যৌন মিলন আনন্দময় করে তুলতে নারী বা পুরুষের যৌন উত্তেজনার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। নারী-পুরুষ যে কারোরই এ সমস্যাটি হতে পারে। প্রাকৃতিকভাবেই এর সমাধান পাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন কারণে যৌন উত্তেজনা কমে যেতে পারে। যেমন, মানসিক সমস্যা, দুশ্চিন্তা, বিভিন্ন রোগ ও শোক, হস্তমৈথুন, দূর্বলতা প্রভৃতি। এছাড়াও আরও অনেক জানা ও অজানা কারণে যৌন উত্তেজনা কমে যেতে পারে।
তাই তৃপ্তিপূর্ণ যৌন মিলনের জন্য বিভিন্ন উপায়ে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ভূমিকা নিয়েই এখানে আলোচনা করা হবে, যাতে করে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে আপনি
কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হন।
উপরে অবস্থান করা :
এই পদ্ধতিতে যার উত্তেজনা তুলনামুলক কম হবে, সেই নিচে অবস্থান করবে। ধরে নিলাম স্বামীর যৌন উত্তেজনা কম, তাই স্বামী নিচে থাকবে আর স্ত্রী উপরে থাকবে। এই অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোনী তে ৪৫ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে প্রবেশ করাবে নারী। স্ত্রী তার স্বামীর অনুত্থিত লিঙ্গকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে একে সুদৃঢ় করে তুলবে। সে তার স্তন, ভগাঙ্কুর এবং পশ্চাৎপ্রদেশের ব্যবহারে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলবে।
এতে করেও যদি পুরুষাঙ্গ উত্থিত না হয় তবে একইভাবে পুনর্বার দেখা যেতে পারে।
জিহ্বা ও হাতের ব্যবহার :
পুরো শরীরে জিহ্বা এবং হাতের আঙ্গুল ব্যবহার করেও যৌন উত্তেজনা বাড়াতে পারে। নারী তার মুখ দিয়ে, কোমল হাতের স্পর্শ পুরুষের সারা শরীর, লিঙ্গ, অন্ডকোষ প্রভৃতি জায়গাগুলোতে বুলিয়ে দিবে, আচর কাটবে, কামড়াবে, লেহন করবে। আবার নারীর যোনিমুখের পাতলা আবরণ এবং ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর যদি পুরুষ তার জিহ্বা দিয়ে নাড়াচাড়া করে তবে নারীর অনুভূতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে যায়। এছাড়াও ভালভাবে নখ ছেঁটে পুরুষ তার হাতের আঙ্গুল নারীর যোনিতে প্রবেশ করিয়েও তাকে তীব্র যৌনকাতর করে ফেলতে পারে। এতে করে উভয়েরই উত্তেজনা পুরো শরীরে প্রবেশ করে এবং উত্তেজনার রেশ বাড়তে থাকে।
জি-স্পট সেক্স :
এটি করতে নারী দু হাঁটু গেড়ে বসবে। পুরুষ তার লিঙ্গ প্রবেশ করাবে। নারীর সবচেয়ে স্পর্শকাতর যৌন অঞ্চল মানে হলো ভগাঙ্কুর।
পুরুষের লিঙ্গ একবার এতে ছোঁয়ালেই নারীর যৌনানুভূতি প্রবল হয়। এতে করে পুরুষেরও যৌন অনুভূতি তীব্র হবার কথা। নারী পুরুষকে এভাবেও উত্তেজিত করতে পারে। যৌন বিজ্ঞানীরা একে জি-স্পট সেক্স বলে। কেননা এতে করে নারী ইংরেজী জি অক্ষরের মতো আসন নিয়ে বসে। পৌনপুনিকতা পুরুষ তার উত্তেজনা বাড়াতে নারীর যোনিমুখে তার লিঙ্গকে প্রবেশ করানোর পূর্বে নারীর নিচের দিককার অর্থাৎ ভগাঙ্কুর, যোনি ইত্যাদিতে হাতের স্পর্শ বা মুখের স্পর্শ ঘটাতে পারে।
এতে করে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে। আধুনিক হট স্পট যৌন বিজ্ঞান দেখেছে, নারীর পুরো শরীরই যৌন উত্তেজক। বিশেষ করে পেটের এবং তলপেটের নিচের দিকে ভগাঙ্কুরের মাঝামাঝি স্থানে নারী উত্তেজনা মারাত্মকভাবে লুকিয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন নারীদের বিভিন্ন রকম হতে পারে। পুরুষদের তাদের নারীদের সাথে যৌন মিলনে যাবার সময় এটি বেছে নিতে হবে।
এতে করে পুরুষদের উত্তেজনা চূড়ান্ত হবার আশঙ্কা থাকে।
মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি গ্রহন :
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য মানসিক বিকারতা দূর করে শারীরিকভাবে পরিপূর্ণ প্রস্তুত থাকতে হবে। মনের মধ্যে কোন ধরণের দূর্বলতাকে ঠাঁই দেয়া যাবে না। নিজেকে সবসময় মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী ভাবুন। কোন অবস্থাতেই ভেঙ্গে পড়বেন না, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকুন।
নারীর অধিগ্রহন :
পুরুষের মুখের কাছে নিয়ে নারী তার যৌনাঞ্চলগুলোর স্পর্শ, ঘ্রাণ দিয়ে যাবে। অনেক সময় নারীর যৌন অঞ্চলের ঘ্রানে পুরুষের উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়। এতে করে পুরুষ বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠবে। একে নারীর অধিগ্রহণ বলা হয়।
ওরাল সেক্স :
নারী প্রচন্ড যৌনক্ষুধা নিয়ে পুরুষের লিঙ্গ, লিঙ্গদেশ এবং লিঙ্গমুন্ডের অগ্রভাগে চুমু দিয়ে, অথবা মুখের লালা দিয়ে ভিজিয়ে পুরুষকে চূড়ান্ত উত্তেজনা দিতে পারে। আবার নারী পুরুষের লিঙ্গকে মুখের ভেতর বার বার প্রবেশ এবং বের করেও চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে। এতে করেও পুরুষের উত্তেজনা আসবে এবং যৌন শীতলতা কমে যাবে।
মুখোমুখি নারীকে শুয়ে পুরুষ কিংবা পুরুষকে শুইয়ে নারী পরস্পর পরস্পরের দিকে যৌনতার দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে নারী- পুরুষ উভয়ের উত্তেজনা বেড়ে যায়।
পুরুষের অন্ডকোষ :
বেশিরভাগ পুরুষই এই ব্যাপারটি সম্পর্কে অজানা যে, তাদের অন্ডকোষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু যৌনতা লুকানো থাকে। নারী যখন পুরুষের অন্ডকোষে হাত বুলিয়ে দেয় কিংবা তাতে জিহ্বা ও ঠোট দিয়ে আদর করে, তখন পুরুষ এক ধরনের আনন্দ পায়। পুরুষের অন্ডকোষ যৌনতা সৃষ্টি করতে পারে। নারীর মৃদু হাত বোলানোতে এই উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ পুরুষের সবচাইতে স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো অন্ডকোষ। এটা অল্পতেই খুব বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
যৌনাঞ্চলের ব্যবহার :
পুরুষের যৌনাঞ্চলের ত্বকেই বিশেষ ধরনের যৌন উত্তেজনা বিরাজ করে। নারীর স্পর্শে তা প্রস্ফুটিত হয়। যেমন-পুরুষের লিঙ্গের ত্বকে নারীর চুমু দেয়া কিংবা চুষলে, পুরুষ যৌন উত্তেজনায় অস্থির হয়ে উঠে। এটি পুরুষের চরম উত্তেজনার প্রথম পর্যায়। নারী তাকে চূড়ান্ত উত্তেজনার জন্য তার লিঙ্গমুন্ডকে বার বার চুষতে পারে, এতে করে পুরুষের অবস্থা অধিক কাতর হয়ে উঠবে। তবে নারীকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন তার দাঁত পুরুষের লিঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি না করে।
[ বি: দ্র: এখানে কিছু উপায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অভিরুচির উপর নির্ভরশীল। তাই নিজকেই ঠিক করতে হবে, এসব করবেন কি করবেন না ! এসব জোরপূর্বক কারও উপর চাপিয়ে দেয়া সম্পূর্ণ অন্যায়। ]
যৌন শক্তি বাড়ানোর ঔষধ নিয়ে কিছু কথা :
যারা যৌন মিলনের পূর্বে বা শখের বসে যৌন শক্তি বাড়ানো ঔষধ সেবন করেন, তাদের জন্য জরুরী পরামর্শ হচ্ছে, সেক্স বাড়ানোর জন্য কোনপ্রকার যৌন শক্তি বর্ধক ট্যাবলেট বা ঔষধ ভুল করেও খাবেন না ।
এই ঔষধ পুরুষকে ধ্বজভংগ ও বিভিন্ন রোগের দিকে ঠেলে দেয়, এমনকি কিছুক্ষেত্রে মানুষকে মৃত্যুর মুখে পতিত করে। সংসারে নানাবিধ অশান্তির জন্ম দেয়।
যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য কোন প্রকার ঔষধ সেবনের প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন গবেষনায় স্পষ্ট হয়েছে যে, নারী-পুরুষরা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে বা প্রাকৃতিক উপায়ে যৌন শক্তি পেয়ে থাকে ।
এক্ষেত্রে গরুর গোশত, গাভীর খাঁটি দুধ, ডিম, ফলমূল, শাকসবজির ভূমিকা অসাধারন।
যৌন সমস্যা যদি খুব বেশি ভোগায় তাহলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তার, রেজিষ্টার্ড হাকীমের পরামর্শ নিতে হবে।
রাস্তা, ফুটপাত থেকে যৌন শক্তিবর্ধক ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন । যৌনতা বাড়ানোর কোন মন্ত্র আছে বলে ধর্ম অথবা বিজ্ঞান কোনটাই বিশ্বাস করে না।
তাই যে কোন চিকিৎসা সেবা বা পরামর্শের জন্য রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন, সচেতন হোন, যৌন জীবন মধুময় করে তুলুন।
সেক্স বাড়ানোর ঔষধ, যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর উপায়, সেক্স বৃদ্ধি, যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি, সেক্স বাড়ানোর উপায়
No comments:
Post a Comment