সেক্স বা যৌন মিলনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। তথাপি এখনও যৌনতা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালনকারী একটি সমাজ গঠনে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কারণ, এখনো অনেক মানুষই যৌন মিলনকে শুধু ভোগের বস্তু মনে করে!
তাছাড়া নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কেও সবার জানা নেই। আর পর্ন দেখলে সব সময়ই সেক্স আসক্তি তৈরি হবে এটাই সত্য। তবে বিভিন্ন উপায়ে যৌনতা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম।
তাছাড়া নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কেও সবার জানা নেই। আর পর্ন দেখলে সব সময়ই সেক্স আসক্তি তৈরি হবে এটাই সত্য। তবে বিভিন্ন উপায়ে যৌনতা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম।
কারোরই যেমন কখনো যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য মানসিক চাপ বোধ করা ঠিক নয়। তেমনি এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যৌনতায় লিপ্ত হয়ে অপরাধবোধে ভোগাও উচিত নয়। অনেকের জন্য নিত্যনতুন যৌনতার উদঘাটন করা সম্পূর্ণই গ্রহণযোগ্য একটি বিষয় হতে পারে। কারণ, এটি আনন্দময় এবং সেই সাথে সৃজনশীলতাকে বিকশিত করে থাকে। যৌনতা, উত্তেজনা এবং চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি কীভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে তার উপায়গুলো
১. যে নারীরা প্রায়ই যৌন মিলন করেন তাদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আর্কাইভ অফ সেক্সুয়াল বিহেভিওর এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা যতবেশি যৌন মিলন করেন ততই তারা কোনো শব্দ মুখস্থ করার ক্ষেত্রে ভালো পারফর্মেন্স করেন। গবেষকরা মনে করেন, যৌনতা নারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস এর কোষ বৃদ্ধিতে উদ্দীপনা যোগায়। মস্তিষ্কের এই এলাকাটি স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ করে।
২. যৌনতা রক্তচাপ ঠিক রাখার জন্য ভালো। ৫৭ থেকে ৮৫ বছর বয়সে যৌনতায় সক্রিয় নারীরা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন না। জার্নাল অফ হেলথ অ্যান্ড সোশাল বিহেভিওর এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি ট্রোজান এবং সেক্স ইনফরমেশন এবং এডুকেশন কাউন্সিল অফ কানাডার জরিপ মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌনতা আরো রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।
৩. যৌনতা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে। তবে অপ্রত্যাশিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত যৌনতা প্রায়ই কমবয়সী নারীদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দ্বারায়। সোশাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পার্সোনালিটি সায়েন্স এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব কলেজ শিক্ষার্থী এ ধরনের যৌন মিলন উপভোগ করেন তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি বটে! কিন্তু তারা যদি তা পছন্দ না করে তাহলে যৌনতা উপভোগ করাটা উপকারী হবে না। এর মানে হলো আপনাকে আপনার আকাঙ্ক্ষাগুলোর ব্যাপারে সৎ হতে হবে।
৪. যৌনতা সার্বিক শারীরিক সুস্থতার সহায়ক হতে পারে। অ্যাডাম অ্যান্ড ইভ এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রীড়াবিদরা যত বেশি যৌন মিলন করেছে ততই তারা শক্তি, তৎপরতা এবং গতি প্রদর্শন করেছে। পাশাপাশি ফ্রন্টিয়ার্স সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ঠিক আগে যৌন মিলন করলে হয় কোনো প্রভাব পড়ে না আর নয়ত শারীরিক সুস্থতা জোরদার হয়। যা বড় কোনো খেলার আগে যৌনতার প্রভাব সম্পর্কিত জনপ্রিয় চিন্তাগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীত।
৫. সম্ভবত এটা কোনো বিস্ময়ের বিষয় নয় যে, যৌন আনন্দ আনন্দময় অনুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিনের গবেষণা মতে, চুড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি ডোপামিন এবং অক্সিটোসিন এর মতো হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। কিন্তু এই উপকারিতাগুলোর অভিজ্ঞতা লাভের জন্য চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি লাভেরও কোনো দরকার নেই। বরং শুধু যৌন উত্তেজনা সৃষ্টির ফলেই এই হরমোনগুলো নিঃসরিত হয়। একই রাসায়নিকগুলো মাংসপেশির খিঁচুনি লাঘবেও সহায়ক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment