ইসলা‌মি নিয়মনী‌তির যৌন মিলন

যৌনতা বিষয়ক ফিকহ বা ইসলামিক যৌন আইনশাস্ত্র (Islamic sexual jurisprudence) অর্থাৎ
ইসলামিক অনুশাসন দ্বারা মানুষের যৌনাচার নিয়ন্ত্রিত। এইসব অনুশাসন বহির্ভুত সকল প্রকার যৌনাচার ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম। দাম্পত্য জীবনের যৌন চাহিদা ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত। ইসলা‌মে যৌনাচারের মূল উদ্দেশ্য বংশবৃদ্ধি এবং নারী ও পুরুষ কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে যৌনাচারের অধিকার অর্জন করে।
ইসলাম সন্ন্যাসদশা ও কৌমার্যকে নিরুৎসাহিত করে থা‌কে এবং যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোর সতীত্ব ও শালীনতাকে উৎসাহিত করে।
হাদিস থেকে বিভিন্ন আসনে যৌন মিলন করার অনুম‌তি থাক‌লেও সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। এটা খু্বই তৃপ্তিদায়ক ও উপকারী যা গর্ভধার‌ণের জন্যও প্র‌য়োজন। চি‌কিৎসা বিজ্ঞা‌নেও এটার গুরুত্ব সর্বাধিক ব‌লে প্রমা‌ণিত। প‌বিত্র আল কুরআনেও এই আসন‌কেই
উৎসা‌হিত করা হ‌য়ে‌ছে,
"যখন স্বামী -স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।"
আবার স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে থাকার আসন‌কে জঘন্য বলা হ‌য়ে‌ছে। কারণ, এতে পুংলিংঙ্গে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধযুক্ত হয়, যা কষ্টকর।
হযরত আলী (রা:) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও সৎ সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্বেশ্যও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে। "বিসমিল্লাহ" বলে সহবাস শুরু করা, ভুলে গেলে বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেয়া। মিল‌নের সময় কেবলামুখী না হওয়া।
যৌন মিল‌নে সুগ‌ন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের সুন্নত। ত‌বে দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। এতে ক‌রে কামভাব কমে গি‌য়ে বিতৃষ্ণার জন্ম হয়।

ইসলামে প্রতিটি জিনিসেই একটা নিয়ম বা অাদব আছে। তাই আমাদের স্ত্রীর সাথে মিলনের ক্ষেত্রেও ইসলামি সিস্টেম বা কায়দা আছে, যেমন:
যৌন মিলন বা সেক্স করার নিয়ম, সেক্স করার সময় বিভিন্ন বিষয়াদির প্রতি দৃষ্টি, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য, সেক্স করার সময় স্ত্রীর মতামত, স্ত্রীর চাহিদা পূরণ ইত্যাদি। এসব জানা প্র‌ত্যেক স্বামী-স্ত্রীর জন্য অাবশ্যকীয়।
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন এবং সহবাসের পূর্ব প্রস্তুতি সম্প‌র্কে জ্ঞান থাক‌তে হ‌বে। আর এজন্য বোঝার সু‌বিধা‌র্থে ক‌য়েক‌টি পর্যা‌য়ে যৌন‌ক্রিয়ার চিত্র তু‌লে ধরা হ‌লো।

যেদিন যে রাতে স্বামী-স্ত্রী উভয় সহবাসের পূর্ণ আগ্রহ অনুভব করবে এবং সেই ব্যাপারে কোনরুপ বাধাবিপত্তি থাকবেনা। সেদিন তারা সহবাসের জন্য প্রস্তুত হবে। অর্থ্যাৎ স্বামী স্ত্রী পরিস্কার পরিছন্ন ও সম্ভব হ‌লে পাতলা মিহি কাপড় পরিধান করবে। বিশেষ ক‌রে স্ত্রী একটু বেশি সাজ -সজ্জা করবে। ঐ দিন দিবারাতে উত্তম ও পুষ্টিকর খাদ্য আহার করবে এবং রাতে একটু সকাল সকাল আহার করে, শরীরে সুগন্ধি মে‌খে উভয়ে নির্জন কক্ষে শয়ন করবে।
সন্ধ্যারাত্রে বেশি না জে‌গে তাড়াতাড়ি নিদ্রা ও মধ্য রাতের পর উভয়ে নিদ্রা ত্যাগ করবে। অত:পর অজু করে উভয়ে সামান্য লবঙ্গ এবং এলাচ চিবাবে এবং উভয়ে অত্যন্ত ঘ‌নিষ্ঠভাবে শায়িত হয়ে; প্রথমে উভয়ের অধরে, কপালে, ললাটে ও চো‌খে চুমু খাবে। স্বামী তার হাতদ্বারা স্ত্রীর দুই স্তন মোলায়েমভাবে মর্দন করবে। পরস্পরের হাত দ্বারা উভয়ের লিঙ্গ\‌যো‌নি আলতোভাবে ম্যাসাজ করবে।
যৌন মিলন বা সঙ্গ‌মের অা‌গে এসব যৌন ক্রিয়া করা বাধ্যতামূলক। এটা স্বামী এবং বি‌শেষ ক‌রে স্ত্রীর জন্য খুবই তৃ‌প্তিদায়ক।
এ সম্প‌র্কে আল্লামা আল-মুনাবি (রহ.) বলেন:
“সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করা সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ এবং এর অন্যথা করা মাকরূহ।” (ফাইজ আল-ক্বাদির, ৫/১১৫, দ্রষ্টব্য: হাদিস নং ৬৫৩৬)
এইভাবে কিছু সময় যৌন‌ক্রিয়া বা শৃঙ্গার উপাচারেরপর উভয়ে যখন প্রবল উত্তেজনা অনুভব করবে, তখন তারা সহবা‌সের জন্য তৈরি হবে। স্বামী উঠে বস‌বে এবং স্ত্রীকে চিৎভাবে শয়ন করে তার দুই জানু একটু ফাক করে হাটুদ্বয় খাড়া করে রাখবে। তারপর স্বামী নিজে স্ত্রীর দুই হাটুর সম্মুখে নিজের পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে বসবে। আর যদি স্ত্রী দুই পা বিছি‌য়ে রাখে তাহ‌লে স্বামী দুই রানের দুই পাশে নিজের দুইপা রে‌খে ঝুকে পরে নিজের দুই কুনুর উপর দেহের ভর রাখবে। এরপর দুজন দুজন‌কে জ‌ড়ি‌য়ে ধ‌রে যৌন মিলনের অাকাঙ্খা পূরণ কর‌বে। একেবারে উলঙ্গ হওয়া চল‌বে না।
 
স্বামীর বীর্যপাত হ‌লে সা‌থে সা‌থেই বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাতের জন্য কিছুক্ষন অ‌পেক্ষা ক‌রতে হ‌বে। কারণ রমণীদের চরমপুলক দে‌রি‌তে আ‌সে। পুরু‌ষের যখন বীর্যপাত হয়, নারী তখন চরম উ‌ত্তেজনায় কাতর। এসময় পুরুষ লিঙ্গ বের কর‌বে না, বরং সম্ভব হ‌লে অঙ্গ চালনা অবিরত রাখ‌বে। তানাহ‌লে স্বামীর প্র‌তি স্ত্রীর বির‌ক্তি, বিতৃষ্ণা, তা‌চ্ছিল্যভাব চ‌লে অা‌সবে। (এই অবস্থা থে‌কে কিছুটা প‌রিত্রান পাওয়ার জন্য, যখন স্বামী বুঝ‌বে যে, ‌নি‌জের বীর্যপাতের সময় হ‌য়ে‌ছে। তখন থে‌কেই সে তার স্ত্রীকে শরী‌রি ভাষায় বুঝা‌নোর চেষ্টা কর‌বে স্বামীর বীর্যপাত বা মাল আউট হ‌য়ে‌ছে। এই সময়ই স্বামী শরী‌রি ভাষা অর্থাৎ গভীর নিশ্বাস ফেল‌ার সা‌থে সা‌থে মুখ দি‌য়ে মৃদু অাওয়াজ কর‌বে বা বীর্যপা‌তের কথা বি‌ভিন্নভা‌বে উচ্চারণ কর‌বে, অাল‌তো ক‌রে স্ত্রীর কান, ‌ঠোট, গাল, স্তন, বু‌কে কাম‌ড়ি‌য়ে বা মুখ য‌থেষ্ট চে‌পে ধর‌বে, হাত দি‌য়েও স্ত্রীর বি‌ভিন্ন স্থা‌নে এটা করা যায়।) পুরুষের বীর্যপাত হ‌লে, অপেক্ষার সময় স্বামী তার স্ত্রী‌কে বি‌ভিন্ন অাদর কর‌বে এবং মধুমাখা উ‌ক্তি কর‌বে। সহবা‌সের অা‌গে অবশ্যই ম‌নে মনে নির্ধরিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে।

সহবাসের দোয়া :
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ، ﻭَﺟَﻨِّﺐِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ
(বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা)।
"আল্লাহর নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।" (বুখারী ৬/১৪১, নং ১৪১; মুসলিম ২/১০২৮, নং ১৪৩৪) ।

লিঙ্গ যো‌নি‌তে প্র‌বেশ করা‌নোর পূ‌র্বে যদি স্বামীর লিঙ্গ থেকে পি‌চ্ছিল কিছু বের হয়ে থাকে, তবে নির্বিঘ্নে স্বামী তার লিঙ্গ স্ত্রীর যো‌নি‌তে প্রবেশ করাবে। আর যদি ঐ রুপ কিছু নির্গত না হয় এবং স্ত্রী তেমন পুর্ণ যুবতি না হয়, বরং অল্প বয়স্কা হয়, তবে স্বামী-স্ত্রী লিঙ্গে\‌যো‌নি‌তে মুখের লালা বা তেল কিংবা তৈলাক্ত কোন জেলি মে‌খে তারপর লিঙ্গ স্ত্রীর যো‌নি‌তে প্রবেশ করাবে।
স্ত্রী খুব কামপ্রবন হ‌লে বা অ‌নেক সময় এম‌নি‌তেও স্ত্রীর যো‌নি হতে পি‌চ্ছিল পদার্থ নির্গত হয়। এতে ক‌রে উভয়ের গোপনাঙ্গ পিচ্ছিল হয় এবং সহবাসের পথ সুগম হয়। এই অবস্থায় কিছু মাখানোর প্রয়োজন হয় না। স্বামী স্মরণ রাখবে যে, স্ত্রীর যো‌নি‌তে স্বীয় লিঙ্গ সংযোগ করে সহসা জোরে চাপ প্রয়োগ না করে ধীরে ধীরে প্রবেশ করাতে হ‌বে। খুব ব্যতিব্যস্ততা বা তাড়াহুড়া করা ঠিক নয়। এতে যো‌নির ক্ষ‌তি হ‌তে পারে।
পুরুষ লিঙ্গ প্রবেশ করা‌নোর পর স্বামী অঙ্গ সঞ্চালন করবে। এই সময় স্ত্রীও স্বামীকে কিছুটা সহযোগীতা করলে আনন্দের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অঙ্গ সঞ্চালনের সময় স্বামী লক্ষ্য করবে যে, স্ত্রী ঘন না পাতলা সঞ্চালন পছন্দ করে। আর তার নিজেরই বা কিসে বেশী আনন্দ ও তৃপ্তি লাভ হয়। উভয়েই আনন্দ ও তৃপ্তির দিকে লক্ষ্য করে কাজ করবে। তারপর যখন স্বামীর বীর্যপাত হবে এবং স্ত্রীরও বীর্যস্খলন ঘটবে, তখন উভয়ে আবার সহবাসের  দোয়াটি পড়বে।

শারী‌রিক মিলন অবস্থায়, মিল‌নের অা‌গে ও প‌রে য‌তো বেশি সম্ভব বি‌ভিন্নভা‌বে এ‌কে অপর‌কে আলিঙ্গন করতে হ‌বে, ভালোবাসা, আদর সোহাগ এবং চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের অাশা বা যৌন তৃষ্ণা প‌রিপূর্ণ হবে।
স্ত্রীর সা‌থে সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন ব্যতীত, তার ‌যৌনশরীর ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনোনিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরী রমণী ও সুন্দরী বালিকার রুপ বা যৌনতার কল্পনা করা ইসলা‌মে সম্পূর্ণ নি‌ষিদ্ধ। স্ত্রীরও তাই করা উচিৎ।

‌ কিছু কিছু সম‌য়ে সঙ্গম বা সহবাস করা যা‌বে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ধর্মীয় বি‌ধি নি‌ষেধ থে‌কে বাঁচ‌তেই এসব মান‌তে হ‌বে। স্বামী স্ত্রীর উ‌চিত হ‌বে এসব ব্যাপা‌রে অত্যন্ত সতর্ক থাকা।
স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় বা উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করা যা‌বে না।
নিফাস অবস্থায়, অর্থাৎসন্তান প্রসবের পর চল্লিশ দিন বা এর কম সময় পর্যন্ত যতদিন রক্তস্রাব পরিপূর্ণভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সহবাস করা উচিত না। ঋতুস্রাব ও নিফাস অবস্থায় সহবাস করলে নারী-পুরুষ উভয়েরই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কেননা এ সময়ের রক্তে প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত জীবানু থাকে। যার দ্বারা ভয়ানক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রমাণিত।
কাজের চাপ বা ব্যস্ততা বেশি থাকলে এ সময় সহবাস করা উচিত না।
চিন্তা-ভাবনা, পেরেশানী ও বিচলিতগ্রস্থ অবস্থায় সহবাস থেকে বিরত থাক‌তে হ‌বে। সেই সাথে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তিকর অবস্থায় সহবাস না করা উচিত। এতে করে দিন দিন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন।
প্রাকৃতিক কাজের চাপ যেমন প্রস্রাব বা পায়খানার চাপ থাকলে সহবাস করা উচিত নয়।
অসুস্থতা থেকে মুক্তির পর শারীরিক দুর্বলতা এখনো অবশিষ্ট আছে এমন অবস্থায় সহবাস করা যা‌বে না। মৃগী রোগ, টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সহবাস থেকে দূরে থাকবে। মস্তিষ্ক ক্ষয় হয় এমন কাজের পর সহবাস উচিত নয়। যাদের চোখের দৃষ্টির রোগ, শারীরিক দুর্বলতা ও কলিজা, পাকস্থলী দুর্বল তাদের জন্যও সহবাস করা ক্ষতিকর। অর্শ্ব ও যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি‌দের যথাসম্ভব সহবাস থেকে দূরে থাক‌তে হ‌বে।
যাদের গনোরিয়া রোগ আছে তারাও যথাসম্ভব সহবাস থেকে দূরে থাকবেন। মাতাল বা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সহবাস করা মোটেও উচিত নয়।
প্রাপ্ত বয়সের পূর্বে ভ্রুণ তৈরি হলে সে সন্তান অসুস্থ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। বিজ্ঞানিদের মতে, রাতের প্রথমাংশে সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে সে সন্তান অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করে। আর রাতের শেষ প্রহরে সহবাস করার দ্বারা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সন্তান সুস্থ সবল ও ধর্মভীরু হয়ে থাকে।
চন্দ্র মাসের প্রথম পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করা যা‌বে না।
‌ রোযার সময় সহবাস করা যা‌বে না।
বিদেশ ফেরত বা ভ্রমনকালে সহবাস করা যা‌বে না।
সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় সহবাস করা যা‌বে না।
জোহরের নামাজের পর সহবাস করা যা‌বে না।
ভরা পেটে বা খা‌লি পে‌টেও সহবাস করা যা‌বে না। এ‌তে ক‌রে মারাত্বক সমস্যা ও রোগ দেখা যায়।
স্বামী স্ত্রী, দুজ‌নের একজ‌নেরও অসম্ম‌তি‌তে সহবাস করা যা‌বে না।
পূর্ব-পশ্চিম দিক হ‌য়ে সহবাস করা যা‌বে না।


অাল্লাহ তায়ালা দাম্পত্য জীব‌নে এসব মে‌নে চলার তও‌ফিক দান করুন । আ‌মিন...

1 comment: