'নিতম্ব' বিষয়ে বিশেষজ্ঞের ৯ টিপস

বিশেষজ্ঞদের কাছে নারীরা বিশেষ বিশেষ অঙ্গের যত্ন বিষয়েই জানতে চান। এক হিসাবে বলা হয়, অধিকাংশই তার যৌনাঙ্গে যত্ন নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু গোটা দেহের যত্ন বিষয়ে জানার সময় হয়েছে। এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর এবং কোলরেক্টাল সার্জন অ্যালেক্সিস গ্রুসেলা জানান, নারীদের মলাশয়, গুহ্যদ্বার ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, #নিতম্ব বিষয়ে প্রত্যেকেরই এই ধারণাগুলো থাকা দরকার। নিতম্বের অন্তত ৯টি লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান বিশেষজ্ঞরা।

১. ওয়াক্স করবেন না : অনেক নারী নিতম্বে
বিকিনি ওয়াক্সিং করেন। মলদ্বারের চারদিকে ওয়াক্স করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এটি খুবই স্পর্শকাতর অঞ্চল। এখানে যে লোম রয়েছে তা সেখানেই থাকতে দেওয়া উচিত।

২. টয়লেটে কোনো কাজ নয় : অনেক মানুষ কমোডে বসে কাজ করতে থাকেন। স্মার্টফোন বা পড়া বা অন্যান্য কাজ করার বদভ্যাস গড়ে তুলেছেন অনেকে। এখানে এসব কাজ করতে যাবেন না। অযথা বেশি সময় নিয়ে টয়লেটে বসে থাকলে হেমোরয়েড বা অর্শ্বরোগের সম্ভাবনা থাকে।

৩. গরম পানিতে ধোয়া : নিতম্ব উষ্ণ পানিতে ধোয়া উচিত। কোনো স্কার্ব দিয়ে ঘষবেন না। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহারের কোনো দরকার নেই। এসব করলে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪. ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারই বন্ধু : মলের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর হতে বাধা দেয় খাবারের ফাইবার। মলকে পানিপূর্ণ রাখে এটি। ফলে হেমোরয়েড বা প্রদাহের মতো সমস্যা হবে না। ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রতিদিন ২৫ গ্রাম শস্য, ফল, সবজি, শীম ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত।

৫. গর্ভধারণে পরিবর্তন আসে : প্রত্যেক মানুষের নিতম্বের আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য আলাদা। নারীদের বিশেষ করে সন্তান হওয়ার পর নিতম্বের ত্বক বদলে যায়। হেমোরয়েডের সম্ভাবনা আছে। সন্তান হওয়ার পর এ অংশের অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই সচেতন হতে হবে।

৬. মেলানোমা হতে পারে : সূর্যের তীব্র রশ্মিতে না গিয়েও মেলানোমায় আক্রান্ত হতে পারেন। এটা ত্বকের এক বিশেষ ক্যান্সার। সাধারণত মলাশয়ে হয়।

৭. ব্যথা ও রক্তপাত স্বাভাবিক নয় : অনেকের মলদ্বার থেকে রক্তপাত হয়। ব্যথাও করে অনেক। এটা কোনো স্বাভাবিক অবস্থা নয়। এটা অর্শ্বরোগের চেয়ে মারাত্মক অবস্থা হতে পারে। এ ছাড়া মলের সঙ্গে রক্ত আসলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

৮. কোলনোস্কপি : প্রত্যেক মানুষের ৫০ বছর বয়সে একবার কোলনোস্কপি করা উচিত। কোলন ও রেক্টামে সমস্যা থাকলে তা চিহ্নিত হবে। এ ছাড়া বংশগতভাবে কোলন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে এ কাজটি করা জরুরি।

৯. পরিবর্তন খেয়াল করুন : সময় থাকতে কোলন এবং রেক্টাল ক্যান্সার ধরা পড়লে তা নিরাময় সম্ভব। তাই নিতম্ব অংশে কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটলেই তা খেয়াল করুন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

No comments:

Post a Comment