হস্তমৈথুন বা সমেহন যা হ্যান্ডেলিং নামেই বর্তমান প্রজন্মের মাঝে বেশি পরিচিত। এই হস্তমৈথুন নিয়ে প্রেসক্রিপশন চিকিৎসা এবং বিজ্ঞানে এমনকি ধর্মীয়ভাবেও নানান মত প্রচলিত। এটা করা যাবে কি করা যাবে না; তা নিয়ে মতের অভাব নেই। তবে এ কথা সত্য যে, আজ পর্যন্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিকের কথাই বেশি জানা ও শোনা গেছে কিন্তু এর কোন ভালো দিক আছে বলে প্রমাণিত নয়। তাই বলা যায় যে, হস্তমৈথুন একটা চরম বদঅভ্যাস। এটি পুরুষদের পুরুষত্বহীনতার পথে ঠেলে দেয়। নর-নারীর দাম্পত্য ও যৌন জীবনকে অসুখী করে তোলে।
পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনে ডাক্তার থেকে শুরু করে ধর্মের দোহাই দিয়েও হস্তমৈথুনের পক্ষে সাফাই গাওয়া হচ্ছে। যা একদম ভিত্তিহীন ও অবান্তর। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্মই মানব জাতির ক্ষতি চায় না। হস্তমৈথুনে একদিকে বীর্যের অপচয় হচ্ছে অপর দিকে অবিবাহিত জীবনেই যৌনতার সুপ্ত বাসনাকে অবৈধভাবে জাগিয়ে তোলার ব্যবস্থা করা ও যৌন জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ডাক্তাররা তাদের ডাক্তারী ব্যবসাকে
চাঙ্গা করতেই হস্তমৈথুনের পক্ষালম্বন করছে। অথচ অনেক অসহায় ভাই ও বোনের কাছ থেকে প্রতিদিনই 'যৌন সেবা' নামক ব্লগে অভিযোগ আসছে যে, হস্তমৈথুন করার ফলে সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে, হস্তমৈথুন করার ফলে লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়েছে, বীর্য পানির মতো তরল হয়েছে, হস্তমৈথুনের অভ্যাস থেকে বাঁচতে চাই, কিভাবে হস্তমৈথুন করার নেশা বন্ধ করা যায়! ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। কিভাবে হস্তমৈথুনের অভ্যাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়???
প্রথমেই চেষ্টা করবেন যে, যখনই হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা হবে তখনি এমন কিছু করবেন যেন মন অন্যদিকে চলে যায়। যেমন- বই পড়া, বাইরে বের হওয়া, কোন কাজে মনোযোগ বাড়ানো, ব্যায়াম করা ইত্যাদি।
নিজের মধ্যে ভালো অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন। যেমন- ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা ইত্যাদি। ধর্মীয় দিক থেকে নামাজ হচ্ছে হস্তমৈথুন থেকে বিড়ত রাখার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় বই নিয়মিত পড়তে হবে।
পর্ণগ্রাফিক সিনেমা বা যৌন উত্তেজনা বাড়ায় এমন ভিডিও দেখবেন না।
অনলাইন এবং অফলাইনে যৌন উত্তেজক পোস্ট, বই, ছবি ইত্যাদি দেখা থেকে বিড়ত থাকতে হবে।
সবসময় রূমের দরজা খোলা রাখবেন, একা একা থাকবেন না।
ঘুমানো ছাড়া কখনোই বিছানায় শুতে যাবেন না। ঘুমাতে গেলে চিৎ হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমাবেন। কখনোই উপুর হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন না।
প্রথমেই চেষ্টা করবেন যে, যখনই হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা হবে তখনি এমন কিছু করবেন যেন মন অন্যদিকে চলে যায়। যেমন- বই পড়া, বাইরে বের হওয়া, কোন কাজে মনোযোগ বাড়ানো, ব্যায়াম করা ইত্যাদি।
নিজের মধ্যে ভালো অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন। যেমন- ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা ইত্যাদি। ধর্মীয় দিক থেকে নামাজ হচ্ছে হস্তমৈথুন থেকে বিড়ত রাখার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় বই নিয়মিত পড়তে হবে।
পর্ণগ্রাফিক সিনেমা বা যৌন উত্তেজনা বাড়ায় এমন ভিডিও দেখবেন না।
অনলাইন এবং অফলাইনে যৌন উত্তেজক পোস্ট, বই, ছবি ইত্যাদি দেখা থেকে বিড়ত থাকতে হবে।
সবসময় রূমের দরজা খোলা রাখবেন, একা একা থাকবেন না।
ঘুমানো ছাড়া কখনোই বিছানায় শুতে যাবেন না। ঘুমাতে গেলে চিৎ হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমাবেন। কখনোই উপুর হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন না।
মনে রাখবেন, হস্তমৈথুন একটি নেশা বা আসক্তি। এ থেকে হঠাৎ মুক্তি পাওয়া যাবেনা। এজন্য ধৈর্য হারাবেন না। আস্তে আস্তে কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে ২ বার। তারপর সপ্তাহে ১ বার। পরিশেষে বছরে ১ বারও না।
একা থাকার চেষ্টা কম করুন। যদি থাকতে হয়, তবে মনের মধ্যে কখনোই খারাপ চিন্তাকে ভুল করেও প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
একা থাকার চেষ্টা কম করুন। যদি থাকতে হয়, তবে মনের মধ্যে কখনোই খারাপ চিন্তাকে ভুল করেও প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
হস্তমৈথুনের ক্ষতির কথা অর্থাৎ বিবাহিত জীবনে যৌন মিলনের প্রতিবন্ধকতা চিন্তা করে এটা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। আশা করি ফল পাবেন।
মনে রাখবেন, হস্তমৈথুন একটা খারাপ অভ্যাস। তাই এটি ছাড়ার জন্য আপনাকে কঠোর হতে হবে এবং ধৈর্যধারণ করতে হবে। এটা অবশ্যই ছাড়তে হবে; এমন মনোভাব থাকতে হবেই। হস্তমৈথুন করলে এটা আসক্তিতে পরিণত হয়; যা পরবর্তীতে বিভিন্ন যৌন সমস্যার সৃষ্টি করে। তাছাড়া দ্রুত বীর্যপাত, যৌনাঙ্গ উত্তেজিত না হওয়া, বীর্য পাতলা হওয়া, শারীরিক দূর্বলতা বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি সমস্যাতো আছেই।
No comments:
Post a Comment