অনিয়ন্ত্রিত ঘুমে বী‌র্যের ক্ষতি সাধন

সুস্থ শরীরের জন্য রাতে ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। ঠিকমতো ঘুম না হলে সারা দিনের কাজকর্মে ভুগতে হয়। শুধু তা-ই নয়, অনিয়ন্ত্রিত ঘুম আপনার স্পার্মের (বীর্য) ওপরও নেতিবাচক প্রভাব রাখে।

নিউইয়র্কভিত্তিক পুরুষদের মাসিক সাময়িকী ‘জিকিউ’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকেরা জানান, এক বছর ধরে তাঁরা মোট ৭০০ দম্পতির দৈনন্দিন জীবনযাপনের ওপর চোখ রেখেছেন। গবেষকেরা দেখেছেন, এসব দম্পতির মধ্যে যেসব পুরুষ রাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের প্রজননক্ষমতা দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো পুরুষদের তুলনায় ৩১ শতাংশ কমে যায়।

রাতে যাঁরা বেশি সময় ঘুমান, তাঁরা এ সমীক্ষা দেখে খুশি হলে ভুল করবেন। কেননা গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন, রাতে যাঁরা ৯ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় ঘুমান, তাঁদের প্রজননক্ষমতা দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো পুরুষদের তুলনায় ৪৯ শতাংশ কমে যায়।
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি-সংক্রান্ত বিদ্যার অধ্যাপক লরেন ওয়াইজের ব্যাখ্যা, এ সমীক্ষায় পুরুষের প্রজননক্ষমতার সূচক হলো নারীর গর্ভধারণ। অনিয়ন্ত্রিত ঘুম পুরুষের স্পার্মে গুণগত কী কী পরিবর্তন আনছে, তা বিবেচনায় আনেননি গবেষকেরা।
তবে ঠিক কী পরিমাণ বেশি কিংবা কম ঘুম স্পার্মের ক্ষতি করছে, তা এখনো বের করতে পারেননি গবেষকেরা। কিন্তু তাঁরা নিশ্চিত, খুব কম সময় ঘুমালে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। এই হরমোন স্পার্ম তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষকদের মতে, রাতে অনিদ্রায় ভোগা ব্যক্তির স্পার্মের প্রজননক্ষমতা ভালো ঘুম হওয়া ব্যক্তির তুলনায় ২৮ শতাংশ কমে যায়।
যদিও অনিদ্রায় ভোগা ব্যক্তির স্পার্মের প্রজননক্ষমতা কমার নেপথ্যে আরও কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছেন গবেষকেরা। ধূমপান, অ্যালকোহলের প্রতি আসক্তি কিংবা ওজন বেশি হয়ে গেলে অনিদ্রায় ভোগা স্বাভাবিক, আর এসব কারণেই মূলত স্পার্মের প্রজননক্ষমতা কমে যায় বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

দাম্পত্য জীবনে অনিদ্রার কারণে তাই পুরুষের প্রজনন পরিকল্পনায় বেশ সমস্যা হয়। এখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায়, সে পরামর্শও দিয়েছেন লরেন ওয়াইজ। তাঁর ভাষ্য, বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা শুরুর অন্তত তিন মাস আগে থেকে ঘুমের সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। কারণ, প্রায় ৭২ দিনের মধ্যে স্পার্ম কোষ পরিপক্ব হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, আড়াই মাস ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়তে পারলেই আপনি বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন!

সংসার বড় করার আগে সহজ সূত্রটি মনে রাখবেন। বেশি ঘুম ভালো নয়, কম ঘুমও ক্ষতিকর। চাই পরিমিত ঘুম।

সকালে যৌন মিলনের সুফল জানেন?

সকালে উঠতে অসুবিধা হয়৷ আলস্য আপনাকে ঘিরে ধরে৷ কিন্তু একটা তথ্য জানতে পারলে হয়তো আপনার এই আলস্য কেটে যেতে পারে৷ কি জানেন? একবার নিচের লেখাতে বুলিয়ে নিন চোখটা…

এক নয়া গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, সকালে যদি মিলনে লিপ্ত হন নারী-পুরুষ তাহলে তা নাকি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো৷ তবে সকালের সেই সময়টা হতে হবে ৭.৩০মিনিট৷ এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ জন জানায়, সকাল ৭.৩০মিনিটে যৌন সম্পর্কই নাকি চাপ কমায় এবং দিনের শুরুটা তাতে ভালো হয়৷ শুধু তাই নয়, সারাদিন তাতে মুডও ভালো থাকে৷

এর পিছনে একটি কারণ বা যুক্তিও বের করা হয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, সকালে পুরুষদের টেস্টোটেরনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে৷ এর জন্য, জোশও বেশি হয়, যা মিলনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে৷ ১০০০জনের ওপর পরীক্ষা করে জানা যায় এর ফলে অন্যান্য কাজেও তাদের পারফরম্যান্স আগের তুলনায় নাকি অনেক ভালো৷ কথায় বলে কষ্টে কেষ্ট মেলে, তাই ভেবে দেখতে পারেন৷

যৌন সংক্রমণে গর্ভের শিশুও মারা যেতে পারে!

গর্ভবতী বা গর্ভবতী নন- এমন সমস্ত নারীর ওপরই যৌন সংক্রমণজনিত সমস্যা সমান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই রোগগুলি থেকে জরায়ুর ও অন্যান্য ক্যান্সার, ক্রনিক হেপাটাইটিস, শ্রোণির প্রদাহজনিত অসুস্থতা, বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

নারীদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যৌন সংক্রমণ কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ বোঝা যায় না। এই সংক্রমণে আক্রান্ত মহিলার সময়ের পূর্বেই প্রসব বেদনা, শিশুর জরায়ুর চার পাশের ঝিল্লি অসময়ে ছিঁড়ে যাওয়া এবং প্রসবের পর জরায়ুর সংক্রমণ হতে পারে৷

গর্ভের শিশুর যে সব ক্ষতি হতে পারে:

* এই সংক্রমণে আক্রান্ত নারীর থেকে প্রসবের আগে, প্রসবের সময় বা জন্মের পর শিশুর সংক্রমণ হতে পারে।

* কিছু কিছু যৌন সংক্রমণজনিত রোগ (যেমন সিফিলিস) ফুল ভেদ করে জরায়ুর মধ্যে থাকা শিশুকে সংক্রামিত করে।

* প্রসবের সময় যখন শিশু জন্মনালি দিয়ে বাইরে আসে, তখন যৌন সংক্রমণজনিত অন্যান্য রোগ (যেমন গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া, হেপাটাইটিস বি ও যৌনাঙ্গের হারপিস) মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে পরিবাহিত হয়।

* এইচআইভি ফুল ভেদ করে, জন্মের সময় শিশুকে সংক্রামিত করতে পারে এবং এটি এমন এক যৌন সংক্রমণ, যা স্তন্যপানের মাধ্যমেও শিশুর শরীরে সংক্রামিত হতে পারে।

* একটি শিশুর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণজনিত রোগের সবচেয়ে সাংঘাতিক ক্ষতির মধ্যে আছে মৃত শিশুর জন্ম, অস্বাভাবিক কম ওজন (পাঁচ পাউন্ডের কম), কনজাঙ্কটিভাইটিস (চোখের সংক্রমণ), নিউমোনিয়া, প্রসব-পরবর্তী সেপসিস (শিশুর রক্তস্রোতে সংক্রমণ), স্নায়ুর ক্ষতি (যেমন ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক বা হাত পায়ের নাড়াচাড়ায় সমন্বয় না থাকা), অন্ধত্ব, বধিরতা, হেপাটাইটিস, ম্যানিঞ্জাইটিস, ক্রনিক লিভারের অসুখ ও সিরোসিস।

তিরিশের পর যৌনতায় কীভাবে সাড়া দেয় শরীর?

তিরিশ। পরিণত যৌবনের বয়স। খরস্রোতা নদী যেমন সমতলে এসে গতি কমিয়ে একটু থিতু হতে চায়, তেমনই তিরিশের স্বভাব। ভালবাসার পরিধি এখানে বেড়ে যায়। শরীরী মিলনে আসে নতুন ছন্দ। তিরিশের পরে যৌনতা মানেই এমন এক অভ্যাস যা নিয়মের গণ্ডীতে কিছুটা হলেও ঢুকে যায়, আবার এর বাইরের পথ খোঁজে। এর মাঝেও এমন কিছু বিষয় থাকে যা আপনাদের জানা অবশ্যই প্রয়োজন। যেমন-

১)  তিরিশের পরই বেশিরভাগ যুগল সংসারে সন্তান চান। কারণ এই বয়সের পর থেকেই মহিলাদের শরীরের জটিলতা অনেক বেড়ে যায়। তাই এটাই সন্তানের জন্ম দেওয়ার সেরা সময়। এ কারণেই তিরিশের যৌনতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানের কথা মাথায় রেখে হয়। অনেকে আবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ কাজে ব্রতী হন।

২) কেউ কেউ আবার সন্তানের জন্মের পর নতুন করে যৌন জীবন শুরু করেন। সে অভিজ্ঞতাও আলাদা হয়। চেনা শরীরের সঙ্গে বহুদিন বাদে মিলন নতুন উৎসাহের জন্ম দেয়। নতুন উদ্যমে শরীরের খেলায় মাতেন যুগল।

৩) ক্রমাগত যৌনতা একঘেয়েমি নিয়ে আসে। এই একঘেয়েমি তিরিশের কোটাতেই সবচেয়ে বেশি হয়। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে শুরু করেন অনেকে। তবে এক্ষেত্রে সাবধান থাকাটা জরুরি। অনেক সময় পরীক্ষার ফল ভাল নাও হতে পারে।

৪) স্বামী-সন্তান নিয়ে ভরা সংসার। কথাটা শুনতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু সন্তান মানুষ করা যে অত সহজ কাজ নয় তা এই তিরিশেই অনেকে বুঝে থাকেন। সারাদিনের ব্যস্ততায় সঙ্গীর জন্যই সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন সময় বাচ্চারা দৈবকৃপায় স্কুলে কিংবা দাদু-দিদার কাছে গেলে সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে থাকেন দম্পতিরা।

৫) তিরিশের কোটায় টুকটাক সেক্স পর্ব চলতেই থাকে। রান্নাঘর থেকে বাথরুম যেখানেই যুগলরা সুযোগ পান, অনেকেই টি-২০ ম্যাচ খেলে নেন। তাতে বেশ রিফ্রেশমেন্টও হয়।

৬) মধুচন্দ্রিমা কেবল একবার হয় জীবনে। একথা যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের মতো অভাগা এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তিরিশই আদর্শ বয়স দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমাটি সেরে ফেলার। চেনা শরীরের সঙ্গে অচেনা খেলায় মেতে ওঠার। চাইলে এখনকার ‘অ্যাডাল্ট ভ্যাকেশন’ নামের বস্তুটির সুযোগও নতে পারেন।

৭) তবে বেড়াতে যাওয়া তো আর সব সময় সম্ভব হয় না। এমন ক্ষেত্রে ব্রহ্ম মুহূর্তের সুযোগ নিতে পারেন। অনেক সময় অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম আসতে চায় না। এই সময়টাকেই কাজে লাগানো যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরাও সকালের মিলনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। দিনের শুরুটা ভাল হলে সারা দিনই ভাল কাটে।

দাম্পত্য মধুর করতে স্বামী-স্ত্রীয়ের বয়স কত হওয়া উচিত?

দাম্পত্য জীবনে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখতে স্বামী ও স্ত্রীয়ের বয়সের পার্থক্য কম হওয়া উচিৎ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কম হলে সংসারের স্থায়িত্ব বেশি হয়, একে অপরের মন বুঝে চলার ক্ষমতা জন্মায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল প্রায় তিন হাজার মানুষের উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বাড়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের হারও বেড়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ৫ বছর হলে তাদের বিচ্ছেদের আশঙ্কা সমবয়সী দম্পতির তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলে বিচ্ছেদের আশঙ্কা ৩৯ শতাংশ এবং ২০ বছর হলে ৯৫ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের উপরও বিচ্ছেদের ব্যাপার অনেকাংশে নির্ভরশীল। সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ততই কম।

এ দেশে বয়সের পার্থক্যকে সেভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দুজনের বয়সের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও নির্ভশীলতার কারণে নারীরা পুরুষদের ছেড়ে যেতে পারেনা অনেকসময়। একই ঘরে থাকলেও মনের সম্পর্কের রাস্তার দৈর্ঘ্য হাজার মাইল দুরত্বের হয়ে থাকে। কাগজে কলমে বিচ্ছেদ না হলেও মনের বিচ্ছেদ কবে হয় তা অনেকে ঠিক করে বলতেও পারেন না।

গবেষণায় আরও বলা হয়, বয়সের বেশি ব্যবধানে বিয়ের পরেও কমপক্ষে ২ বছর একসঙ্গে থাকলে বিচ্ছেদের আশঙ্কা ৪৩ শতাংশ কমে আসে। আবার ১০ বছর একত্রে থাকলে তা ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে।

মহিলাদের বয়স বাড়লে সে‌ক্সের আকাঙ্খাও বাড়ে!

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মহিলাদের মিলনের আকাঙ্খা ও চাহিদা। এই সমীক্ষা প্রমাণ করে দিল, বয়সের সঙ্গে মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা কমে বলে এতদিন যা জানা ছিল, তা ভুল।

সমীক্ষা বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে মহিলারা নিয়মিত সময় অন্তর মিলনের আকাঙ্খা করেন। নিউ ইয়র্কের মার্কেটিং ফার্ম লিপ্পি টেলর ও হেলদি ওয়েমেন ডট ও আর জি-র যৌথ উদ্যোগে করা এই সমীক্ষা আরও বলছে, বয়স্ক মহিলারা আরও ‘স্পাইসি সেক্সলাইফ’-এর চাহিদা মনের মধ্যে পোষণ করেন।

প্রায় এক হাজার জন মহিলার উপর চালানো এই সমীক্ষা চালানো হয়। ফলাফলে দেখা যায়, ৫৪ শতাংশ মহিলার বয়স বাড়লে যৌনতার চাহিদা বাড়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। ৪৫ থেকে ৫৫ বয়স যে সমস্ত মহিলাদের, তারাই সবথেকে বেশি সেক্স নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল হন বলেও দেখা গিয়েছে এই সমীক্ষায়।

সেক্স প‌জিশন যখন অশা‌ন্তির কারণ

যৌন মিলন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। হার্ট ভালো থাকে। এ কথা ঠিক। কিন্তু মিলনের সময় কিছু সাবধানতা মাথায় না রাখলে বিপদ অনিবার্য। ডাক্তাররা বলছেন, সেক্স পজিশনের রকমফেরে পেনাইল ফ্র্যাকচার হয় হামেশাই। যার নির্যাস, ধ্বজভঙ্গ। জীবন জেরবার।

সম্প্রতি জার্নাল অফ ইম্পোটেন্স-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সেই সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে, সবচেয়ে বিপজ্জনক সেক্স পজিশনের হদিশ।
বিজ্ঞানীদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বিপজ্জনক সেক্স পজিশন হল ডগি স্টাইল। বিপজ্জনক তালিকায় প্রথমেই রয়েছে এই পজিশনে সঙ্গম যৌন মিলন। এই পজিশনে পুরুষের পেনাইল ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে মিশনারি পজিশন। পুরুষের ক্ষেত্রে এই পজিশনের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ। গবেষণার সময় দেখা গিয়েছে, ৯০ জন পেনাইল ফ্র্যাকচার হওয়া রোগীর মধ্যেই বেশির ভাগেরই মিশনারি ও ডগি স্টাইলে সঙ্গম করতে গিয়ে বিপদ ঘটেছে।
মিশনারি ও ডগি স্টাইলে দেখা গিয়েছে প্রচণ্ড উত্তেজনার মুহূর্তে পেনিস ভ্যাজাইনায় থেকে স্লিপ করে তারপর ফের ভ্যাজাইনায় যেতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পেনাইল ফ্র্যাকটার হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, পেনাইল ফ্র্যাকটার হলে অনেক পুরুষই ডাক্তারের কাছে যান না লজ্জায়। এটা কখনওই উচিত নয়।

যৌন ঔষুধের কিছু নাম

সেক্স বা যৌন সমস্যায় হো‌মিওপ্যা‌থিক ঔষুধ দারুন কাজ ক‌রে। নি‌ম্নে কিছু যৌন সমস্যার ঔষু‌ধের নাম দেয়া হ‌লোঃ

#Selinium_(সিলিনিয়াম)
বীর্য অতিশয় পাতলা পানির মতো, লিঙ্গ নেকড়ার মতো নরম, সহজে দন্ডায়মান হয়না, যদিও হয় স্ত্রী লিঙ্গে প্রবেশের আগেই বা প্রবেশের পর মূহুর্তেই বীর্যপাত হইয়া লিঙ্গ সংকুচিত হয়ে আসে। তখন রোগী দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন ভাবে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃত আরগ্যের জন্য প্রয়োজন Selinium। এই রোগীর কামেচ্ছা প্রবল কিন্তু প্রকৃত আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। সপ্তাহে ২/৩ বার স্বপ্নদোষ হয়। স্বপ্নদোষের পর ভয়ানক দূর্বলতা ও কোমরে বেদনা দেখা যায়। স্ত্রী সহবাসের পরেও শারীরিক ও মানুষিক দূর্বলতা আসিয়া জোটে।

#Yohibinum (ওহিবিনাম)
ইহা অনেক প্রাচীন কাল হতে ব্যবহৃত হয়ে আসা একটি মূল্যবান ঔষুধ। পুরাতন পাপী অর্থাৎ যৌবনের শুরুতেই যারা অত্যধিক হারে যৌন অত্যাচার করে যৌন শক্তি হারায়ে বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ করতে ভয় পায়, কারন লিঙ্গ ছোট মাথা মোটা, গোড়া চিকন এবং নেকড়ার মতো নরম হয়ে গেছে। তাই বিবাহ করতে ভয় পায়। মন এত দূর্বল যে মেয়েদের দিকে তাকাতে ভয় পায়, মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে চায় তাদের সে ভয় দূর করতে পারে ওহিবিনাম। ইহা নিয়মিত দুই থেকে তিন মাস সেবন করলে লিঙ্গ সতেজ ও শক্তিশালী হয়ে যৌন শক্তি ফিরিয়ে আনে।

#Kali Brom (কেলি ব্রম)
যৌবন প্রাপ্তির শুরুতেই যারা যৌন চিন্তা অধিক করে, সর্বদা জননেন্দ্রিয় হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে, সেক্স চিন্তায় বিভোর থাকে এবং কিভাবে এই কার্য সম্পন্ন করা যায় সেই পন্থা খুঁজতে থাকে। অতঃপর উক্ত চিন্তা দূর করতে না পেরে যেভাবেই হোক শুক্র ক্ষয় করে স্নায়বিক দূর্বলতা দেখা দেয়, লেখাপড়া করতে পারে না, মাথা ঘোরে, শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে উহার নিদর্শন সরূপ মুখে বয় ব্রণ দেখা দেয়।

#Argentum Nitricum (আর্জেন্টাম-নাইট্রিকাম):
হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ, অতি স্ত্রী সম্ভোগ বা অবৈধ যৌন মিলনের ফলে যাদের লিঙ্গ শুকাইয়া একেবারে ছোট হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য শীর্ন যুবককে বৃদ্ধের ন্যায় দেখায়, ধাতু ক্ষয়ের ফলে দুর্বলতা, পেটের দোষ, কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ করে, উপরের দিকে তাকাইলে মাথা ঘোরে, বসা থেকে দাঁড়াইলে মাথার ভিতর চক্কর দিয়ে ওঠে, পড়া মনে থাকে না, জীবনে নিরাশ হয়ে পড়েছে। স্ত্রী সম্ভোগে অক্ষম, যদিও দূর্বল অবস্থায় দুই একবার স্ত্রী সহবাস করে কিন্তু বেশি পরিমান পাতলা ধাতু নির্গত হওয়ার ফলে দেহ মন নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

#Avana Sativa (এভানা সেটাইভা):
অতিরিক্ত যৌন উপভোগ বা অপব্যবহারের ফলে ধাতু দূর্বলতার সাথে সাথে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, লিঙ্গ ভালো ভাবে শক্ত হয়না বা আংশিক শক্ত হয়, চিন্তা শক্তি লোপ পায়। সামান্য চিন্তা করলে বা পড়াশোনা করলে মাথা ব্যাথা বা মাথা ঘোরা দেখা দেয়, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। এভাবে যারা শারীরিক ও মানুষিক দূর্বলতা প্রাপ্ত হয় এবং যৌন দূর্বলতা খুবই বেশি ঔষুধটি তাদের প্রভূত উপকার সাধন করে থাকে।

Made in Germany
#Anacardium (অ্যানাকা‌র্ডিয়াম):
যে সকল যুবক অতিরিক্ত যৌন চিন্তা ভাবনা করে নোভেল-নাটক পড়ে, নায়ক-নায়িকাদের অভিনয় দেখে, পশুদের যৌন ব্যবহার দেখে নিজের মন থেকে যৌন চিন্তা দূর করতে না পেরে ধাতু ক্ষয় করে। স্বপ্নদোষ হয়ে মস্তিস্কে দূর্বলতা এসে গেছে। পড়া মনে থাকে না, সর্বদা মন মরা হয়ে থাকে, একদিন হয়তো মেধাবী ছাত্র ছিল পরে খারাপ ছাত্রে পরিণত হয়েছে আর পড়ালেখা করতে চায় না, অন্য কোন কিছু নিয়ে ভাবে। যেসব যুবকেরা বিবাহ করতে ভয় পায়, আস্তে আস্তে রাগী হয়ে ওঠে, গালাগালি করে ঔষুধটি তাদের জন্য অতীব প্রয়োজন।
উপরোক্ত সমস্যার জন্য ঔষুধটি অত্যান্ত কার্যকারী এরং এটি স্থায়ীভাবে রোগ নির্মূল করে।

সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত হোমিও চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।

প্রফেসর এস এম রহমান
বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ।

ইমারজেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস: অবাক করা তথ্য

অসংরক্ষিত যৌনমিলনের পর ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলস বা আপদকালীন গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার আকছারই হয় চারপাশে৷ তবুও অনেকের মধ্যেই থেকে যায় নানারকম সন্দেহ৷ ওঠে কিছু প্রশ্নও, যার সমাধান দিতে পারেন একমাত্র চিকিৎসকই৷ তবে এক্ষেত্রে নিজেদেরও কিছুটা জেনে রাখা প্রয়োজন৷

মিথ ১- ইসিপি-ই একটি গ্রুপেরই রয়েছে এবং তা একমাত্র বিকল্প৷ যে কোনও ভাবে এটা খেতেই হবে৷
বাস্তব- বাজারে অনেক রকমের ইসিপি থাকে৷ তবে কোনটায় সাইড এফেক্ট কম হবে তা বলতে পারবেন চিকিৎসকই৷ তাই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশার অভ্যেস থাকলে, একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরই ব্যাগে ইসিপি রাখুন৷বমি পাওয়া, অ্যাবডোমিনাল ক্র্যাম্পের মতো সমস্যাগুলো যদি ইসিপি নেওয়ার পর হতে থাকে, তাহলেও ডাক্তারের পরামর্শেই ওষুধ খেতে হবে৷

মিথ২- ইসিপি গর্ভপাত করায়৷
বাস্তব- আদৌ না, এই ধরনের গর্ভনিরোধক ওষুধ শুধুমাত্র ওভিলিউশন প্রক্রিয়াকে হতে বাধা দেয়৷ ফলে ফ্যালোপিয়ান টিউবে স্পার্ম থাকলেও কোনও এগ না পেয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তিনদিনের মধ্যে৷ তাই অসংরক্ষিত যৌনমিলনের পর যত দ্রুত সম্ভব ওষুধ খেতে হবে৷ কিন্তু চার-পাঁচদিন দেরি হলে প্রেগনেন্সি একবার এসে গেলে এই ওষুধ আর কাজ করতে পারে না৷

মিথ ৩- গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে৷ পরদিন সকালে ইসিপি নেওয়া নিরাপদ?
বাস্তব- কোনও অসুবিধা নেই৷ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলেই হল৷ তবে কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যায় না৷পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনও মানে হয় না৷

মিথ ৪- আজকে ইসিপি খেয়েছি, কালকে আবার সহবাস হতেই পারে৷
বাস্তব- আজ ইসিপি খাওয়ার দুদিন পরেই যদি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে আগের ইসিপি সেখানে কোনও কাজ করবে না৷তাতে বেড়ে যাবে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা৷কারণ আগের সহবাসের পর কয়েকদিন পর্যন্ত ফ্যালোপিয়ান টিউবে এগের অপেক্ষায় কিছু স্পার্ম তখনও থেকে যায়৷ ফলে আনপ্রোটেক্টেড সেক্সে বাড়বে রিস্কও৷

মিথ ৫- বেশি খেলে ভবিষ্যতে মুশকিল৷
বাস্তব- ইসিপি খেলে ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়, এরকম কোনও পরীক্ষিত সত্য এখনও পাওয়া যায়নি৷

মিথ ৬- যে কেউ খেতে পারেন৷
বাস্তব- না, একেবারেই নয়৷ যারা মাইগ্রেন, জন্ডিস বা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা এটি খাবেন না৷

#Contraceptive-Emergency-Pill
#Emergency-Contraceptive-Pill
#Love-Pill | #Sex-Pill

ইমারজেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস: আশ্চর্য হবেনই

অসংরক্ষিত যৌনমিলনের পর ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলস বা আপদকালীন গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার আকছারই হয় চারপাশে৷ তবুও অনেকের মধ্যেই থেকে যায় নানারকম সন্দেহ৷ ওঠে কিছু প্রশ্নও, যার সমাধান দিতে পারেন একমাত্র চিকিৎসকই৷ তবে এক্ষেত্রে নিজেদেরও কিছুটা জেনে রাখা প্রয়োজন৷

মিথ ১- ইসিপি-ই একটি গ্রুপেরই রয়েছে এবং তা একমাত্র বিকল্প৷ যে কোনও ভাবে এটা খেতেই হবে৷
বাস্তব- বাজারে অনেক রকমের ইসিপি থাকে৷ তবে কোনটায় সাইড এফেক্ট কম হবে তা বলতে পারবেন চিকিৎসকই৷ তাই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশার অভ্যেস থাকলে, একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরই ব্যাগে ইসিপি রাখুন৷বমি পাওয়া, অ্যাবডোমিনাল ক্র্যাম্পের মতো সমস্যাগুলো যদি ইসিপি নেওয়ার পর হতে থাকে, তাহলেও ডাক্তারের পরামর্শেই ওষুধ খেতে হবে৷

মিথ২- ইসিপি গর্ভপাত করায়৷
বাস্তব-আদৌ না, এই ধরনের গর্ভনিরোধক ওষুধ শুধুমাত্র ওভিলিউশন প্রক্রিয়াকে হতে বাধা দেয়৷ ফলে ফ্যালোপিয়ান টিউবে স্পার্ম থাকলেও কোনও এগ না পেয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তিনদিনের মধ্যে৷ তাই অসংরক্ষিত যৌনমিলনের পর যত দ্রুত সম্ভব ওষুধ খেতে হবে৷ কিন্তু চার-পাঁচদিন দেরি হলে প্রেগনেন্সি একবার এসে গেলে এই ওষুধ আর কাজ করতে পারে না৷

মিথ ৩- গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে৷ পরদিন সকালে ইসিপি নেওয়া নিরাপদ?
বাস্তব- কোনও অসুবিধা নেই৷ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলেই হল৷ তবে কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যায় না৷পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনও মানে হয় না৷

মিথ ৪- আজকে ইসিপি খেয়েছি, কালকে আবার সহবাস হতেই পারে৷
বাস্তব-আজ ইসিপি খাওয়ার দুদিন পরেই যদি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে আগের ইসিপি সেখানে কোনও কাজ করবে না৷তাতে বেড়ে যাবে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা৷কারণ আগের সহবাসের পর কয়েকদিন পর্যন্ত ফ্যালোপিয়ান টিউবে এগের অপেক্ষায় কিছু স্পার্ম তখনও থেকে যায়৷ ফলে আনপ্রোটেক্টেড সেক্সে বাড়বে রিস্কও৷

মিথ ৫- বেশি খেলে ভবিষ্যতে মুশকিল৷
বাস্তব- ইসিপি খেলে ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়, এরকম কোনও পরীক্ষিত সত্য এখনও পাওয়া যায়নি৷

মিথ ৬- যে কেউ খেতে পারেন৷
বাস্তব- না, একেবারেই নয়৷ যারা মাইগ্রেন, জন্ডিস বা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা এটি খাবেন না৷

মহিলাদের বয়স বাড়লে যৌন মিলনের আকাঙ্খাও বাড়ে!

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মহিলাদের মিলনের আকাঙ্খা ও চাহিদা। এই সমীক্ষা প্রমাণ করে দিল, বয়সের সঙ্গে মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা কমে বলে এতদিন যা জানা ছিল, তা ভুল।

সমীক্ষা বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে মহিলারা নিয়মিত সময় অন্তর মিলনের আকাঙ্খা করেন। নিউ ইয়র্কের মার্কেটিং ফার্ম লিপ্পি টেলর ও হেলদি ওয়েমেন ডট ও আর জি-র যৌথ উদ্যোগে করা এই সমীক্ষা আরও বলছে, বয়স্ক মহিলারা আরও ‘স্পাইসি সেক্সলাইফ’-এর চাহিদা মনের মধ্যে পোষণ করেন।

প্রায় এক হাজার জন মহিলার উপর চালানো এই সমীক্ষা চালানো হয়। ফলাফলে দেখা যায়, ৫৪ শতাংশ মহিলার বয়স বাড়লে যৌনতার চাহিদা বাড়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। ৪৫ থেকে ৫৫ বয়স যে সমস্ত মহিলাদের, তারাই সবথেকে বেশি সেক্স নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল হন বলেও দেখা গিয়েছে এই সমীক্ষায়।