লিঙ্গ বা পেনিসের মাপ কিভাবে নিতে হয় এবং পেনিসের কোন সাইজ স্বাভাবিক?
আপনার পেনিস বড় না ছোট তা ধরে নেবার আগে মাপ নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।পেনিস এর গোঁড়া থেকে এর অগ্রভাগ পর্যন্ত উত্থিত (দাঁড়ানো/খাঁড়া) অবস্থায় পেনিসের যে সাইজ বা আকার, সেটাই পেনিসের সঠিক মাপ।
আপনার পেনিস বড় না ছোট তা ধরে নেবার আগে মাপ নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।পেনিস এর গোঁড়া থেকে এর অগ্রভাগ পর্যন্ত উত্থিত (দাঁড়ানো/খাঁড়া) অবস্থায় পেনিসের যে সাইজ বা আকার, সেটাই পেনিসের সঠিক মাপ।
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের পুরুষদের পেনিস বা লিঙ্গ বড় করার মতো চিকিৎসার উপায় পশ্চিমা বিশ্বের মত নয়। হাতুরি ডাক্তার আর অযৌক্তিক টিপসের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে বর্তমান প্রজন্ম ধরেই নিয়েছে যে, ছোট পেনিস বড় করা যায়! আসলে এই তথ্যটি কখনোই সঠিক ছিলো না, এখনো নয়। কারণ স্বাভাবিক পেনিসের আকৃতি পরিবর্তন করা একেবারেই অসম্ভব। তাই ছোট পেনিস ওয়ালাদের মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে যে যৌন তৃপ্তির জন্য লিঙ্গ বা পেনিস বড় করার আকাঙ্খা জাগে, সেই যৌন তৃপ্তি একটু কৌশল অবলম্বন করেই পরিপূর্ণভাবে পাওয়া সম্ভব।
মানুষের শারীরিক গঠন ও আকৃতি- আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর নির্ভর করে। তেমনি সেক্স
বা যৌনতা, লিঙ্গ বা পেনিসও এসবের উপর নির্ভরশীল। ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষের শারীরিক গঠন অনুযায়ী উত্থিত অবস্থায়, পেনিস পাঁচ ইঞ্ছি থেকে ছয় ইঞ্ছি হয়ে থাকে।
খুব অল্প সংখ্যক মানুষের পেনিস ইনলার্জমেন্ট বা লিঙ্গ বড় করার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত উত্থিত অবস্থায় ৩ ইঞ্ছির কম আকৃতির পেনিসকে মাইক্রো-পেনিস ডিস-অর্ডার বলা যেতে পারে। তবে প্রতি ১০০০ পুরুষ মানুষের মধ্যে মাত্র ছয় জনের এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অন্য কারো জন্যই সাধারনত পেনিস ইনলার্জমেন্ট-এর প্রয়োজন হয় না।
বাজারে প্রচলিত পেনিস ইনলার্জমেন্ট বা বড় করার যেসব পদ্ধতি আছে; তা কখনোই প্রমাণিত সত্য নয়। এসব পদ্ধতি হলো প্রচলিত প্রতারণা। এই সম্পর্কে যখন আমরা খুঁজতে গেলাম যে, পেনিস ইনলার্জমেন্ট পদ্ধতির পেছনে বিজ্ঞানভিত্তিক ও ধর্মীয় কোন চিকিৎসার প্রমাণ বা ব্যাখ্যা আছে কিনা? এমন কোন একটা বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণিত উৎস খুঁজে পাওয়া যায়না না, যে পদ্ধতিটা কার্যকরী নিরাপদ পদ্ধতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, অপরীক্ষিত ও অসমর্থিত তথ্য-উপাত্ত, মিথ্যা ডাক্তারি চিকিৎসা, মালিষ, হালুয়া, হার্বাল ইত্যাদি। যদি পেনিস বড় করার এমন কোন পদ্ধতি থাকত, তাহলে আমরা তা জেনে যেতাম- যেমনটা জানি ভায়াগ্রা ক্ষতিকর হলেও পেনিস বা লিঙ্গোত্থানে সাহায্য করে।
বাজারে প্রচলিত পেনিস ইনলার্জমেন্ট বা লিঙ্গ বড় করার দাবি নিয়ে সাধারন পিল, লোসন, ক্রিম, জেল, হালুয়া, তেল ইত্যাদি বিক্রি করা হয়। সাধারনত এরা প্রচারণা করে থাকে যে, এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক নির্যাষ, ভিটামিন, মিনারেল, হরমন ইত্যাদি ইত্যাদি যা পেনিস এর আকার বড় করে। তাদের চটকাদার বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার মায়াজালে পড়ে আমাদের বিশ্বাস করে নিতে হয় যে, তারা যা বলছে তাই সত্যি! কারণ আমরা আমাদের পেনিসের আকার যে কোন মূল্যে বড় করতে চাই। তাই যে যা বলে তাই সহজমনে বিশ্বাস করি।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় এইসব চিকিৎসা বা পণ্য সমূহের মধ্যে ক্ষতিকর লেড, কীটনাশক, বিভিন্ন প্রাণীর মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন যন্ত্র; যেমন- ভ্যাকুয়াম পাম্প, পেনিস স্ট্রেচার, রিং ইত্যাদির বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপনে ভ্যাকুয়াম পাম্প বাতাস টেনে নিয়ে পেনিসের ভেতর রক্ত ধরে রেখে পেনিসের সাইজ অতি সহজেই বড় করে! প্রকৃতপক্ষে এসবের কোন গবেষণালব্ধ যুক্তি নেই। অনেক সময় মানুষ এটা ব্যবহার করে, রক্ত নালি ছিড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে পেনিস স্থায়ীভাবে আর কখনো উত্থিত হয় না। তদ্রুপ পেনিস স্ট্রেচারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্যায়াম; যেমন- গরুর দুধ দোয়ানোর মত করে অনেকে শিথিল পেনিসকে বড় করার চেষ্টা করেন। অনেক ওয়েবসাইটে এই পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। তবে এমন কোন প্রমান নেই যে, এই ধরনের ব্যায়াম কোন কাজে আসে।
তবে যাদের কেবল মাইক্রো-পেনিসের (উত্থিত অবস্থায় ৩ ইঞ্ছির কম) সমস্যা রয়েছে, কোন দুর্ঘটনার কারনে অথবা কোন রূপ অসামঞ্জস্যতা রয়েছে; তাদের ক্ষেত্রে সার্জারি করে সামান্য উপকার হতে পারে। কিন্তু তাতেও পেনিসের আকার খুব যে বেড়ে যাবে তা কিন্তু নয়। আবার এইসব সার্জারির কারনে স্বাভাবিক যৌন জীবন ব্যহত হয়। তাছাড়া সার্জারী করাতে খরচও প্রচুর এবং ঝামেলাও অনেক।
তাই, পেনিসের আকার নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে স্বাভাবিক ভাবে যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা ভাল। আর মনে রাখতে হবে, আনন্দদায়ক যৌন জীবন লিঙ্গের আকারের উপন নির্ভর করে না। কারণ যৌন তৃপ্তি নির্ভর করে যৌনক্রিয়ার পারদর্শীতার উপর।
No comments:
Post a Comment