যৌনাকাঙ্খা পূরণের অভিলাসে স্বামী একাই সব করবে আর স্ত্রী বিছানায় দেহ লেলিয়ে পড়ে থাকবে ! এমনটা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। আবার স্ত্রীও শুধুমাত্র ভোগের বস্তু নয়; তারও স্বাদ-আহ্লাদ, চাওয়া-পাওয়া, সুবিধা-অসুবিধার বিষয় থাকে। আর স্বামীকেই এসব পূরণ করে দিতে হয়। এসব পূরণ করা স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অবশ্য
কর্তব্যও।যৌন জীবনকে সাফল্য মন্ডিত করে তুলতে, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যেমন কিছু কর্তব্য আছে; তেমনি স্ত্রীর প্রতিও স্বামীর একটু বিশেষ নজর দিতে হয়। স্বামীর বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে স্ত্রীর যৌন জীবনের প্রতিও যত্নবান হতে হয়। এতে দাম্পত্য জীবন স্থায়ী ও যৌন জীবন সফল হয়।
তাই আজকের আলোচনায় স্ত্রীর যৌন চাহিদায় স্বামীর করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হলোঃ
** শুধু স্বামীর কামনা পরিতৃপ্ত করাই মিলনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। স্বামীর কর্তব্য হলো, স্ত্রীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি নিশ্চিত করা।
** স্বামী স্ত্রী উভয়ই তাদের যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করবে।
** পুরুষকে একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, স্ত্রীর প্রতি কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়।
** যৌনতার বিভিন্ন দিক শেয়ার করার পাশাপাশি যৌনতার বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ উভয়ের সম্মতিতে করতে হবে। একজনও যদি কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে, তবে তা থেকে বিরত থাকাই মঙ্গলজনক।
** চুম্বন, আলিঙ্গন, সুখের নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামভাব জাগ্রত করে; তারপর তার সাথে যৌন মিলন করা প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।
** নারী ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সাথে কখনই সেক্সে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
** দম্পতিরা অবশ্যই মিলনের সময়, আগে ও পরে বিভিন্ন প্রকারের রতিক্রিয়ার মাধ্যমে; একে অপরকে বেশামাল করে দেয়ায় সচেষ্ট হতে হবে।
** নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তাই সেটা লক্ষণ দেখে বুঝে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
** নারীর কর্তব্য সর্বদা স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।
** স্বামীকে ঘৃণা করা, বিরোক্তবোধ, কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত।
** নারীর কর্তব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতুত্তোর দেওয়া।
** নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে স্বামীকে সরাসরি বলতে না পারলেও কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
** রমণী তার যৌন বিষয় অবশ্যই স্বামীর কাছে শেয়ার করবে এবং আগ বাড়িয়ে স্বামীর সাথে বিভিন্ন যৌনক্রিয়ায় অংশ নিবে।
** নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা সেভাবেই যায়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সহবাসে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না। ফলে সে পরপুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে।
** স্বামীর উচিত হবে যে, স্ত্রীর বীর্যপাত বা চরমপুলক না হওয়া পর্যন্ত পুরুষাঙ্গ স্ত্রী যোনি থেকে বের না করা।
** স্বামী ও স্ত্রী দুজনই দুজনার কামনা বাসনার প্রতি একটু বেশি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
স্বামী স্ত্রীর যৌন ক্রিয়া আশির্বাদ স্বরূপ। তাই যৌন জীবনে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে, দাম্পত্য জীবনে নানান প্রকার বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
@ নর নারীর করনীয়, শারীরিক সম্পর্ক, যৌন মিলনের সময় কি করতে হয় । সহবাসে করনীয়, রতি ক্রিয়া, পতি, ছেলে মেয়ের যৌন কর্তব্য ... নর নারীর মেলামেশা । করণীয়, পত্নী, সঙ্গমে, সেক্সের সময় করনীয়, "রতি শক্তি" । বিয়ের পর মিলন ... যৌন ক্রিয়ার উপায়, স্বামী স্ত্রীর সেক্স কর্তব্য, শারীরিক মিলন,
No comments:
Post a Comment