বেশিরভাগ পুরুষদের মধ্যেই অনেক যৌন সমস্যা থাকে যেগুলোর জন্য জীবনের কোন না কোন সময়ে তাকে পীঁড়া দেয়। বিশেষত বিবাহিত জীবনে পদার্পণের পরই এসব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এসব যৌন সমস্যার মধ্যে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা বা Erectile Dysfunction অন্যতম।
লিঙ্গ জনিত সমস্যার সমাধান সহজ ভাবেই করা সম্ভব। এর প্রধান কারণ সমূহ শারীরিক, মানসিক ও জীবন যাত্রার মানের উপর নির্ভরশীল। তাই একটু সচেতনতা আর প্রাথমিক পর্যায়ের যত্নই এই সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা কী?
যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে বা যৌন ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও পুরুষাঙ্গ যদি উত্তেজিত বা খাঁড়া না হয়ে স্বাভাবিক আকারেই থাকে, তবে সেটাকে লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। পুরুষের Erectile Dysfunction ( ED ) বা লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যাকে ধ্বজভঙ্গ, Sexual Impotence বা যৌন মিলনে অক্ষমতা এবং Male Erectile Disorder বা পুরুষাঙ্গের উত্থান জনিত রোগ বা ব্যাধি নামে বহুল পরিচিত।
Erectile Dysfunction সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে হয়ে থাকে। অন্য সময়ে যখন ED দেখা দিবে তখন এটাকে রোগ বা সমস্যা হিসেবে ধরে নিতে হবে। কখনও কখনও আবার হটাৎ দেখা দিলে তা নিয়ে মাথা না ঘামানোই উচিত হবে। তবে এ সমস্যা স্থায়ীভাবে দেখা দিলে বুঝতে হবে এটি যৌন রোগের লক্ষণ এবং দ্রত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে তা যৌন জীবনকে বিষাদের কালো ছায়ায় ঢেকে দিতে যাচ্ছে। তাই কালবিলম্ব না করে লিঙ্গোত্থানের সমস্যা দেখা দেবার সাথে সাথেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সরণাপন্ন হতে হবে।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যার কারণ কী কী?
পুরুষের যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্ক, হরমোন, রক্তবাহী নালী, স্নায়ু, মাংসপেশী, আবেগ ও অনুভূতি সব একসাথে কাজ করে। এগুলোর মধ্যে যে কোন একটিতে যদি ব্যাঘাত ঘটে; তাহলে লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও শারীরিক, মানসিক, হস্তমৈথুন, অত্যাধিক যৌন মিলন, রোগ, দূর্ঘটনা, দুশ্চিন্তা, প্রভৃতির জন্য এই সমস্যা প্রকট হতে পারে।
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন-
ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মেদ, হৃদরোগ;
রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া;
রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া;
একই সাথে কয়েকটি লক্ষণ (উচ্চ রক্তচাপ, ইনসুলিন ও কোলেস্টরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং কোমরের কাছে মেদ জমা) দেখা দেওয়া;
পারকিনসন, পেরোনাইজ রোগ;
টেসটোস্টেরনের পরিমাণ কমে যাওয়া;
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া;
তামাক, মদ্যপান ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার;
প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে, ফুলে গেলে বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা করানোর ফলে;
ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মেদ, হৃদরোগ;
রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া;
রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া;
একই সাথে কয়েকটি লক্ষণ (উচ্চ রক্তচাপ, ইনসুলিন ও কোলেস্টরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং কোমরের কাছে মেদ জমা) দেখা দেওয়া;
পারকিনসন, পেরোনাইজ রোগ;
টেসটোস্টেরনের পরিমাণ কমে যাওয়া;
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া;
তামাক, মদ্যপান ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার;
প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে, ফুলে গেলে বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা করানোর ফলে;
কোনো অপারেশন বা আঘাতের জন্য পেলভিক ও স্পাইনাল কর্ডের কোনো ক্ষতি হলে।
বিভিন্ন মানসিক সমস্যার কারণে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন-
যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে মস্তিষ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হতাশা, দুশ্চিন্তাসহ অন্যান্য মানসিক অশান্তি থাকলে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং অবসাদ বেড়ে যায়, যা যৌন জীবনে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে;
মানসিক চাপ;
সুম্পর্কের অভাব বা সম্পর্কে টানাপোড়েন;
সঙ্গীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে না পারার হতাশা;
মানসিকভাবে উৎফুল্ল না থাকলে যৌন উত্তেজনা হ্রাস পায়;
অনেক সময় যৌনতা বা সেক্স বিষয়ে মানুষ উদাসীন হয়ে পড়ে। সে সময় যদি লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা দেখা দেয়; তবে সেই ব্যক্তি আরও বেশি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
প্রথম বার সেক্স বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার সময় কোন কারণে ভয়ভীতি বা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলেও লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
সুম্পর্কের অভাব বা সম্পর্কে টানাপোড়েন;
সঙ্গীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে না পারার হতাশা;
মানসিকভাবে উৎফুল্ল না থাকলে যৌন উত্তেজনা হ্রাস পায়;
অনেক সময় যৌনতা বা সেক্স বিষয়ে মানুষ উদাসীন হয়ে পড়ে। সে সময় যদি লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা দেখা দেয়; তবে সেই ব্যক্তি আরও বেশি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
প্রথম বার সেক্স বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার সময় কোন কারণে ভয়ভীতি বা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলেও লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
কিছু কিছু বিষয় আছে যা এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বহুগুন।
বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে লিঙ্গোত্থান ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকে। বয়সের সাথে সাথে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ও ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও লিঙ্গোত্থানের সমস্যাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
পুরুষ লিঙ্গের উত্থান ক্ষমতা যেসকল স্নায়ু বা নার্ভের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেগুলো কোনো আঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলে;
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ যেমন- Antidepressants, Antihistamines এবং উচ্চ রক্তচাপ, ব্যাথা ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য যে সকল ঔষধ দেওয়া হয় তা ব্যবহারের কারণে;
মদ্যপান ও মাদক সেবনে এ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
দীর্ঘদিন সাইকেল চালানোর জন্য স্নায়ু সংকুচিত হয়ে যায় এবং লিঙ্গে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। যার ফলে কিছু সময়ের জন্য লিঙ্গের উত্থান ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যার সমাধানের জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেখে অনেকেই ওষুধ সেবন করে। যা অস্থায়ীভাবে সেক্স বৃদ্ধি বা লিঙ্গকে দৃঢ় করে তুললেও; পরবর্তীতে সেই সমস্যা স্থায়ীভাবে প্রকট আকার ধারণ করে। এই ধরণের ঔষধের তাৎক্ষণিক ও সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল মাথাব্যথা, রক্তচাপ হ্রাস, মাথা ঝিমঝিম করা, চোখে মুখে লাল ভাব, হজমের সমস্যা, নাক বন্ধ হয়ে যায়, কারও কারও দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে এক সময় লিভারের ক্ষতি এবং যৌন ক্ষমতা নি:শেষ হয়ে যায়। এসব ঔষধের প্রভাবে পুরুষদের যৌন জীবন ও স্বাস্থ্য স্থায়ীভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। আগে লিঙ্গোত্থান জনিত রোগের একটিই চিকিৎসা ছিল আর তা হল, অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গের মধ্যে প্রোসথেটিক ডিভাইস স্থাপন করা। তবে এখন ওষুধের সাহায্যেও এ রোগের চিকিৎসা করা যায়। যদি ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা না হয় তখনই অপারেশন করা হয়। অভিজ্ঞ ও রেজিস্টার্ড চিকিৎসকই নির্ধারণ করবে ওষুধ না সার্জারি প্রয়োজন।
লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য কিছু নির্দেশনাঃ
নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম করতে হবে;
ধূমপান, মদ্যপান, তামাক এড়িয়ে চলতে হবে;
প্রচুর পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে;
ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে;
হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, ভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে;
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, রাতে ৭-৮ ঘন্টা;
তরমুজ, বেদানা বা ডালিমের জুস খুবই উপকারী;
কাছের মানুষের সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম করতে হবে;
ধূমপান, মদ্যপান, তামাক এড়িয়ে চলতে হবে;
প্রচুর পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে;
ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে;
হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, ভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে;
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, রাতে ৭-৮ ঘন্টা;
তরমুজ, বেদানা বা ডালিমের জুস খুবই উপকারী;
কাছের মানুষের সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন।
পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য ঠিক থাকার পিছনে মানসিক অবস্থার প্রভাব উল্লেখযোগ্য। শতকরা ৯০% মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, বিষয়টি চেপে যান এবং লজ্জায় সঙ্গীর সাথে আলোচনা করেন না। জ্বর হলে আপনি যেমন ডাক্তারের কাছে যান, সঙ্গীর সেবা শুশ্রূষা নেন, তেমনি এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রেও আপনাকে কথা বলতে হবে; আপনার সঙ্গীর সাথেই কথা বলতে হবে।
লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা খুব-ই সাধারণ। ভয়, হীনমন্যতা, লজ্জা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে এসব সমস্যা লুকিয়ে রেখে হতাশায় জীবন যাপন করেন অগণিত পুরুষ। আবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াকেও অযাচিত মনে করেন অনেকে। মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে সমস্ত ভয়কে জয় করুন। উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া নিয়ম কানুন মেনে এবং শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সহজেই লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। হতাশা ঝেড়ে ফেলে চেষ্টা চালিয়ে যান; সফলতা ধরা দেবেই, দেবে।
লিঙ্গোত্থান জনিত বাক্য; #লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা কি? @ছেলেদের লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যার সমাধান | পুরুষাঙ্গের উত্থান ক্ষমতা , ঔষধের সাহায্যে এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব | পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে যা জানা জরুরী। পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য | লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা | যৌন মিলনে অক্ষমতা | ছেলেদের লিঙ্গোত্থানে সমস্যা | পুরুষাঙ্গের উত্থান জনিত ব্যাধি ও রোগ, লিংগ খারা হয়না কেন ? #লিঙ্গ খারা না হওয়ার সমস্যার সমাধান | পেনিস খাঁড়া না হওয়া সমস্যা | পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য, লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যার কারণ কী? কোন কোন বিষয়গুলো এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? লিংগো খারা করার উপায়, লিঙ্গোত্থান জনিত রোগের ক্ষেত্রে সার্জারি করা কতটা প্রয়োজনীয়? @পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য | ছেলেদের পেনিসের সমস্যা ও সমাধান , লিঙ্গ দাড়ায় না,
আমি তো অনেক বারহস্তমৈথুন করেছি, এখন সেক্স করতে পারি বেশ সময় ধরেই, সমস্যা হলো আগা মোটা গোড়া চিকন, আগের মত আর খারা হয় না,এর কি কোন সমাধান আছে
ReplyDelete