আপনার কাছে কোন প্রশ্নের উত্তর ভূল মনে হলে অবশ্যই সূত্রসহ কমেন্ট করতে অনুরোধ রইলো।
এছাড়াও কারো মনে কোন প্রকার প্রশ্নের উদ্রেক হলে অনুগ্রহ করে কমেন্টে জানাবেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতা সম্পর্কিত ৫০ টি প্রশ্ন ও তার সমাধান :
১. যৌন মিলন করতে কি স্বামী বা স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন?
_অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কারণ যৌন মিলন যেহেতু দুজনের প্রশান্তি আনয়ন করে, সেহেতু অবশ্যই একে অন্যের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও কোন মানসিক দুশ্চিন্তা বা রোগ শোকের ব্যাপার থাকতে পারে, তাই স্বামী বা স্ত্রীর উচিত হবে যৌন মিলনের পূর্বে আলাপনের মাধ্যমে যৌন ক্রিয়ায় অংশ নেয়া।
২. নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে অন্যদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা কি ঠিক?
– না। এটি মোটেই ঠিক নয়। নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা অন্যজনদের না বলাই ভালো। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের কথা বলতে পারেন।
৩. ইসলামে কি পরোকিয়া জায়েজ?
_কোন প্রকারেই জায়েজ নয়। এটি সম্পূর্ণ হারাম।
৪. আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে তার পুরুষাঙ্গ চুষতে বলে এবং আমার যোনী চুষতে চায়। কিন্তু আমার চুষতে ইচ্ছা করে না এবং আমারটাও চুষতে দেই না। খুব ঘৃণা লাগে। যদি গোপনাঙ্গ চোষা হয় তাহলে এতে কোন পাপ হবে কী?
– ইসলামে গোপনাঙ্গ চোষণ সম্পর্কে হাদিসে কোন সঠিক ব্যাখ্যা না থাকার ফলে এ আচরণকে হারামও বলা যাবে না, আবার হালাল ও বলা যাবে না। সুতরাং গোপনাঙ্গ চোষণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আপনাদের ওপর। আর জোর করে কোন কিছু আদায় করা অন্যায়।
৫. আমার হস্তমৈথুন করার অভ্যাস আছে। এটা কী পাপ?
– ইসলামে হস্তমৈথুন সম্পর্কে হাদিসে কোন সঠিক ব্যাখ্যা নেই যে এটি হারাম নাকি হালাল। তবে হস্তমৈথুনে বীর্য তথা শুক্রাণুর অপচয় হয়, ইসলামে অপচয়ের স্থান নেই। এছাড়াও হস্তমৈথুনে ক্ষতি ছাড়া কোন ভালো দিক নাই। এটা গর্হিত পাপ, তাই হস্তমৈথুনের অভ্যাসটি ত্যাগ করাই যুক্তিযুক্ত।
৬. ইসলামে একজন পুরুষ দুজন নারীকে একসাথে নিয়ে সঙ্গম করতে পারবে কিনা?
– যেহেতু ইসলামে স্বামী ও স্ত্রী ব্যতীত একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখা নিষেধ, সেক্ষেত্রে এ ধরণের সঙ্গম না করাই ভালো।
৭. আমার স্বামী প্রায়ই আমার সাথে জোর করে সঙ্গম করে। কিন্তু তখন আমার সঙ্গম করার ইচ্ছা থাকে না। এক্ষেত্রে কী করণীয়?
– এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। তবে আপনার এটাও মনে রাখতে হবে যে, কোন ক্ষতির কারণ ছাড়া সঙ্গম থেকে বিরত থাকা যাবে না। এক্ষেত্রে করণীয় যে, আপনি আপনার স্বামীকে বোঝান যে, আপনার ইচ্ছা না থাকলে তখন তার বিরত থাকাই উত্তম। কারণ, এতে দুজনই সঙ্গমের পূর্ণ আনন্দ লাভে ব্যর্থ হয়। তখন সেই সঙ্গমটা একপক্ষীয় হয়ে যায়।
৮. আমি শুনেছি যে ইসলামে একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখা নিষেধ। কিন্তু আমার স্বামী আমার গোপনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে সঙ্গম করে। এতে কী কোন সমস্যা হবে?
– স্বামী-স্ত্রী একে অপরের গোপনাঙ্গ দেখতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা নেই। তবে স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে সঙ্গম করলে পুরুষের চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে।
৯. আমি শুনেছি পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম। কথাটা কি সত্যি?
– হ্যাঁ, এটি সত্যি। মহানবী (সঃ) পায়ূপথে সঙ্গম করা হারাম করেছেন। কারণ পায়ূপথে সঙ্গম স্ত্রীর কষ্ট বাড়ায়, যৌন রোগের জন্ম দেয়।
১০. সঙ্গম করার পূর্বে কী শৃঙ্গার (ফোরপ্লে) করা জরুরী?
– হ্যাঁ। কারণ পুরুষদের যৌন ইচ্ছা হঠাৎ করে আসে আবার হঠাৎ করে চলে যায় কিন্তু নারীদের যৌন ইচ্ছা আস্তে আস্তে করে আসে আবার আস্তে আস্তে করে যায়। তাই সঙ্গমের পূর্বে শৃঙ্গার করা জরুরী।
১১. যৌন মিলন শেষে কী নারীদের গোসল করা জরুরী?
– হ্যাঁ। শুধু নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও গোসল করে পবিত্র হয়ে নেয়া জরুরী।
১২. কনডম ব্যবহার করে কী জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে?
– যেহেতু মহানবীর যুগে কনডম আবিষ্কার হয়নি, তাই সে সময়ের আরবের লোকরা আল-আযল পদ্বতি ব্যবহার করতো, অর্থাৎ বীর্যপাত হওয়ার আগে যোনীপথ থেকে পুরুষাঙ্গ বের করে বীর্যপাত করতো। তবে যে আত্না আসার, সেটা আসবেই। তা যতই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্বতি অবলম্বন করা হোক না কেন। তাই কনডম ব্যবহার করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা আর না করা সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার।
১৩. আমার মাসিকের সময় আমার স্বামী প্রায়ই পায়ূপথে সেক্স করতে চায়। কিন্তু আমি বাঁধা দেই। আমি জানি যে, মাসিকের সময় এবং পায়ূপথে সেক্স করা হারাম। তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য এ আইন শিথিল কিনা?
– মাসিকের সময় সেক্স করা হারাম। সেক্সের ক্ষেত্রে এ দুটো বিষয় কখনোই শিথিল নয়।
১৪. স্বামী-স্ত্রী কি একে অপরের শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।
১৫. ইসলামে সহবাসের জন্য কি কোন নির্দিষ্ট আসন রয়েছে?
– না। আপনি যেভাবে ইচ্ছা বা যে আসনে সঙ্গম করলে আপনাদের সুবিধা হয় সেসব আসন অবলম্বন করতে পারেন। তবে জোর পূর্বক কোন কিছু করা যাবে না।
১৬. যেহেতু মাসিকের সময় সহবাস নিষেধ, সেক্ষেত্রে কী শৃঙ্গার করা যাবে?
– চাইলে শৃঙ্গার করতে পারেন, তবে তা চুম্বন, স্তন চোষা এবং টিপ দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন।
১৭. আমার স্বামী আমার স্তনের বোঁটা চুষে এবং স্তন টিপে। এটা কী জায়েজ?
– হ্যাঁ। এটি অবশ্যই জায়েজ। তাছাড়া স্তন টিপলে প্রাকৃতিকভাবেই আপনার স্তন বড় হবে।
১৮. আমি কী আমার স্ত্রীর স্তনের দুধ খেতে পারবো? এটি কী জায়েজ?
– না। এটি জায়েজ নয়। যদি আপনি ইচ্ছা করে খান, তাহলে আপনি গোনাহগার হয়ে যাবেন। তাছাড়া স্তনের দুধ শুধুমাত্র সন্তানের জন্য, স্বামীর জন্য নয়।
১৯. মিলনের সময় শরীরে কী একটু হলেও কাপড় রাখা উচিত?
– এটি রাখলে ভালো, কারণ শয়তান সবার মাঝে খারাপের বীজ লাগাতে সচেষ্ট থাকে। তবে চাইলে পুরোপুরি উলঙ্গ হয়েও মিলন করতে পারেন। সেটা আপনাদের ব্যাপার।
২০. স্বামী-স্ত্রী কী উলঙ্গ হয়ে বিছানায় শয়ন করতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে উপরে কোন কাপড় রাখা সর্বোত্তম।
২১. বিছানা ছাড়া কী অন্য যে কোন স্থানে সঙ্গম করা যাবে?
– হ্যাঁ। তবে স্থানটি নির্জন হতে হবে এবং আপনাদের সঙ্গমের দৃশ্য যেন অন্যের দৃষ্টিগোচর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং স্থানটি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
২২. রোযা রাখা অবস্থায় কী সঙ্গম করা যাবে?
– না। এটি রোযা ভঙ্গের কারণ। যদি ভূলবশত রোযা রাখা অবস্থায় সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তা মনে পড়া মাত্রই দুজনে পৃথক হয়ে যাবেন।
সমাধানঃ- ফরজ রোযা অবস্থায় যদি সঙ্গম হয়ে যায় এবং আপনারা সঙ্গম করার পর যদি আপনাদের রোযা থাকার কথা মনে পড়ে তাহলে শুধুমাত্র ফরয রোজার কাজ্বা করতে হবে। কোন কাফফারা দিতে হবে না। আর যদি আপনারা রোযার কথা জানা সত্বেও যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার কারণে সঙ্গম করে ফেলেন তবে ফরজ রোজার ক্ষেত্রে কাযা এবং কাফফারা দুটোই করতে হবে।
২৩. আমি জানি যে, সন্তান জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত শারীরিক মিলন জায়েজ নয়। এটা কী সত্যি?
– হ্যাঁ। কারণ সন্তান জন্মের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। তাই এ সময়ে শারীরিক মিলন জায়েজ নয়।
২৪. হজ্জ বা উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থানকালে কী সঙ্গম করা যাবে?
– না। এটি জায়েজ নয়। কারণ ইহরাম অবস্থায় সঙ্গম করলে হজ্জ বা উমরাহ বাতিল হয়ে যাবে। তাছাড়া হজ্জ বা উমরাহ একটি ইবাদত এবং এটি ইসলামের পাচঁটি স্তম্ভের মধ্যে একটি।
২৫. ইসলাম কী সমকামী সমর্থন করে?
– না। ইসলামে সমকামীতা হারাম।
২৬. ইসলামে কী গর্ভপাত করা হারাম?
– হ্যাঁ। তবে যদি এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, সন্তানকে বাচাঁতে গেলে মায়ের মৃত্যু হবে, তাহলে সেক্ষেত্রে গর্ভপাত করা জায়েজ।
২৭. ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন মিলনের আদর্শ আসন বা স্টাইল কোনটি?
_বিছানায় লম্বালম্বিভাবে শুয়ে, স্ত্রী নিচে আর স্বামী উপরে থেকে যৌন মিলনকে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে আদর্শ স্টাইল বলে মনে করা হয়।
২৮. রোযা রাখা অবস্থায় আমি কী আমার স্ত্রীকে চুম্বন করতে বা জড়িয়ে ধরতে পারবো?
– যদি স্ত্রীকে চুম্বন করলে বা জড়িয়ে ধরলে যদি আপনার সঙ্গমের ইচ্ছা জেগে ওঠে বা যদি এ দুটি কাজ করার ফলে আপনার বীর্যপাত হয়, তবে তা আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়। যদি আপনি এ দুটি কাজ করার পরও নিজেকে সংযত রাখতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য প্রযোজ্য।
২৯. সঙ্গমকালে কী সেক্সটয় ব্যবহার করা যাবে?
– না করাই ভালো। প্রয়োজনে সেক্সটয়ের বিকল্প হিসেবে হাত ব্যবহার করতে পারেন।
৩০. সঙ্গম করার জন্য কি নির্দিষ্ট কোন সময় রয়েছে?
– না। আপনি যখন ইচ্ছা তখনই সঙ্গম করতে পারেন। তবে মধ্যরাত (ফজরের সময়ের পূর্বে) সঙ্গমের জন্য আদর্শ সময়।
৩১. হিল্লা বিবাহ কী ইসলাম সমর্থিত?
– না। হিল্লা বিবাহ হারাম। এটি মূলত কোনো বিয়েই নয় বরং হিল্লা স্বামীর সাথে বিয়ে ও সঙ্গম করাও হারাম।
৩২. স্বামী ও স্ত্রী ব্যতীত অন্যকারও সাথে সেক্স করা কি হারাম?
_অবশ্যই হারাম। ইসলাম ব্যভিচারের কঠোর সাস্তির বিধান করেছে।
৩৩. নারীদের কী খৎনা করা জরুরী?
– নারীদের খৎনা করা কোন আবশ্যকীয় বিষয় নয়। পুরুষদের খৎনা করা সুন্নত। হাদীস ব্যাখ্যাকারীগণও নারীদের খৎনাকে সুন্নত বা জরুরী সাব্যস্ত করেননি। তবে নারীদের খৎনা করতে বাধ্য করাও জায়েজ নয়।
৩৪. যৌন মিলনের সময় অন্য কোন নর বা নারীর যৌন দিক নিয়ে কল্পনা বা তুলনা করা যায় কি?
_না। শুধু মিলনের সময় নয়, অন্য সময়ও এটা কল্পনা, চিন্তা ভাবনা, কোন প্রকার তুলনা বা উদাহরণ দেয়া হারাম।
৩৫. মুতা বিবাহ কী শুধুমাত্র শিয়া ইসলামে প্রচলিত?
– হ্যাঁ। এটি একসময় সুন্নি ইসলামে প্রচলিত থাকলেও প্রথমে মহানবী (সঃ) এবং পরবর্তীতে হযরত ওমর (রা) এটি নিষিদ্ধ করেন। তবে শিয়া ইসলামে আজো মুতা বিবাহ প্রচলিত রয়েছে।
৩৬. গর্ভাবস্থায় কী যৌন মিলন করা যাবে?
– যদি গর্ভাবস্থায় ভ্রণের কোন প্রকার ক্ষতি হবার আশঙ্কা না থাকে তাহলে তা খুবই সতর্কতার সাথে করা যাবে।
৩৭. আমি এবং আমার স্ত্রী কী একসাথে গোসল করতে পারবো? এটা কি জায়েজ?
– হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন এবং এটি জায়েজ। স্বামী ও স্ত্রীতে সাত খুন মাফ !
৩৮. পুরুষাঙ্গ যোনীপথে প্রবেশ করানোর পর যদি বীর্যপাত না হয় তাহলে কী গোসল করতে হবে?
– হ্যাঁ। এটি ফরয। এছাড়া যদি পুরুষাঙ্গ যোনীপথে প্রবেশ না করেও অন্য উপায়ে (যেমনঃ হস্তমৈথুন) বীর্যপাত করা হয় তবুও গোসল করা ফরয।
৩৯. স্বামীর সাথে আমার সঙ্গম শেষ হওয়ার পরপরই আমার মাসিক শুরু হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কী গোসল জরুরী?
– না। এমন অবস্থায় গোসল জরুরী নয়। একেবারে মাসিক বন্ধ হবার পরই গোসল করে পবিত্র হতে হবে।
৪০. নগ্ন অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী আলিঙ্গন করলে যদি বীর্যপাত না হয়ে মযী বের হয় তাহলে কী গোসল করা ফরয?
– না। এক্ষেত্রে গোসল ফরয নয়। পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ওযূ করলেই যথেষ্ট।
৪১. স্বামী স্ত্রীদের সঙ্গমবিহীন থাকার সাধারণ ধৈর্য সীমা কত মাস?
– সাধারণত চার মাস। পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া এর বেশী সময় সঙ্গম ছাড়া কাটানো ঠিক নয়।
৪২. আমি স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করতে গেলে কী সামনের দিক থেকেই করতে পারবো? পিছন দিক থেকে করা যাবে?
– আপনি সামনে এবং পিছনে উভয় দিক থেকেই সঙ্গম করতে পারবেন। তবে সঙ্গম অবশ্যই যোনীপথ দিয়ে করতে হবে।
৪৩. জন্মনিয়ন্ত্রণ করা কি হারাম?
_ না । তবে যেহেতু মতভেদ রয়েছে আবার প্রয়োজন জরুরী, তাই করা যায়।
৪৪. যৌন মিলনের সময় অন্য কোন নর বা নারীর চিন্তা করা যায়?
_ইসলামে এরকম ধ্যান ধারণা নিষিদ্ধ।
৪৫. একই দিনে কী স্ত্রীর সাথে একাধিকবার সহবাস করা যাবে?
– যৌনাঙ্গ পানি দিয়ে পরিষ্কার করে, করা যাবে। যদি একই সময়ের মধ্যে একাধিকবার সঙ্গম করা হয় তাহলে সঙ্গম শেষে একবার গোসলই যথেষ্ট। আর যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে করা হয় তবে আলাদাভাবে গোসল করতে হবে। তবে আদর্শ হলো সপ্তাহে ২/৩ বার সঙ্গম করা।
৪৬. ইসলামে নারীর যৌন অধিকার নেই? এটাকি সত্যি ?
_সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া ও ভিত্তিহীন। যারা এসব বলে তারা কুরআন হাদীস ভালোভাবে না পড়ে না বুঝে বলে। ইসলাম নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে, তেমনি যৌন অধিকারও প্রদান করেছে।
৪৭. একই দিনে কী একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে?
– না করাই ভালো। কোন স্ত্রীর সাথে যেদিন সঙ্গমের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না। তবে খুব প্রয়োজনে পবিত্র হয়ে করতে পারেন।
৪৮. ইসলামে হ্যান্ডেলিং করা কি জায়েজ?
_হ্যান্ডেলিং হচ্ছে হস্তমৈথুনের নামান্তর। যেহেতু এটাতে ক্ষতি হয়, তাই এটা না করা সর্বোত্তম।
৪৯. স্বামী-স্ত্রী কী একে অপরের গোপনাঙ্গের লোম কাটতে পারবে?
– হ্যাঁ। এতে কোন সমস্যা নেই।
৫০. ইসলামে বীর্যপান করা বা বীর্য খাওয়ার বিধান কি?
_বীর্য খাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নেই। বীর্যে যেহেতু ক্ষতিকর কোন দিক নাই তাই এটি খাওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বীর্য খাওয়া বা বীর্যপান করা আপনার নিজস্ব রুচির ব্যাপার। তবে বীর্য খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম হবে।
No comments:
Post a Comment