স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। শারীরিক অসুস্থতা মানেই অসুখ। আর তা যদি হয় যৌন স্বাস্থ্যের অসুখ। তবেতো অশান্তির সীমাই নাই। তাই যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতির মাধ্যমে পারিবারিক জীবনে অশান্তি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে এমন ধরনের খাবার ও পানীয় বর্জন করতে হবে।
সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন যাপন
যাবতীয় বদঅভ্যাস, খারাপ চিন্তা, দুশ্চিন্তা, পর্নগ্রাফি, নেশা, প্রভৃতিকে চিরতরে ত্যাগ করতে হবে। সুস্থ্য থাকতে প্রতিদিন নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করতে হবে।
অ্যালকোহল
যারা অ্যালকোহল গ্রহণ করে তারা অ্যালকোহল সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু শুনতে রাজি নন। কিন্তু নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে পুরুষের টেস্টসটেরন হরমোনের উৎপাদন কমে যায় এবং যৌন জীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
অবাক হচ্ছেন? দুধকে আমরা আদর্শ খাবার হিসেবেই জানি। কিন্তু দুগ্ধজাতীয় খাবার শরীরে এক ধরণের এস্ট্রোজেন তৈরি করে যা যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিতে পারে। তাই অতিমাত্রায় দুগ্ধ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। দুধ নয়, দুগ্ধজাতীয় খাবার। যেমন: পনির, দই, মিষ্টি ইত্যাদি।
কফি
প্রতিদিন অতিরিক্ত কফি পান করলে যৌন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত কফি খেলে অ্যাডরেনাল গ্ল্যান্ডের উপর প্রভাব পড়ে এবং ফলাফল হিসেবে স্ট্রেস হরমোন উৎপন্ন হয়। স্ট্রেস হরমোন উৎপাদনের কারণে সেক্স হরমোন ও থাইরয়েড হরমোনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে ও ক্রমশ যৌন জীবন ফিকে হয়ে আসে।
পুদিনা
কিছু গবেষণায় জানা গেছে যে পুদিনা যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিতে পারে। পুদিনায় উপস্থিত পিপারমিন্ট শরীরের যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।
কৃত্রিম চিনি
অনেকেই মেদ কমাতে কিংবা ডায়াবেটিসের জন্য কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করেন খাবারে। কিন্তু কৃত্রিম চিনি যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কৃত্রিম চিনি শরীরে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী হরমোন সেরোটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
তেলে ভাজা পোড়া খাবার
তেলে ভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি পাওয়া যায় যা যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতির কারণে টেস্টস্টেরন উৎপাদন কমে যায় এবং পুরুষের স্পার্মের গুণগত মান কমিয়ে দেয়। তাই গবেষকরা ভাজা পোড়া খাবারের বদলে বেক করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ তেলে ভাজা খাবার যৌন উত্তেজনা কমিয়ে যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
No comments:
Post a Comment