গর্ভাবস্থায় বে‌শি ব‌মি: করণীয়

গর্ভাবস্থায়, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে খাবারে অরুচি হওয়া এবং বমি ভাব হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। কখনো কখনো বমি হয়েও যায়। গর্ভধারণের পর থেকেই মেয়েদের শরীরে শুরু হয়ে যায় নানা রকম হরমোনের ওঠানামা।
বিটা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডট্রপিন এমনই একটি হরমোন, যার মাত্রা গর্ভাবস্থায় অনেকগুণ বেড়ে যায়। সংক্ষেপে একে বলে বিটা এইচসিজি। এই বিটা এইচসিজির প্রভাবে খাওয়ায় অরুচি, মাথা ঘোরা, বমির ভাব হয়। সমস্যা যদি এ পর্যায়েই থাকে, তবে সেটা খুব গুরুতর নয়। একে বলে মর্নিং সিকনেস। তবে বমি এর বেশি হলে বিপদ।
গর্ভাবস্থায় যদি বমির মাত্রা বেশি হয়, অর্থাৎ দিনে দুই থেকে তিনবার বা আরো বেশি বমি হয়, শরীরের ওজন ৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, এই বমির প্রবণতা যদি ২০ সপ্তাহের পরও থেকে যায়, তবে তাকে বলে হাইপার এমেসিস গ্র্যাভিডেরাম।

ঝুঁকির কারণ
বেশ কিছুর কারণে হাইপার এমেসিস গ্র্যাভিডেরামের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যেমন : জোড়া বাচ্চা হলে, মায়ের ওজন বেশি হলে, পাকস্থলীতে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকলে, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে এই প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

লক্ষণ
বমি, মাথা ঘোরা, ওজন কমে যাওয়া ছাড়াও এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন : মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ক্লান্তি, অজ্ঞান ভাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, হতাশা, দুশ্চিন্তা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, জন্ডিস, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।

পরীক্ষা
• প্রস্রাব পরীক্ষা করে প্রস্রাবে কিটোনবডি দেখা
• রক্তে লবণের মাত্রা পরীক্ষা
• লিভার এনজাইম ও বিলিরুবিন পরীক্ষা
• থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা
• প্রস্রাবের কালচার পরীক্ষা
• রক্তের রুটিন পরীক্ষা
• পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি

চিকিৎসা
সাধারণ বমি বা বমি ভাব হলে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে রোগীকে মেক্লিজিন বা অনডেনসেন্ট্রোন জাতীয় বমির ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এগুলোও গর্ভাবস্থায় নিরাপদ। আদা খেতে পারেন। আদা এ জাতীয় সমস্যায় একটি ঘরোয়া সমাধান বলে বহুল ব্যবহৃত। তবে আরো কিছু ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরাপথে স্যালাইন, ইনজেকশনের মাধ্যমে বমি নিরোধক ওষুধ দিতে হবে। সাধারণ বমি নিরোধক ওষুধ কাজ না হলে স্টেরয়েড দিতে হয়। কোনোভাবে বমি ঠেকানো না গেলে কোনো কোনো সময় মায়ের জীবন বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেলতে হয়।

ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল
রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

যৌন শক্তি বাড়ে যেসব খাবারে!

দৈহিক শক্তি বাড়াতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ওষুধি কৌশল এবং মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সেকেলে হয়ে পড়েছে। আজকাল এই শক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিকভাবেই দৈহিক শক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়।

তাই বিবাহিত জীবনে যৌন মিলনে ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর দৈহিক সম্পর্ক।     অথচ প্রায়ই দেখা যায়, দৈহিক দুর্বলতার কারণে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি।   

আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনো প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে দৈহিক (যৌন) দুর্বলতায় ভুগবেন না।

১. ডিম:
দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে ও উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।

২. দুধ:
যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।  
৩. মধু:
দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন। 
৪. রসুন:
দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। 
৫. কফি:
কফি আপনার মিলনের ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার মিলনের মুড কার্যকর রাখে। 
৬. জয়ফল:
গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব। 
৭. চকলেট:
ভালোবাসা ও মিলনের সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো মিলনের উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে। 
৮. কলা:
কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না। 
৯. ভিটামিন সি জাতীয় ফল:
দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।    
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি। অনেকে মিলনের উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন। 
১০. গরুর মাংস:
গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি মিলনকে আরও আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

স্তন ঢিলে এবং ঝুঁলে যাওয়া সমস্যার সমাধান

সু‌ঢৌল স্তন সবারই আকা‌ঙ্খিত। কিন্তু সবার মা‌ঝে তা থা‌কে না। মে‌য়ে‌দের বু‌কের স্তন ঝুঁলে যাওয়া সমস্যা নানা কারনে হতে পারে; যেমন– অতিরিক্ত ওজন, বয়স, গর্ভধারন, বি‌ভিন্ন রোগ। সন্তা‌নের মা হ‌য়ে থাক‌লে অবশ্যই সন্তান‌কে নিয়‌মিত বু‌কের দুধ খাওয়া‌তে হ‌বে। এ‌তে ক‌রে স্তন সুগ‌ঠিত ও প‌রিপা‌টি থা‌কে।
বি‌ভিন্ন উপা‌য় বা পদ্ধ‌তি অবলম্ব‌নে স্তনের শিথিলতা থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়।
ধাপ ০১:
অবশ্যই স‌ঠিক মা‌পের ও কাপ‌ড়ের ব্রা প‌রিধান কর‌তে হ‌বে। এমন ব্রা পড়ুন যা আপনার স্তনকে সম্পুর্ন সাপোর্ট দেয়। লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ব্রা অবশ্যই আপনার সাথে সাবলীলভাবে চলতে পারে– অর্থাৎ চলার সময় আপনার ব্রা লেইস যেন কাঁধ থেকে খসে না পড়ে অথবা বন্ধনি অতিরিক্ত টাইট কিংবা অতিরিক্ত লুজ না হয়। যখন ব্রা সাইজ নেবার জন্য মাপতে যাবেন– অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার পুরাতন ব্রা পরনে থাকতে হবে এবং সে অবস্থায় স্তনের ঠিক নিচে মাপ নিচ্ছেন।
ধাপ ০২:
ব্রেষ্ট লিপ্ট সার্জারী তথা স্তন উন্নতকরণ অস্ত্রোপ্রচারের মাধ্যমে ঝুঁলে যাওয়া স্তনকে উন্নত করা যায়। সাধারণত ব্রেষ্ট লিপ্ট সার্জারীর জন্য লোকাল এনেস্থেসিয়া করে অস্ত্রপ্রচার করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ত্বক ফেলে দেয়া হয় এবং অনেকের ক্ষেত্রে নিপল বা স্তন বোঁটা এবং areola এর স্থান পরিবর্তন করা হয়। আপনি যদি সন্তানকে স্তনদান করছেন অথবা গর্ভধারণ করেছেন, সেই অবস্থায় অস্ত্রপ্রচার করা উচিৎ হবে না।
ধাপ ০৩:
নিয়মিত সঠিক ব্যয়াম করলে আপনার পিকটোরিয়াল পেশী সুগঠিত থাকবে, যা আপনার স্তন সুঢৌল থাকার ঐচ্ছ্যিক সমর্থন জোগাবে। ফলমূল এবং তাজা সব্জির সমন্বয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার, কম চর্বিযুক্ত খাবার এবং আঁইশ যুক্ত খাবার আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে যা স্তনের সুন্দর গঠনে ভুমিকা রাখবে। পক্ষান্তরে শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা (টান টান ভাব) কমে যায়– যা স্তনের ঢিলে ভাব প্রকট করে।
ধাপ ০৪:
আপনি যদি ধুমপায়ী (প্রত্যক্ষ/ পরোক্ষ) হন তাহলে তা আজই বর্জন করুন। কারণ তামাকের নিকোটিন সরাসরি বার্ধক্যকে প্রভাবিত করে এবং চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে যা শরীরের অন্য অংশের মত স্তনের চামড়াকেও ঢিলে করে দেয় – ফলশ্রুতি, স্তনর ঝুলে পড়বে।

চি‌কিৎসাঃ
এলোপ্যা‌থিক চি‌কিৎসার পাশাপা‌শি স্তনের আকৃতি বড় করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও উপকা‌রি। এছাড়াও বি‌ভিন্ন ক্রিম, লোশন বেশ কার্যকরী। বিশ্ব স্বীকৃত হো‌মিও ন্যাচারাল স্তন সুগঠন ফর্মূলা। যাদের স্তনের সাইজ ছোট ও বেশী ঝুলানো, তারা সঠিক ভাবে টানা 2-3 মাস নিয়মিত গ্রহন ও ব্যবহার করলে তাদের স্তনের সাইজ যথেষ্ট সুগঠন করা সম্ভব। পদ্ধতিটি সম্পূর্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। তবে হ্যা শুধুমাত্র যাদের স্তন ছোট অথবা পূর্বের চাইতে যাদের সাইজ ছোট হয়ে গেছে অথবা সাইজে বেশী বড় ঝুলানো তারা চি‌কিৎসা নিতে পারেন।

@চিকিৎসা বিজ্ঞান, টিপস, নারী স্বাস্থ্য,
বুক, ব্রা, লাইফ, সকল বিষয়, সেক্স,
স্তন, দুধ, স্বাস্থ্য টিপস #উপায় , #‌ছোট স্তন, বড় স্তন
দুধ ঢিলে হয়ে যাওয়া, দুধ ঝুলে যাওয়া কিভাবে কমা‌নো যায় ?

গর্ভধার‌ণ বিষ‌য়ে গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তা‌রি পরামর্শ

গর্ভাবস্থা শুরুর কত দিন আগে ডাক্তা‌রি পরামর্শ নিতে হবে, বা গর্ভধার‌ণের আ‌গে ও প‌রে করণীয় কি? এসব বিষয়ে এনটিভিতে কথা বলেছেন ডা. সায়লা পারভীন। বর্তমানে তিনি মহাখালী ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

গর্ভধারণের কত দিন আগে পরামর্শ জরুরি?

একটি সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন, তেমনি গর্ভধারণের আগেও পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রশ্ন : প্রি-প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং (গর্ভ-পূর্ববর্তী পরামর্শ) বলতে কী বোঝানো হচ্ছে?
উত্তর : গর্ভধারণের অন্তত তিন মাস আগে সে চিকিৎসকের কাছে আসবে। তাকে আমরা কিছু উপদেশ দেবো, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। তার কোনো অসুখ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে এনে তাকে গর্ভধারণ করতে বলব। কতগুলো টিকাও আমরা এর মধ্য দিয়ে দেবো, যেমন—টিটিনাসের টিকা, এমএমআর ভ্যাকসিন।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থার কত দিন আগে থেকে পরামর্শ জরুরি?
উত্তর : অন্তত তিন মাস আগে। ছয় মাস বা এক বছর আগে হলে আরো ভালো হয়। টিকা দেওয়ার বিষয় থাকে। ওজন যদি বেশি থাকে, সেটি সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। তার যদি কম ওজন থাকে, একে সে স্বাভাবিক করবে। তার যদি ডায়াবেটিস থাকে, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, কিডনির রোগ থাকে, তাহলে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে গর্ভধারণ করতে পারবে।

** গর্ভধারণের আগে মায়ের মানসিক সুস্থতা জরুরি

শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হওয়ার জন্য মায়ের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতারও প্রয়োজন। আর সেটি প্রয়োজন গর্ভধারণের আগে থেকেই। এতে শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হয়। একজন সুস্থ মা সুস্থ শিশু জন্ম দিতে পারেন।

প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব আপনাদের কাছে কতখানি?
উত্তর : মা যদি বিষণ্ণতায় ভোগেন এবং তাঁর যদি অন্য কোনো মানসিক সমস্যা থাকে, তাহলে পরে বাচ্চারও সমস্যা হয়। সে জন্যই বলা হয়, গর্ভধারণের আগে শারীরিক সুস্থতার পরামর্শের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার পরামর্শ নেওয়াও প্রয়োজন। অনেক সময় মেয়েরা বিষণ্ণতায় ভোগেন, নানা ধরনের সামাজিক অস্থিরতায় ভোগেন। মানসিক চিকিৎসা এখন খুব ভালো রয়েছে। যদি তার বিষণ্ণতা থাকে, তাহলে সাইকোথেরাপি দিয়ে তাকে সুস্থ করে নিলেই ভালো হয়। এরপর গর্ভধারণ করলে শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হয়।

** গর্ভধারণের জন্য ঝুঁকিমুক্ত বয়স কত?

গর্ভধারণের জন্য সঠিক একটি বয়স রয়েছে। এর আগে বা এর পরে গর্ভধারণ করলে মা ও শিশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত থেকে যায়। তাই জেনে নিন গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়স সম্পর্কে।

প্রশ্ন : গর্ভধারণের ক্ষেত্রে প্রথমেই কোন জিনিসটিকে গুরুত্ব দিতে বলেন? বা পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি আগে দেখেন?
উত্তর : প্রথমে আমরা দেখি বয়সটা কত। ১৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে দিতে হবে। এর মধ্যেই উচিত পরিবার পূর্ণ করে ফেলা। দেখা যায়, মায়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়, বাচ্চার অস্বাভাবিকতা অনেক বেড়ে যায়। ১৮ বছরের আগে হলে মায়ের মৃত্যুহার, শিশুর মৃত্যুর হার বেশি হয়। জটিলতাও বেশি হয়। বয়স এই ক্ষেত্রে বড় একটি বিষয় হিসেবে কাজ করে।
আবার অনেকে আছে যে বাচ্চা নিতেই চায় না। বলে ক্যারিয়ার তৈরি করব। ক্যারিয়ার তৈরি করতে গিয়ে দেখা যায় তার অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। দেখা যায়, তার ডায়াবেটিস হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য বিষয় রয়েছে।
প্রশ্ন : সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত বয়স কত?
উত্তর : সবচেয়ে ঝুঁকি ছাড়া বয়স হলো ১৮ থেকে ৩০।

** গর্ভধারণের আগে পরামর্শ কেন জরুরি?

শুধু গর্ভাবস্থাতেই নয়, গর্ভধারণের আগেও পরামর্শ জরুরি। এতে মা ও শিশু উভয়েই ভালো থাকে এবং অনেক ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। তবে আমাদের দেশে এই পরামর্শ নেওয়ার হার অনেক কম, যেটা বাড়ানো প্রয়োজন।

প্রশ্ন : এখন পর্যন্ত গর্ভধারণের আগে পরামর্শের প্র্যাকটিস আমাদের দেশে খুব বেশি নেই। গর্ভধারণের আগে পরামর্শের গুরুত্ব কতখানি?
উত্তর : গর্ভধারণের আগে পরামর্শের গুরুত্ব অনেক। যদি ডায়াবেটিস থাকে, যদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে সে বাচ্চা নেয়, তাহলে বড় বড় অস্বাভাবিকতা হতে পারে। তাই আগে থেকেই পরামর্শ নিতে হবে। মায়েরও অনেক সময় রক্তপাত বেশি হতে পারে। সে সময় সংক্রমণ হতে পারে। এরপর থাইরয়েডের সমস্যা হয়, হাইপো বা হাইপোথাইরয়েডের সমস্যা হয়, এটাও নিয়ন্ত্রণ করে নিলে দেখা যায় বাচ্চার কনজেনিটাল এনোমালি হয় না। অস্বাভাবিক সন্তান জন্ম নেয় না। এগুলো নির্ণয় করে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে সন্তান জন্ম দিয়ে সুস্থ সন্তানের আশা করা যায়। আর তাই গর্ভধারণের আগে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

** গর্ভধারণের আগে যা করবেন

গর্ভধারণের আগে দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কিছু নিয়ম মানা জরুরি।
প্রশ্ন : গর্ভধারণের আগে দৈনন্দিন জীবনযাপনে কোনো পরিবর্তন আনার জন্য কোনো উপদেশ দিয়ে থাকেন কি?
উত্তর : যেমন সে যদি ঘরে বসে থাকে, আমরা বলব, একটু ব্যায়াম করেন। এতে ফিটনেস বাড়বে। নিয়মিত সে এক ঘণ্টা হাঁটবে। ওজন যদি বেশি থাকে, তাকে কমাতে হবে।
আর যদি অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) থাকে, তাহলে তাকে আয়রন সাপ্লিমেন্ট দিই। যেসব খাবারে আয়রন রয়েছে, সেগুলো খেতে বলি। এতে আরো যেগুলো তার অসুখ রয়েছে, সেগুলো তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় অসুখ নেই, তবে পরিবারে যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে জেসটেশনাল ডায়াবেটিস হওয়ার অনেক আশঙ্কা থাকে। তাদের আমরা মিষ্টি জিনিস একটু কম খেতে বলি। সে ফলমূল খাবে, শাকসবজি প্রচুর খাবে। তবে মিষ্টিটা এড়িয়ে যাবে। যেহেতু পারিবারিক ইতিহাস আছে, তার কিন্তু জেসটেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হতে পারে।
আরো কিছু কনজেনিটাল রোগ রয়েছে। যেমন হিমোফেলিয়া থাকলে মা ক্যারিয়ার থাকে। তবে সেটি অবশ্য সে রকম বোঝা যায় না। আর যদি থ্যালাসেমিয়া দুজনেই ক্যারিয়ার হয়, তাহলে তাদের আমরা বলি বাচ্চা না নিলেই ভালো হয়। কারণ, দুজনেই যদি থাকে, তাহলে দেখা যায় বাচ্চার মেজর থ্যালাসেমিয়া হবে। আর নিলেও বোনমেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার কিছু সুযোগ থাকে। এরপর আরো কিছু কিছু বোনমেরু রোগ রয়েছে, এগুলোতে আমরা বলি যে না নেওয়াই ভালো।
গর্ভধারণের আগে পরামর্শের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুহার আমরা অনেক কমিয়ে দিতে পারি। অস্বাভাবিক বাচ্চার হারও আমরা অনেক কমিয়ে দিতে পারি। পরিপূর্ণ সুস্থ থাকতে পারে। আর পোস্ট পার্টাম যে সমস্যাগুলো, সেগুলো আমরা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। এমনিতেই আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার এবং মাতৃমৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি হয়। সুতরাং এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে পরিবারের কোনো ভূমিকা রয়েছে বলে কি আপনি মনে করেন?
উত্তর : কাউন্সেলিং তো স্বামীকেও করতে হবে। তার শাশুড়ি বা অন্যান্য যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও করতে হবে। এ দেশে অনেকেরই যৌথ পরিবার থাকে, শাশুড়ি ও ননদদেরও এনে যে মায়ের যত্ন নিলে ভবিষতে তাঁদেরই একটি শিশু সুস্থ হবে, স্বাস্থ্যকর হবে। এতে মায়ের স্বাস্থ্যও ভালো হবে। মাও বাচ্চাকে সুস্থভাবে লালনপালন করতে পারবেন। স্বামীকেও কাউন্সেলিংয়ের সময় অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।

** গর্ভধারণের আগে নিয়ন্ত্রণ করুন ডায়াবেটিস

গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। না হলে গর্ভাবস্থায় কিছু ঝুঁকি হতে পারে।
প্রশ্ন : অনেক অসুখ রয়েছে, যেগুলো গর্ভকালীন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার অনেকের আগে থাকেই ডায়াবেটিস থাকে। এদের ক্ষেত্রে আপনারা কি পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
উত্তর : গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে নেবে। হিমোগ্লোবিন এওয়ানসি, ব্লাড সুগার ফাস্টিং এগুলো একদম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। ওজন বেশি থাকলে একে কমিয়ে নিয়ে এসে, বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এরপর সে গর্ভধারণ করবে। একটি ডায়েট চার্ট তাকে দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন : আপনারা কী রকম সাড়া পাচ্ছেন এ ক্ষেত্রে?
উত্তর : আমরা যদি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিই, মায়েরা অবশ্যই শোনেন। মায়েরা বিষয়টিতে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন।

#Why do advices necessary for pre - pregnancy phase ?

ব্রা ব্যবহারের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

নারীদের বেলায় ব্রা বা বক্ষবন্ধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা অনেক নারী অবহেলার চোখেই দেখেন। কিন্তু সামান্য ভুলের কারণে আপনি সাময়িক অস্বস্তি বোধ বা নানা জটিল রোগে ভুগতে পারেন! জেনে নিন, এই অন্তর্বাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে গবেষকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন-

* নারীরা সব সময় টাইট বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর।

ঢিলেঢালা হুক আছে এমন বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা উচিত। 
* বিশেষজ্ঞদের কথায়, অধিকাংশ নারীর একটা বাজে স্বভাব থাকে। যারা ব্রা বা অন্তর্বাসটি যতক্ষণ না জীর্ন হচ্ছে, ততক্ষণ সেটি ব্যবহার করেই যান। জানেন না, দীর্ঘদিন ধরে একই ব্রা ব্যবহার করলে শরীরে এর কতটা প্রভাব ফেলে!

* অনেক অন্তর্বাসে ইমিটেশন হুক থাকে, যার থেকে ঘামে বা অন্য কারণে এলার্জি বা চুলকানি হতে পারে। এমন মেটাল গোছের হুক দেওয়া ব্রা ব্যবহার না করাই ভালো।

* কেউ কেউ ভেবে থাকেন যে, হোক একটা পড়লেই হয়। কিন্তু ভুল মাপের ব্রা ব্যবহার করলে এলার্জি বা চুলকানি তো হবেই, শরীরের সঙ্গে ঘষা লেগে চামড়ার উপর রক্ত বসে যেতে পারে। এছাড়া ব্রা-এর স্ট্রাপসেরও সমস্যা থাকলে ঘাড় ও পিঠের যন্ত্রণায় ভুগতে হতে পারে।

* বক্ষবন্ধনী হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে না শুকিয়ে রোদে শুকানোই ভালো।

এতে জীবাণুও দূর হবে। আর হেয়ার ড্রাইয়ার ব্যবহার করলে এর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হবে। দীর্ঘদিন একই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে রোগজীবাণু ছড়ায়। আর এই অভ্যাসের কারণে আপনার শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ বেশি হবে।
* গবেষণয়া দেখা গেছে, কাপ সাইজ ব্রা বছরে ছয় বার পরিবর্তন করতে পারেন। আপনার শরীরের গঠন অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর্বাস দেখে নিতে পারেন। খুব বেশি আঁটসাঁট হলে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের কারণে নানারকম রোগের জন্ম হতে পারে। টাইট ব্রা ব্যবহারের ফলে নারীদের ব্রেস্ট ক্যানসারও হতে পারে!

ব্লু হোয়েল নয়! এবার সেক্স গেম "রেড হোয়েল"

মারণ অনলাইন গেম‌ ‘‌ব্লু হোয়েল’। এই গেমের আতঙ্ক কাটাতে একটি ব্রিটিশ ওয়েবসাইট এবার নতুন ধরনের গেম নিয়ে এল।

এখানেও ব্লু হোয়েলের ধাঁচে প্রতিদিন একটি করে নতুন ‘‌টাস্ক’‌ দেওয়া হবে গেমারদের। ব্রিটিশ ওয়েবসাইট গেমটির নাম দিয়েছে রেড হোয়েল।
তবে ব্লু হোয়েলের সঙ্গে এই গেমের পার্থক্য তিনটে। প্রথমত, এই গেম একা খেলা যাবে না। খেলতে হবে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে। দ্বিতীয়ত ব্লু হোয়েলের মতো ৫০ দিন নয়, রেড হোয়েল নামে এই খেলা চলবে ৩০ দিন ধরে এবং ইতিবাচক যৌনতাই এই গেমের প্রধান শর্ত। 

ওয়েবসাইটটির দাবি, মানসিক অবসাদই ব্লু হোয়েলের মতো গেমের দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করে। অবসাদ কাটানোর সেরা ওষুধ যৌনতা। তাই জীবনে যৌনতা আনলে এই অবসাদ কাটানো সম্ভব।

ব্লু হোয়েল গেমে নানারকম নৃশংস কাজ করতে হতো ৫০ দিন ধরে। ‌ রেড হোয়েল গেমে কি করতে হবে সেটার নির্দিষ্ট তালিকাও দিয়েছে ওয়েবসাইটটি। দিন অনুযায়ী তুলে ধরা হল রেড হোয়ে‌লের ৩০ দি‌নের সেই তালিকাঃ

১। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঘনিষ্ঠ হতে হবে।

২। কয়েকটি বিশেষ ভঙ্গিতে অন্তরঙ্গ হতে হবে।

৩। দিনে দুবার শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে হবে।

৪। যৌন উদ্দীপনাময় বই পড়তে হবে একসঙ্গে।

৫। গোছলের সময় যৌনতার নির্দেশ।

৬। গোসলের আগে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ম্যাসাজ‌ দিতে হবে।

৭। ১০ মিনিটের কম সময়ে যৌনতা সেরে ফেলতে হবে।

৮। গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে গাড়িতেই মিলিত হতে হবে।

৯। সোফা বা চেয়ারে বসে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে।

১০।   আগে তেল মালিশ করতে হবে।

১১। ‘‌ওরাল’‌ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

১২। সঙ্গিনীকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

১৩। সঙ্গিনীকে তার শরীর ব্যবহার করে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে সঙ্গী চরম সুখ পান।

১৪। বাড়ির মধ্যে এমন কোনও জায়গায় মিলিত হতে হবে যেখানে আগে কখনও মিলিত হননি।

১৫। নিজেকেই নিজে চরম সুখে পৌঁছে দিতে হবে।

১৬। কষ্টকর কোনও মিলনভঙ্গি পরীক্ষা করতে হবে।

১৭। ‌মিলনের সময় খেলনা ব্যবহার করতে হবে।

১৮। একসঙ্গে বসে পর্ন দেখতে হবে।

১৯। চরম ঘনিষ্ঠতা ছাড়া মিলিত হতে হবে।

২০।   ই-মেইল করে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে জানাতে হবে আপনার যৌন ইচ্ছা।

২১। ‘‌সেক্স টয়’‌ পাওয়া যায় এমন একটা দোকানে একসঙ্গে যেতে হবে।

২২। চরম ঘনিষ্ঠতা ছাড়াই সঙ্গিনীকে যৌন সুখ দিতে হবে।

২৩। একটা রাত শুধুমাত্র যৌনতা নিয়ে কথা বলতে হবে। যৌনতার বাইরে অন্য কোনও কথা বলা যাবে না।

২৪। ‘‌ডাইস’‌, ‘‌স্পিনার’‌–এর মতো যৌন উদ্দীপক খেলা খেলতে হবে।

২৫। শরীরের নীচের অঙ্গকে ব্যবহার করে ঘনিষ্ঠ হতে হবে।

২৬। পুরুষ সঙ্গীকে মিলনের সময় মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে।

২৭। নৈশভোজে গিয়ে টেবিলের তলা দিয়ে বারবার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে স্পর্শ করতে হবে।

২৮। দিনে একাধিকবার মিলিত হতে হবে।

২৯। টসের মাধ্যমে দু’‌জনের মধ্যে যে কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে। যিনি টসে হারবেন তিনি অপরজনকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, তার কাছ থেকে তিনি কী চান?‌

৩০। খেলার শেষ দিনের টাস্কও বেশ অভিনব। সেদিন জেগে থাকতে হবে সারা রাত। যতবার সম্ভব মিলিত হতে হবে। যিনি সবচেয়ে বেশিবার মিলিত হতে পারবেন, তিনিই খেলায় বিজয়ী হবেন।

#রেড-‌হো‌য়েল #red-whale