সেক্স হলো নারী-পুরুষের যৌন পশু প্রবৃত্তিকে কোরবানি করার বৈধ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাধ্যম। একমাত্র বিবাহের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ছাড়পত্র পায়। দাম্পত্য জীবন হলো প্রতিটা পুরুষ ও নারীর জন্য বহুল প্রত্যাশিত এক জীবন।
ছেলে-মেয়েদের বিবাহিত জীবন সুন্দর, স্বর্গীয় এবং পূর্ণতা লাভ করে স্বামী-স্ত্রীর সফল ও নিরাপদ সেক্সের মাধ্যমে। এর জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। কিন্তু যৌনতা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় পুরুষরা শুরুতেই মারাত্মক কিছু ভূল করে থাকেন, যা তাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে। পুরুষদের মধ্যে এই ভুলগুলো ধরা না পড়লেও, দাম্পত্য সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে তা মারাত্বক ভুল হিসেবে আবির্ভূত হয়।
অনেক ছেলে আছে, যারা মেয়েদের মতামত ও ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেয় না। এমনকি সেক্সের ক্ষেত্রেও পুরুষদের প্রাধাণ্যই মুখ্য। এটি একটি মারাত্বক রকম ভুল ও অনৈতিক কাজ। তাই মেয়েদের ইচ্ছা ও মতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
পুরুষদের মনে রাখতে হবে যে, মেয়েদের স্তন ও যোনিই শুধু যৌনকাতর স্থান নয়। মেয়েদের প্রায় পুরো শরীরই যৌন স্পর্শকাতর। তাই শুধু স্তন চেপে ধরে, পুরুষাঙ্গ নারীর যোনিতে প্রবিষ্ট করে বীর্যপাত করলেই হবে না। আগে ও পরে বিভিন্ন রতিক্রিয়া সম্পন্ন করাও বাধ্যতামূলক।
পুরুষদের কিছু অনৈতিক মনোভাবের কারনে অনেক সময় দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যার মূল কারন হল, সেক্স এবং মেয়েদের যৌন ইচ্ছা-আকাঙ্খা সম্পর্কে ছেলেদের স্বচ্ছ ধারনার অভাব।
চরমপুলকের সময় অনেক ছেলেরা সেক্স থেকে বিরতি নেয়। তারা পারলেও, মেয়েদের পক্ষে তা সম্ভবপর হয়না। কারণ, মেয়েদের চরমপুলক বা চূড়ান্ত উত্তেজিত হতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। মেয়েদের চরমপুলকের সময় বিরতি অসহ্য যন্ত্রণার। একবার চরম পুলকে ব্যত্যয় হলে, আবার নতুন করে তাদের উত্তেজিত করে তুলতে হয়। তাই স্বামীর উচিত, স্ত্রীর চরম উত্তেজনা না আসা পর্যন্ত সেক্স ক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া।
সেক্সের শুরুতেই স্ত্রীর স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে চলে গেলে তার ধারনা হতে পারে যে, আপনি শুধুমাত্র নিজের চাহিদা মেটাতেই তার সাথে মিলিত হন। তাই সুন্দর সেক্সের সূচনা করতে প্রাথমিক আদর-সোহাগের বিকল্প নেই।
প্রায়ই দেখা যায় যে, নারী কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই পুরুষ তার স্তন নিয়ে মেতে ওঠেছে। এক্ষেত্রে নারীর মধ্যে যদি যৌন অনিচ্ছা থাকে, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment