এ সময় আরেকটি বিষয় ক্ষতিকর এবং সচেতনদের কাছে চিন্তার কারণ হয়।
এটা নারীদের দৈহিক আকৃতিকে চিরদিনের জন্যে বদলে দিতে পারে। এ সময় মেয়েরা মোটা হয়ে যায়। সেই ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মা হওয়ার পর বেশ কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরটাকে আগের মতো করে ফেলা যায়। তবে আপনি কিছু করার আগে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
ওয়ার্ম আপ
প্রথমেই গা গরমের কাজটি করতে হবে। এর জন্যে যা করবেন-
১. ঘরের অল্প জায়গাতেই একটু হাঁটাহাঁটি করুন ১৫ সেকেন্ড ধরে।
২. বুকডনের মতো করে চার হাত-পায়ে মেঝের ওপর ১৫ সেকেন্ড সময় কাটান।
৩. দাঁড়িয়ে দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে দিয়ে কোমর থেকে ডান এবং বামের দিকে ঘুরে যান।
এটা করুন ১৫ সেকেন্ড।
৪. দাঁড়ানো অবস্থায় নিচু হয়ে দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এটাও করুন ১৫ সেকেন্ড।
৫. মেঝেতে দাঁড়িয়ে এক পা এবং দুই হাত একযোগে ওপরের দিকে তুলুন। ১৫ সেকেন্ড পর পা মেঝেতে নামান। এবার অন্য পায়ে করুন।
৬. মেঝে থেকে এক পা সামনের দিকে তুলুন। ডান পা তুললে বাম হাতে ওই পায়ের পাতা স্পর্শের চেষ্টা করুন। মাত্র ১৫ সেকেন্ড করতে হবে এ ব্যায়াম।
৭. এক পা সামনের দিকে নিয়ে আবার আগের অবস্থানে আসুন। আবার অন্য পা দিয়ে একই ব্যায়াম করুন। এটা করবেন ১৫ সেকেন্ড।
এবার মূল ব্যায়াম
মূল ব্যায়ামের যে পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে তা ইন্টারনেটে সহজেই বুঝে নিতে পারবেন। তবে প্রতিদিন মাত্র মিনিট পাঁচেক বা দশেক ব্যায়াম করলেই যথেষ্ট। এতে দেহের আকৃতি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে বেশি দিন লাগবে না। আর অবশ্যই ব্যায়াম শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবেন।
স্কোয়াট: মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ব্যায়াম। এটা আসলে ডন বৈঠক। দুই পা কাঁধ বরাবর রেখে দাঁড়ান। দুই হাত সামনের দিকে নিয়ে হাঁটু ভাঁজ করে চেয়ারে বসার মতো করে বসুন এবং দাঁড়িয়ে যান।
স্কোয়াট উইথ স্লাইট সাইডকিক: একই কাজ। তবে দাঁড়ানোর পর একটা পা সাইডে কিছুটা তুলে দেবেন এবং নামিয়ে আনবেন। আবার পরের বার বসা থেকে দাঁড়ানোর পর অন্য পা তুলবেন। এই ব্যায়াম করবেন ৩০ সেকেন্ড।
স্টেপ টাচ: এক পা ডান পাশে গিয়ে বাম পা এনে ডান পায়ের সঙ্গে রাখুন। আবার বাম পা বামে একট‌ু সরিয়ে ডান এনে একইভাবে স্পর্শ করুন। এটা করবেন ১০-১৫ সেকেন্ড। এ কাজের মাঝে দুই হাত নাড়াতে পারেন।
হালকা পুশ-আপস: এটা আপনার জন্যে কঠিন ব্যায়াম হবে। তবে সরাসরি মেঝেতে না করে কোনো টেবিলের কার্নিশ বা বিছানার কার্নিশে হাত রেখে হালকাভাবে পুশ-আপ দিতে পারেন। ৩০ সেকেন্ড করুন।
এভাবে আপনি দিনে সময় ভাগ করে কিংবা সপ্তাহে সময় ভাগ করে পাইল স্কোয়াট, পাইল স্কোয়াট উইথ এলবো টু নি, ট্রাইসেপ ডিপস ইন টেবিলটপ ইত্যাদি করতে পারেন। প্রত্যেক ব্যায়ামের পেছনে ৩০ সেকেন্ড সময় দেবেন।
আরো করতে পারেন সাইড লাঞ্জ, সাইড লাঞ্জ উইথ নি আপ, ডায়নামিক ব্রিজ, স্ট্যাটিক ব্রিজ ইত্যাদিও করতে পারেন ৩০ সেকেন্ড করে।

মাসিকের সময় গর্ভবতী হওয়া কি সম্ভব?

পি‌রিয়ড বা মাসিক চলাকালীন গর্ভবতী হওয়া সম্ভব। যা বি‌ভিন্ন গ‌বেষণায় স্পষ্ট হ‌য়ে‌ছে।

মাসিক নিয়ে নারীদের বেশ কয়েকটি চিন্তা থাকে। তার মধ্যে একটি প্রশ্ন হল, মাসিকের সময় গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি না? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে, আসুন একটি মহিলার দে‌হের কি ঘটছে তার ওপর নজর দেওয়া যাক।
প্রতিটি মহিলার মাসিকের সময় একটি ডিম্বাণু ছাড়া পায়, যা গর্ভাধানের জন্য প্রস্তুত। একে ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশন বলা হয়। এটি সাধারণত ১২ - মাসিকের শুরু হওয়ার ১৬ দিন আগে ঘটে। সাধারণত মাসিক চক্র ২৮ দিন, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি হতে পারে ২০ থেকে ৩৬ দিন। ডিম্বস্ফোটন প্রারম্ভে বা স্থানান্তরিত করা যেতে পারে, যা বেশ স্বাভাবিক হিসাবে গণ্য করা হয়। সমগ্র চক্রের জন্য, শুধুমাত্র এক নয়, তবে বেশ কিছু ডিম তৈরি করা যেতে পারে। এটি সব থেকে স্পষ্ট যে প্রতি মহিলার মাসিকের ধরণ পৃথক এবং স্থিতিশীল নয়।
সঙ্গীর বৈশিষ্ট্য এবং শুক্রাণু কার্যকলাপকে বিবেচনা করাও জরুরি। কিছু লোকের মধ্যে, তিনি সাত বা ততোধিক দিনগুলিতে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারেন।
আপনার ক্রমাগত মাসিক চক্র ক্রমবর্ধমান হয়ে আসলে সতর্ক হতে হবে। এটি বিভিন্ন কারণের জন্য ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পুষ্টির অভাব, অ্যালকোহল ব্যবহার, ধূমপান, পাশাপাশি প্যাসিভ সেক্স জীবনের কারণে।
সুতরাং, আপনার শরীরের উপর নির্ভর করে চক্রের যে কোনও সময়ে গর্ভপাত হতে পারে। অতএব, যদি গর্ভাবস্থা এখনও অনুপযুক্ত না হয়, তবে এই ধরনের দিনগুলিতে সুরক্ষিত হওয়া উচিত। কারণ উত্তর হল আপনি মাসিকের সময়ও গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন।
যদিও সম্ভাবনা খুব বড় নয়। স্বাভাবিক ডাক্তারি মতে, মাসিক যদি ১ ম থেকে ৫ ম দিনে ঘটে তাহলে গর্ভাধান - ১৪ তারিখে। সুতরাং মাসিকের সময় গর্ভাধান হওয়া উচিত না। তবে ১০০ জনের মধ্যে ৭ জনের ক্ষেত্রেও কিন্তু মাসিকের সময় গর্ভাবস্থার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
মাসিকের সময় গর্ভাবস্থার কারণ
এটা খুব বিরল যে একজন মহিলা এক ডিম্বাণু উৎপন্ন করে না, তবে দুজনই সরাসরি ফলিত হতে পারে। পরিপক্কতা একই সময়ে বা একটি ছোট পরিমাণ সময় ঘটে। এই জন্য, কয়েকটি কারণ আছে- কেন মাসিকের সময় গর্ভবতী হয়ে পড়া সম্ভবঃ
মাসিক চক্রের সময় শারীরিক সম্পর্ক করলে কন্ডোম ব্যাবহারে অবহেলা করবেন না। উপরন্তু, মনে রাখবেন যে, ঋতুস্রাবের সময় গর্ভবস্থারই বিশেষ প্রবনতা থাকে। যদি নারীর অনিয়মিত চক্র থাকে তবে এটি শরীরের হরমোনীয় পটভূমি প্রভাবিত করে।
নিঃসন্তান গর্ভনিরোধকগুলিও গর্ভধারণের কারণ। যদি আপনি গর্ভনিরোধক গ্রহণ করেন, আবার হঠাৎ করে এই কাজটি করা বন্ধ করে দেন, ত‌বে কয়েকদিনের মধ্যে কয়েক মাস (একই দিনে) আপনাকে একই সময়ে যৌন মিলন ঘটলে অপ্রত্যাশিত গর্ভাবস্থা হ‌তে পারে।

কনডমের ব্যবহার (জান‌লে অবাক হ‌বেনই)

কনডম মা‌নে শুধুই সেক্স? না! কনড‌মের ব্যবহার যে দৈন‌ন্দিন বি‌ভিন্ন কাজেও লেগে থাকে তা কি আপনি জানেন? য‌দি না জে‌নে থা‌কেন, ত‌বে আপনার জন্যই আজ‌কের এই পোষ্ট।

বেশিরভাগ দম্প‌তিই নিরাপদ সে‌ক্সের জন্য কনডম ব্যবহার করেন। এটা শুধুমাত্র অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা থেকে রক্ষা করে না; যৌন সম্পর্কিত নানা‌বিধ রোগ থেকেও রক্ষা করে। এসব কারণেই সব দম্পতি সে‌ক্সের সময় কনডম ব্যবহার করে থাকেন।
আপনি কনডমের ব্যবহার কল্পনাও করতে পারবেন না, যা অন্যরা করতে পারে। মানুষ সেক্স ছাড়া অন্য কি কি কাজে কনডম ব্যবহার করতে পারে?
জুতা পরিষ্কার করতে
যে কনডম সে‌ক্সের সময় ব্যবহার করা হয়, সেটি দিয়ে জুতো কিভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব? হ্যাঁ, কনডমে ল্যাটেক্স থাকে যা জুতো পরিষ্কারের জন্যে উৎকৃষ্ট লুব্রিকেন্টের কাজ করে।
স্ট্রেস বল
অনেক লোক কনডমকে একটি স্ট্রেস বল হিসাবে ব্যবহার করেন। একটি কনডমে চালের আটা যোগ করুন এবং গিঁট বেঁধে রেখে দিন। যখনই মেজাজ খারাপ হয়, এটি একটি স্ট্রেস বল হিসেবে ব্যবহার করুন, আপনি ভাল বোধ করবেন।
জার ওপেনার
অনেক মানুষ কনডমকে একটি জার ওপেনার হিসাবে ব্যবহার করে। এজন্য, জারের মুখটিকে একটি কনডম লাগিয়ে ঢেকে দিন। এখন জার খুলতে একটু আলতো চাপুন। আপনার জার সহজেই খুলে যাবে।
আগুন জ্বালাতে
কনডম খুব দ্রুত আগুন ধরানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। যদি মনে করেন যে, কোনো জিনিস আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং আপনার কাছে তেমন কিছু নেই, তবে কনডম কিছু সময়ের জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
ফল পঁচে যাওয়ার থেকে রোধ করে
অনেকেই কিছু ফল একেবারে খেয়ে ফেলেন না। আর তাই সেগুলি রেখে দেন পরে খাবার জন্যে। এক্ষেত্রে ফল পঁচে যাওয়ার থেকে রক্ষা করতে তারা একটি কনডমের মধ্যে বস্তাবন্দী করে ফলগুলি রেখে দেয়। এতে ফল সহজে নষ্ট হয় না।
@ক‌ন্ডোম, #কন‌ডোম

শৃঙ্গার কি ?

বহুকাল থে‌কেই শৃঙ্গার একটি স্বতন্ত্র যৌনতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আস‌ছে। যৌন‌মিল‌নের আগে শৃঙ্গার খুবই জরুরী বিষয়৷ প্রতিটি নারীর কাছেই এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ, ত‌বে পুরুষ‌রাও বাদ যায় না৷ প্রত্যেকেই চায় যৌনমিল‌নের আগে আদর-সোহাগ৷ 


শৃঙ্গার

শৃঙ্গার বা পূর্বরাগ যা ইং‌রে‌জি ফোর‌প্লে (Foreplay) না‌মেই বে‌শি পরি‌চিত। শৃঙ্গার হল যৌনমিল‌নের আগে স্বামী-স্ত্রীর এমন কিছু মানসিক ও শারীরিক কার্যকলাপ, যা যৌন আকাঙ্খা

ফোর‌প্লে কি? What is Foreplay

ফোরপ্লে (Foreplay) যৌনদীপ্ত আনন্দ ও প্রশা‌ন্তির জন্য খুবই জরুরী  এক‌টি বিষয়৷ প্রতিটি নারীর কাছেই এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ৷ ছে‌লে-‌মে‌য়ের প্রত্যেকেই চায় যৌনতা শুরুর আগেই অনা‌বিল সোহাগমাখা ভা‌লোবাসা৷ তাই বিবা‌হিত জীব‌নে ফোর‌প্লের গুরুত্ব অপ‌রিসীম। ফোর‌প্লের আর এক নাম হ‌লো "শৃঙ্গার"।

Foreplay কি?

যৌনতা মানে শুধুই দুই লিঙ্গের মিলন নয়। অর্থাৎ সে‌ক্সের আগে ও পরে অনেক আদর বা ছোঁয়া থাকে যা সঙ্গীর ভাল লাগা‌কে চরম সুখ ও আন‌ন্দের পর্যা‌য়ে নি‌য়ে যায়। আর এসব আদর-‌সোহাগ বা ছোঁয়া‌কেই Foreplay বলা হয়। অর্থাৎ যৌন মিল‌নের আগে সারা দেহে আদর, চুমু, লিপ কিস, স্তন চোষা ও আল‌তো ক‌রে

সঙ্গী যখন যৌনতায় ‘দুর্বল’

আবেগঘন সন্ধ্যা, একসঙ্গে সিনেমা দেখা, ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়া— বিবাহিত জীবনের সবকিছুই চলছে ঠিক যেমনটা আশা করেছিলেন।

তবে রাতের ওই বিশেষ সময়টা কি হতাশাজনক? সবকিছু যেন চোখের পলকেই ফুরিয়ে গেল? ভেঙে পড়বেন না। কারণ অন্য সবকিছুর মতো যৌনমিলনেও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে পরিস্থিতি অনুকূলে আনার কিছু উপায়।

হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় কী?

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালো! এই ধারণা অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসবেই। এটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারে-

১. মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে, তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন। কখ‌নো এমন না হয়।

২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন।
কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।
কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাৎ কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লেগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। অথবা কোন পাব‌লিক প্লে‌সে চ‌লে যান। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান। হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না।
যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান।

সর্বপ‌রি ধর্মকর্ম নিয়‌মিত পালন করুন।

অসাবধানতাই গর্ভধারণের মূল কারণ!

গর্ভধারণ রোধ করার জন্য অনেক ধরনের প্রতিরোধক পাওয়া যায়। সেগুলোর অকার্যকারিতার হার খুবই নগণ্য। তবে অসাবধান হলে সে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে। গর্ভধারণ করলে সে এবং তার সঙ্গীর জন্য খুব আনন্দদায়ক একটি ঘটনা। তবে, এ কথাটা সব সময় সত্য না।
জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনার আগে তার উপযোগী একটি জীবন তৈরি করা জরুরি। সবসময় বাবা-মা একটি শিশুর জন্য প্রস্তুত থাকেন না। এরকম অপরিকল্পিত গর্ভধারণ সমস্যা সৃষ্টি করে।
পরিবার পরিকল্পনার জন্য নেওয়া ব্যবস্থাগুলোতে সমস্যা থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন অপরিকল্পিত গর্ভধারণের জন্য যতটা না প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর অক্ষমতা দায়ী থাকে তারচেয়ে অনেক বেশি থাকে ব্যবহারকারীদের অজ্ঞতা এবং অসাবধানতা।
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যত শিশু হয় তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক শিশুই অপরিকল্পিত গর্ভ ধারনের ফলে জন্মায়। কীভাবে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ঘটে এবং কী ধরণের সচেতনতা গ্রহণ করলে এ সমস্যা রোধ করা যায় তা জানিয়েছে চিকিৎসাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট—
আমেরিকার অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিনের ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিষয়ক প্রফেসর সিভন ডলান জানান, কোনো নারীর যদি রজোনিবৃত্তি (মেনোপজ) না হয়ে থাকে তবে তার সন্তান ধারনের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
ডলানের মতে, “গর্ভধারণ রোধের শতভাগ সুরক্ষিত কোনো উপায় নেই।”
অনেক সময়ই গর্ভধারণ রোধের সুরক্ষা পদ্ধতি বিফল হয়। তখন অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ঘটতে পারে। পিল, কনডম, ইন্ট্রাউটারিন ডিভাইজেজ (IUDs) ধরনের ব্যবস্থাপনা ৮০ বা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। অন্যান্য স্থায়ী ব্যবস্থা যেমন নারীর ‘স্টেরলাজেইশন’ ও পুরুষের ক্ষেত্রে ‘ভ্যাসেকটমি’ বা বন্ধ্যকরনের মাধ্যমে সেটা বিফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও এই সম্ভাবনা শতকরা এক শতাংশেরও কম তাও সম্ভাবনা থেকেই যায়।
যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সঠিক না হয় তবে গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কখনও কনডম ফেটে যেতে পারে সেক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের দ্বিতীয় ধাপ নেওয়া আবশ্যক। যা হচ্ছে জন্মনিরোধক জরুরি অবস্থায় নেওয়া বড়ি। এই পিলগুলো অরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পরদিন সকাল থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য খাওয়া প্রাত্যহিক বড়ি খেতে ভুলে গেলেও এই জরুরি বড়ি খাওয়া যেতে পারে।
অপরিকল্পিত গর্ভধারণের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে অকার্যকর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।
আমেরিকার উইমেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস হসপিটাল অফ রোড আইল্যান্ডের ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মৌরিন ফিপ্স বলেন, “অনেক মহিলাই নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন না। কেউ কেউ তো মোটেই করেন না।”
এর কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন, অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলো পছন্দ করেন না। অনেকেরই সেগুলো পাওয়ার সাধ্য নেই। কখনও পুরুষ সঙ্গীও এটাকে অপছন্দ করতে পারেন।
ফিপ্স বলেন, “অনেক সময় এমন হয়- দম্পতি মনস্থির করে উঠতে পারেন না যে তারা আদৌ সন্তান নেবেন কিনা!”
“তারা হয়ত সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেননি তবে তারা গর্ভধারণ এড়ানোর বিষয়েও তেমন সচেতন না।”
ফলে একসময় স্ত্রী বা নারী সঙ্গী গর্ভধারণ করে ফেলেন।
কিছু মহিলা গর্ভধারণের বিষয়ে সচেতন না। এর কারণ হতে পারে অতীতে তাদের গর্ভধারণে অসুবিধা হয়ে ছিল এবং তারা সাময়িক বন্ধ্যত্বের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। অথবা অনিয়মিত মাসিক কিংবা মেনোপজের আগের অনিয়মিত মাসিকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায়ও কেউ কী গর্ভধারণ করে ফেলেন যেটা সম্পর্কে আসলে তিনি আগে সচেতন ছিলেন না।
ডলান বলেন, “যদি মাসিক অনিয়মিতভাবেও হতে থাকে তবুও জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতিকে অবহেলা করা যাবে না।”
তিনি আরও জানান, একবার পুরোপুরি রজোনিবৃত্তি হয়ে গেলে অর্থাৎ একটা পুরো বছর মাসিক না হলে এটাকে ‘রজো-বন্ধ’ বা মেনোপজ বলা যায়। তখন কোনো জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ না করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না। তারপরেও যৌন সংক্রামণ রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে কোনো না কোনো সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত জন্মনিরোধক পদ্ধতিগুলোর অক্ষমতার হার ১০ শতাংশের মতো হলেও জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পরিকল্পনার বহির্ভূত হওয়ার আরও একটি কারণ হল, সঠিকভাবে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার না করা।
বহুল ব্যবহৃত এবং মোটামুটি সবার জন্য নিরাপদ জন্মনিরোধক পদ্ধতি হল কনডম। তবে কনডম ফেটে অঘটন হওয়ার বিষয়েও সচেতন হতে হবে। জানিয়েছে কনডম উৎপাদন ও বিক্রয় করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান।
তাদের মতে, “সঠিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।”
অন্য সব জিনিসের মতো কনডমেরও একটি মেয়াদ উত্তীর্ণের দিন থাকে এবং প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে ব্যবহার বিধি লেখা থাকে। এই দুই বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার।
একবার সঙ্গমের পরে অবস্থান পরিবর্তন করে আবার মিলিত হলেও কনডম বদলে ফেলা উচিত। না হলে সেটা কার্যকারিতা হারাতে পারে।
সাধারণত সব কনডমেই লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারক পদার্থ লাগানো থাকে। তবে এরপরেও যদি কেউ আলাদা পিচ্ছিল কারক পদার্থ ব্যবহার করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কনডম কেমন পদার্থ গ্রহণ করে এই বিষয়ে আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
কনডম ফেটে যাওয়ার একটা উল্লেখযোগ্য কারণ হল এর শীর্ষে থাকা বাতাস। তাই কনডম প্যাকেট থেকে বের করার পরে আর শীর্ষের বাতাস আলতো চেপে বের করে ফেলতে হবে এরপর আস্তে আস্তে কনডম খুলে বের করতে হবে।
অনেক সময় ফয়েল প্যাকেট ছেঁড়ার সময় বা হাতের নখে বা আংটিতে লেগে কনডম ছিঁড়ে যায় বা ফুটা হয়ে যেতে পারে যেটা প্রায় কেউই লক্ষ করেন না। এই বিষয়েও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
কনডম প্যাকেট থেকে বের করার পর সেটা যদি আঠালো বা ভঙ্গুর মনে হয় এর অর্থ এটির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন কনডম ব্যবহার না করার পরামর্শই দেন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

অন্ধকারে থাকলে কী যৌন চাহিদা কমে?

আলো-আধা অন্ধকার মানেই সঙ্গিনীর শরীর ছোঁয়ার ইচ্ছা, গাঢ় আলিঙ্গণ বা  আরও বেশি কিছু…। আর ঝকঝকে দিনের আলো মানেই যৌনতাহীন কর্মব্যস্ত জীবন, এই ধারণা এবার বদলাতে চলেছে। অন্তত গবেষণা তেমনই বলছে।

ইটালির গবেষকদের দাবি, টানা দু’সপ্তাহের প্রতিদিন অন্ধকারে ডিজিটাল গ্যাজেটের সামনে বসে কাজ করলে যৌন বাসনা কমে যায়। এই সমস্যায় ভুগছে বিশ্বের প্রায় সমস্ত প্রযুক্তি

পিরিয়ডের ব্যথা কমা‌নোর উপায়

মাসের বিশেষ সময়ের কিছুদিন আগে ও ওই সময়ের শুরুর দিনগুলো পেট ও পিঠ ব্যথায় নাজেহাল হতে হয় অনেককেই। তাই জানা থাকা চাই নিস্তার পাওয়ার কিছু উপায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পিরিয়ডের কারণে হওয়া পেট ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হয়। তাই ব্যথা হলেই ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে এমন ঘরোয়া সমাধানগুলো অনুসরণ করা বেশি উপকারী। এতে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হওয়ারও ঝুঁকি থাকে না।
গরম ভাপ: পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা হলে ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’য়ে গরম পানি ভরে তলপেটে চেপে রাখা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানির তাপমাত্রা যেন সহনীয় হয়। গরম ভাপ দেওয়ার ফলে ব্যথা কিছুটা কমে আসবে। কারণ গরম ভাপ ইউট্রাসের পেশিগুলো শিথিল করে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
আদা: ব্যথা কমাতে আদা চা পান করা বেশ উপকারী। নিজের জন্য বেশি পরিমাণে আদা দিয়ে ক্যামোমাইল চা তৈরি করে পান করতে পারেন। আদা প্রোস্টাগ্লান্ডিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যামোমাইল ব্যথা উপশমে সহায়ক। ব্যথানাশক হিসেবে এই চা বেশ উপযোগী।
মৌরি: এই দানাদার মসলাতে রয়েছে ‘অ্যান্টিসপাসমডিক’ এবং ‘অ্যান্টিইনফ্লামাটরি’ উপাদান, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ব্যথা বাড়লেই অল্প করে মুখে দিয়ে চাবিয়ে নিতে পারেন অথবা পানিতে ফুটিয়ে অল্প করে চায়ের মতো পান করলেও উপকার পাওয়া যায়।
দারুচিনি: পিরিয়ডের সময় জমাট বাঁধা রক্তপাতের কারণে ব্যথা ও অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়। দারুচিনিতে রয়েছে আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। খানিকটা পানিতে আধা চা-চামচ দারুচিনি গুলে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে পান করতে হবে।
এড়িয়ে চলুন কফি: পিরিয়ড চলাকালে উষ্ণ পাণীয় পান করা উপকারী হলেও কফির ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম। শুধু কফি নয় ক্যাফেইন সমৃদ্ধ যে কোনো পানীয়ই এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ক্যাফেইন রক্ত চলাচলে ব্যঘাত ঘটায়। ফলে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
অর্গাজম: পিরিয়ড চলাকালে শারীরিক মিলন নিয়ে দ্বিধায় থাকেন বেশিরভাগ নারী। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে অর্গাজম পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে আনতে সহায়ক। কারণ এতে ভালোলাগার অনুভূতি তৈরি হবে এবং ইউট্রাসে রক্তচলাচলও বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যথা কমে আসবে।