বিয়ে সংক্রান্ত অ‌তি প্র‌য়োজনীয় কিছু প্র‌শ্নোত্তর

ইসলা‌মের দৃ‌ষ্টি‌কোণ থে‌কে বিবাহ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ

*** গুনাহগার না হওয়ার জন্য কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করা জায়েজ হবে কি?
একই পাত্র-পাত্রী স্বামী-স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আগের বিয়ের কথা লুকিয়ে বাবা-মা, পরিবার, সমাজের মন রক্ষার জন্য পুনরায় বিয়ে করা যাবে কি?
প্রথম বার প‌রিবার‌কে না জা‌নি‌য়ে বি‌য়ে করার পর; প্রথম বি‌য়ে গোপন রে‌খে পুনরায় সবাই‌কে জা‌নি‌য়ে বি‌য়ে করা কি জায়েজ হবে?
দ্বিতীয়বার বি‌য়ে করলে কি কোন গুনাহ হবে?

* বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ন বিধান। আপনারা যেহেতু বিবাহ‌যোগ্য বা বালেগ সুতরাং আপনারা বিবাহ করতে পারেন। ইসলামী নিয়মে বিবাহের জন্য দুটি বিষয় প্র‌য়োজন। যথাঃ
১. ইজাব (প্রস্তাব) এবং
২. কবুল (গ্রহন) ।
আপনাদের মধ্যে যে কোন একজন তার ওলী অর্থাৎ নির্ভরশীল এর মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাবে এবং অন্যজন যদি তা গ্রহন করে; তাহলে সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্তে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে। সরাসরি একজন আরেকজনকে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে না। এছাড়াও বিবাহতে আরো কিছু সুন্নত রয়েছে। ইজাব ও কবুল হওয়ার পর আপনারা একজন আরেক জনের জন্য হালাল।

বিবাহে আরো কিছু শর্ত থাকতে হবেঃ
১. পাত্রী ইসলামিকভাবে যোগ্য হতে হবে। যেমনঃ অমুসলিম হওয়া যাবে না।
২. উভয়পক্ষ পরস্পরের শব্দ শ্রবণ করতে হবে।
৩. দু’জন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দু’জন স্বাধীন নারীর সাক্ষী হওয়া।

পুনরায় বিয়ে করা যাবে এতে কোন সমস্যা নেই। ইসলাম আপনার প্রথম বিয়েটাই হিসাবে নিবে, পরে কয়বার বিয়ে করলেন এতে কোন সমস্যা নেই।
প‌রিবার‌কে না জানিয়ে বিবাহ করা যাবে কোন সমস্যা নেই। যদি ছেলে মেয়ে উভয় রাজি এবং বৈধ স্বাক্ষী থা‌কে।
তাছাড়া এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এবং এটা এখন আপনাদের জন্য জরুরী। কারণ এখন বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী আপনারা বেশিদিন পবিত্র থাকতে পারবেন না, তাই আপনাদের মেলামেশাটা হালাল করে নি‌তে হ‌বে।

বিদ্রঃ বিয়েতে দেনমোহর বা কাবিননামার টাকা যা ধার্য করবেন সেটা অবশ্যই দিয়ে দিবেন। তারপর আপনার স্ত্রীকে ধরার অধিকার পাবেন। অবশ্যই আপনি দেয়ার চেষ্টা করবেন, মাফ চাইলে হ‌বে না। কিন্তু যদি সে মন থেকে আপনাকে জানায় যে, সে টাকার দাবি ছেড়ে দিয়েছে; তাহলে কোন সমস্যা নেই। তবে আপনি স্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগে এই নিয়ত রাখবেন না যে, আমি গিয়ে মাফ চেয়ে নিব বা এখন টাকা দেয়া লাগবে না বা স্ত্রী টাকার দা‌বি কর‌বে না।

এছাড়াও বিয়ে আপনাকে কাউকে না কাউকে জানিয়ে করতেই হবে। যাদেরকে ইসলামের ভাষায় স্বাক্ষী বলে। যদি স্বাক্ষী রেখে বিয়ে করেন তাহলে ঠিক আছে।
খুবই শতর্ক থাকতে হবে, যখন আপনারা শত চেষ্টা করেও একে অন্যের হতে পারছেন না তখন। উপরন্তু যে কোন কার‌নেই হোক আপনা‌দের অনত্র বিবাহ খুব কাছাকা‌ছি এ‌সে গে‌ছে। এমতাবস্থায় বিবাহ বি‌চ্ছেদ বা তালাকের ব্যবস্থা কর‌তে হবে। কারন, তা নাহলে সে আপনার স্ত্রী হিসেবেই পরিগণিত হবে। আর অন্যত্র য‌দি বিবাহ হয়, ত‌বে তালাকের ৪ মাস ১০ দিন পর সে অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে। যদি এরকম না করে তাহলে কঠিন গূনাহগার হবে। এমন সময় তালাক বা বিবাহ বি‌চ্ছেদ হ‌লো; যখন তার বিয়ের কথা চলছে বা ৪ মাস ১০ দিনের ম‌ধ্যেই বিবাহ হ‌বে, তা কিন্তু কোন ক্র‌মেই হবে না। বরং এমন সময় তালাক দিতে হ‌বে যাতে করে ৪ মাস ১০ দিন পর অন্যত্র বিয়ে করা যায় বা হয়ে যায়।
আরেকটি বিষয় হল, মিথ্যে থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনি বিবাহিত কিনা? তখন কৌশলে উত্তর দিতে হ‌বে, মিথ্যা যেন না হয়।

* যদি গোপ‌নে বি‌য়ে করার পর আপনারা আপনাদের বিবাহ টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা না করেন, তাহলে অনেক বড় গূনাহগার হবেন। অর্থাৎ যদি আপনারা এই নিয়তে বিয়ে করেন যে, মা-বাবা রাজি না হলে বা অন্য কোন কার‌ণ ঘট‌লে আমরা নিজেদের বিয়ে ভেঙ্গে ফেলব! আপনাদের নিয়ত থাকতে হ‌বে‌যে, আপনারা এই বিয়ে করছেন এতে কোন ধোকা নেই বা শরীয়তের কারণ ছাড়া একজন আরেক জনকে সুযোগ বুঝে ছেড়ে দিবেন না। এবং আপনারা প্রাণপণে চেষ্টা করবেন আপনাদের বিবাহ টিকিয়ে রাখার জন্য।

আপনি আরো জানার জন্য কোন বিজ্ঞ আলেমের নিকট জিজ্ঞাসা করুন। তারা আরো স্পষ্ট ও বিস্তা‌রিতভা‌বে জা‌নি‌য়ে দিবেন।

*** ইসলা‌মে অমুস‌লিম‌দের বিবা‌হের বিধান জান‌তে চাই ?
* ইসলা‌মে কি অমুস‌লিম বিবাহ হালাল বা বৈধ ?
হিন্দু মে‌য়ে‌কে বিবাহ করা কি ইসলা‌মে জা‌য়েজ আ‌ছে?
এক কথায়, অমুস‌লিম‌দের বিবাহ করা ইসলা‌মে নি‌ষিদ্ধ বা নাজা‌য়েজ কাজ। ত‌বে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার তা‌কে বিবাহ করা বৈধ বা হালাল। যে কোন অমুস‌লিম নর বা নারী, মুস‌লিম হওয়ার পর তা‌কে বিবাহ করায় কোন সমস্যা নেই।

*** স্ত্রীর বোন বা ভাইয়ের মেয়ের সাথে বিবাহ কি জায়েজ ?

* স্ত্রী মারা গেলে বা স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে স্ত্রীর বোনের সাথে বা বোনের মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ। এমনিভাবে স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ। কিন্তু স্ত্রী যদি মারা না যায়, বা তালাকপ্রাপ্তা না হয় তাহলে স্ত্রীর বোনকে বা স্ত্রীর বোনের মেয়েকে, এবং স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ নয়, এটা হারাম।

*** আমি আমার বউ এর ছোট বোন অর্থাৎ আমার শ্যালিকা‌কে বিবাহ করেছি। এখন আমি তাদের দুজনকে নিয়েই ঘর করতেছি। দুজন দুই বাড়ীতে আছে। আমি জানতে চাই এভাবে কি দুজন‌কে বউ হি‌সে‌বে রাখা যা‌বে?

* আপনার প্রশ্নটির সম্পূর্ন বিস্তারীত বলেন নি! দুজন দুই বাড়িতে মানে আপনি তাদের দুজনকে দুটি ঘর বা আলাদা বা‌ড়ি করে দিয়ে দুজন‌কে আলাদা ক‌রে রাখ‌লেও বিবাহ হারাম হ‌য়ে‌ছে।
যাই হোক, ইসলামে দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম। প‌বিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাবে দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। জাহেলী যূগে এরকম বি‌য়ের প্রচলন ছিল। আপনি আরো জানার জন্যে সুরা আলে ইমরান'র বিয়ে সংক্রান্ত আয়াতগু‌লো পড়তে পারেন।
মুল কথা হল, একসাথে দুই বোনকে বিয়ে করা হারাম ও কবীরা গূনাহ। তবে একবোন মারা যাওয়ার পর আরেক বোনকে বিয়ে করা যাবে। অর্থাৎ আপনার স্ত্রী য‌দি মারা যায়! এবং তার বিবাহ‌যোগ্য কোন বোন থা‌কে, ত‌বে তখন আপ‌নি মৃত বউ‌য়ের সেই বোন‌কে বিবাহ কর‌তে পার‌বেন।

*** সৎ বো‌নকে বি‌য়ে করা কি যা‌য়েজ?
সৎ বোন‌কে বি‌য়ে করা প্রস‌ঙ্গে ইসলা‌মের বিধান কি?
* সৎ বোনের সাথে বি‌য়ের সম্পর্ক স্থাপন অনৈতিক এবং হারাম। ইসলাম সৎ বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনকে হারাম করেছে।

*** স্বামীর ভাই বা বোনের ছেলের সঙ্গে বিবাহ জায়েজ কি না ?
* স্বামী মারা গেলে বা স্বামী তালাক দিলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর ভাইয়ের সাথে বা স্বামীর ভাইয়ের ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ। এমনিভাবে স্বামীর বোনের ছেলের সাথেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ আছে। কোন সমস্যা নাই।

*** ইসলাম যা‌দের সা‌থে বিবাহ হারাম ক‌রে‌ছে?
১৪ জন মাহরেম পুরুষ বা নারীর সম্পূর্ন তালিকা জান‌তে চাই?
ইসলা‌মে কা‌দের বি‌য়ে করা নি‌ষিদ্ধ করা হ‌য়ে‌ছে?

* ইসলাম কিছু নারী পুরুষ‌দের বিবাহ করা নি‌ষিদ্ধ ক‌রে‌ছে। ইসলা‌মের দৃ‌ষ্টি‌তে যে চৌদ্দজনকে বিবাহ করা জায়েজ নয়। তারা হলেন-

"আর তোমরা ঐ সমস্ত নারীকে বিবাহ করো না, যাদেরকে তোমাদের পিতারা (বাপ-দাদা-নানা) বিবাহ করেছেন। কিন্তু যা অতীত হয়েছে, নিশ্চয় তা অত্যন্ত নির্লজ্জতা ও খুব ঘৃণার বিষয় এবং খুব নিকৃষ্ট প্রথা। তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতৃগণ এবং তোমাদের কন্যাগণ এবং তোমাদের বোনগণ এবং তোমাদের ফুপুগণ, এবং তোমাদের খালাগণ এবং ভ্রাতৃ কন্যাগণ এবং বোন কন্যাগণ এবং তোমাদের ঐ বোনগণ যারা দুধ পানের দরুন (বোন) হয়েছে, এবং তোমাদের স্ত্রীদের মাতৃগণ এবং তোমাদের স্ত্রীদের কন্যাগণ, যারা তোমাদের প্রতিপালনে রয়েছে এরূপ স্ত্রী থেকে, যাদের সাথে তোমরা শারীরিক সম্পর্ক করেছো। আর যদি তোমরা ঐ স্ত্রীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করে থাকো, তবে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। আর তোমাদের ঐ পুত্রগণের স্ত্রীগণ যারা তোমাদের ঔরসজাত। আর এটাও নিষিদ্ধ যে, দুই বোনকে একত্রে (বিবাহ ক‌রে) রাখবে। কিন্তু যা (এই হুকুমের) পূর্বে হয়েছে (তা মাফ)। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা ক্ষমাপরায়ন, অতীব করুণাময়।" (সূরা নিসা: ২২-২৩)

*** নতুন বি‌য়ের পর রোজার মা‌সে সহবাস করা যা‌বে কি না?
রমজান মা‌সে সেক্স করা যায় কি?
ইফতারের পর অর্থাৎ রোজা ভাঙ্গার পর কি স্বামী স্ত্রীর মিলন হালাল? তখন কি কোন বাধা থাকবে?

* রমজান মা‌সে সহবাস বা যৌন মিলন করা যায়। ইসলা‌মে এতে কোন রকম বাধা নেই। ত‌বে হ্যা, রোজা রাখা অবস্থায় সহবাস করা হারাম।
ইফতা‌রির পর স্বামী স্ত্রীর ম‌ধ্যে কোন সমস্যা না থাক‌লে সহবাস করায় কোন বাধা নেই।

© JounoSeba

সেক্স বাড়া‌তে নেশা কতটা কার্যকর

সহবা‌সের পূ‌র্বে অবশ্যই যে কোন প্রকার নেশা করা থে‌কে বিরত থাকা উচিত। কারণ নেশা দ্রব্য গ্রহনে মাদকতার অনুভূ‌তি প্রবল হ‌লেও সে‌ক্সের ক্ষে‌ত্রে তা উপকারী নয় বরং তা আরও স্থায়ী ক্ষ‌তির দি‌কেই অগ্রসর হয়।

যারা যৌন শক্তি বাড়াবার জন্য অল্প মাত্রায় নেশা করে থাকে। এই নেশায় যদি সম্পূর্ণ মাদকতা না এসে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ তা য‌দি সামান্য উ‌ত্তেজনা বৃ‌দ্ধি‌তে সাহায্য ক‌রে; তাহ‌লে সেই নেশা গ্রহন করা যে‌তে পা‌রে। ত‌বে বাস্তবতা হ‌লো সব ধর‌ণের নেশা জাতীয় দ্রব্য প‌রিত্যাগ করাই যু‌ক্তিযুক্ত।

আস‌লেই কি 'নেশায় যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়'?
প্রকৃতপ‌ক্ষে নেশা বা এই জাতীয় ওষু‌ধের মাধ্য‌মে যৌন ক্ষমতা বা‌ড়ে না; বা‌ড়ে সাম‌য়িক যৌন উ‌ত্তেজনা। এছাড়া নেশা গ্রহ‌নের ফ‌লে বীর্য কিছুটা শুকিয়ে গাঢ় হ‌য়ে যায়, তাই কিছুটা বেশী সময় ধরে সহবাস চলে। যা স্বাস্থ্য ও যৌনতার জন্য ক্ষ‌তিকর।

যে‌ কোন মাদক দ্রব্য বা যৌন উ‌ত্তেজক ওষুধ তৈ‌রি‌তে এ্যালকোহল, সিদ্ধি, আফিং ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যা অ‌নিয়‌ন্ত্রিত ইন্দ্রিয় শক্তি ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির ক‌রে থা‌কে। এখা‌নে নেশার পরিমাণ ব্যবহৃত হয় খুব কম এবং তা মাত্রা অনুযায়ী। তা স‌ত্ত্বেও কামনাতুর নারীরা স্বামীর এই স্বভাবে বিরক্তবোধ ক‌রে এবং আকর্ষণ ক‌মে যায়। এর ফ‌লে একসময় স্বামী স্ত্রী‌তে বিভাজন শুরু হয়। পাশাপা‌শি দুজ‌নেরই অন্য নারী বা পুরু‌ষের প্র‌তি আকর্ষণ বৃ‌দ্ধি পায় এবং পর‌কিয়ায় জ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়ে।

এ কথা সত্য যে, সেক্স বৃ‌দ্ধি বা যৌন ক্ষমতা বাড়া‌নোর জন্য আজ পর্যন্ত কোন ওষুধ বের হয়‌নি। বাজা‌রে যা পাওয়া যায়, তা হ‌লো অস্থায়ী যৌন উ‌ত্তেজনা বৃ‌দ্ধি ক‌রে। কিন্তু এর ক্ষ‌তি স্থায়ী। ত‌বে আশার কথা হ‌লো প্র‌তি‌দি‌নের খাদ্য পানীয় দ্বারা প্রাকৃ‌তিকভা‌বে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। আর খুব মন চাই‌লে ওষুধ সেবন করতে পা‌রেন।
তবুও ম‌নে রাখ‌বেন যে, ওষুধ বা নেশা কোনটাই যৌন জীব‌নের জন্য ভাল নয়।

@ সেক্স বাড়া‌তে নেশা, যৌন মিল‌নে নেশা... নেশা ক‌রে কি সেক্স বাড়া‌নো যায়? নেশা সেবন, সহবাস ও নেশা । নেশায় সেক্স বৃ‌দ্ধি...

বাসর রা‌তের আমল সমূহ

ইসলাম ধ‌র্মে বিবা‌হের মাধ্য‌মে দুই‌টি বেগানা নারী-পুরু‌ষের বসবাস ও জৈবিক চা‌হিদা পূর‌ণের বৈধতা দা‌নের বিষয়‌টি সব মুস‌লিম ভাই-বো‌নেরই জানা। স্বামী তার স্ত্রীর আর স্ত্রী তার স্বামীর জন্য আমানত। একমাত্র বিবা‌হের মাধ্য‌মেই দুই‌টি ছে‌লে-মে‌য়ে যৌনক্রিয়ার বৈধ সা‌র্টি‌ফি‌কেট পে‌য়ে যায়। তারা যা খু‌শি কর‌তে পা‌রে! ত‌বে ইসলা‌মের বি‌ধি-বিধান মে‌নেই। বাসর রাত তা‌দের প্রথম সাক্ষা‌তের বি‌শেষ একটা দিন। তাই বাসর রা‌তে শুধু যৌন চা‌হিদা মেটাবার বাসনা করা একদম অনু‌চিত।

বাসর রাতে সেক্স কর‌বেন কি না তা একমাত্র স্বামী-স্ত্রীর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। সমস্যা না থাক‌লে বাসর রা‌তে সেক্স বা সহবাস থে‌কে বিরত

সেক্সের পর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নর-নারীর অবশ্য করণীয়

দাম্পত্য জীব‌নের অপ‌রিহার্য বিষয় যৌন মিলন বা সেক্স। সেক্স ক‌র‌তে শারী‌রিক ও মান‌সিক শ‌ক্তির প্র‌য়োজন। আর এজন্য সে‌ক্সের পরে কিছু নিয়ম মে‌নে চল‌তে হয়।

সেক্স করার পর স্বামী স্ত্রী দু’জনেরই উচিত পু‌ষ্টিকর ও শ‌ক্তিদায়ক খাদ্য গ্রহন করা। এজন্য দুজ‌নেই কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি একসা‌থে ক‌রে খে‌য়ে নি‌বেন।  সেক্স করার পর যে শক্তি হ্রাস পায়; এই মিশ্রন‌টি খাবার মাধ্য‌মে তা কিছুটা পূরণ কর‌তে সাহায্য করে। মিল‌নের পর য‌দি ঘাট‌তি পূরণ জাতীয় খাবার না পাওয়া যায়, তাহ‌লে সেক্স

সেক্স বৃ‌দ্ধি করার খাবার : অবিশ্বাস্য কার্যকারীতা!

যৌন দুর্বলতা বর্তমানে একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বি‌ভিন্ন কার‌ণে আমরা আমা‌দের যৌন শ‌ক্তি হা‌রি‌য়ে ফে‌লি। যেমন: দ্রুত বীর্যপাত, যৌন উ‌ত্তেজনায় অনীহা, সেক্স করার পর দুর্বলতা, লিঙ্গ নি‌স্তেজ হ‌য়ে পড়া, ইত্যা‌দি। যৌন সমস্যার অভূতঃপূর্ব সাফ‌ল্যের ট‌নিক হি‌সে‌বে আজ‌কে এক‌টি পথ্য তৈ‌রির নিয়ম জা‌নি‌য়ে দে‌বো। যা নিয়‌মিত সেব‌নে দ্রুত বীর্যবান হ‌য়ে উঠ‌বেন এবং হারা‌নো পুরুষত্ব ফিরি‌য়ে পা‌বেন।

সেক্স-শ‌ক্তি বাড়ানোর খাবার তৈ‌রি‌তে যে উপাদান প্র‌য়োজনঃ
এক‌ কেজি প‌রিমান খেজু‌রের বিঁচি,
এক কে‌জি প‌রিমান খাঁ‌টি ঘি,
হাফ কে‌জি প‌রিমান খাঁ‌টি মধু,
আড়াই'শ গ্রাম ইসবগু‌লের ভূ‌ষি ও তোকমা, 

আড়াই'শ গ্রাম যষ্ঠী মধু,
দুই'শ গ্রাম লং।

বিদ্রঃ প‌রিমান কম বে‌শি করা যা‌বে। যেমন, ১কে‌জির স্থ‌লে ২কে‌জি অথবা, হাফ কে‌জি, হাফ কে‌জির স্থ‌লে অাড়াই'শ গ্রাম এভা‌বে উপ‌রের প‌রিমা‌নের সা‌থে মিল রে‌খে কম বে‌শি করা যা‌বে।

সেক্স বাড়ানোর খাবার তৈ‌রি কর‌বেন যেভা‌বেঃ

খেজু‌রের বিঁচি, যষ্ঠী মধু ও লং ভালভা‌বে মি‌হি ক‌রে ভে‌ঙ্গে নিন অথবা বাটুন (তোকমাও মি‌হি ক‌রে নি‌লে ভা‌লো)।
[ভাঙ্গার পূ‌র্বে শুধু খেজু‌রের বিঁ‌চিগু‌লো সামান্য পা‌নি‌তে সিদ্ধ ক‌রে নি‌তে পা‌রেন; এ‌ক্ষে‌ত্রে লক্ষ রাখ‌বেন ঝোল যে‌নো না থা‌কে]
এবা‌রে হালকা তা‌পের গরম কড়াই‌য়ে অ‌র্ধেক ঘির সা‌থে (মধু এবং ভূ‌ষি বা‌দে) সবগুলো উপাদান ঢে‌লে ভা‌লো ক‌রে নারা/মিক্সড করুন।
এভা‌বে ৫-১০ মি‌নিট নারা দেয়ার পর ঘি'য়ের বা‌কি অংশ, মধু ও ভূ‌ষিও ঢে‌লে দিন।
তারপর আরও ৫-১০ মি‌নিট সব উপাদান উত্তমরূপে মিক্সড করুন।
আপনার পছন্দ অনুযায়ী শুক‌নো বা গাঢ় হ‌য়ে গেলে না‌মি‌য়ে ফেলুন।
খাবারটা ঠান্ডা হ‌য়ে গে‌লে যত্ন ক‌রে রাখুন।

বিদ্রঃ আগু‌নের তাপ হালকা, পোড়া যা‌বে না, শুকনো বা গাঢ় হবে, পা‌নি প‌রিত্যাজ্য।

সেক্স-শ‌ক্তি বৃ‌দ্ধি কর‌তে যেভা‌বে খা‌বেনঃ

স‌র্বোচ্চ কার্যকা‌রিতা পে‌তে একটানা চ‌ল্লিশ‌ দিন দুই‌বেলা ক‌রে খে‌তে থাকুন।
এভা‌বে নব্বই দিন পর্যন্ত চা‌লি‌য়ে যান।
প্র‌তি‌দিন দুই বেলাই পা‌নি অথবা দুধ দি‌য়ে দুই বা তিন চা-চামচ ক‌রে খে‌তে থাকুন।
সকালে নাস্তার আ‌গে বা প‌রে এবং রাতের বেলা ঘুমা‌নোর ত্রিশ মি‌নিট পূ‌র্বে খে‌তে হ‌বে।
এক‌দিনও বাদ দেয়া যা‌বে না। নিয়ম মে‌নে নিয়‌মিত খে‌তে হ‌বে।

র‌তিশ‌ক্তি বাড়া‌নোর আদর্শ খাদ্য হ‌লো এ‌টি। তাই সহ‌জেই বা‌ড়ি‌তে তৈ‌রি ক‌রে ফেলুন যৌনশ‌ক্তি বৃ‌দ্ধির ওষুধ বা সর্ব‌শ্রেষ্ঠ ট‌নিক !




@ আরও এ‌সে‌ছে, যৌন শ‌ক্তি, যৌন মিলন... বে‌শি সময় সহবাস, র‌তি শ‌ক্তি, উপায় কি... সেক্স, সঙ্গম শ‌ক্তি, সেক্স উ‌ত্তেজনা বাড়া‌নো খাবার । মৈথুন শ‌ক্তি বৃ‌দ্ধি, খাদ্য, যৌনশক্তি বর্ধক খাবারের তালিকা | সেক্স পাওয়ার বা‌ড়ায় যে খাবারগু‌লো

প্রকৃত যৌন উত্তেজনা কি ? জে‌নে নিন !

যৌন উ‌ত্তেজনা সবারই আ‌ছে। হয়‌তো কারও কম আবার কারও বেশি। ত‌বে উ‌ত্তেজনা সম্প‌র্কে সবার জানা থাক‌লেও; খাঁটি উ‌ত্তেজনা সম্প‌র্কে আমরা কয়জন জা‌নি।
যৌন জীব‌নে প‌রিপূর্ণভা‌বে সফল হ‌তে খাঁ‌টি বা প্রকৃত উ‌ত্তেজনার বিকল্প নাই। প্রকৃত উত্তেজনা নর নারীর দৈ‌হিক মিলন‌কে যেমন প্রশা‌ন্তি‌তে ভ‌রে দেয়, তেমনি মান‌সিকভা‌বেও প‌রিণত ক‌রে।

কখনও য‌দি কোন নর অথবা নারীকে স্বপ্ন বা স্মৃতিতে আনা ছাড়াও হৃদয়ের অভ্যন্তর থে‌কে প্রচন্ড উত্তেজনার সৃ‌ষ্টি হয়, তখন তাকে বলা হয় প্রকৃত উত্তেজনা।

আ‌গে মানুষ প্রকৃতির উপর নির্ভর করে নিজের নির্ভূল মানসিক অবস্থা নিরূপণ করতে পার‌তো। কিন্তু বর্তমান কৃ‌ত্রিমতার যু‌গে তা প্রায় অসম্ভব।
কারণ প‌থে-ঘা‌টে, হাটে-বাজারে, স্কুল-ক‌লে‌জে অর্থাৎ এমন কোন জায়গা নেই যেখা‌নে নর-নারীর বি‌ভিন্ন উ‌ত্তেজনাকর দৃশ্য চো‌খে প‌ড়ে না। পেপার-প‌ত্রিকা, বই-পত্র, টি‌ভি ইত্যাদি‌তে উ‌ত্তেজনাকর বিজ্ঞাপন ছাড়া পণ্যই বি‌ক্রি হয় না। আর ইন্টার‌নে‌টের ব‌দৌল‌তে তা আরও বে‌শি ছ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়ে‌ছে। নর-নারীর দেহ আর যৌবনের উ‌ত্তেজনাকর দৃশ্য দে‌খে আমা‌দের সহজ ম‌নে যে উ‌ত্তেজনার সৃ‌ষ্টি হয়; তাই স‌ঠিক যৌন উ‌ত্তেজনা ব‌লে আমরা প্র‌তি‌নিয়তই ভুল ক‌রি। আর কৃ‌ত্রিম এসব উ‌ত্তেজনার প্রভা‌বে আজকাল প্রকৃত উত্তেজনা বোঝা খুবই ক‌ঠিন হ‌য়ে দাঁ‌ড়ি‌য়ে‌ছে।

উপ‌রের আ‌লোচনা থে‌কে বোঝা গে‌লো যে, আমা‌দের মা‌ঝে সাধারন যে উ‌ত্তেজনা দেখা যায় তা কৃ‌ত্রিম বা আ‌বেগী উ‌ত্তেজনা; এটা কখনই প্রকৃত উ‌ত্তেজনার স্বীকৃ‌তি পা‌বে না। কারণ, যখন আপন চিত্তবৃত্তির টা‌নে নর বা নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মনকে কিছুতেই সংযত করা সম্ভব হয় না, তখনই প্রকৃত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তাকেই প্রকৃত উত্তেজনা বলে।

প্র‌ত্যে‌কেরই জে‌নে রাখা উ‌চিত যে, প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া সহবাস করা উচিত নয়। আবার প্রকৃত উত্তেজনা জাগ্রত হ‌লে তা আটকি‌য়ে রাখাও ঠিক নয়। তাতে শারী‌রিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপা‌শি; দাম্পত্য জীব‌নেও নে‌মে আস‌তে পা‌রে ভয়ানক দু‌র্যোগ।

@ প্রকৃত উত্তেজনার সময় ছাড়া সেক্স বা মৈথুন করলে তা সেক্স বা মৈথুন হতে পারে না... প্রকৃত উত্তেজনা, সে‌ক্সের প্রকৃত উত্তেজনা, সহবা‌সের প্রকৃত উত্তেজনা, স‌ঠিক যৌন উ‌ত্তেজনা,

মুসলমান‌দের সা‌থে অমুসলিম ছে‌লে মে‌য়ে‌দের বিয়ে প্রস‌ঙ্গে কিছু কথা

ইসলাম প‌রিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার সম‌ষ্টি। এই জীবন ব্যবস্থা প‌রিচা‌লিত হয় কুরআন ও হাদীসের বি‌ধি বিধান দ্বারা। অন্যান্য সব বিষ‌য়ের ম‌তো ছে‌লে মে‌য়ে‌দের বিবা‌হেরও কিছু নিয়ম কানুন আ‌ছে। কিভা‌বে বি‌য়ে কর‌তে হয়, কা‌দের সা‌থে বি‌য়ে বৈধ, কি করা যা‌বে আর কি করা যা‌বে না এসব বিষ‌য়ে সু‌নি‌র্দিষ্ট বি‌ধি বিধান মে‌নেই বি‌য়ের পি‌ড়ি‌তে বস‌তে হয়।

ইসলাম চায় বৈবাহিক সম্পর্ক সুদৃঢ় ও স্থায়ী হোক। বিবাহ পরবর্তী

কনডম নি‌য়ে প্রচ‌লিত ক‌য়েক‌টি ভুল ধারণা

সেক্সে একটা কনডমই কি যথেষ্ট, নাকি দু’টো হলে সুরক্ষা জোরদার হয়? নির্দিষ্ট সঙ্গীর সঙ্গে সে‌ক্সে কনডমের আদৌ কি প্রয়োজন আছে, নাকি সঙ্গী বদলের ক্ষেত্রেই তা দরকার পড়ে? কনডম কি এক্সাপায়ার করে, নাকি কনডম কেনার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতে হয়? কনডম নিয়ে এমন হাজারো জিজ্ঞাসা ঘোরে ফেরে; কিন্তু সঠিক উত্তর অনেকের কাছেই থাকে না৷ যৌনতা ব্যাপারটাকে গোপন করতে গিয়ে যৌনতা সম্পর্কিত সবকিছুই গোপন রাখা হয়৷ তাই গোপন করায় ভুল ধারণা বাড়া ছাড়া আর কিছুই হয় না৷

ভুল ধারণার বশবর্তী না হয়ে কনডম সম্পর্কে নি‌ম্নের প্রশ্নগুলির উত্তর অবশ্যই জেনে রাখবেনঃ

** ব‌ড়ি বা পিল খেলে কনডমের দরকার আছে কি?

* অবশ্যই আছে৷ কনডম শুধু অবাঞ্চিত প্রেগনেন্সিই আটকায় না, যৌন রোগও প্রতিরোধ করে৷ যদি সঙ্গী বা সঙ্গীনির কোনও যৌন রোগ না থাকার ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত থাকা যায়, তবে কনডম ব্যবহার না করলেও চলে৷ সঙ্গীনির গর্ভনিরোধক পিল খাওয়া বা না-খাওয়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই৷

** কনডম সে‌ক্সের সুখানুভূতি কি কমায় ?

* এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা৷ কোনও কোনও কনডম এমনভাবে তৈরি যা অরগ্যাজম প্রলম্বিত করে৷ ফ‌লে দীর্ঘক্ষণ সে‌ক্সের সময় পাওয়া যায়। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কনডম পরা ও না-পরায় অনুভূতির কোনও হেরফের হয় না৷

** বাড়তি সুরক্ষায় কি দু’টি কনডম প্র‌য়োজন হয়?

এর কোনও মানে নেই৷ একটা কনডমেই যতখনি সুরক্ষা প্রয়োজন ততখানিই মেলে৷ তাই বাড়তি সুরক্ষা নিতে গিয়ে হিতে বিপরীত না করাই ভা‌লো। কারণ একটি কনড‌মেই স‌র্বোচ্চ সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

** দ্বিতীয়বার সে‌ক্সের ক্ষেত্রে কি কনডমের প্রয়োজন আ‌ছে ?

* অনেকের ধারণা, পরপর দু’বার সে‌ক্সের ক্ষেত্রে প্রথমবার কনডম থাকলেই হল৷ দ্বিতীয়বার তার আর কোনও প্রয়োজন নেই৷ এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং দ্বিতীয়বারই যৌনরোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি৷ প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা তো একই থাকে৷

** সেক্স শুরু ক‌রে কনডম পরে নেয়া কি য‌থেষ্ট ?

* না যথেষ্ট নয়৷ কেননা সে‌ক্সের মাঝামাঝি বা সেক্স শুরুর পর বীর্য নির্গত না হলেও প্রি-সেমিনাল ফ্লুইড নির্গত হয়৷ যা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়৷ প্রেগন্যা‌ন্সির ভয়‌তো আ‌ছেই।

** নির্দিষ্ট নারীর ক্ষেত্রে কনডমের প্রয়োজন নেই?

অনেকেই মনে করেন, যারা একাধিক সঙ্গী ব্যবহার করেন তাঁদের ক্ষেত্রেই কনডম প্রয়োজন৷ এ ধারণা ভিত্তিহীন৷ কেননা এক সঙ্গীর সঙ্গে সে‌ক্সেও যৌন রোগের সম্ভাবনা থাকতে পারে৷ মানুষ ভাল বা মন্দের সঙ্গে রোগ ছড়ানোর কোনও সম্পর্ক কিন্তু নেই৷ তাই সুরক্ষা এক সঙ্গীর ক্ষেত্রেও যে মাত্রায় নেওয়া দরকার, একাধিক সঙ্গী বলেও তাই-ই৷

** কনডমের এক্সপায়ারি ডেট আছে কি?

* কনডম কেনার পূ‌র্বে অবশ্যই তার এক্সপায়া‌রি ডেট দে‌খে নেয়া উ‌চিত। যে কোনও কোম্পানির কনডমের প্যাকেটেই এই তারিখ লেখা থাকে। একটু খেয়াল করে দেখলেই হয়।

** কনডম কিন‌তে কি প্রাপ্তবয়স্ক হ‌তে হয়?

* কনডম কেনার কোন বয়স নেই। কনডম কেনার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতে হয় না৷ যে কোনও বয়সেই তা কেনা যায়৷

অ‌তিরিক্ত লজ্জা ও গোপনীয়তার খাতিরে ভুল ধারণা জ‌ন্মে। যার ফ‌লে যৌন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন অনেকেই৷ তাই সংস্কার কাটিয়ে উ‌পরোক্ত ব্যাপারগুলো বুঝে নেওয়া জরুরি৷

@ Condom Tips . কনড‌মের স‌ঠিক ব্যবহার । কন‌ডোম ব্যবহার, কন্ডম লাগা‌নো, SexuallyTransmitted Infection, কন্ডোম সম্পর্কে ভুল ধারণা কাটিয়ে ফেলুন! ক‌ন্ডোম ব্যবহার,

স‌ঠিক রোগ নির্ণ‌য়ে স‌ঠিক চি‌কিৎসা

আপ‌নি জা‌নেন কি ?

সঠিক রোগ নির্নয়; সঠিক চিকিৎসার পূর্বশর্ত।

জ‌টিল রো‌গের চ্যা‌লে‌ঞ্জিং সমাধান, কথায় নয় কা‌জেই প্রমাণ ।।
ওষুধ য‌দি হয় নি‌র্ভেজাল, চি‌কিৎসক য‌দি হয় অ‌ভিজ্ঞ তাহ‌লেই পা‌বেন পূর্ণ আ‌রোগ্য ।।।

অসফল সেক্স কি? সেক্স অসফলের ১০টি কারণ জেনে রাখুন

অ-সফল সেক্স কি? বা আমরা সাধারণ যে সেক্স করি তা কতটা সফলকাম ! বা অ-সফল সে‌ক্সের কারণ কি কি ?

উপ‌রের প্র‌শ্নের উত্তর জানার অা‌গে সফল সেক্স কি ? তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। সেক্স বা যৌন মিলন দম্পতির অপরিহার্য বিষয়। তেমনি অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে যৌন মিলনে সফলতা বা পরিপূর্ণ তৃপ্তি।

সফল সে‌ক্সের পরিচয়

সেক্স বা যৌন মিলনে সফলতার ফলে যৌন জীবনটাই সফলতায় পরিপূর্ণ হয়ে

স‌হবা‌সের সময় স্বামী ও স্ত্রীর করণীয় বা কর্তব্য

বিবাহ বন্ধ‌নে আবদ্ধ হবার পর স্বামী ও স্ত্রী যৌন তৃষ্ণা মিটা‌নোর বৈধ সা‌র্টি‌ফি‌কেট পে‌য়ে যায়। দাম্পত্য জীব‌নে পা রে‌খে ছে‌লে মে‌য়ে দুজ‌নেই নতুন অ‌ভিজ্ঞতা লাভ ক‌রে। বি‌শেষ ক‌রে যৌন জীব‌নের ক্ষে‌ত্রে এটা আরও বে‌শি প্রভাব সৃ‌ষ্টি ক‌রে।

যৌনাকাঙ্খা পূর‌ণের অ‌ভিলা‌সে স্বামী একাই সব কর‌বে আর স্ত্রী বিছানায় দেহ লে‌লি‌য়ে পড়ে থাক‌বে ! এমনটা কোন অবস্থা‌তেই কাম্য নয়। আবার স্ত্রীও শুধুমাত্র ভোগের বস্তু নয়; তারও স্বাদ-আহ্লাদ, চাওয়া-পাওয়া, সু‌বিধা-অসু‌বিধার বিষয় থা‌কে। আর স্বামী‌কেই এসব পূরণ ক‌রে দি‌তে হয়। এসব পূরণ করা স্ত্রীর প্র‌তি স্বামীর অবশ্য

স‌ঙ্গিনী‌কে সন্তুষ্ট রাখ‌তে সহজ ক‌য়েক‌টি কাজ

আপনার স‌ঙ্গিনী‌কে আরও কা‌ছে চা‌চ্ছেন ? কোন কার‌নে কি সে অসন্তুষ্ট ? তার মন পে‌তে চান? ত‌বে সামান্য ক‌য়েক‌টি কাজ ক‌রে ফেলুন! দেখুন আপনার স‌ঙ্গিনীর মা‌ঝে প‌রিবর্তন। ফুল ও গয়না মেয়েদের ‘অলটাইম ফেভরিট’! ত‌বে এগু‌লো ছাড়াও কিন্তু পুরুষদের কিছু কাজে মে‌য়েরা সবথেকে বেশি সন্তুষ্ট হন, আজ এই প্রতিবেদনে সেই কথাই জানানো হ‌চ্ছে-

. ব্রেকফাস্ট বানিয়ে খাওয়ান :
সপ্তাহের যে কোনও একটি কাজের দিন সকালে সময় বের করে স্ত্রীর জন্য ব্রেকফাস্ট বানিয়ে দেখুন, তিনি খুশিতে উদ্বেল হয়ে উঠবেন৷

২. পার্টনারের ‘টু ডু লিস্ট’ বানান :
আপনার স্ত্রীর সামনে একগাদা কাজ! কোনটা আগে করবেন, কোন কাজটা পরে করবেন- তিনি গুলিয়ে ফেলেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে হাল ধরুন৷ চটপট তাঁকে একটি ‘টু ডু লিস্ট’ বানিয়ে দিন মোবাইলে৷ কোনটা আগে করতে হবে, কোন কাজটা কদিন পরে করলেও চলবে- বুঝতে সাহায্য করুন আপনার পার্টনারকে৷

৩. ছোটখাটো কাজে পার্টনারকে সাহায্য করুন :
বাড়ির জানালার পর্দাটা অনেকদিন ধরে নোংরা হয়ে পড়ে রয়েছে- পার্টনারকে না জানিয়ে একদিন আপনিই কেচে পরিষ্কার করে ফের জানালায় টাঙিয়ে দিন৷ আপনার স্ত্রী অফিস থেকে ফিরে এসে দেখে চমকে যাবেন, খুশিও হবেন৷ এরকম কয়েকটি ছোটখাটো কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করে দেখুন, তিনি আপনার কাজে ইমপ্রেস হবেন৷

৪. পার্টনারের কাজে উৎসাহ দিন :
ছোট হোক বা বড়, পার্টনারের কাজে উৎসাহ দিন৷ কর্মজগতে অভিজ্ঞতা অর্জনে তাঁকে সাহায্য করুন৷

৫. ভয়েস মেসেজ পাঠান :
দিনভর ব্যস্ততার মধ্যে ফোন করতে না পারলেও পার্টনারকে একটা ছোট্ট ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে দিন৷ হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে পাঠাতে আপনার কোনও বাড়তি পয়সাও খরচ হবে না৷

৬. প্লে-লিস্ট :
পার্টনারের মোবাইলে-আইপডে দুর্দান্ত গানে ঠাসা একটি প্লে-লিস্ট বানিয়ে দিন৷ এর ফলে আপনার পার্টনার যখন কোথাও যেতে যেতে গান শুনবেন, আপনার কথা তাঁর মনে পড়বেই৷

৭. ফোনকে দূরে সরান :
কোথাও একসঙ্গে খেতে গেলে বা বেড়াতে গেলে মোবাইল ফোনটিকে আপনাদের দু’জনের মধ্যে আনবেন না৷ এটা যথেষ্ট বিরক্তিকর৷

৮. সাজিয়ে তুলুন স্নানঘরকে :
বাড়ির স্নানঘরটিকে একদিন সাজিয়ে তুলুন| ব্যবহার করুন মোমবাতি, সুগন্ধী৷ এতে আপনার পার্টনার দারুন খুশি হবেন৷

৯. ছু‌টির দিন‌টি স‌ঙ্গিনীর জন্য রাখুন :
গোটা সপ্তাহ কাজের পর ছুটির দিনটিকে আপনার স্ত্রীর কাছে ‘স্পেশ্যাল’ করে তুলুন৷ তাঁকে নিয়ে লং ড্রাইভে বেড়াতে যান, নইলে সিনেমা দেখে আসুন!

@ লাইফ পাটনার, পাটনার‌কে ‘ইমপ্রেস’ করুন, সন্তুষ্ট হবেন, আপনার পার্টনার, #Appreciated, স্ত্রী, সহজ কাজ, #Partner, #প্রে‌মিকা । Small Gestures, স‌ঙ্গিনী,

মানসম্পন্ন যৌনজীবন যেভা‌বে গ‌ড়ে ওঠে

২০১৬ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দাম্পত্য জীবনের প্রথম এক বছর যৌনতায় থাকে উপচে পড়া রোমাঞ্চ। পরে ক্রমেই তা স্থিত হতে থাকে। এ গবেষণাপত্রটি 'আর্কাইভস অব সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার'-এর।
দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন যারা, তারাই জানেন যৌনতা কতটুকু উপভোগ্য হয়। ত‌বে প্রথম দিকে এ বিষয়টি দারুণ উত্তেজনাকর থাকলেও ক্রমেই তার অধঃপতন ঘটে।

যাই ঘটুন না কেন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে যুক্তরা সেক্স বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। তারা জীবনের বহু সময় যৌনতার নানা রূপ ও বৈশিষ্ট্য দেখেছেন। তাদের কাছ থেকে নেওয়া যেতে পারে বেশ কিছু টিপস। এগুলো দিয়েছেন 'ওম্যান অন ফায়ার: ৯ এলিমেন্টস টু ওয়ে আপ ইওর ইরোটিক এনার্জি, পারসোনাল পাওয়ার, অ্যান্ড সেক্সুয়াল ইন্টেলিজেন্স' বইয়ের লেখক ও বিশেষজ্ঞ অ্যামি জো গডার্ড।

১. সময় সম্পর্ককে গভীর করে :
এক সময় সারাক্ষণ হাতে হাত না রাখতে পারলে ভালো লাগে না। কিন্তু এ অবস্থা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তার মানে এই নয় যে, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসলে নতুন এক স্তরে প্রবেশ করছেন। সত্যিকার ভালোবাসায় আবদ্ধ দম্পতিরা আরো গভীরভাবে একে অপরকে  উপলব্ধি করতে থাকেন। গডার্ডের মতে, সময়ের সঙ্গে তারা আরো বেশি অন্তরঙ্গতায় জড়িত পড়তে থাকেন। সম্পর্কে যোগ হয় আরো বেশি আবেগ।

২. আন্তরিক ও সহজাত সেক্সই গুণগতমানসম্পন্ন সেক্স :
দুজন একসঙ্গে বহুদিন থাকলে একে অপরের খুঁটিনাটি অভ্যাস বা অদ্ভুত আচরণ সম্পর্কে সজাগ থাকেন। সেই সঙ্গে যৌনজীবনের নানা বৈচিত্র্য অভিজ্ঞতায় যোগ হয়। অনেক নেতিবাচক অবস্থার পরও দুজন যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। সম্পর্কের শুরুর দিকে শঙ্কা কাজ করে। কিন্তু ক্রমেই তা স্বাভাবিক হয়ে আসে। আন্তরিক ও শঙ্কাবিহীন যৌনতাই সবচেয়ে উপভোগ্য।

৩. কল্পনাগুলো শেয়ার করুন :
যার সঙ্গে অনেক দিনের দাম্পত্য সম্পর্ক বিরাজ করছে, সেখানে কেবলমাত্র নেতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে এখানে নতুন কিছুরও যোগ ঘটতে পারে। যখন এ বিষয়ে কল্পনা বা অবাস্তবিক ইচ্ছা ভর করে, তখন একে অপরের কাছে সৎ থাকাই ভালো। এগুলো আসলে শেয়ারিংয়ের জন্যে। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্যে নয়। দুজনই মনে মনে বিশেষ কোনো চিন্তা নিয়ে উত্তেজিত থাকতে পারেন। এ কথা অপরের সঙ্গে শেয়ার করুন।

৪. চর্চাতেই দক্ষতা আসে :
সেক্স এমন এক কাজ যাতে দক্ষতা আসা প্রয়োজন। এর জন্যে চর্চার বিকল্প নেই। যৌনতার নানা বিষয় জানতে ও বুঝতে সময়ের প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে জড়িতরাই একে পুরোপুরি বুঝতে পারেন। নতুনদের কাছে তার অনেক রহস্যই উন্মোচিত হয় না। ধীরে ধীরে তা হতে থাকে। চর্চা চলতে থাকে, বাড়ে দক্ষতা।

৫. মনের কথা বিনিময় করুন :
দুজনের আন্তঃযোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। কেবলমাত্র আলোচনার অভাবে যৌনজীবনটা ভেস্তে যেতে পারে। গডার্ডের বহু দিনের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়িতদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তাদের যৌনজীবনটাও বহু আলোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। ফলে তা দিনে দিনে আরো পরিপক্ক হয়ে ওঠে। তারা একে অপরের বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হয়ে ওঠেন।

৬. মানসমম্পন্ন সেক্স বেডরুমকেও ছাড়িয়ে যায় :
গডার্ডের মতে, গুণগত মানসম্পন্ন সেক্স কেবল বেডরুমেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তার মানে এই নয় যে, যেখানে সেখানে সেক্স করতে বলা হচ্ছে। আসলে এটা মানসিক বিষয়। গভীর যৌন প্রাণশক্তির মাধ্যমে এটি উপভোগ্য হয়। এ ক্ষেত্রে মানুষ আরো বেশি শক্তিমান হয়ে ওঠে। তারা আরো বেশি যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। তারা আরো বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এটাই মানসম্পন্ন সেক্স।

৭. নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে :
নতুনদের ক্ষেত্রে এটি নতুন একটি কাজ। যেখান মিশে রয়েছে আশঙ্কা, উত্তেজনা, রোমাঞ্চ ইত্যাদি। এসব অনুভূতির তুলনা নেই। গোটা জীবনই সেক্স জীবনের সঙ্গে মিশে থাকবে। কাজেই এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে। নতুন জিজ্ঞাসা নিয়ে অস্বস্তি থাকলে চলবে না। এটা কেবল গতানুগতিক ধারণা নয়। এটি চিরসহস্যময় এক জিনিস। একে উন্মোচিত করতে থাকুন। মনে জিজ্ঞাসা রাখুন এবং জানার চেষ্টা করুন।

@ যেভাবে সেক্স #মানসম্পন্ন সেক্স । দম্পতিদের মিলন #যৌনজীবন । ভা‌লো সেক্স, টিকসই মিলন বা সেক্স