স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়

স্বপ্ন‌দোষ কোন দোষ নয়! স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। স্ব‌প্নের মাধ্য‌মে প্রাকৃ‌তিকভা‌বেই শরীর থে‌কে অ‌তি‌রিক্ত বীর্য‌কে বের ক‌রে দেয়ার ব্যবস্থা ক‌রা হয়। স্ব‌প্নের মাধ্য‌মে প্র‌ক্রিয়া‌টি ঘ‌টে ব‌লে এ‌কে স্বপ্ন‌দোষ বলা হয়। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়। ত‌বে অ‌নেক সময় যৌন দূর্বলতা, হস্ত‌মৈথুন, খারাপ ভাবনা প্রভৃ‌তি বদঅভ্যা‌সের প্রভা‌বে ঘু‌মের ম‌ধ্যে বীর্যপাত হ‌য়ে থা‌কে।

বয়ঃসন্ধিকাল থে‌কে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। কখ‌নো কখ‌নো পুরুষদের ‌লি‌ঙ্গোত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ হয়। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। পুরুষ‌দের পাশাপা‌শি মহিলাদেরও ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।


নি‌ম্নে 'স্বপ্ন‌দোষ থে‌কে বাঁচার উপায়'গু‌লো দেয়া হ‌লোঃ
স্বপ্ন‌দোষ শরীর ও ম‌নের জন্য উপকা‌রি। কিন্তু বে‌শি বে‌শি স্বপ্ন‌দোষ শরীর ও যৌন স্বা‌স্থ্যের জন্য ক্ষ‌তিকর। এটা থেকে মুক্তির প্রধান উপায় হচ্ছে পর্নগ্রাফি দেখা পরিহার করা। যৌন উ‌ত্তেজক গ‌ল্পের বই ও নাচ-গান, পর্ন ভি‌ডিও ইত্যা‌দি থে‌কে বিরত থাক‌তে হ‌বে।
প্রস্রাব আট‌কে রে‌খে ঘুমা‌নো উ‌চিত নয়। তাই ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় কিন্তু স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
মেয়েদের প্রতি বেশি আকৃষ্ঠ হওয়া যা‌বে না। তাছাড়া খারাপ ভাবনা, ছে‌লে-‌মে‌য়ে বা যৌনতার কল্পনা মাথা থে‌কে ঝেঁড়ে ফে‌লতে হ‌বে।
ঘুমাতে যাবার আগে এককাপ ঋষি পাতার (Sage Leaves) চা পান করলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ধর্মীয় অনুশাসন মে‌নে চল‌তে হ‌বে। ‌নিয়‌মিত নামায-কালাম পড়‌া উ‌চিত। সবসময় আল্লাহকে হা‌জির-না‌যির ভাব‌তে হ‌বে।
‌নি‌র্দিষ্ট সময় ঘুমা‌তে যান এবং নি‌র্দিষ্ট সম‌য়েই ঘুম থে‌কে উঠুন। এছাড়া অবশ্যই খুব ভো‌রে ঘুম থে‌কে ওঠার অভ্যাস গ‌ড়ে তুলুন।
অশ্বগন্ধা (Withaniasomnif era) স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যায় উপকারসহ যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স এবং হস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশী শক্তি ফিরে পাওয়া ও অভ্যন্তরীণ ছোট-খাট ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে।
অন্ধকার ঘ‌রে কুকর্ম হবার সম্ভাবনা বে‌শি থা‌কে। তাই অন্ধকার ঘ‌রে না থে‌কে ঘ‌রে আ‌লোর ব্যবস্থা কর‌তে হ‌বে। তাছাড়া ঘুমা‌নোর সময় বা‌তি জ্বা‌লি‌য়ে ঘু‌মো‌তে হ‌বে।
ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। যদি সামান্য পরিমান প্রস্রাবের লক্ষণও থাকে, তবে বিছানায় যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন।
একা একা থাকা থে‌কে বিরত থাক‌তে হ‌বে। একা থাক‌লে ম‌নে দুষ্টু বু‌দ্ধির উদয় হয়। তাই দুষ্টু বু‌দ্ধি থে‌কে সর্বদা দূ‌রে থাকুন।
ঘুমা‌নোর অন্তত ২ ঘন্টা পূ‌র্বেই খাবার খে‌য়ে নিন। রাতের খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন না। কিছুক্ষণ হাটা-হাটি ও তারপর পড়াশুনা বা কাজ করুন।
প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা অথবা মিছরী খাবার অভ্যাস করুন।
অযথা বিছানায় সময় দি‌বেন না। ‌ঘুমের প্র‌য়োজন না হ‌লে কখনই বিছানায়ও যা‌বেন না।
পবিত্র কোরআনের “সুরা তারিক”পড়ে ঘুমান। হালকা জিকির এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ধর্মীয় বই-পুস্তক পড়ার অভ্যাস গ‌ড়ে তুলুন। অবসর সম‌য়ে আ‌জেবা‌জে চিন্তা বাদ দি‌য়ে গঠনমূলক বই পড়ুন।
অ‌তি‌রিক্ত স্বপ্ন‌দোষ হ‌য়ে থাকলে সেটা অবশ্যই সমস্যা। সপ্তাহা‌ন্তে একবার থে‌কে মা‌ঝে মা‌ঝে দুইবার স্বাভা‌বিক হি‌সে‌বে গ্রহন করা যায়। এর বে‌শি হ‌লেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা উ‌চিত। তাছাড়া স্বপ্ন‌দোষ সম্প‌র্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান বা স‌চেতনতা, এটা থে‌কে বিরত রাখ‌তে পা‌রে।
 
 

#স্বপ্নদোষ  #রক্ষা,  #উপায়  #প্রতিকার

No comments:

Post a Comment