অনলাইনে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার ফলে পুরো পৃথিবী জুড়ে বহু মানুষের বিনোদনের খোরাক এখন পর্নোগ্রাফি। পর্ন সিনেমার অভিনেত্রীরা মেকআপ, লাইট ও ক্যামেরার সাহায্যে কৃত্রিম আচরণ ও সৌন্দর্য দিয়ে পূর্ণ করছেন মানুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা। তবে এই পর্নোগ্রাফি দিয়ে খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে একটি জীবন। পর্ন সিনেমার যৌন আচরণ আর বাস্তব জীবনের যৌন মিলনের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কিন্তু পর্নোগ্রাফির কৃত্রিম আচরণ, অনুকরণ করে যখন কেউ তা নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন ঠিক তখনি তাকে অসুখী হয়ে পড়তে হয় এবং ব্যর্থতার গ্লানি চলে আসে নিজের জীবনে, যার প্রভাব পড়ে মানুষটির ব্যক্তিগত যৌন জীবনে।
এ সম্পর্কে পর্ন স্টার লুসি বেই বলেন- ‘পর্নোগ্রাফিতে নিখুঁত যৌন মিলন দেখা গেলেও বাস্তব জীবনে সেই নিখুঁত যৌন মিলন খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। পর্নোগ্রাফির যৌনতা শুধুমাত্র কিছুক্ষণ দর্শকদের আনন্দ দেওয়া।’
এ দিকে পর্নোগ্রাফির অনুকরণ নিয়ে আরেক পর্ন তারকা রয়ান জেমস বলেন- ‘পর্দায় ভালো লাগার জন্যই পর্নোগ্রাফির যৌন আচরণগুলো নিখুঁত ভাবে দেখানো হয়। তবে এটা কখনই ব্যক্তিগত মিলনে সুখ এনে দেবে না। ব্যক্তিগত মিলনে সুখের জন্য প্রয়োজন সঙ্গী ও নিজের ভালোলাগাকে প্রাধান্য দেওয়া।’
নর-নারীর যৌনতা বিষয়ক পরিপূর্ণ ও তথ্যবহুল ব্লগ; ধর্মীয় ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে- যৌনতার নানান দিক, যৌন সমস্যার সমাধান, সফলতার একগুচ্ছ কার্যকর টিপস... JounoSeba
পর্নোগ্রাফি যেভাবে জীবন নষ্ট করে
বয়স অনুযায়ী ক'বার SEX করলে সুস্থ থাকবেন আজীবন
মানুষের জীবনে এই যুগে পরিবর্তন এসেছে বিস্তর। প্রভাব পড়ছে মানুষের যৌনজীবনেও। অথচ সুস্থ জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি সুস্থ যৌনজীবনও। দীর্ঘ গবেষণার পর কোন বয়সে কত বার যৌনমিলন করা উচিত, তাঁ বাতলে দিলেন বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১হাজার ১৭০ জনের সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির দ্য কিনসে ইনস্টিটিউটের গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, ৩০ বছরের নীচে বয়সিদের সাধারণত দিনে দুবার সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত। মানে বছরে ১২২ বার।
৩০-৩৯ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স তাঁরা খানিকটা কম সেক্স করেন। ১.৬ বার প্রতি সপ্তাহে। মানে বছরে ৮৬ বার।
যাঁদের বয়স ৪০-৪৯ বছরের মধ্যে, তাঁরা সবচেয়ে কম যৌনতায় লিপ্ত হন। ১৮-২৯ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁদের অর্ধেক।
গবেষক জাস্টিন লেহমিলার একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, যৌন মিলনের চাহিদা কেবল বয়সের কারণেই কমে যায় না। কমে যায় আবেগ কমে যাওয়ার কারণেও। যাঁরা নিজেদের সর্বদা বয়স্ক ভাবেন, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করেন, তাঁদের যৌনমিলনের হার সবচেয়ে কম। এরফলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।
'ওরাল সেক্স' যখন মৃত্যুর কারণ!
যৌনতা একটি আদিম এবং বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। মানুষ সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ। নানান সময়ের ইতিহাস এবং আদিম সভ্যতার বর্ণনাতে আমাদের কাছে পরিস্ফুট হয়েছে যৌনতার নানান অভ্যাস। 'ওরাল সেক্স', যৌনতায় কোনও নতুন শব্দ নয়, বরং যৌনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও বটে। 'কামসূত্র'র 'অপরিষতকা' নামক অধ্যায়ে এই বিষয়ে বিশদে ব্যাখ্যাও রয়েছে। সমীক্ষা বলছে, "মিশরীয়, গ্রীক, রোমান এবং ভারতীয়দের মধ্যে এই অভ্যাস বেশি মাত্রায় রয়েছে।" কিন্তু, এই যৌন অভ্যাস নাকি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
HIV ও অন্যান্য যৌন রোগের কারণ:
-সমীক্ষার মত, 'ওরাল সেক্সে'র ফলে অনেকাংশেই বাড়ে HIV ও অন্যান্য যৌন রোগের সম্ভাবনা। এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস। যার থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ। এই সংক্রমণ শুধু যৌনাঙ্গেই নয়, মুখে এমনকী রক্তেও ছড়াতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে অনেক সময়ই যৌনাঙ্গে আঘাত লাগারও ঝুঁকি থাকে।
-যৌনরোগ বিশেষজ্ঞদের অভিমত, HIV বা অন্য কোনও যৌনরোগ রয়েছে এমন ব্যক্তি তো বটেই, সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষেরও উচিত যতটা সম্ভব ওরাল সেক্সকে এড়িয়ে চলা। এমনকী স্তন থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
-সুস্থ যৌনজীবন ও সুস্থ শরীর বজায় রাখতে তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, "ওরাল সেক্স এড়িয়ে চলুন, সুস্থ থাকুন।"
পুরুষের মধ্যে কন্ডোম ব্যবহারের সু-অভ্যাস বাড়ছে
ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০১৫, এই চার বছরে পুরুষদের মধ্যে কন্ডোম ব্যবহারের সু-অভ্যাস বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। ২০,০০০ মানুষের ওপর হওয়া একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৩৪ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, তারা শেষবার যৌন মিলনের সময় কন্ডোম ব্যবহার করেছে। যেখানে মাত্র ২৪ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, শেষবার যৌন সঙ্গমের সময় তারা কন্ডোম ব্যবহার করেছেন। ১৫-৪৪ বছর বয়সীদের ওপর হওয়া এই গবেষণাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে 'টাইম'।
মার্কিন মুলুকে দীর্ঘ দিন ধরেই কন্ডোম ব্যবহার নিয়ে নানান সময়ে বহু সংস্থা এবং প্রশাসন পরচার চালিয়েছে এবং এখনও প্রচার চালাচ্ছে। মূলত জন্মহার নিয়ন্ত্রণ এবং যৌন ব্যাধি থেকে রক্ষা, এই দুই কারণেই কন্ডোম ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন দেশ। 'টাইম' প্রতিবেদনের দাবি, সেই নিবিড় এবং জোরাল প্রচারেই এসেছে সাফল্য। আগের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে কন্ডোম ব্যবহারের অভ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
এই গবেষণা যাদের ওপর চালানো হয়েছে, তাদের কাছে এই প্রশ্নটাও, 'প্রত্যেক যৌন মিলনেই কি কন্ডোম ব্যাবহার করেন?' রেখেছিলেন গবেষকরা। উত্তরে ২০ শতাংশই জানিয়েছে, 'হ্যাঁ, প্রতিটি যৌন মিলনেই তারা কন্ডোম ব্যবহার করেন'। তবে বয়স যত বেড়েছে, কন্ডোমের ব্যবহার ততই কমেছে, একথাও উঠে এসেছে গবেষণায়। গবেষণালব্ধ এক তথ্যে এও জানা গিয়েছে, 'সম্পর্কে থাকা যুবক-যুবতীদের মধ্যে কন্ডোম ব্যবহারের অভ্যাস সবথেকে কম'।
নিয়মিত সেক্স করুন আর রোগব্যাধিমুক্ত থাকুন
নিয়মিত সেক্স শুধু শরীর-মনই তাজা থাকে না বরং দূরে থাকা যায় দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও। বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, নিয়মিত সেক্স শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রস্টেট ক্যানসার থেকে বাঁচতে পারেন পুরুষরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিইউটের গবেষকদের মতে, যেসব পুরুষরা নিয়মিত সেক্স করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য ক্যানসার শরীরে হানা দিতে পারে না। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
শুধু ক্যানসার নয়, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমে। চল্লিশ থেকে সত্তর বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের উপরে গবেষণা চালিয়েছেন নিউ ইংল্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। তাঁদের মতে, যারা সপ্তাহে দুবার সেক্স করেন, তাঁদের অর্ধেকের হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই। সেক্স প্রতি আধ ঘণ্টায় শক্তি খরচ হয় ৭০ থেকে ১০০ ক্যালোরি। শুধু তাই নয়, মহিলাদের সন্তান ধারণে ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
১০০ জন কলেজ পড়ুয়ার ওপরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত সেক্স করেন, অন্যদের চেয়ে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। সেক্সের আর একটা সুফল, ক্লান্তি আসে, ফলে ঘুম ভাল হয়। ভাল ঘুম মানে শরীর তরতাজা হয়ে ওঠে। উপশম হয় ব্যাথার। University of Munster -এর গবেষকরা ১০০০ জনের উপরে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। এই হাজার জনেরই মাথা যন্ত্রণার সমস্যা ছিল। কিন্তু নিয়মিত সেক্সের পর তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশের সমস্যা কেটে গিয়েছে। এছাড়াও পায়ে হাতের ব্যাথার উপশমও হয়।
কাজের চাপে অনেকেরই জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেক্স লাইফ। কিন্তু ভালবাসার মুহূর্তকে হারাতে দেবেন না, জীবনকে উপভোগ করুন। দূরে থাকুন রোগব্যাধি থেকে।
নারীদের পোস্ট মেনোপজাল সিন্ড্রোমে করণীয়
নারীদের প্রজননক্ষম বয়সটি গড় হিসাব ১৫ থেকে ৪৫। এই সময়ে তাঁদের নিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, তাঁরা সন্তান ধারণে সক্ষম থাকেন। ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে কিছুদিন অনিয়মিত হয়। তারপর একসময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে নারীদের শরীরে কিছু হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলোকে একসঙ্গে বলে পোস্ট মেনোপজাল সিন্ড্রোম। সংক্ষেপে পিএমএস (PMS)।
১৫-৪৫ বছর বয়সের ভেতরেও নারীরা পোস্ট মেনোপজাল সিন্ড্রোমে ভুগতে পারেন। যদি অপারেশন করে ডিম্বাশয় বা ডিম্বাশয়ের সঙ্গে জরায়ু ফেলে দেওয়া হয় বা ডিম্বাশয়ে সিস্ট হয় তাহলেও এই সমস্যা হতে পারে।
পোস্ট মেনোপজাল সিন্ড্রোম হলে কী কী উপসর্গ দেখা দেয়?
* হাত ও পায়ের তালু জ্বালা করা
* কান ও মাথার তালু দিয়ে গরম ভাপ বের হওয়া
* শরীরে অত্যধিক গরম অনুভূত হওয়া
* মেজাজ খিটখিটে হওয়া
* হতাশা বা ডিপ্রেশন
* ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস
* চামড়া কুঁচকে যাওয়া
* হাড়ের ক্ষয় হওয়া ও হাড়ে ব্যথা হওয়া
* যৌন শীতলতা অনুভব করা
* চুল পড়ে যাওয়া
* অতিরিক্ত লোম হওয়া ইত্যাদি।
ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া বা রজঃ নিবৃত্তির পর মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, ৪০-৬০ শতাংশ। প্রোজেস্টেরনের পরিমাণ প্রায় শূন্যে চলে আসে। এ দুটি হরমোনের ভারসাম্য নারীদেহের স্বাভাবিক সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। কিন্তু রজঃনিবৃত্তির পর এই ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে দেখা দেয় বিভিন্ন উপসর্গ।
সমাধান কী?
সমাধান হলো হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। কৃত্রিমভাবে ওষুধ হিসেবে হরমোনগুলো শরীরে নেওয়া যায়। নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অনেকখানিই ভালো থাকা সম্ভব। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যেমন : স্তন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার। তবে নির্দিষ্ট মেয়াদে চিকিৎসা নিলে এগুলো রোধ করা সম্ভব।
এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম, যোগ, মেডিটেশন, আনন্দদায়ক কাজে নিয়োজিত থাকলে ভালো থাকা সম্ভব। ডিপ্রেশন হলে সাইকোথেরাপি নেওয়া যেতে পারে।
ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল
রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় যা মনে রাখা উচিত
মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাতৃদুগ্ধ পান করানো বা ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময়টায় একটু সচেতনতা জরুরি। শিশু ও মা উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময় কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এসব সম্পূর্ণ ত্যাগ করাই সর্বোত্তম।
১. ধূমপান
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে গর্ভাবস্থায় ও ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময় এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এমনকি আপনার সঙ্গীর ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে সেটিও এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিন। কারণ, পরোক্ষ (সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং) ধূমপানের প্রভাবে শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. কিছু ওষুধ
ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময় ওষুধ সেবনে সচেতন হোন। যেকোনো ওষুধই এ সময় সেবন করবেন না। ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. লোশন
এ সময় যেকোনো বডি লোশন বা ক্রিম ব্যবহারে সচেতন হোন। এগুলো থেকে স্তন পানের সময় শিশুর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যেকোনো পণ্য ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. ডিওড্রেন্ট
অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ও ডিওড্রেন্ট ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময় এড়িয়ে চলুন। এর মধ্যে থাকা বিষাক্ত পদার্থ শরীরে থেকে গিয়ে স্তন পানের সময় শিশুর সমস্যা করতে পারে।
৫. অ্যালার্জি হয় এমন খাবার
কোনো খাবারের ব্যাপারে আপনার অ্যালার্জি থাকলে সেসব খাবার এই সময়টায় এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেইন ও বাদাম এ সময় পাকস্থলীতে সমস্যা করতে পারে এবং বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার বুঝে শুনে খান।
নিয়মিত সহবাসে দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় যেভাবে
সব নারীই চান তার সৌন্দর্য হবে সেরা৷ সে কারণেই কত কিছু না করেন তারা৷ ঘন্টার পর ঘন্টা বিউটি পার্লারে বসে বা ফেয়ারনেস ক্রিম মুখে ঘষে একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট৷ কিন্তু জানেন কি নিয়মিত যৌন মিলন বানাতে পারে আপনাকে তিলোত্তমা৷ ভাবছেন কিভাবে হবে এমন? আপনাদের জন্য রইল কিছু তথ্য৷
১. যৌন মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার আন্দোলন চলে যার ফলে শরীর শিথিল হয় ফলে কোনপ্রকার দাগ থাকলে যা নির্মূল হয়ে যায়৷
২. শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর৷ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়৷ সহবাসের সময় মহিলাদের শরীর থেকে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে৷ এর সাহায্যে চুল ও ত্বক ভাল থাকে৷
৩. যে সব মহিলারা সুস্থ সহবাস নিয়মিত করেন তাদের ঋতুকালীন সমস্যা কম হয়৷ সাধারণত মাসিক চলাকালীন মহিলাদের তলপেটে প্রবল ব্যথার প্রবণতা দেখা যায়৷ যৌন মিলন এই ধরণের ব্যথাকে কম করতে সাহায্য করে৷
৪. উত্তেজক সহবাস হৃদস্পন্দনের গতি বাড়ায় ফলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা একেবারে হয়না বললেই চলে৷
৫. নিয়মিত সেক্স মানসিক আবসাদ দুর করতেও সক্ষম৷ আর মানসিক অবসাদ দূর হলে সৌন্দর্য এমনই বাড়বে৷
৬. শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয় তার ফলে ওজনও কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের অতিরিক্ত মেদ কম হয় এবং মাংসপেশীতে আড়ষ্টভাব কম দেখা যায়৷
৭. যৌন মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ নিয়মিত সহবাসের ফলে যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত টিকে থাকে এবং এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে স্ফুর্তি অনুভুত হয়৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব ব্যাপক হারে দেখা যায়৷
৮. যৌনমিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷ বিভিন্ন সংক্রমনজনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়৷
বিয়ের রাতে যৌনমিলন কতটা সুখকর
এখন যদি কেউ আপনাকে বলে যে একটা অজানা, অচেনা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হবে আপনাকে৷ কী অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুন তো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনও মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের রাতে মিলিতও হতো তাঁরা৷
কিন্তু বর্তমানে সময় অনেক পালটে গিয়েছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ফাঁদ থেকে মেয়েরা আজ অনেকটাই মুক্ত৷ কিন্তু তবু আজও আমাদের এই সমাজেই অনেক উঁচু-নীচু জাতপাতের বাঁধাধরা ছক আছে যেখানে আজও মনে করা হয় যে, ১৮ বছর মানেই একটি মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে৷ ফলে দাও তাকে বাপের কাকার বয়সী একজনের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে৷ আর যদি পাত্র সরকারি চাকুরে হয় তবে তো কথাই নেই৷
কিন্ত এই সবকিছুর উর্ধ্বে যে কথাটা বলার জন্য এত ভনিতা৷ তা হল জানেন কী কতজন ভারতীর নবদম্পতি বিয়ের রাতেই মিলিত হন?
সমীক্ষা বলছে ৬৩ শতাংশ ভারতীয় দম্পতি যারা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেন তাঁরা বিয়ের রাতেই যৌন সংগমে লিপ্ত হন৷ কিন্তু অবাক হবেন এটা জেনে যে, সেই দম্পতিদের মধ্যে বেশির ভাগই বিয়ের আগে পরস্পরকে চেনেন না৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিয়ের মণ্ডপেই হয় প্রথম দেখা৷ তবে ‘বিয়ের প্রথম রাতেই ছক্কা হাঁকানো’ কী ভুল৷ সমীক্ষকরা বলছেন, সবার জন্য অবশ্যই ভুল নয়৷ তবে এটা ভুল হতে পারে দু’ধরনের মানুষদের জন্য,
১। যাদের সেক্স সম্পর্কে কোনও প্রকারের ধারনা নেই৷ আর
২। যারা বিপরীত দিকের মানুষটির কাছে বেশি কিছু এক্সপেক্ট করেন৷
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বিয়েকে কোনও মতেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়৷ কারণ এই প্রক্রিয়াতে আপনি কেবল শারীরিক ভাবেই কোনও একজনের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন না, মানসিক মিলনও ঘটছে৷ শরীর না একটা মাধ্যম মাত্র, যার সঙ্গে যোগ থাকে মনের৷
কৃত্রিম পেনিস তৈরি করলো গবেষকরা
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় বহু পুরুষকে তাদের পুরুষাঙ্গ হারাতে হয়। আর এ কারণে নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়।
সম্প্রতি বায়োনিক পুরুষাঙ্গ তৈরি করেছেন গবেষকরা। এটি যৌনতার অনুভূতিও দেবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
মূলত দুই ধরনের প্রস্থেটিক পেনিস পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ফোলানোর উপযোগী এবং অন্যটি ফোলানোর অনুপযোগী ডিভাইস।
ফোলানোর অনুপযোগী
যে কৃত্রিম পেনিস ডিভাইসগুলো ফোলানো যায় না সেগুলো এ ধরনের। এগুলোতে প্লাস্টিকের রড ও ইরেকশন চেম্বার থাকে। এগুলো যৌনতার সময় ম্যানুয়ালি সোজা করা যায়।
বীর্যপাতের সময় এগুলো সোজা করে রাখতে হয় এবং কাঙ্ক্ষিত স্থানে নিলেই হয়। তবে এ ধরনের পেনিস কখনোই সম্পূর্ণ ভাজ করা যাবে না। আর তাই এগুলো কিছুটা ফুলে থাকবে। আর এ কারণে হালকা পোশাক পরে এটি ব্যবহার করা কঠিন।
ফোলানোর উপযোগী
অন্য এক ধরনের কৃত্রিম পেনিস পাওয়া যায় যা ফুলানোর মাধ্যমে সঠিক আকারে আনা হয়। এর ভেতর প্লাস্টিক রডের বদলে ফোলানোর উপযোগী প্লাস্টিক সিলিন্ডারের উপস্থিতি থাকে। আর এটি পাম্পের সহায়তায় ফুলিয়ে নেওয়া যায়। এটি চালানোর জন্য পেটে পানির একটি চেম্বার থাকে। সেখান থেকে পেনিসটিতে পানি পাম্প করা হয় প্রয়োজনের সময়। যৌনতার কাজ শেষে এর পাম্পটি আবার পানি ফিরিয়ে নেয়। এতে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে।
কেন এ ধরনের পেনিস প্রয়োজনীয়
বহু মানুষই পেনিস ইমপ্ল্যান্ট করতে চান। কিন্তু এগুলোতে বীর্যপাতজনিত সমস্যা দূর হয় না। আর এ ধরনের কৃত্রিম পেনিসে বীর্যপাত হওয়া সহজ। এমনকি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, পেলভিক ট্রমা, প্রস্টেট ক্যান্সার ইত্যাদি সমস্যাতেও এ পেনিস কাজ করে।
কী কারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ
বিভিন্ন কারণে মানুষ এ ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ ব্যবহার করে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা দপ্তর জানিয়েছে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের প্রায় অর্ধেক বীর্যপাতজনিত সমস্যায় ভোগেন। আর এটি এ ধরনের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। যৌন সমস্যাটি শারীরিক কিংবা মানসিক যাই হোক না কেন, এটি দূর করতে পারে কৃত্রিম পেনিস।
বুকের দুধ বাড়ানোর উপায়
শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য নয়, স্তন্যদান মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। সন্তান প্রসবের পর মায়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়, স্তন্যদান করলে তা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া, শরীরিক গঠন ঠিক রাখা, শরীর সুস্থ রাখা, সঠিক হরমোন পরিবর্তন ও ঘুমে সহযোগিতা-সহ নানা উপকারীতার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাতৃত্বকালীন সময়ে অনেকেই দুর্বল হয়ে যান। হরমোনের পরিবর্তন তার একটা বড় কারণ। তাছাড়াও রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, বারবার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো, এসবের কারণেও মায়েরা ক্লান্তি অনুভব করেন। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা, স্তন্যদান-এর পরামর্শ দিচ্ছে সদ্য সন্তান প্রসব করা মায়েদের।
কিছু খাবার আছে, যা খেলে বুকের দুধের মান বাড়তে পারে প্রাকৃতিক উপায়েঃ
কালোজিরা বা ব্লাক কিউমিন: বলা হয় মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের মহৌষধ হচ্ছে কালোজিরা। এতে সব ধরণের ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে কালোজিরার বিকল্প নেই।
মেথি বা ফেনুগ্রিক: পরীক্ষা বলছে, মেথির বীজে রয়েছে গ্যাল্যাকটোগোগেস। এই রাসায়নিক উপাদান দুধের পরিমাণ বাড়ায়। সেই কারণে চিকিৎসকেরা নতুন মায়েদের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলে মেথি।
মৌরি: মেথির মতো মৌরিও ব্রেস্ট মিল্কের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মৌরি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়বে।
রসুন বা গার্লিক: প্রকৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ রসুন ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়ায়। দেখা গেছে, যেসব মা সন্তান জন্মানোর পর প্রতিদিন নিয়ম করে এক কোয়া রসুন খান, অনেকদিন পর্যন্ত স্তন্যপান করাতে পারেন।
জিরা বা কিউমিন: এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলত, অনেকবেশি পরিমাণ ব্রেস্ট মিল্ক তৈরিতে সাহায্য করে জিরা।
ড. নন্দিতা পালসেটকর বলেন, 'মায়ের বুকের দুধ যে বাচ্চাদের জন্য কতটা জরুরি, তা আমরা অল্পবিস্তর সকলই জানি। কিন্তু এটা অনেকেই জানেন না, যে কেবল বাচ্চা নয়, মায়েদের জন্যও স্তন্যপান করানো ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। অন্ততপক্ষে প্রসবের পর মায়ের শারীরিক গঠন ঠিক রাখতে এবং আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে স্তন্যদান অত্যন্ত জরুরি।'
এছাড়া, এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
কালোজিরা সর্বরোগের মহৌষধ
রোগ প্রতিরোধ বা স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে অতি প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরা প্রচুর পরিমানে ব্যবহার হচ্ছে এবং এর উপকারীতা বা গুণাবলীও অনেক। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা খুব উপকারী। কালোজিরাকে খাবার না বলে পথ্যই বলা
স্তনের সৌন্দর্যে আগ্রহ হারাচ্ছেন পুরুষরা!
নারীর সৌন্দর্যে তাঁর ব্যক্তিত্বে। আর শরীরী আবেদনের প্রথম প্রকাশ স্তনের সৌন্দর্যে। পুরুষের মন বরাবার তাই এ সৌন্দর্যে আটকে থেকেছে। কখনও তা দৃষ্টিকটূও হয়েছে বটে। কিন্তু পুরুষের দৃষ্টি যে নারীর স্তন থেকে হটেছে এমনটা ছিল না। অন্তত এই আগের প্রজন্মও পর্যন্ত এ কথা বলা যেত। কিন্তু এখন আর তেমনটা বলা যাচ্ছে না। বরং নারীর স্তনের সৌন্দর্যের প্রতি ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছে পুরুষরা। পর্নহাব-এর এক সমীক্ষা অন্তত সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
ডেসমন্ড মরিস সাহেবের তত্ত্ব বলে, পুরুষ ও নারীর যৌনতায় কেন স্তনের এতখানি গুরুত্ব। সেই চারপেয়ে থেকে দু’পেয়ে হওয়ার অভিযোজনকালে, নিতম্বের রেপ্লিকা হিসেবে এসেছে এই স্তন। ফলত সেদিন নিতম্বের পুরুষকে নারীর যৌন উদ্দীপনা সম্পর্কে যে বার্তা দিত, পরবর্তীকালে স্তন সেই ভূমিকা নিয়েছে। এ তো গেল বিজ্ঞানের কচকচি। স্তন তো শুধুমাত্র এই শুকনো তত্ত্বতেই সীমাবদ্ধ নেই। কালে কালে এ অঙ্গের উপর আরোপিত হয়েছে রোম্যান্স। ফ্যান্টাসির পরতে প্লাবিত পদাবলী। রুপোলি পর্দা ভেসে গিয়েছে লুকোচুরি খেলায়। সব মিলিয়ে নারীর সৌন্দর্য আর স্তন যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। অন্তত পুরুষের কাছে। ফলে এই সেদিনও নারীর স্তনের প্রতি দুর্নিবার আগ্রহ ছিল পুরুষের। যা নাকি ইদানিং কমেছে, এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা। পুরুষের পর্নগ্রাফি দেখার অভ্যাসে এটাকে প্যারাডাইম শিফটই বলা চলে। কেননা আগে যেখানে বেশিরভাগ পুরুষ ‘ব্রেস্ট’ বা ‘বুব’ লিখে সার্চ করতেন এই জনপ্রিয় পর্নগ্রাফিক সাইটে, এখন আর তা করেন না। এই সার্চের প্রবণতা কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। যাঁরা এখনও সার্চ করেন মোট সার্চের নিরিখে শতাংশের হিসেবে তাঁরা মোটে ১.৫ শতাংশ। অর্থাৎ স্বাভাবিক স্তনের সৌন্দর্যের প্রতি পুরুষের আগ্রহ কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও ‘বিগ ব্রেস্ট’ বা ‘বিগ বুবস’ বলে সার্চ এখনও হচ্ছে। সিলিকনের গোঁজামিল নয়, স্বাভাবিক গুরুস্তনের প্রতি ঝোঁক এখনও বজায়।
পর্নসাইটের এই সমীক্ষা সমাজের ব্যবহারিক বদলেরও একটা হদিশ দেয়। কেন এই খোঁজ কমল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেদিনও রক্ষণশীলতার একটা ঘেরাটোপ ছিল। এমনকী অনেক প্রগতিশীল সিনেমাও সরাসরি নগ্নতায় পৌঁছতে পারেনি। ফলে কৃত্রিম উপায় ধরতে হয়েছে। নায়িকাকে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে বা ঝর্ণার জলে স্নান করিযে স্তনের আভাস ফুটিয়ে তুলে ফ্যান্টাসির চাহিদা পূরণ করেছে রূপোলি পর্দা। কিন্তু সে সময় গিয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই মহিলারা অনেক বেশি খোলামেলা। নগ্নতা অনেক বেসি সহজলভ্য। এখন আর বক্ষ বিভাজিকার গভীর খাঁজ ততটাই ইশারাবাহী নয়, ততটাও হাতছানি দেয় না যতটা আগে ছিল। ফলে আগ্রহ খানিকটা কমেছে। এদিকে ব্রেস্টফিডিংয়ের ভিডিওর খোঁজ এই সাইটে নাকি তুমুল। ফলে নতুন প্রজন্মের মানসিক গতিবিধির একটা লেখচিত্রের হদিশ যেন মেলে এ সমীক্ষায়।