পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষের যৌন অক্ষমতা বা যৌন দুর্বলতা সমাজে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে উঠতি বয়সের যুবকরা হতাশ। যদিও এটি আপনসৃষ্ট একটি সমস্যা। তবে এর ব্যতিক্রম খুব সামান্য লক্ষ করা যায়।
পুরুষত্বহীনতা: এটি পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকে বুঝায়। যৌন মিলনে পূর্ণতা না পাওয়া বা যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া প্রভৃতি পুরুষত্বহীনতার মাধ্যম।
পুরুষত্বহীনতার শ্রেণীবিভাগ: পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
১. ইরেকশন ফেইলিউর: পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর: লিঙ্গের যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন: সহবাসে দ্রুত বীর্য-স্খলন তথা স্থায়ীত্বের অভাব।
পুরুষত্বহীনতার কারণ: প্রধান কারণগুলো হচ্ছে-
* বয়সের পার্থক্য,
* পার্টনারকে অপছন্দ (দেহ-সৌষ্ঠব, ত্বক ও মুখশ্রী),
* দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ,
* ডায়াবেটিস,
* যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গনোরিয়া),
* রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
* যৌনরোগ বা এইডস-ভীতি,
* নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন,
* সেক্স-এডুকেশন এর অভাব।
যুবকরা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন অথবা অকার্যকর ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। এর পার্শ্ব-ক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত সত্যিকারভাবে পুরুষত্বহীনতার আশঙ্কা দেখা দেয়। যা থেকে পরবর্তীতে আরোগ্য লাভ করা অসম্ভব।
লেখক: ডা. একেএম মাহমুদুল হক (খায়ের)। ত্বক, যৌন, অ্যালার্জি ও কসমেটিক সার্জন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফোন : ০১৬৭৮৫৯২০৭১
No comments:
Post a Comment