অাল্লাহ্ তায়ালা একমাত্র নারী জাতিকে বিশেষ আকর্ষণীয়তায় সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময় আল্লাহ রমণীগনকে শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদনের জন্য সৃষ্টি করেননি। তাদের মনোহরিণী চেহারা, সন্তান লালন-পালনের ক্ষমতা প্রভৃতির সাথে সুন্দর একটা মায়াবতী মনও দিয়েছেন। যে মন দাম্পত্য জীবনের অপরিহার্য যৌন মিলনকেও ছুঁয়ে যায়। পুরুষ যেমন করে নারীকে চায়, তেমনি নারীও চায় তার সঙ্গী যেন তাকে পূর্ণতা দেয়, যৌন তৃপ্তি মেটায়।
যৌন জীবনে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের অসুখী হওয়ার হার অনেক বেশি। রমণীরা সম্পূর্ণ মুখে প্রকাশ না করলেও মনের মধ্যে ক্ষোভ নিয়ে জীবন যাপন করেন, স্বামীকে মুখ ফুটে
ভুল ধারণা এবং অজ্ঞতা যৌন জীবনকে অসুখী করে তোলে।
নারীর এসব সমস্যার সাথে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষার অভাবও লক্ষণীয়। যৌন মিলন যে কেবল সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম নয় বরং নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য প্রশান্তি ও আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু আজও প্রচুর নারী এই যৌনতা সম্পর্কে খুবই উদাসীন আবার অজ্ঞতা সম্পন্ন। দাম্পত্য জীবনে যৌন মিলনে কী করতে হবে, কীভাবে দাম্পত্য জীবনকে আরও আনন্দময় করে তোলা যাবে, কিভাবে যৌন জীবনকে সুখী করা যায়; এসব বিভিন্ন জ্ঞান নেই বলে তারা অসুখী ও অতৃপ্তই থেকে যায়। তাই রমণীদের এসব বিভিন্ন সমস্যা ও তার থেকে পরিত্রানের কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
যদিও স্ত্রীর চাইতে স্বামীর যৌন জ্ঞান রাখা বেশি গুরুত্ববহন করে তথাপি যৌন জীবনকে সুখী ও প্রশান্তিময় করে গড়ে তুলতে স্ত্রীর পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞান রাখাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্ত্রীর শরীর কোন ডাকে ও কীভাবে সাড়া দিচ্ছে। কোন অঙ্গগুলো যৌনতার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর কিংবা নিজের শরীরের চাহিদাগুলো কী কী ইত্যাদি বিষয় বুঝতে না পারাও যৌন জীবনে অসুখী হবার প্রধান কারণ। তাই এসব বুঝতে হবে এবং সেভাবে কার্যক্রম চালাতে হবে।
নিজের যৌন চাহিদা সম্পর্কে জানেন, কিন্তু বলতে পারছেন না, নিজের ভালো লাগা, না লাগার ব্যাপার বুঝতে পারছেন কিন্তু স্বামীকে বলতে পারছেন না। আপনি যে যৌন জীবনে সুখী নন এটাও আপনার সঙ্গীকে মুখ ফুটে বলতে পারছেন না ! এই বলতে না পারার সমস্যাকে না বলুন, ধীরে ধীরে বলার চেষ্টা করুন।
রমণীদের যৌনতার কথা, যৌনতার বিষয় কিংবা যৌন চাহিদা প্রদর্শন করার বিষয়টি খুবই লজ্জার ভেবে অনেকেই তা বলা থেকে বিরত থাকে। এটা না করে লজ্জা ও সংকোচ ভুলে যেতে হবে, তবেই পরিপূর্ণ যৌনসুখ পাওয়া যাবে।
স্বামীরা বেশিরভাগ সময়েই নিজের স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে উদাসীন থাকে। নিজের যৌন ক্ষুধা পূরণ হয়ে গেলে তারা স্ত্রীদের যৌন চাহিদার কথা ভুলে যায়। এতে নারীরা যৌন তৃপ্তি পায় না। কিন্তু পুরুষদের ভাবা উচিত যে, স্ত্রীর শরীরটা একদিনের নয়, পুরুষের যৌন ক্ষুধা থাকলে, স্ত্রীরো আছে। তাই স্বামীকে এটা বুঝতে হবে আর স্ত্রীও স্বামীকে ভালো সময়ে বোঝাবে।
বিভিন্ন প্রকার যৌন সমস্যায় স্ত্রীরা নির্লিপ্ত থাকে, যা যৌন জীবনে মারাত্বক অসুবিধার সৃষ্টি করে। যৌনতায় আগ্রহ নেই বা যৌনতাকে ঘিরে কোনো শারীরিক, মানুষিক সমস্যা হচ্ছে; এমন অবস্থায় স্বামীকে সব বলতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
এমনও স্ত্রী আছে যে তারা যে কোনভাবে যৌনতা সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে জীবন যাপন করে। তাদের মাঝে যৌনতা বিষয়ে ভীতি কাজ করে, ফলে তা দাম্পত্য জীবনে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। তাই যেকোন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী খোলামেলা অালাপ করে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। যৌনতা দাম্পত্য জীবনকে পূর্ণতা দান করে। যেভাবে যৌনসুখ বৃদ্ধি পাবে, সেভাবেই যৌন ক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। আর দাম্পত্য জীবনের খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কেও একে অপরকে শেয়ার করার গুরুত্ব অপরিসীম।
No comments:
Post a Comment