নর-নারীর যৌনতা বিষয়ক পরিপূর্ণ ও তথ্যবহুল ব্লগ; ধর্মীয় ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে- যৌনতার নানান দিক, যৌন সমস্যার সমাধান, সফলতার একগুচ্ছ কার্যকর টিপস... JounoSeba
লিঙ্গ প্রদাহ: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
পুরুষদের যৌন ক্ষমতা হ্রাসের প্রধান কারণ পর্ন
তিনি বলেন, অনলাইনে সহজেই সীমাহীন পর্ন সহজলভ্য কারণে স্বাস্থ্যবান যুবকদেরও যৌন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তিনি ব্রিটেনের দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, “এমন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৩ থেকে ২৫। ”
তিনি বলেন কেউ যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে টানা পাঁচ বছর পর্ন দেখে এবং হস্তমৈথুন করে তাহলে কোনো নারীর সঙ্গে যৌন মিলন করতে গিয়ে তার আর লিঙ্গোত্থান হবে না।
যৌন ক্ষমতা কমায় যে খাবারগুলি
আসুন জেনে নেয়া যাক যৌন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।
বেশি সেক্স করা নারীদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়
নারী-পুরুষের যৌন মিলনের ফলে নারীদের মস্তিষ্কে কী প্রভাব পড়ে সে সম্পর্কিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, বেশি বেশি যৌন মিলনের ফলে বিমূর্ত শব্দ মনে রাখার ক্ষেত্রে নারীদের মস্তিষ্কের সক্ষমতা বেড়ে যায়।
গবেষণার জন্য তারা ৩০ বছরের কম বয়সী ৭৮ জন বিষমকামী নারীকে একটি স্মৃতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এতে লোকের চেহারা এবং অন্যান্য অংশ সংশ্লিষ্ট কিছু বিমূর্ত শব্দ দিয়ে তাদের স্মৃতি পরীক্ষা করা হয়। তাদেরকে নিজেদের গড় গ্রেড পয়েন্টের রেকর্ড রাখার জন্য একটি প্রশ্নপত্রও সম্পন্ন করতে দেওয়া হয়।
যেখানে তাদেরকে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ করেন কিনা সে সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হয়।
গবেষণাটির ফলাফলে দেখা গেছে, যে নারীরা প্রায়ই যৌন মিলন করেন তারা বিমূর্ত শব্দগুলো স্মরণে সবচেয়ে বেশি সক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন। তবে কারো চেহারা মনে রাখার ক্ষেত্রে যৌনতা তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে বলে প্রমাণিত হয়নি।
বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা জরুরি কেন?
বিয়ে মানুষের জীবনের অপরিহার্য একটি বিষয়। কেউ হয়তোবা নিজ পছন্দে আবার কেউ অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ের পিড়িতে বসে। বিয়ের আগে ও পরে একজন দম্পতির স্বাস্থ্য, আর্থিক ও বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হয়। এ বিষয়গুলো মোকাবেলার জন্য আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। অনেক অনাকাঙ্খিত সমস্যা এড়াতে দুই পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া অত্যন্ত বুদ্ধিমানের কাজ। বিয়ের আগেই কেন রক্ত পরীক্ষা; জেনে নিন এর বিস্তারিতঃ
থ্যালাসেমিয়া
পাত্র-পাত্রী থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত থাকলে তাদের সন্তানও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন ছেলে বা মেয়ে থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা। থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ।
হেপাটাইটিস-বি
হেপাটাইটিস-বি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি। পাত্র বা পাত্রী যে কোনো একজনের দেহে এর ভাইরাস থাকলে অন্যজন আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে। সেই সঙ্গে অনাগত সন্তানের মধ্যেও রোগটি সংক্রমিত হতে পারে। এটি অন্যতম এক ঘাতক ব্যাধি। তাই বিয়ের আগেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত পাত্র কিংবা পাত্রীর হেপাটাইটিস-বি আছে কিনা।
যৌনবাহিত রোগ
রক্তের পরীক্ষা করলেই জানা যাবে পাত্র-পাত্রী কেউ সিফিলিসের জীবাণু বহন করছে কিনা। ভিডিআরএল পরীক্ষায় যৌন রোগ আছে কিনা, সিফিলিসে আক্রান্ত বাবা-মায়ের সন্তান বিকলাঙ্গও হতে পারে। এ ছাড়া রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই ধরা পড়বে এইডসের জীবাণু।
রক্তের গ্রুপঃ
প্রথমেই রক্তের গ্রুপগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। রক্তের গ্রুপের প্রধানত দুইটি ভাগ। একটা হল এবিও পদ্ধতি (এ, বি, এবি এবং ও) অন্যটা আরএইচ ফ্যাক্টর (আরএইচ পজেটিভ এবং আরএইচ নেগেটিভ)। এ রেসাস ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয় ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।
ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও পজেটিভ এবং ও নেগেটিভ।
রক্ত গ্রহণে সচেতনতাঃ
যখন কোনো নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে পজেটিভ গ্রুপের রক্ত দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হয় না। তবে এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে একটি এন্টিবডি তৈরি করে। যার ফলে রোগী আবার কখনও যদি পজেটিভ গ্রুপের রক্ত নেয়, তবে তার রক্তের কোষগুলো ভাঙতে শুরু করে। এ কারণে কাঁপুনি, জ্বর কিংবা কিডনি অকেজো থেকে শুরু করে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। এ সমস্যাকে চিকিৎসাবিদ্যায় বলা হয় এবিও ইনকমপ্যাটিবিলিটি।
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হলে ভালোঃ
স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর রক্তের নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে।
স্বামীর রক্তের গ্রুপ =স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ =সন্তানের অবস্থান
পজিটিভ(+) পজেটিভ(+) সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-) নেগেটিভ (-) সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-) পজেটিভ (+) সুস্থ সন্তান
পজিটিভ (+) নেগেটিভ (-) প্রথম সন্তান সুস্থ, দ্বিতীয় থেকে সমস্যা
স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর নেগেটিভ হলে কী হতে পারেঃ
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজেটিভ হয় তাহলে ‘লিথান জিন’ বা ‘মারন জিন’ নাকে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হতে পারে। বাচ্চা হতে পারে জন্মান্ধ। এ ছাড়া যখন কোনো নেগেটিভ গ্রুপের মা পজেটিভ ফিটাস (ভ্রুণ) ধারণ করে তখন সাধারণত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ ভ্রুণের রক্ত, প্লাসেন্টারের (গর্ভফুল) বাধা ভেদ করে মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরেও প্রসবের সময় যে রক্ত প্রবেশ করবে, তা প্রসবের কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে আরএইচ এন্টিবডি তৈরি করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবেন, তখন যদি তার ভ্রুণের ব্লাডগ্রুপ আবার পজেটিভ হয়, তাহলে মায়ের শরীরে আগে যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছিল সেটা প্লাসেন্টার বাধা ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন এটি ভ্রুণের শরীরে ঢুকবে তখন ভ্রুণের লোহিত রক্ত কণিকার সেল ভেঙে যাবে। এ সমস্যাকে চিকিৎসা বিদ্যায় বলা হয় আরএইচ ইনকমপ্যাটিবিলিট।
যদি বিয়ে হয়েই যায়!
এই সম্পর্কে যদি না জানা থাকে বা বিয়ের পূর্বে কোন ক্রমেই রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভবপর না হয়; তবে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
আগে কখনও অপারেশন না হয়ে থাকলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে। শুধু সচেতন থাকতে হবে। স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হলে, বাচ্চা জন্মের পরপরই বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ পরীক্ষা করতে হবে। যদি নেগেটিভ হয় মায়ের মতো, তবে কিছু করার দরকার হয় না। আর পজেটিভ হলে এন্টি ডি ইনজেকশন নিতে হবে ডেলিভারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আরও বিস্তারিত জানতে এবং বাচ্চা ধারণের আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সুখে থাকুন।
#রক্ত #পরিক্ষা
যৌনতা বিষয়ে ১০টি অজানা তথ্য
অথচ স্বাস্থ্যকর যৌনতার জন্য অনেক তথ্য জানতে হয়। এখানে জেনে নিন যৌনতা সংক্রান্ত কয়েকটি বিস্ময়কর পরিসংখ্যানের তথ্য। এর সম্পর্কে হয়তো কখনোই শোনেননি।
মানুষের পেনিসে হাড় থাকেনা কেন?
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন যে, কেন আমাদের মতো মানুষদের পেনিস বা লিঙ্গে হাড় থাকে না। যেমনটা আছে শিম্পাঞ্জি, ভাল্লুক এবং অন্যান্য বেশির ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর পুরুষাঙ্গে।
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পুরুষাঙ্গের বিবর্তন ঘটে ১৪৫ থেকে ৯৫ মিলিয়ন বছর আগে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক নতুন গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে।
গবেষণাটির প্রধান গবেষক, ম্যাটিল্ডা ব্রিন্ডল দ্য ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, মানুষদের পুরুষাঙ্গে হাড় না থাকার একটি কারণ আমরা খুব বেশি সময় ধরে যৌন মিলন করি না যে আমাদের পুরুষাঙ্গে হাড় থাকা লাগবে।
তিনি বলেন, মাংসাশী এবং প্রাইমেটদের একই উত্তরসূরিদের পুরুষাঙ্গে হাড়
মোজা পড়ে তৃপ্তিদায়ক সেক্স: বিশেষজ্ঞ ধারণা
সঙ্গীকে যৌন মিলনের ঘনিষ্ঠ সময়ে চমক দিতে পারলেও যৌনক্রিয়ায় তৃপ্তি পাওয়া যায়। যৌনতার মুহূর্তকে উত্তেজনাময় করে তুলতে এখন বিশেষজ্ঞদের কাছেও মিলছে বিভিন্ন অভিনব উপদেশ।
শুনতে হাস্যকর লাগলেও গবেষকদের দাবি বেশ জোরালো! তারা
যৌন মিলনের বিস্ময়কর উপকারিতা
তাছাড়া নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কেও সবার জানা নেই। আর পর্ন দেখলে সব সময়ই সেক্স আসক্তি তৈরি হবে এটাই সত্য। তবে বিভিন্ন উপায়ে যৌনতা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম।
কারোরই যেমন কখনো যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য মানসিক চাপ বোধ করা ঠিক নয়। তেমনি এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যৌনতায় লিপ্ত হয়ে অপরাধবোধে ভোগাও উচিত নয়। অনেকের জন্য নিত্যনতুন যৌনতার উদঘাটন করা সম্পূর্ণই গ্রহণযোগ্য একটি বিষয় হতে পারে। কারণ, এটি আনন্দময় এবং সেই সাথে সৃজনশীলতাকে বিকশিত করে থাকে। যৌনতা, উত্তেজনা এবং চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি কীভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে তার উপায়গুলো
পেনিসের সাইজ, মাপ ও বড় করা প্রসঙ্গ
আপনার পেনিস বড় না ছোট তা ধরে নেবার আগে মাপ নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।পেনিস এর গোঁড়া থেকে এর অগ্রভাগ পর্যন্ত উত্থিত (দাঁড়ানো/খাঁড়া) অবস্থায় পেনিসের যে সাইজ বা আকার, সেটাই পেনিসের সঠিক মাপ।
যৌন জীবন ও ক্রনস ডিজিস
এ সবকিছুর কারণ হলো, ২১ বছর বয়স থেকে তিনি ক্রনস রোগে আক্রান্ত।
নিউ জার্সির এই ভদ্রলোক জানান যে, যৌন জীবনটা নিয়মিত রয়েছে তার। তবে কখনোই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এখন তার বয়স ৫৩। জানালেন, আমি কেবল সেক্সই করেছি। কারো সঙ্গে অন্তরঙ্গতা ছিল না।
পুরুষদের যেসব ভুলে সংসারে অশান্তি হয়
এই বিষয়টি মেয়েরা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সব সময় মনে রাখবেন, মায়ের মতো কখনো কেউ হতে পারে না। তাই অযথা তুলনা করে সংসারে
ভালোবাসার নামে যেসব কাজ বর্জনীয়
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এমন কিছু বিষয়ের কথা জানিয়েছে, যা ভালোবাসার জন্য কখনোই করা উচিত নয়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কী
অণ্ডকোষ নিয়মিত পরীক্ষা করুন
'নিতম্ব' বিষয়ে বিশেষজ্ঞের ৯ টিপস
'সেক্স' দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের গোপন মন্ত্র
সেক্সকে প্রাণবন্ত করে তুলতে ৫ টিপস
মেডিটেশনের মতো যৌনতার ক্ষেত্রেও শ্বাস-প্রশ্বাসের গুরুত্ব রয়েছে। আপনার সর্বদা শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে হবে। এটি যেন কোনোভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেজন্য মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে গভীর করে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এটি আপনার দেহকে শীথিল হতে সহায়তা করবে, যা যৌনতায় গতি সঞ্চার
সেক্স বা যৌনতার বিশেষজ্ঞ ধারণা
বন্ধ্যাত্ব সমস্যা ও চিকিৎসা
সন্তান লাভের আশায় কোনো দম্পতি কোনো প্রকার গর্ভনিরোধক উপায় অবলম্বন না করে এক বছর স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনযাপনের পরও যখন স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার না হয় তখন তাকে বন্ধ্যাত্ব (Infertility) বলা হয়। বন্ধ্যাত্ব বর্তমান প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় মাপের সমস্যা। এই সমস্যা সরাসরি প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাবপড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও।
স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার এক বছরের মধ্যে সন্তান সম্ভাবনা না ঘটলে প্রজনন ত্রুটি স্বামী বা স্ত্রী অথবা উভয়েরই থাকতে পারে। দেখা গেছে যে, ছয় মাস এক সাথে সহবাসের পর ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং এক বছর পর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভধারণ করে থাকেন।
মেনোপজ নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয়
স্তন বড় ও সুন্দর করার উপায়
ক্যাজুয়াল সেক্স যে কারণে অসুখী করে
সবার ক্ষেত্রে যৌনতা পরস্পরকে কাছাকাছি নেয় না। এক্ষেত্রে সমস্যাটি নির্ণয় করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। এ বিষয়ে গবেষকরা বলেন একটি স্বাভাবিক প্রবণতার কথা, যা নারী ও পুরুষকে পরস্পরের দূরে সরিয়ে দেয়।
যৌনতার পর সাধারণত নারীরা চায় পুরুষের আরও কাছাকাছি থাকতে এবং কিছুক্ষণে আবেগগত
স্তন ক্যানসারের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
হস্তমৈথুন করা বন্ধ করবেন যেভাবে
নর-নারীর যৌনতায় শৃঙ্গার কেন জরুরী
যৌন মিলন বা সেক্সের পূর্বেই ছেলেদের উচিত মেয়েদের শরীরে বিভিন্নভাবে পরিপূর্ণ যৌন উত্তেজনা জাগ্রত করা। এর ফলে মিলন এবং কাজেকর্মে আসবে পূর্ণ তৃপ্তি ও প্রশান্তি। নারীর দেহে সহজে যৌন উত্তেজনা আসেনা। এর কারণ, নারীর যৌন অঙ্গ ছাড়াও কামকেন্দ্র শরীরের নানা অঞ্চলে বিস্তৃত। যেমন- ঠোঁট, গাল, মুখ, স্তন, স্তনের বোঁটা, নিতম্ব, ভগাঙ্কুর ও
নারীর যৌবন ও দীর্ঘায়ু নিয়ে একটি প্রতিবেদন
যেসব মেয়েদের দেরিতে শারীরিক পরিপক্কতা আসে অর্থাৎ যারা দেরিতে যৌবনবতী হন, তারাই বেশি দিন বাঁচেন। আবার যাদের তাড়াতাড়ি যৌবন শুরু হয়, তারা মারাও যান তাড়াতাড়ি।
আমেরিকার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ওমেইনে অবস্থিত জ্যাকসন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ওপর দীর্ঘ গবেষণা চালান। তারা জানান, যেসব ইঁদুরের দেহে আইজিএফ১ হরমোন নিম্নমাত্রার, তারা অন্য ইঁদুরের চেয়ে ছয় মাস বেশি বাঁচে। উল্লেখ্য, আইজিএফ১ হরমোনটি দৈহিক বৃদ্ধি ও যৌবনের পূর্ণতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইঁদুরের ওপর গবেষণার বিষয়টি ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্সে জার্নাল প্রসেডিংয়ে প্রকাশিত হয়।
গবেষক দলের প্রধান ড. রাঙ ইউয়ান বলেন, নারীদের বেলায়ও নিম্নমাত্রার আইজিএফ১ হরমোন থাকলে তাদের যৌবন দেরিতে আসে এবং তারা বেশিদিন বাঁচেন।
জার্নালটিতে গবেষকরা লেখেন, উচ্চমাত্রার আইজিএফ১ হরমোন যেমন নারীদের দ্রুত যৌবন এনে দেয়, তেমনি মেনোপজও আগেভাগেই শুরু হয়। আর জীবনের সীমারেখাও সীমিত করে দেয় হরমোনটি। তিনি বলেন, সম্প্রতি ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি
বিশেষ একটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। আর এ পরীক্ষায় তাঁরা সফল হয়েছেন। ফলে এখন পুরুষের জন্য কার্যকর নন-হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
শুধু খাওয়ার ওষুধই নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পুরষের দেহে প্রয়োগের কার্যকর ইঞ্জেকশনও তৈরি করেছেন গবেষকরা। এ ধরনের একটি ইঞ্জেকশনের নাম ভ্যাসেলজেল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ অনুমোদন পেয়েছে এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে এটি ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাজারে ছাড়া হবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা দাবি করেছেন, পুরুষের মুখে খাওয়ার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি একেবারে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন তাঁরা। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় সফলতার পর এখন পুরুষের ওপর এ বড়ির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে আগ্রহী গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ডানা-ফারবার ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও বেলর কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা জানান, নারীর ক্ষেত্রে কয়েক দশক ধরেই জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হিসেবে পিল বা বড়ির প্রচলন রয়েছে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে কার্যকর তেমন কোনো বড়ি তৈরি করা এখনো সম্ভব হয়নি। 'জেকিউ১' নামের একটি ড্রাগ তাঁদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে। এ ড্রাগ দিয়ে তাঁরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন। জেকিউ১ ব্যবহারে ইঁদুরের স্বাভাবিক যৌনজীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। গবেষকরা আশা করছেন, এ ড্রাগ মানুষের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে পারবেন তাঁরা। তবে নিরাপদ ও কার্যকর করতে এ ড্রাগ নিয়ে আরো পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা।
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যালান পেইসি জানিয়েছেন, পুরুষের জন্য এ ধরনের বড়ি প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ হিসেবে ইনজেকশন বা ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কমানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে।
পুরুষের জন্য অন্য একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি আবিষ্কার করেছেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন খাওয়ার এই বড়ি শুক্রাণুকে জরায়ুতে প্রবেশের আগেই অকার্যকর করে দেবে। ফলে নারীর অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের আশঙ্কা থাকবে না। বড়ির উদ্ভাবনকারী গবেষকরা জানান, প্রতি তিন মাসে মাত্র একবার বড়ি খেলেই চলবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে এই বড়ি। জন্মবিরতিকরণ ইনজেকশনের মতো এই বড়িতে পুরুষদের হরমোন টেস্টোস্টেরন ও মেয়েদের হরমোন প্রজেস্টেরনের সমন্বয় ঘটানো হয়নি। এই বড়ি শরীরে ঢুকে শুক্রাণু থেকে গর্ভসঞ্চারকারী অতিপ্রয়োজনীয় প্রোটিন অংশ সরিয়ে ফেলবে। ফলে শুক্রাণু জরায়ুতে ঢুকলেও ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে পারবে না। গবেষকদের বিশ্বাস, এতে নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বন্ধ রাখতে সক্ষম হবে এই বড়ি। বর্তমানে পুরুষের জন্য পরীক্ষাধীন হরমোন ইনজেকশনের ব্যবহারে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, বিষণ্ণতা ও যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও গর্ভনিরোধক বড়ির প্রধান সমস্যা এটি।
এ বিষয়ে বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেইম ব্রেইটবার্ট বলেন, 'পুরুষরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না। এ কারণেই অনেকেই হয়তো বড়ি খেতে চাইবেন না। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবিত বড়ির ক্ষেত্রে সে ভয় নেই।' নিয়মিত প্রতিদিন পিল খাওয়ারও ঝক্কি নেই। নতুন পিলটি প্রতি মাসে বা প্রতি তিন মাসে একটি করে খেলেই চলবে।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার গবেষকরাও পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। বড়িটির নাম জেন্ডারুসা। গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। এ পদ্ধতিটি কাজ করে শুক্রাণুর ওপর। মূলত শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করায় বাধা দেয় এ ওষুধটি।
এতদিন ধরে পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পদ্ধতিই কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার নাম কনডম। এটি ব্যবহারের নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে পুরুষেরা অনেকেই এটি ব্যবহারে ভুল করেন। আর এ কারণে নারীর গর্ভধারণের আশঙ্কা থেকে যায়। নতুন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এগুলো বাজারে এলে সে ঝুঁকি কমে যাবে।
সঙ্গীর যৌন তৃপ্তি হয় না, কী করব?
এক নারী জানিয়েছেন, তার সঙ্গীর যৌনতার সমস্যা রয়েছে। মূলত যৌনতার সময় তার বীর্যপাত হয় না। আর এ কারণে তার যৌন তৃপ্তিও হয় না। এ কারণে তিনি বেশ চিন্তিত। এ সমস্যার সমাধান কী হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সেক্স থেরাপিস্ট ডেনিস নৌলেস।
বিশেষজ্ঞ ডেনিস নৌলেস বলেন, কোনো পুরুষের যদি যৌনতার সময় বীর্যপাত না হয় তাহলে তা যথেষ্ট মানসিক চাপ তৈরি করে। আর এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অবশ্য এজন্য চিন্তার কিছু নেই। কারণ সঠিক উপায় অবলম্বন করলে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
যাদের সমস্যাটি বেশি হয়
বহু পুরুষেরই এ সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত বয়স্ক পুরুষের এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে যে কোনো বয়সের পুরুষেরই এ সমস্যা হতে পারে।
বীর্যপাত না হলেই এ ধারণা করা যাবে না যে, তিনি আপনার প্রতি আকৃষ্ট নন। একইভাবে তিনি যৌনতার জন্য অনুপযুক্ত, এমনটা ভাবারও কারণ নেই। কারণ সঠিক চিকিৎসায় বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব।
যেসব কারণে পুরুষের বীর্যপাত হয় না
বিভিন্ন কারণে পুরুষের বীর্যপাত নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে, সঠিকভাবে কারণটি নির্ণয় করে তার সমাধানের চেষ্টা করা।
সাধারণ যে কারণগুলোতে বীর্যপাত নাও হতে পারে সেগুলো হলো- অ্যালকোহল আসক্তি, ডায়াবেটিস বা এ ধরনের রোগ, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সার্জারি, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, নার্ভাসনেস ইত্যাদি।
বীর্যপাতহীনতা সমস্যার সমাধান
এগুলোর মধ্যে অ্যালকোহল আসক্তি বা অন্য কোনো নেশা গ্রহণের প্রবণতা থাকলে তা বাদ দিলে উপকার হবে। ডায়াবেটিস ও এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সমস্যা দূর হবে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে এমনটা হলে মানসিক চাপ দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম ও চাপ মুক্ত থাকার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্বেগজনিত সমস্যা ও বিষণ্ণতা থাকলে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেক পুরুষেই তাদের সঙ্গী গর্ভবতী হয়ে পড়েন কি না, এ চিন্তায় সঠিকভাবে বীর্যপাত করতে পারেন না। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরোধক ব্যবস্থা কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে তাকে আশ্বস্ত করলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।
এছাড়া যৌনতার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় এবং আরামদায়ক স্থানে যৌনতার জন্য আগ্রহী হতে হয়। মানসিক চাপ, বাড়তি পরিশ্রম, পুষ্টিকর খাবারের অভাব ইত্যাদি সমস্যাগুলো দূর করলেও এ সমস্যা চলে যায়। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ সেবনেও এ সমস্যা দূর করা যায়।
অনেকেই সঠিকভাবে কারণ নির্ণয় করতে না পারায় নিজে থেকে এ সমস্যা সমাধান করতে পারেন না। আপনার সঙ্গীর সমস্যা যদি সমাধান করতে না পারেন তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।