ইসলাম ধর্মে সু্স্থ্য-সুন্দর যৌন কর্মে উৎসাহিত করা হয়েছে যা মানব জীবনের জন্য অতি কল্যানকর। অপরদিকে অকল্যানকর বা অসুস্থ্য যৌনতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা জীবনকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু ভাবতেও অবাক লাগে যে, কিছু অসভ্য দেশের অপসংস্কৃতির প্রভাব অার দেশে নৈতিকতাহীনতার চর্চা ও ধর্মবিমুখতার ফলে অামাদের প্রিয় মাতৃভূমি অাজ কলুষিত। বিশেষ করে যুবক-যুবতীরা যেভাবে অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত হচ্ছে, তাতে এদেশ অচিরেই পতিতালয়ের স্থান অর্জন করবে।
প্রগতিশীলতার নামে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে এখন অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নৈতিকতাহীনতা অার ধর্মীয় শিক্ষা বর্জনকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পারিবারিকভাবেও এখন ধর্ম ও নৈতিকতার চর্চা চরম অবহেলিত। এর কুপ্রভাব কিশোর_কিশোরী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী ও দাম্পত্য জীবনে ব্যাপকহারে লক্ষ করা যাচ্ছে। যার ফলে বেহায়াপনা, পরকীয়া, অবাধ যৌনাচার, হত্যা, ধর্ষণ, অশান্তি ও বিষন্নতায় বাংলাদেশ ভরপুর। যৌন অাচরণ, যেমন: ব্যাভিচার, সমকামিতা, পরকীয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যৌন অাচরণ মানব জীবন এমনকি দাম্পত্য জীবনকে অকল্যানের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ইসলামে এসব কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রগতিশীলতার নামে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে এখন অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নৈতিকতাহীনতা অার ধর্মীয় শিক্ষা বর্জনকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পারিবারিকভাবেও এখন ধর্ম ও নৈতিকতার চর্চা চরম অবহেলিত। এর কুপ্রভাব কিশোর_কিশোরী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী ও দাম্পত্য জীবনে ব্যাপকহারে লক্ষ করা যাচ্ছে। যার ফলে বেহায়াপনা, পরকীয়া, অবাধ যৌনাচার, হত্যা, ধর্ষণ, অশান্তি ও বিষন্নতায় বাংলাদেশ ভরপুর। যৌন অাচরণ, যেমন: ব্যাভিচার, সমকামিতা, পরকীয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যৌন অাচরণ মানব জীবন এমনকি দাম্পত্য জীবনকে অকল্যানের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ইসলামে এসব কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইসলামে চারটি নিষিদ্ধ যৌন অাচরণ বা সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার,
যা নিম্নরূপ:
০১ বিবাহ বহির্ভূত মিলন বা সেক্স (Extramerital sex)
বিবাহ বহির্ভূতভাবে সেক্স করা অবৈধ। আর এই অবৈধ সেক্সের নামই ব্যাভিচার বা যিনা। অবৈধ সেক্সের কারণে সিফিলিস , গনোরিয়া , ক্ল্যামাইডিয়া , মোনিলিয়াসিস , ট্রাইকোমোনিয়াসিস , ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস , জেনিটাল হার্পিস , জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি সমস্যা আর তাদের কমপ্লিকেশন তো আছেই । জরায়ু মুখের ক্যান্সার, যার মূল কারণ হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস; তাও ট্রান্সমিট হয় । আর ঘাতক ব্যাধি এইডস তো হবেই ।
আল্লাহ তায়ালা কুরঅানে ঘোষণা করেন , “ তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেওনা , কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ ।‘ ( বনী ইসরাইল , ৩২)
বিবাহ বহির্ভূতভাবে সেক্স করা অবৈধ। আর এই অবৈধ সেক্সের নামই ব্যাভিচার বা যিনা। অবৈধ সেক্সের কারণে সিফিলিস , গনোরিয়া , ক্ল্যামাইডিয়া , মোনিলিয়াসিস , ট্রাইকোমোনিয়াসিস , ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস , জেনিটাল হার্পিস , জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি সমস্যা আর তাদের কমপ্লিকেশন তো আছেই । জরায়ু মুখের ক্যান্সার, যার মূল কারণ হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস; তাও ট্রান্সমিট হয় । আর ঘাতক ব্যাধি এইডস তো হবেই ।
আল্লাহ তায়ালা কুরঅানে ঘোষণা করেন , “ তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেওনা , কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ ।‘ ( বনী ইসরাইল , ৩২)
যে ব্যক্তি কোন মুহররামাত ( যাদেরকে বিবাহ করা হারাম ) যেমন – আপন বোন, কন্যা ও বাবার স্ত্রী ইত্যাদি এর সাথে হারাম জানা স্বত্তেও যিনা করবে তাকে হত্যা করা ফরজ ।
বারা ইবনে আজেব (রা ) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন , “ আমার চাচাকে ঝান্ডা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বললাম: কোথায় চলেছেন ? তিনি বললেন- আমাকে রাসুল করিম ( সাঃ ) প্রেরণ করেছেন ঐ মানুষের নিকট যে তার বাবার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে । তিনি ( সাঃ ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য । ( সহীহ হাদিস , তিরমিজি হাদিস নং ১৩৬২ , নাসাঈ হাদিস নং ৩৩৩২ ) ।
বারা ইবনে আজেব (রা ) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন , “ আমার চাচাকে ঝান্ডা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বললাম: কোথায় চলেছেন ? তিনি বললেন- আমাকে রাসুল করিম ( সাঃ ) প্রেরণ করেছেন ঐ মানুষের নিকট যে তার বাবার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে । তিনি ( সাঃ ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য । ( সহীহ হাদিস , তিরমিজি হাদিস নং ১৩৬২ , নাসাঈ হাদিস নং ৩৩৩২ ) ।
০২ সমকামিতা (Homosexuality)
লূত (আঃ ) এর সময়ের আগে পৃথিবীতে হোমোসেক্সুয়ালিটি ছিলনা । ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামিতা, চরিত্র আর স্বভাব বিধ্বংসী এক জঘন্যতম অপরাধ। লূত ( আঃ ) এর জাতিকে এ অপকর্ম করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন । তাদের উপর পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন । এ ছাড়া শেষ বিচারের দিনেও তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
লূত (আঃ ) এর সময়ের আগে পৃথিবীতে হোমোসেক্সুয়ালিটি ছিলনা । ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামিতা, চরিত্র আর স্বভাব বিধ্বংসী এক জঘন্যতম অপরাধ। লূত ( আঃ ) এর জাতিকে এ অপকর্ম করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন । তাদের উপর পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন । এ ছাড়া শেষ বিচারের দিনেও তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ এবং আমি লূতকে পাঠিয়েছি । যখন সে নিজ জাতিকে বলল- তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ , যা তোমাদের পূর্বে গোটা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরাতো কামবশতঃ পুরুষের নিকট গমন কর মহিলাদের ছেড়ে । এবং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছো । [ আরাফ ৮০-৮৪ ]
আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন- “ অবশেষে যখন আমার আদেশ পৌঁছল , আমি উক্ত জনপদকে উপুড় করে নীচ করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম । যার প্রতিটি তোমার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল । এবং পাপিষ্ঠ দের কাছ থেকে বেশি দূরেও নয় । “( হূদ ৮২-৮৩)
আর রাসুল ( সাঃ ) বলেন , “ তোমরা লূতের জাতির কর্ম অবস্থায় যাকে পাবে তার কর্তা এবং কর্ম উভয়কে হত্যা করবে । (আবু দাউদ হাদিস নং ৪৪৬২ , তিরমিযী হাদিস নং ১৪৫৬)
০৩ পায়ুপথে মিলন (Anal sex)
আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কারণে নারী সঙ্গীরা ভয়াবহ রকমের পি,আই,ডি তে আক্রান্ত হয়ে যায় । এনাল ফিসার , পাইলস হবার ঝুঁকি বাড়ে । এনাল স্ফিংটার এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় ।
আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কারণে নারী সঙ্গীরা ভয়াবহ রকমের পি,আই,ডি তে আক্রান্ত হয়ে যায় । এনাল ফিসার , পাইলস হবার ঝুঁকি বাড়ে । এনাল স্ফিংটার এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় ।
হাদিসে আছে , “ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে সেক্স ( নিতম্বে সহবাস ) করবে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না । “ ( নাসাঈ আল ইশ্রাহ ২/ ৭৭- ৭৮/১ ; তিরমিযী ১/২১৮ )
হাদিসে আরো আছে , “ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করবে সে লা’নত প্রাপ্ত “ ( আবু দাউদ ২১৬২ , আহমদ ২/ ৪৪৪, ৪৭৯ )
০৪ Sexual intercourse during menstruation and puerperium অর্থাৎ পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আর সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০\৪৫ দিনের মধ্যে সহবাস
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায় । মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন । আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম ।
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায় । মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন । আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন , “ আর তারা তোমার নিকট হায়ে্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে । তাহলে বলে দাও এটা অশুচি বা কষ্ট । কাজেই তোমরা হায়েয চলাকালীন সময় সহবাস থেকে বিরত থাক । তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাস করবেনা , যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায় । যখন তারা ভালোভাবে পবিত্র হয়ে যাবে , তখন তাদের নিকটে যাও যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন । নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারি কে ভালবাসেন এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরও ভালবাসেন । (আল বাকারাহ : ২২২)
এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃ ) বলেন , ‘ যদি কোন ব্যক্তি হায়েযাহ নারীর সাথে বা তার নিতম্বে সহবাস করে , জ্যোতিষীর নিকট যায় আর জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে মুহাম্মদ (সাঃ ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি কুফরি করল।'
No comments:
Post a Comment