স্তন ব্যথার কারণ

নারী‌দের স্তন স্পর্শকাতর এক‌টি অঙ্গ। সব বয়সে নারীদের স্তন ব্যথার সমস্যা হতে পারে। তা হতে পারে ‘মেনোপজ’ শুরুর আগে ও পরে। এ সমস্যায় কাল‌ক্ষেপণ না ক‌রে ডাক্তা‌রের পরামর্শ গ্রহন করাই শ্রেয়। বিভিন্ন কারণে স্তন ব্যথা হয়। স্তন ব্যথার কিছু কারণঃ

১. স্তনের সিস্ট
স্তনের সিস্ট একধরনের নরম তরলসমৃদ্ধ থলি। সিস্ট সব আকারের হতে পরে। এতে অনেক সময় ব্যথা হয়, আবার অনেক সময় ব্যথা নাও হতে পারে। ঋতুস্রাবের চক্রের সময় সিস্ট বড় হয় এবং মেনোপজের সময় সাধারণত কমে যায়।
২. ওষুধ
কিছু ওষুধ সেবনের কারণেও স্তনে ব্যথা হতে পারে। যেমন : বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধ, ওরাল হরমোনাল কনট্রাসেপটি, মেনোপজের পর এস্ট্রোজেন ও প্রোজেসটেরনের ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, এনাড্রল ইত্যাদি ওষুধের কারণে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হয়।
৩. স্তনে অস্ত্রোপচার
অস্ত্রোপচার এবং স্কার টিস্যু তৈরির সময় অনেক ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা হয়ে থাকে।
৪. কসটোকনড্রাইটিস
এটি একধরনের আরথ্রাইটিস। এতে পাঁজর ও স্তনের হাড়ের সংযুক্তস্থলে ব্যথা হয়। তবে এই সমস্যা স্তনের সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে এত ব্যথা হয় যে মনে হয় স্তনে ব্যথা হচ্ছে। সাধারণত প্রবীণ নারী এবং যাঁরা সঠিক অঙ্গবিন্যাসে থাকেন না, তাঁদের এই ব্যথা হয়।
৫. ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট চেইঞ্জ
যেসব নারী প্রিমেনোপোজাল (মেনোপজের আগে) অবস্থায় থাকেন এবং যাঁরা মেনোপজের পরে হরমোনের চিকিৎসা নেন, তাঁদের স্তনে অনেক সময় ফোলাভাব হতে পারে, লাম্প হতে পারে। এই অবস্থাকে ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট চেইঞ্জ বলে। তবে এটি তেমন ক্ষতিকর নয়।
৬. অন্তর্বাস
সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হতে পারে। খুব আঁটসাঁট অথবা খুব ঢিলেঢালা অন্তর্বাস কোনোটাই স্তনের জন্য ভালো নয়। তাই সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
৭. স্তন ক্যানসার
অধিকাংশ স্তন ক্যানসারে ব্যথা হয় না। তবে প্রদাহকারী স্তন ক্যানসার ও স্তনের টিউমার একধরনের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। স্তনে লাম্প, ব্যথা, বোঁটা থেকে রক্তপাত, লাল ভাব ইত্যাদি দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৮. বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন যেসব মা
অনেক সময় যেসব মা বুকের দুধ খাওয়ান, তাঁদের ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা হতে পারে। অনেকক্ষণ শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ালে বা দুধ জমাট হয়ে থাকলে এ সমস্যা হতে পারে।

সে‌ক্সের আগে যে প্রশ্নগুলি জিজ্ঞেস করা জরু‌রি

ম‌নের এত আলোর মধ্যেও কোথাও অন্ধকার বাসা বেঁধে থাকে৷ আর তাই কিছু কিছু প্রশ্ন প্র‌তি‌নিয়তই এড়িয়ে যাই আমরা৷ তাতে হয়তো গোড়াতেই খারাপ কিছু হয় না৷ যৌনতার আনন্দে প্রাথমিকভাবে সব ধুয়ে মুছে যায়৷ কিন্তু সত্যিই সব শেষ হয়ে যায় না৷ কেননা যেহেতু দুটো শরীর এর মধ্যে জড়িয়ে আছে, তাই কিছু জিনিস থেকেই যায়৷ যা পরবর্তীকালে মারাত্মক আকার নিতে পারে৷ তাই সে‌ক্সে রত হওয়ার আগে কিছু প্রশ্ন করে ফেলাই উত্তম৷

কবে এসটিডি টেস্ট করিয়েছে সঙ্গী?

এসটিডি হল সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ৷ সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গমে রত হওয়ার আগে অবশ্যই জিজ্ঞেস করুন এই পরীক্ষা তিনি করিয়েছেন কিনা৷ যদি করিয়ে থাকেন, এবং পরীক্ষায় যদি পজিটিভ ফলাফল আসে তাহলে অন্তত আপনি সতর্ক হয়ে যেতে পারবেন৷ প্রটেকশন নেওয়া বা সঙ্গম না করা আপনার পছন্দের বিষয় হয়ে উঠবে৷ কিংবা ফলাফল না হলে তো কোনও সমস্যাই নেই৷ সেক্ষেত্রে অনেক খোলা মনে যৌনতা উপভোগ করতে পারবেন৷ কিন্তু এই প্রশ্ন না করা মানে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়াও হতে পারে৷

কন্ডোম ব্যবহারে নারাজ কিনা?

সঙ্গী এর আগে অন্য কারও সঙ্গে সঙ্গমে রত হতে পারেন৷ কিংবা এসটিডি-র পরীক্ষা তিনি নাও করিয়ে থাকতে পারেন৷ কিন্তু কন্ডোমের সাহায্যে অনেকটাই যৌন সংক্রমণ রুখে দেওয়া যায়৷ তাই কন্ডোম ব্যবহারে সঙ্গী রাজি কিনা, তা আগেভাগে জেনে নেওয়াই ভাল৷ উত্তর অনুযায়ী সঙ্গমের সিদ্ধান্ত নেওয়া অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়৷

কী ধরনের যৌনতা পছন্দ করেন?

যৌনতার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের পছন্দ আলাদা হয়৷ তাই দুজনের মনের মিল হওয়া মানেই কিন্তু যৌনতার পছন্দ এক হবে এরকমটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ দুজনের পছন্দের হেরফের হওয়ায় যৌনতার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়৷  পর্ন দেখার অভ্যাস আছে কিনা, বিডিএসম পছন্দ করেন কিনা ইত্যাদি তথ্যগুলো জেনে নেওয়ার অর্থ, সঙ্গীর যৌনতার ধারণা আপনার কাছে অনেক স্বচ্ছ হয়ে যাওয়া৷ এতে জটিলতা বাড়ে না, বরং কমে৷ তাই কিছু প্রশ্ন অপ্রিয় হলেও আগেভাগে করে নেওয়াই ভাল৷

সে‌ক্সের প্র‌তি অনীহা বাড়ছেই

সকল মানুষেরই যৌন চা‌হিদা রয়েছে। তাই বলে সব মানুষই যে যৌনতায় প্রলুব্ধ হন, তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকের নানা কারণে অনীহাও রয়েছে। যেমন সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে একজনের যৌনতায় অনীহা। এই হার ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসের গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌনতায় যাঁদের আগ্রহ বেশি, তাঁদের জীবনের প্রত্যাশা, জীবনমান ও আত্মসম্মানবোধ অনেক বেশি হয়। অন্যদিকে যৌনতায় অনাগ্রহের সঙ্গে বিষণ্নতা, পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ও মানসিক চাপকে দায়ী করেছেন গবেষকেরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যৌন বিশেষজ্ঞ আলফ্রেড কিনসে ৭০ বছর আগে এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ শতাংশেরই যৌনতায় বিশেষ আগ্রহ নেই।

ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসের ২০১৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে যৌনতায় অনাগ্রহ বেশি। মানুষের যৌনতার আগ্রহ নিয়ে সাধারণভাবে যে ধারণা করা হয়, তারা ওই ধারণার অনেক নিচে।

ন্যাশনাল সার্ভে অব সেক্সুয়াল অ্যাটিচুডস অ্যান্ড লাইফস্টাইলসের ২০১৫ সালের আরেক গবেষণায় বলা হয়, গত কয়েক মাসে প্রাপ্তবয়স্ক ৫১ শতাংশ মানুষ যৌনতায় একদম অংশ নেননি। দ্রুত এ ক্ষেত্রে তাঁদের আগ্রহ কমে গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনতায় মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শারীরিক সমস্যার কারণেই সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকলেও অধিকাংশ মানুষ যৌনতা থেকে দূরে থাকতে চান। এ ছাড়া হৃদ্‌রোগ, শরীরে জটিল ব্যথা, বিপাক-সংক্রান্ত সমস্যা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, যৌনতার ক্ষেত্রে নির্যাতন ও স্বল্প ঘুমের কারণেই যৌনতায় অনীহা বেড়ে চলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যাঁদের হৃদ্‌রোগ আছে, তাঁরা ভাবেন যৌনতার সময় হুট করে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের ভয়ে ভোগেন তাঁরা। আর এ কারণেই যৌনতা থেকে দূরে থাকাই তাঁরা শ্রেয় মনে করেন। এ ছাড়া যাঁরা বিষণ্নতা রোধের নিয়মিত ওষুধ খান, ওই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় তাঁদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়।

নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতায় অনীহা হারে ভিন্নতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের চেয়ে নারীদের যৌনতায় অনাগ্রহ সবচেয়ে বেশি। যৌনতা এড়িয়ে চলা নারীদের হার ৪০ শতাংশেরও বেশি। আর এই বিভাজন তাঁদের কৈশোর বয়স থেকেই শুরু হয়েছে।

যৌনতায় অনীহার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের আলাদা হারের প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনতার সময় ব্যথা পাওয়া নারীদের সাধারণ সমস্যা। এই ব্যথা পাওয়ার ভয় থেকেই অনেক নারী যৌনতা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া যৌন নির্যাতনের ভয়, কোনো কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া ও কৈশোরে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের স্মৃতিও নারীদের যৌন অনীহার কারণ। আবার ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কায় অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী যৌনতা এড়িয়ে চলেন।

আর পুরুষদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, একদম নিজস্ব কারণেই পুরুষদের যৌনতায় আগ্রহ কমছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে যৌন অক্ষমতা, স্বাস্থ্যগত জটিল সমস্যা ও সুযোগের অভাব। একাকিত্বে ভোগা নারী ও পুরুষেরা একসময় যৌন হতাশায় ভোগেন। আর যাঁদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী চলে যান, তাঁরা একসময় পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হন। যার পরবর্তী সময়ে নেতিবাচক প্রভাব যৌন আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌনতায় আগ্রহ না থাকার পেছনে বয়স একটা কারণ। অনেক বয়স্ক ব্যক্তির ধারণা, তাঁরা এতটাই বুড়ো হয়ে গেছেন যে তাঁদের জন্য আর যৌনতা নয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এই ধারণা এক না-ও হতে পারে।

গবেষকেরা বলছেন, যদি আপনি এমনিতেই সুখী হয়ে থাকেন, তাহলে যৌনতায় অনাগ্রহ বড় কোনো সমস্যা নয়। তবে গত বছর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে যৌনজীবন নিয়ে মাত্র ৬৪ শতাংশ মানুষ সুখী। এই সমাজে মানুষ যৌনতায় অনাগ্রহ নিয়ে তেমন একটা কথা বলেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এ ক্ষেত্রে কথা বলতেই হবে। আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য ও যৌনজীবন নিয়ে সচেতন হতে চান, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।’

হস্তমৈথুনের ক্ষ‌তি (ছেলে বা মে‌য়ে)

হস্তমৈথুন বা স্বমেহন; ইং‌রে‌জি‌তে যা‌কে বলা হয় Masturbation, বর্তমান আধু‌নিক যু‌গের একটি বড় সমস্যা। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম এবং কবীরা গুনাহ। শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংঘনকারী। হস্তমৈথুনের কারণে ছে‌লে-‌মে‌য়ে‌দের দুই ধরনের সমস্যা হয়ে থা‌কে। যথা-

১। মানসিক সমস্যা এবং

২। শারীরিক সমস্যা।

এখানে ছে‌লে ও মে‌য়ে‌দের কি কি শারীরিক সমস্যা হয় বা হ‌তে পা‌রে তা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

১. ছে‌লেরা হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে অন্যতম একটি হল নপুংসকতা। অর্থাৎ ব্যক্তি যৌনমিল‌নে অক্ষম হয়ে যায়।

২. আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত; ইং‌রে‌জি‌তে যা Premature Ejaculation। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পা‌রে না। এ‌তে বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।

৩. বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম (২ কোটি)। যার ফলে Male infertility দেখা দেয়। অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা দেখা দেয়। একজন ব‌লিষ্ঠ পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয় না।

৪. অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের পে‌নিস বা যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।

শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতিসাধন হয়–
১) Nervous system, Heart, Digestive System, Urinary System এবং আরো অন্যান্য System ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুরো শরীর দুর্বল এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়।

২) চোখের ক্ষতি হয়।

৩) স্মরণ শক্তি কমে যায়।

৪) Leakage of Semen। অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়।

৫) মাথা ব্যথাসহ আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে।

কোন মে‌য়ে যখন হস্তমৈথুন করে তখন তার Hymen (fold of mucous membrane partly closing the Vagina in a virgin) break হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অর্থাৎ তার কুমারীত্ব (Virginity) হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকে এটা করতে গিয়ে কুমারীত্ব হারিয়ে ফেলে। ফলে তার বিয়ে করতে সমস্যা হয়। বিয়ের পর স্বামী তার এ অবস্থা দেখে তাকে সন্দেহ করে তালাক দেয়। ‌যো‌নি‌তে জ্বালা‌পোড়া, চুলকা‌নি, ইন‌ফেকশ‌নের সম্ভাবনাও বে‌ড়ে যায়। এছাড়াও নারীদের যো‌নির যে স্বাভা‌বিক সুগঠন, তার বিকৃ‌তি ঘ‌টে। তাই হস্তমৈথুন মে‌য়েদের অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করে।

২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করা একটি জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ও ৭১% নারী তাদের জীবনের যে কোন সময়ে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছে।
২০০৯ সালে নেদারল্যান্ড অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সাথে যুক্তরাজ্যেও বয়সন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের হস্তমৈথুন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়। হস্তমৈথুন একটি ভাল অভ্যাস বলে তারা প্রচার করছে। কারণ হল ব্যবসা।

হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণোগ্রাফির খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কাগজের সাথে কলমের যে রকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণোগ্রাফিরও সেরকমই সম্পর্ক। পর্ণোগ্রাফির ব্যবসা হল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। পশ্চিমারা যদি হস্তমৈথুনের অপকারিতা মানুষের কাছে তুলে ধরে তাহলে তাদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসার লোকসান হবে। কারণ তখন হস্তমৈথুনের হার কমে যাবে। পর্ন ভি‌ডিও, ম্যাগাজিন, Sex Toy, Sex Doll, ইত্যা‌দির বিক্রিতে ধ্বস নামবে। এজন্য তারা হস্তমৈথুনের কোন অপকারিতা নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা সমকামিতা বৈধ করেছে। সমকামিতার মত হস্তমৈথুনের অপকারিতাকেও তারা এড়িয়ে চলছে।

প্রিয় ভাই-বোনেরা, হস্তমৈথুন নামের এই যৌন বিকৃতি থেকে দূরে থাকুন। মহান আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করুন। আপনার বন্ধু-বান্ধবীদের এই ব্যাপারে সচেতন করুন। এই ব্যাপারে আলোচনা করুন। এই সামাজিক সমস্যা দূর করার চেষ্টা করুন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন– “যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব।"

মে‌য়েরা যেসব স্থা‌নে স্পর্শ আশা ক‌রে

স্ত্রীকে চরম সুখ দিতে পারে আপনার আলতো হাতের ছোঁয়া৷ অজান্তেই হয়তো অনেকবার দৈহিক মিলনের সময় স্ত্রীর সেই জায়গাগুলোতে স্পর্শ করেছেন৷ মধুর থেকে মধুরতর হয়েছে আপনাদের যৌনতা৷ আপনার হাতের জাদুতেই স্ত্রীর যৌন আকাঙ্খা তীব্রতর হ‌বে অথবা আরো অনেক রাত যৌনসু‌খের পূর্ণতা পেতে পারে। জেনে নিন মিলনের সময় নারী ঠিক কোন কোন অংশে ছোঁয়া চায় বা তা‌দের যৌনকামনা বৃ‌দ্ধির উপায়ঃ

ঠোঁট
ঠোঁট একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থান৷ সে‌ক্সের সময় আপনার ভালবাসার মানুষটির ঠোঁট ছুঁলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন৷ আরও দীর্ঘ করে তোলে মিলন৷ অর্গ্যাজম অনুভব করেন নারীরা৷

ঘাড়
মিলনের সময় স্ত্রীর ঘাড়ে চুমু খান৷ তিনি সেক্সের খিদেয় উন্মাদ হয়ে উঠবেন৷ আপনাকে কামড়ে ধরবেন. বাড়বে মিলনের আনন্দ৷

স্তন
মিলনে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে স্তনের৷ নারীরা মুখে না বলতে পারলেও স্তনে স্বামীর হাতের ছোঁয়া পেতে উৎসুক হয়ে থাকেন৷ আর সঠিক মুহূর্তে সেই চাহিদা পূরণ হলেই কেল্লাফতে৷ আপনার প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যাবে রতিসুখ৷

উরু
উরুতে স্পর্শ করুন৷ তারপর একবার সঙ্গীর মুখের দিকে তাকান৷ তফাৎটা চোখে পড়তে বাধ্য৷ একবার স্পর্শ করলে সঙ্গী আরও দু-তিনবার আপনার ছোঁয়া চাইবেন৷ হাঁটুর ওপর থেকে ধীরে ধীরে আলতো হাতে ওপরের দিকে স্পর্শ করুন৷ যৌনমিলনের ইচ্ছা জাগিয়ে তোলার এর চেয়ে সহজ উপায় আর কীই বা হতে পারে৷

যৌনশক্তি বাড়ানোর ক‌য়েক‌টি উপায়

সেক্স পাওয়ার বা যৌনশক্তি হলো মানুষের সেক্স ড্রাইভ৷ পুরুষ কিংবা নারী, উভয়েই যৌন আগ্রহ ও আনন্দ উপভোগ করার পদ্ধতি জানতে আগ্রহী৷ পুরুষের যৌনক্ষমতা শক্তি যদি কম থাকে, তবে তা কিন্তু তার পুরুষত্বহীনতার পরিচয়৷ এর প্রভাব তার সঙ্গিনীর যৌনজীবনেও পড়তে পারে৷ আর এমনটা হলে সম্পর্কের চিড় ধরতেও বেশি সময় লাগবে না৷ বিশেষজ্ঞদের মতে পুরুষের যৌনশ‌ক্তি বাড়ানোর সাতটি পদ্ধতিঃ

১. যদি আপনি একটি রোমান্টিক সন্ধো কাটাতে চান, তবে কফি ও চকলেট কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে৷ কারণ, এই দু’টি খাবারে রয়েছে কামোদ্দীপক উপাদান৷ চকলেট, কফি মেজাজ ভালো রাখে, এন্ডরফিন ক্ষরণে সাহায্য করে, শক্তি প্রদান করে এবং শারীরিক দীর্ঘস্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে৷

২. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় ফিটনেস৷ এটি পুরুষের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনীয়৷ এতে শুধু আপনি সুস্থ থাকবেন তা নয়, শরীরে ফ্যাট টেস্টোটেরন উৎপাদনে বাধা দেয়৷ এছাড়াও পুরুষের পেটের চর্বি টেস্টোস্টেরণকে শোষণ করে নেয়৷

৩. নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই অ্যারোবিক এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ৷ এটি শরীরের যৌন অঙ্গে রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে৷

৪. বিশেষ কিছু খাবার পুরুষের কামশক্তি বাড়াতে সক্ষম যেমন টমেটো, ব্রকোলি, ডালিমের রস ইত্যাদি৷ অন্যদিকে জাঙ্কফুড, বেকড খাবার ও দুধ জাতীয় খাবার কামশক্তিকে মেরে ফেলে৷

৫. আপনার সঙ্গীর যদি যৌন ইচ্ছে হারিয়ে যেতে থাকে, তবে নিজেকে শান্ত রাখুন৷ তাকে বুঝতে সময় নিন এবং নিজের মনের কথা তাকে বুঝিয়ে বলুন৷ এছাড়াও এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷

৬. যৌন চাহিদা বাড়াতে ম্যাসাজ এক উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি৷ মানসিক চাপ, বা দুশ্চিন্তার কারণে আবসাদগ্রস্থ হলে আপনি আপনার সঙ্গীকে ম্যাসাজ দিতেই পারেন৷ তবে, ম্যাসাজ দেয়ার সময় ঘরের আলো কম করে দিন৷ এটি যৌন চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে৷

৭. রেড ওয়াইন সেক্স ড্রাইভকে উত্তেজিত করতে ভীষণ পরিমাণে সাহায্য করে৷ রেড ওয়াইন রক্তপ্রবাহকে বাড়াতে সাহায্য করে৷ ফলে, কাম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।

পি‌রিয়ডের আ‌গে-প‌রে সেক্স ও প্রেগন্যা‌ন্সি

অ‌নে‌কেই বি‌য়ের পর ক‌য়েক বছ‌রে সন্তান চাননা। এজন্য সতর্কতারও কম‌তি হয় না। ত‌বে পিরিয়ডের সময়টা যৌন‌মিল‌নের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ ভেবেই য‌তো বিপ‌ত্তি! কিন্তু ক‌য়েক মাস অপেক্ষা করেও পিরিয়ড না হওয়ায় ফলাফল প্রেগন্যান্ট।

যৌন জীবনে আমাদের সাহায্য করতে কন্ডোম, বার্থ কন্ট্রোল পিলের মতো বহু সুবিধা থাকলেও সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ডেটা জানাচ্ছে, ভারতের ৪৯ শতাংশ প্রেগন্যান্সিই এখনও অপরিকল্পিত। মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার জন্যই এমনটা হয়ে থাকে।

সাধারণ ভাবে আমরা ধরে নেই যে, মেনস্ট্রুয়েশন সাইকেল চলাকালীন প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পিরিয়ডের সময় জরায়ুর লাইনিং ভেঙে যাওয়ার কারণে রক্তপাত হয়। তাই আমরা ধরে নিই ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু এখনও নিঃসৃত হয়নি।

চিকিৎসকরা কিন্তু বলেন, এই সময়ও ডিম্বাণু সক্রিয় থাকতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময়ে ইন্টারকোর্সের ক্ষেত্রে খুব সামান্য হলেও ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

কনসিভ করার চেষ্টা করছেন? যদি কনসিভ করার চেষ্টা করেন তা হলে জেনে রাখা ভাল, পিরিয়ডের আশেপাশের দিনগুলোতে ফার্টিলাইজেশনের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে না। এই সময় ডিম্বাণু অত বেশি সক্রিয় থাকে না। যদি প্রেগন্যান্সি এড়িয়ে চলতে চান এ ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময়টা নিরাপদ হলেও সামান্য ঝুঁকি থেকেই যায়।

যে ভুলগুলো হতে পারেঃ
অনেক ক্ষেত্রে ওভিউলেশনের সময় হালকা রক্তপাত হয়ে থাকে। একে মিড-সাইকেল বা ওভিউলেটরি ব্লিডিং বলে। অনেক সময়ই যা পিরিয়ড বলে ভুল করে থাকি আমরা। এ ক্ষেত্রে কিন্তু পিরিয়ড হচ্ছে তাই আপনি নিরাপদ ভেবে সহবাস করলেই বিপদে পড়বেন। এই সময়টা সাইকেলের সবচেয়ে উর্বর সময়।

কীভাবে দিন সম্পর্কে নিশ্চিত হবেনঃ
মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল সাধারণ ভাবে ২১-৩৫ দিনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ওভিউলেশনের আগের সময়টা ১৩-২০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত ওভিউলেশনের ১৪-১৬ দিনের মধ্যে পিরিয়ড হয়।

তাপমাত্রাঃ
ওভিউলেশনের তিন দিন আগে থেকে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে যায়। পিরিয়ডের পর আস্তে আস্তে কমে যায়। এই তাপমাত্রার পরিবর্তন এতটাই সূক্ষ্ম হয়ে যে শুধুমাত্র বিশেষ থার্মোমিটারেই তা ধরা পড়ে। ০.৪-০.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বাড়ে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা যখন সবচেয়ে বেড়ে যায় তার ২-৩ দিন আগে থেকে তাপমাত্রা নামতে থাকার ১২-২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

সার্ভাইকাল মিউকাসঃ
সার্ভাইকাল মিউকাস খেয়াল করলেও বুঝতে পারবেন কখন আপনার গর্ভধারণের সেরা সময়। যখন সবচেয়ে পরিষ্কার, পিচ্ছিল, ডিমের সাদা অংশের মতো হবে, বুঝতে হবে তখন আপনার শরীর সবচেয়ে উর্বর। ওভিউলেশনের ৪-১১ দিনের মধ্যে মিউকাস আবার ঘোলাটে ও চটচটে হতে শুরু করে।

পিরিয়ড ডেট চার্টঃ
যদি আপনার সাইকেল ছোট হয় তা হলে পিরিয়ডের দিন থেকে ১৮ দিন বাদ দিন। সেই দিনটাই আপনার সবচেয়ে উর্বর দিন। এই ভাবেই পরের উর্বর দিন বুঝে নিন ও ক্যালেন্ডারে মার্ক করে রাখুন।

যদি লম্বা সাইকেল হয় তা হলে একই ভাবে ১১ দিন বাদ দিন। সেই অনুযায়ী বুঝে যাবেন আপনার পরবর্তী উর্বর দিন।

যো‌নির যে সমস্যার চি‌কিৎসা করা জরু‌রি

প্রায় সব নারীরাই তা‌দের যো‌নি বা গোপনাঙ্গ ঘ‌টিত সমস্যা‌কে সর্বদাই গোপন রাখেন। যা কোনক্র‌মেই উচিত নয়। সামাজিক কারণেই আমাদের দেশের নারীরা নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন নন। আজও বহু নারী নিজের লজ্জাস্থানে কোন অসুখ হলে সেটিকে লুকিয়ে রাখেন এবং তিল তিল করে নিজেকে ঠেলে দেন বড় একটি অসুখ কিংবা মৃত্যুর দিকে!

ঠিক তেমনই একটি অসুখ হচ্ছে গোপনাঙ্গে ইনফেকশন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী বুঝতেও পারেন না যে তিনি এই রোগটির শিকার। লজ্জা নয়, সচেতনতা জরুরী। চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই মে‌য়ে‌দের সেই অসুখটির কথা যেটা আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও চিকিৎসা করানো খুবই জরুরী!

আপনার যোনির চারপাশে কি প্রায়ই চুলকায়? অস্বস্তি হয়, আশেপাশের চামড়া লাল হয়ে যায়? গোপন স্থানটি থেকে দুর্গন্ধ আসে, অস্বস্তিকর সাদা স্রাব হয় বা প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া করে? এই সবই হতে পারে Vaginitis (ভ্যাজাই‌নি‌তিস) এর লক্ষণ।

ভয় পাবেন না, এই রোগটি পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন নারীর হয়ে থাকে প্রতিবছর। তবে হ্যাঁ, এর উপযুক্ত চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরী।

Vaginitis এর লক্ষণ

অনেক নারীর ক্ষেত্রেই তেমন কোন লক্ষণ দেখা যায় না বা অনেকের আবার মৃদু লক্ষণ থাকে। নিয়মিত গাইনি ডাক্তার দিয়ে চেকাপ করালে এই অসুখটি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হচ্ছে-

* গোপন অঙ্গে দুর্গন্ধ হওয়া বা দুর্গন্ধ যুক্ত সাদা স্রাব হওয়া
* প্রস্রাবের জন্য জ্বালা পোড়া করা ও ব্যথা হওয়া
* যোনির চারপাশে চুলকানি ও অস্বস্তি
* অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত
* যৌন মিলনের সময় অস্বস্তি
* যোনির চারপাশের ত্বকে লাল র‍্যাশ হওয়া বা চামড়া লাল হয়ে যাওয়া

এই লক্ষণগুলোর যে কোনটি দেখা গেলেই দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। অন্যান্য লক্ষণ দেখা না গেলেও দুর্গন্ধ, চুলকানি খুবই সাধারন সমস্যা। তাই এই সমস্যা গুলো নিজের মাঝে দেখলে লজ্জা না করে ডাক্তারের কাছে যান।

Vaginitis হতে দূরে থাকুন

প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ জরুরী। Vaginitis হতে দূরে থাকতে প্রত্যেক নারী‌কে যা করতে হ‌বে, সেগুলো হচ্ছে-

* পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন। Vaginitis হতে নিরাপরদ থাকতে এটি অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন যোনি ও এর আশেপাশের এলাকা হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
* কোনভা‌বেই সাবান ব্যবহার কর‌বেন না।
* আপনার ত্বকে অস্বস্তি হয় এমন যে কোন পণ্য ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
* এক অন্তর্বাস বেশিক্ষণ ব্যবহার করবেন না।
* স্পর্শ কাতর এই অঙ্গ পরিষ্কারের জন্য বিশেষ ধরনের সাবান জাতীয় পণ্য পাওয়া যায়, সম্ভব হলে সেগুলো ব্যবহার করুন।