নারীদের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোর মধ্যে যে সমস্ত রোগ দেখা যায়, তার মধ্যে স্তনের বোটা ভিতরে ঢুকে যাওয়া অন্যতম । যদিও এটি কিশোরী বয়সে হতে পারে, কিন্তু খুব বেশি হলে বা সন্তানকে দুগ্ধদানের সময় অথবা পরিণত বয়সে দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে । যে কোন রোগের মতোই এটিও প্রাথমিক অবস্থার চিকিৎসায় দ্রুত ভালো হয় ।
বয়োসন্ধিতে স্তনের পরিপূর্ণতা ও বৃদ্ধির সময় অনেক মেয়ের
স্তনের (Breast) বোটা (Nipple) স্তনের ভিতরের দিকে ঢুকে যায়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শুধু একপাশের স্তন এই ধরনের সমস্যায় পরে। এর জন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সাধারণত গর্ভধারন অথবা দুগ্ধদানের সময় নিজে নিজেই এই সমস্যা ভালো হয়ে যায়। যদি দুগ্ধদানের সময় এই সমস্যা ভালো না হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তা শিশুকে দুগ্ধদানে বাধা সৃষ্টি করে।
একধরনের মেকানিক্যাল সাকশন ডিভাইস ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে। তাতেও কাজ না হলে কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব কিন্ত এতে অনেক সময় স্তনের ডাক্ট কেটে যেতে পারে এবং তখন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
পরিণত বয়সে নতুন করে কারো স্তনের বোটা ভিতরে ঢুকে যাওয়া স্তনের অভ্যন্তরীণ জটিল কোনো সমস্যা নির্দেশ করে থাকে। ডাক্ট এক্টেশিয়া, মাসটাইটিস বা টিউমার হলে এমনটি হতে পারে। অনেক সময় ক্যান্সার হলেও নতুন করে স্বাভাবিক স্তনের বোটা ভিতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে। তাই পরিণত বয়সে নতুন করে এই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
অন্যান্য পোষ্ট...
No comments:
Post a Comment