জরায়ুমুখ ক্যানসার পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী করা হয়?

জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ভায়া টেস্ট পরীক্ষা করা হয়। একটি পরীক্ষা বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে হয়ে থাকে আজকাল—সেটি হলো ভায়া টেস্ট।
নারীদের বলা হয় ৩০ বছর পার হলে তারা ভায়া পরীক্ষা করতে চলে আসবে। ভায়া যদি নেগেটিভ থাকে তাহলে আবার তিন বছর পর এই পরীক্ষা করাবে। জরায়ুর ক্যানসার তো আসলে একদিনে হয় না। সেটা তৈরি হতে ১০ বছর সময় লাগে। যদি কোনো পরিবর্তন হয়, তাহলে ভায়া পরীক্ষায় যদি পজিটিভ আসে, তাহলে চিকিৎসা করাতে হবে। 

একজন সুস্থ মানুষ অবশ্যই তার জরায়ু পরীক্ষা করাবে। ভীষণভাবে সাদাস্রাবের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকবে না। সাদাস্রাবের চিকিৎসায় যখন সমস্যা হবে সে গেল, এমন কিন্তু নয়। বলা হয় বিয়ের পাঁচ বছর পর থেকে সে ভায়া পরীক্ষা করবে। তবে যদি সাদাস্রাব আলাদা থাকে, এর চিকিৎসা সে নেবে। সুস্থ থাকার জন্য স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া খুবই প্রয়োজন। আমরা সবসময় বলব জরায়ুমুখ পরীক্ষা করাতে। তবে এর সঙ্গে সাদাস্রাবের সম্পর্ক থাকবে বিষয়টি সেটি নয়।


ভায়া পরীক্ষা একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা। যাতে সচেতন থাকে লোকজন, তার জরায়ুমুখ পরীক্ষা করার জন্য। আর ভ্যাকসিনেশন হলো প্রতিরোধক। সে টিকা নিয়ে ফেললে ভালো। টিকা নেওয়ার কথা আমরা বলি একদম অল্প বয়স থেকে, নয় থেকে ২৬ বছর বয়সে নিয়ে ফেলবে। বিয়ের আগে নিয়ে ফেলতে পারলে আরো ভালো। যদিও এখন বলে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত সে টিকা নিয়ে নিতে পারবে। এইচপিভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে দুই ধরনের টিকা আছে। তবে এই টিকা আর অন্য টিকার মধ্যে পার্থক্য আছে। একটি হামের টিকা সারাজীবন বাচ্চা নিয়ে ফেলল, কিন্তু জরায়ুর মুখের ক্যানসারের বিপরীতে যে টিকা সেটা সে নেবে ঠিকই, কিন্তু একটি অবিবাহিত মেয়েও যদি নিয়ে থাকে, তাকে বিয়ের পরও যথারীতি জরায়ুমুখ পরীক্ষা করাতে হবে।

ডা. আফরোজা খানম।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের গাইনি অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

No comments:

Post a Comment