যৌন ক্ষমতা বৃ‌দ্ধির উপায়

যৌনতা‌কে ঘি‌রে নারী ও পুরু‌ষের আগ্রহ ব্যাপকভা‌বে প‌রিল‌ক্ষিত হয়। ত‌বে যৌনতায় য‌দি কোন রকম সমস্যা দেখা যায়, তখন তা আরও বে‌শি ক‌রে ভা‌বি‌য়ে তো‌লে। এ‌ ক্ষেত্রে পুরুষ‌দের সমস্যার কথাই জোড়া‌লো হয়ে দাঁড়ায়। বি‌ভিন্ন যৌন সমস্যার ম‌ধ্যে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া অন্যতম। যা নারী ও পুরুষ উভয়রই হ‌তে পা‌রে।

বি‌ভিন্ন কার‌ণে সেক্স পাওয়ার বা যৌন ক্ষমতা হ্রাস হ‌য়ে থা‌কে। য‌দি এরকম সমস্যা হ‌য়ে যায়, তাহ‌লে নি‌ম্নোক্ত উপায় সমূহ আপনার জন্যইঃ

১। কামশাস্ত্র অধ্যাপকরা বলেন, ধুতুরা, কালো মরিচ ও পিপুল সমপরিমাণ একত্রে গুঁড়া করবে। তাপর সমপরিমাণ মধুর সঙ্গে একত্রে মিশিয়ে মলম করবে। এই মলম লিঙ্গ মুণ্ডে লাগিয়ে পরে তাহা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। এখন এই পুরুষ যে নারীর সঙ্গে সহবা‌সে মি‌লিত হবে, সে নারী এই পুরুষ ব্যতীত অন্য কোন পুরুষকে পছন্দ করবে না। সহবাসও হ‌বে দীর্ঘস্থায়ী।
২। ঝঁড়ে প‌ড়ে যাওয়া গাছের তেজ পাতা, শবের মাথার পুড়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশ ও ময়ূরের অসি’ এক সঙ্গে বেঁটে গুঁড়া করবে। এই গুঁড়া যদি নারী পুরুষের পায়ে, কিংবা পুরুষ নারীর মাথায় মেখে দিতে পারে, তা হলে ঐ পুরুষ বা নারী অবশ্যই সে‌ক্সে বশীভূত হবে।
৩। যদি কোন স্ত্রী লোক শকুনের স্বাভাবিক মৃতদেহ সংগ্রহ করে শুকিয়ে গুড়ো করে নেয়। তারপর সেই গুঁড়ো মধুর সা‌থে মিশিয়ে সহবা‌সের পূর্বে গোপন অঙ্গে মর্দন করবে। কয়েক দিন এর রকম করলে বাঞ্ছিত পুরুষ অবশ্যই তার বশীভূত হবে। এতে প্রেম ভালবাসা সুদৃঢ় হবে।
৪। যদি কোন লোক সুনুহ (Cuphortra Nellifolia) গাছের শিকড় ও গন্ড (acacic catechu) গাছের পল্লব মিশিয়ে বিশুদ্ধ গন্ধক সহ Red Arsenic -এ সাত বার ডোবাবে ও সাত বার শুকোবে। তারপর ঐ গুড়ো মধুর সহিত মিশিয়ে প্রলেপ দেবে। ইহার পর সে যে নারীর সা‌থে  র‌তিকার্যে মি‌লিত হবে সে নারী চিরদিন এই পুরুষের অনুগত হয়ে থাকবে।
৫। কোনও শিংশপা (শিশু) গাছে একটি ফুটো করবে (যেখান থেকে পাতা গজিয়েছে এমন জায়গা)। শেষে ঐ ফুটাতে আম্রফলের আঁটির তেল কতকগুলি বচার (বচের) (Acorus calamus) খণ্ড দিয়ে ফুটো বন্ধ করে দিতে হবে। ছয় মাস পরে, ঐ দ্রব্যগুলি ফুটা খুলে বের করতে হবে। তারপর এ দিয়ে একটি মলম তৈরী করতে হবে। ঐ মলম যদি কোনও পুরুষ তার সম্পূর্ণ লিঙ্গে প্রলেপ লাগায়, তাহলে তা লিঙ্গ দেখতে সুন্দর হয় এবং সমস্ত নারীর মনাকর্ষণ করতে পারে।
৬। উদর্‌ কিডল (Phascolus Radiatus) তার ভূষি বাদ না দিয়ে, পরিষ্কার করে, ভেজে নেবে ও গরুর দু‌ধে তা সিদ্ধ করতে হয়। তারপর এটা অর্ধেক ঝোলে (soup) পরিণত করে তা মধু ও ঘিতে মিশ্রিত করতে হয়। কামসূত্ররূপী অধ্যাপকগণ বলেন, এটা ভোজন করলে পুরুষকে অ‌ধিক যৌন ক্ষমতাশালী করে তোলে।
৭। ভিদারি এবং স্বায়ংগুপ্তর শিকড় এক সঙ্গে গুঁড়া করে ময়দার সা‌থে মিশিয়ে চিনি, মধু ও ঘি‌য়ের সা‌থে মিশিয়ে লেচি তৈরি করতে হয়। এটা হতে পিষ্টক তৈরী করে খেতে হবে। মিশ্রন‌টি খেলে অ‌ধিকবার নারীর সা‌থে সেক্সকার্য করতে সক্ষম হয়।
৮। চাউল, চটক (চড়ুই পাখীর) ডি‌মের সা‌থে চটকে তারপর শুষ্ক করতে হবে। পরে দুধে সিদ্ধ করে পায়েসে পরিণত করতে হবে। এই পায়েস মধু এবং ঘি‌য়ের সা‌থে মিশিয়ে খেলে সে‌ক্সে যথেষ্ট শক্তি পাওয়া সম্ভব।
৯। সিসেমাম্‌ (sesamum) বীজের খোসা ছাড়িয়ে, চাতক পাখির ডিমের সা‌থে মিশ্রিত করতে হবে। পরে শুষ্ক করে নিতে হবে। তারপর শৃঙ্গাটক, কেসুর ও স্বয়ংগুপ্ত বীচির সহিত মিশ্রিত করে ময়দা বা আটায় মিশিয়ে দুধ এবং ঘি‌ দি‌য়ে সিদ্ধ করে স্যুপ (soup) তৈরী করতে হবে। মিশ্রন‌টি সেবন করলে বীর্য বৃ‌দ্ধি, কামশক্তি বৃ‌দ্ধি ও দীর্ঘ জীবন লাভ করে।
১১। শতভরি, (asparagus saaramantosus) এবং গোক্ষুর গাছের ছালের রস গুড়ের সা‌থে মিশ্রিত করে, পিপুল ও দারুচিনি গুঁড়া করে মেশাবে। গরুর দু‌ধে ও ভেড়ার ঘি দিয়ে সিদ্ধ করে চাটনী তৈরী করতে হবে। পুষ্যা নক্ষত্রের সঙ্গে যে দিন চন্দ্রের মিলন হয়, সেই দিন থেকেই এটা খেতে শুরু করতে হয়। এটাও খুবই শক্তি বর্ধক বীর্য প্রসবক।
১২। সমান ভাগ শতভরি, গোক্ষুর এবং শ্রীপর্নি ফল নিতে হবে। তা পা‌নি‌তে সিদ্ধ করতে হবে। যখন মাত্র সিকি ভাগ থাকবে, তখন আগুন থেকে নামাতে হ‌বে। এটা পুষ্যা নক্ষত্র যুক্ত চন্দ্রের দিনে খেতে হয়। পথ্য‌টি খেলে শরীরে বীর্য ও যৌনগুণ বাড়তে দেখা যায়।
১৩। গোক্ষর এবং বার্লি সমান ভাগে মিশাবে। প্রত্যেক দিন সকালে ঐ মিশ্রিত দ্রব্যের ক্কথ এক পলা করে খেলে এতে বুদ্ধি, আয়ু এবং রতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

এ সকল ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ, অর্থববেদ এবং তর্কশাস্ত্র হতে গৃহীত হয়েছে। তবে এ সকল উপাদান খেতে হলে, শরীরের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে‌দি‌কেও লক্ষ রাখ‌তে হবে।
আধুনিক যুগে উপরোক্ত উপাদান, পর্বত অরণ্য ইত্যাদি স্থান থেকে সংগ্রহ করা খুবই দুষ্কর। ত‌বে বি‌ভিন্ন বড় হাট বাজা‌রে পাওয়া সম্ভব (অ‌নে‌কে ব‌লে ঝোলার দোকান)।

1 comment: