শরীরে হাজারো রোগের বাসা। তাড়াতে কাঁড়ি কাঁড়ি ট্যাবলেট গিলতে হচ্ছে।
একটু মত বদলে কেউ কেউ আয়ুর্বেদের আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু তাতে সাময়িক উপশম
হচ্ছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। অথচ নাভির যত্ন নিলে শরীরের
অধিকাংশ রোগকেই দূরে রাখা যায়। শুধু নাড়ির যোগসূত্র নয়, নাভি মানবদেহের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নেহাত সৌন্দর্যের প্রয়োজন নয়, উপেক্ষাও নয়,
নাভির যত্নই আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে।
১) নিয়মিত
নাভিতে নিম তেল দিলে ব্রণ ও ফুসকুড়ির হাত থেকে রেহাই। এ সমস্যায় বহু বিউটি
প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়। ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কোনও কোনও
ক্রিম বা লোশনে আপাতভাবে ব্রণ দূর হলেও, ফের তা হাজির হয়। অথচ নাভিতে নিম
তেল দিলে অনায়াসেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
২) শুকনো ঠোঁট
নিয়ে মহিলারা প্রায়শই সমস্যায় পড়েন। মেকআপের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিকের
দফারফা হয় এই ধরনের ফুটোফাটা ও শুকনো ঠোঁটের জন্য। নাভিতে সরষের তেল
দিলেই কিন্তু এ সমস্যা থেকে মুক্তি।
৩) ঋতুকালীন
যন্ত্রণায় প্রায় প্রত্যেক মহিলাই কষ্ট পান। তুলোয় ব্র্যান্ডি ভিজিয়ে এই
সময়ে নাভিতে রাখুন। যন্ত্রণা ও ক্র্যাম্প থেকে স্বস্তি মিলবে।
৪) আচমকা ঠাণ্ডা
লেগে জ্বর বেধে যায় অনেক সময়। সর্দি-কাশির সমস্যাও দেখা দেয়। এসব ক্ষেত্রে
অ্যালকোহলে ভেজানো তুলো নাভিতে রাখুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ম্যাজিকের
মতো ফল মেলে।
৫) মুখের
সৌন্দর্য নিয়ে যাঁরা সচেতন তাঁরা মুখেই এটা ওটা লাগান। তাতে ফল মেলে অবশ্য।
তবে খানিকটা অলিভ অয়েল নাভিতে দিন। এতে মুখের সৌন্দর্য ফিরবে। এছাড়া
পরিষ্কার মাখন নাভিতে দিলে ত্বক কোমল হয়।
৬) সৌন্দর্য
চর্চায়, বিশেষত চুলের জন্য নারকেল তেলের প্রয়োগের কথা তো আলাদা করে বলার
প্রয়োজন নেই। তবে এর একটা আলাদা উপকারিতাও আছে। নাভিতে নারকেল তেল দিলে
ফার্টিলিটি বা প্রজনন শক্তি উন্নত হয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই নাভি নিয়ে হেলাফেলা না করাই ভাল। নাভি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে হাজারও আধি-ব্যধি থেকে এমনিই মুক্তি মেলে।
No comments:
Post a Comment