শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য নয়, স্তন্যদান মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। সন্তান প্রসবের পর মায়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়, স্তন্যদান করলে তা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া, শরীরিক গঠন ঠিক রাখা, শরীর সুস্থ রাখা, সঠিক হরমোন পরিবর্তন ও ঘুমে সহযোগিতা-সহ নানা উপকারীতার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড. নন্দিতা পালসেটকর বলেন, 'মায়ের বুকের দুধ যে বাচ্চাদের জন্য কতটা জরুরি, তা আমরা অল্পবিস্তর সকলই জানি। কিন্তু এটা অনেকেই জানেন না, যে কেবল বাচ্চা নয়, মায়েদের জন্যও স্তন্যপান করানো ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। অন্ততপক্ষে প্রসবের পর মায়ের শারীরিক গঠন ঠিক রাখতে এবং আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে স্তন্যদান অত্যন্ত জরুরি।'
এছাড়া, এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
মাতৃত্বকালীন সময়ে অনেকেই দুর্বল হয়ে যান। হরমোনের পরিবর্তন তার একটা বড় কারণ। তাছাড়াও রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, বারবার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো, এসবের কারণেও মায়েরা ক্লান্তি অনুভব করেন। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা, স্তন্যদান-এর পরামর্শ দিচ্ছে সদ্য সন্তান প্রসব করা মায়েদের।
কিছু খাবার আছে, যা খেলে বুকের দুধের মান বাড়তে পারে প্রাকৃতিক উপায়েঃ
কালোজিরা বা ব্লাক কিউমিন: বলা হয় মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের মহৌষধ হচ্ছে কালোজিরা। এতে সব ধরণের ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে কালোজিরার বিকল্প নেই।
মেথি বা ফেনুগ্রিক: পরীক্ষা বলছে, মেথির বীজে রয়েছে গ্যাল্যাকটোগোগেস। এই রাসায়নিক উপাদান দুধের পরিমাণ বাড়ায়। সেই কারণে চিকিৎসকেরা নতুন মায়েদের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলে মেথি।
মৌরি: মেথির মতো মৌরিও ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মৌরি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়বে।
রসুন বা গার্লিক: প্রকৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ রসুন ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়ায়। দেখা গেছে, যেসব মা সন্তান জন্মানোর পর প্রতিদিন নিয়ম করে এক কোয়া রসুন খান, অনেকদিন পর্যন্ত স্তন্যপান করাতে পারেন।
জিরা বা কিউমিন: এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলত, অনেকবেশি পরিমাণ ব্রেস্ট মিল্ক তৈরিতে সাহায্য করে জিরা।
No comments:
Post a Comment