যৌন সংক্রমণে গর্ভের শিশুও মারা যেতে পারে!

গর্ভবতী বা গর্ভবতী নন- এমন সমস্ত নারীর ওপরই যৌন সংক্রমণজনিত সমস্যা সমান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই রোগগুলি থেকে জরায়ুর ও অন্যান্য ক্যান্সার, ক্রনিক হেপাটাইটিস, শ্রোণির প্রদাহজনিত অসুস্থতা, বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

নারীদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যৌন সংক্রমণ কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ বোঝা যায় না। এই সংক্রমণে আক্রান্ত মহিলার সময়ের পূর্বেই প্রসব বেদনা, শিশুর জরায়ুর চার পাশের ঝিল্লি অসময়ে ছিঁড়ে যাওয়া এবং প্রসবের পর জরায়ুর সংক্রমণ হতে পারে৷

গর্ভের শিশুর যে সব ক্ষতি হতে পারে:

* এই সংক্রমণে আক্রান্ত নারীর থেকে প্রসবের আগে, প্রসবের সময় বা জন্মের পর শিশুর সংক্রমণ হতে পারে।

* কিছু কিছু যৌন সংক্রমণজনিত রোগ (যেমন সিফিলিস) ফুল ভেদ করে জরায়ুর মধ্যে থাকা শিশুকে সংক্রামিত করে।

* প্রসবের সময় যখন শিশু জন্মনালি দিয়ে বাইরে আসে, তখন যৌন সংক্রমণজনিত অন্যান্য রোগ (যেমন গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া, হেপাটাইটিস বি ও যৌনাঙ্গের হারপিস) মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে পরিবাহিত হয়।

* এইচআইভি ফুল ভেদ করে, জন্মের সময় শিশুকে সংক্রামিত করতে পারে এবং এটি এমন এক যৌন সংক্রমণ, যা স্তন্যপানের মাধ্যমেও শিশুর শরীরে সংক্রামিত হতে পারে।

* একটি শিশুর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণজনিত রোগের সবচেয়ে সাংঘাতিক ক্ষতির মধ্যে আছে মৃত শিশুর জন্ম, অস্বাভাবিক কম ওজন (পাঁচ পাউন্ডের কম), কনজাঙ্কটিভাইটিস (চোখের সংক্রমণ), নিউমোনিয়া, প্রসব-পরবর্তী সেপসিস (শিশুর রক্তস্রোতে সংক্রমণ), স্নায়ুর ক্ষতি (যেমন ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক বা হাত পায়ের নাড়াচাড়ায় সমন্বয় না থাকা), অন্ধত্ব, বধিরতা, হেপাটাইটিস, ম্যানিঞ্জাইটিস, ক্রনিক লিভারের অসুখ ও সিরোসিস।

No comments:

Post a Comment