কাজ বা মিটিংয়ের আগের রাতে সহবাস করার উপকারীতা

কাজের চাপে এখন প্রায় সকলেরই নাস্তানাবুদ হওয়ার জোগাড়৷ কারণ এখন আমরা সবাই কম-বেশি কেরিয়ারিস্ট৷ আর অফিসে প্রেজেন্টেশন বা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে টেনশন কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক৷ আর এমতাবস্থায় অ্যান্টি অ্যাংজাইটি ওষুধের থেকে বেশি কার্যকরী আগের রাতে পার্টনারের সঙ্গে সেক্স তথা যৌন‌মিলন৷ ‌জে‌নে নিন কেন?

১) পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, অফিসে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগের দিন সহবাস আপনার ব্লাড প্রেশার লেভেল কমিয়ে আপনাকে রাখবে টেনশন ফ্রি৷ আপনার মস্তিষ্কের নার্ভ থাকে শান্ত৷ ফলে অকারণ দুশ্চিন্তা আপনার কাছে ঘেঁষতে পারে না৷
২) একবারের সফল সহবাসে প্রায় ১০০০-১২০০ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আর আপনি ক্লান্তও থাকেন৷ ফলে গাঢ় ঘুম হয়ে পরদিন সকালে উঠেই নিজেকে দেখবেন অনেক ফ্রেশ লাগছে৷
৩) রাতে যদি সহবাস না-ও হয়, তবে মিটিংয়ের আগের দিন সকালেও করতে পারেন তা৷ কারণ সকালে শুধু যে আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন ও এনার্জি লেভেল হাই থাকে (এ দুটোরই সহবাসে প্রয়োজন) তাই-ই নয়৷ বরং অক্সিটোসিন ও এন্ডেরফিন হরমোনের ঠিকঠাক নিঃসরণ আপনাদের দুজনেরই মুড রাখে ফুরফুরে৷ ফলে কাজেও আসে গতি৷
৪) এমনকী গবেষণায় এমনটাও দেখা গিয়েছে, কোনও গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগের রাতে সহবাস করলে, পরের দিন বক্তারা অনেক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিটিংয়ে কথা বলতে পারেন এবং অন্যকেও অচিরেই নিজের যুক্তি দিয়ে প্রভাবিত করতে পারেন৷
৫) সারাদিন কাজের চিন্তা আর রাতেও শুয়ে শুয়ে কাজের চিন্তায় মগ্ন থাকলে দেখা যায়, প্রেজেন্টেশনের সময় সব কিছু মাথার মধ্যে কেমন তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে৷ তা বলে শুধুই সেক্স করলে এর সমাধান হবে এমনটা নয়৷ কিন্তু মনটা অন্যদিকে ঘোরানোর বিকল্প হিসেবে অনেক চিকিৎসকই এখন সহবাসের পরামর্শ দেন৷
৬) এতে আপনার ছটফটে ভাব কেটে গিয়ে বাড়বে মনঃসংযোগও৷

No comments:

Post a Comment