তিরিশের পর যৌনতায় কীভাবে সাড়া দেয় শরীর?

তিরিশ। পরিণত যৌবনের বয়স। খরস্রোতা নদী যেমন সমতলে এসে গতি কমিয়ে একটু থিতু হতে চায়, তেমনই তিরিশের স্বভাব। ভালবাসার পরিধি এখানে বেড়ে যায়। শরীরী মিলনে আসে নতুন ছন্দ। তিরিশের পরে যৌনতা মানেই এমন এক অভ্যাস যা নিয়মের গণ্ডীতে কিছুটা হলেও ঢুকে যায়, আবার এর বাইরের পথ খোঁজে। এর মাঝেও এমন কিছু বিষয় থাকে যা আপনাদের জানা অবশ্যই প্রয়োজন। যেমন-

১)  তিরিশের পরই বেশিরভাগ যুগল সংসারে সন্তান চান। কারণ এই বয়সের পর থেকেই মহিলাদের শরীরের জটিলতা অনেক বেড়ে যায়। তাই এটাই সন্তানের জন্ম দেওয়ার সেরা সময়। এ কারণেই তিরিশের যৌনতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানের কথা মাথায় রেখে হয়। অনেকে আবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ কাজে ব্রতী হন।

২) কেউ কেউ আবার সন্তানের জন্মের পর নতুন করে যৌন জীবন শুরু করেন। সে অভিজ্ঞতাও আলাদা হয়। চেনা শরীরের সঙ্গে বহুদিন বাদে মিলন নতুন উৎসাহের জন্ম দেয়। নতুন উদ্যমে শরীরের খেলায় মাতেন যুগল।

৩) ক্রমাগত যৌনতা একঘেয়েমি নিয়ে আসে। এই একঘেয়েমি তিরিশের কোটাতেই সবচেয়ে বেশি হয়। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে শুরু করেন অনেকে। তবে এক্ষেত্রে সাবধান থাকাটা জরুরি। অনেক সময় পরীক্ষার ফল ভাল নাও হতে পারে।

৪) স্বামী-সন্তান নিয়ে ভরা সংসার। কথাটা শুনতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু সন্তান মানুষ করা যে অত সহজ কাজ নয় তা এই তিরিশেই অনেকে বুঝে থাকেন। সারাদিনের ব্যস্ততায় সঙ্গীর জন্যই সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন সময় বাচ্চারা দৈবকৃপায় স্কুলে কিংবা দাদু-দিদার কাছে গেলে সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে থাকেন দম্পতিরা।

৫) তিরিশের কোটায় টুকটাক সেক্স পর্ব চলতেই থাকে। রান্নাঘর থেকে বাথরুম যেখানেই যুগলরা সুযোগ পান, অনেকেই টি-২০ ম্যাচ খেলে নেন। তাতে বেশ রিফ্রেশমেন্টও হয়।

৬) মধুচন্দ্রিমা কেবল একবার হয় জীবনে। একথা যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের মতো অভাগা এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তিরিশই আদর্শ বয়স দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমাটি সেরে ফেলার। চেনা শরীরের সঙ্গে অচেনা খেলায় মেতে ওঠার। চাইলে এখনকার ‘অ্যাডাল্ট ভ্যাকেশন’ নামের বস্তুটির সুযোগও নতে পারেন।

৭) তবে বেড়াতে যাওয়া তো আর সব সময় সম্ভব হয় না। এমন ক্ষেত্রে ব্রহ্ম মুহূর্তের সুযোগ নিতে পারেন। অনেক সময় অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম আসতে চায় না। এই সময়টাকেই কাজে লাগানো যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরাও সকালের মিলনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। দিনের শুরুটা ভাল হলে সারা দিনই ভাল কাটে।

No comments:

Post a Comment