যৌন উত্তেজনার চুড়ান্ত পর্যায়ে পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ দিয়ে সবেগে যে তরল পদার্থ নির্গত হয়, সেই তরল পদার্থকে সাধারণ অর্থে বীর্য বলা হয়। বীর্য হল অসচ্ছ, গাঢ়-সাদা ও পিচ্ছিল তরল পদার্থ যা বীর্যপাত বা বীর্যস্খলনের সময় পুরুষাঙ্গের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত মুত্রনালীর মাধ্যমে শরীর থেকে বাহিরে নির্গত হয়। বীর্য বের করা বা বের হওয়াকে বীর্যপাত বলে।
শুক্র বীজ ব্যতীত অন্যান্য যেসব উপাদান বীর্যে পাওয়া যায়, তার ৯০%-ই তরল জল জাতীয় উপাদান। এছাড়াও বীর্যে থাকে সুগার বা গ্লুকোজ যা শুক্রাণুর কার্যকারিতা ও বলিষ্ঠতার জ্বালানি স্বরূপ। বীর্যে আরো থাকে ক্ষারীয় উপাদান। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের কিছু পরিমাণ এনজাইম ও কিছুমাত্রায় ভিটামিন সি, কিঙ্ক এবং থাকে কোলেস্টেরল। দেহের বীর্য সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি অন্যান্য দশবারোটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মতোই সাধারণ।
অধিকাংশ বীর্যের তরলই প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড থেকে বের হয়। যার বেশি অংশই যৌন অনুভুতির সময় পুরুষ প্রজননতন্ত্রের নিঃসরন হতে সৃষ্ট।
৬৫% বীর্য- Seminal Vesicles দ্বারা উৎপাদিত।
৩০% থেকে ৩৫% বীর্য- মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থিবিশেষ থেকে সরবরাহকৃত।
৫% বীর্য- শুক্রাশয় এবং অন্ডকোষের epididymes নামক অংশ হতে সৃষ্ট।
বয়ঃসন্ধিকালেই বীর্যের বিকাশ বা উৎপাদনের সূত্রপাত হয়। তাই এ সময়টা যৌনতায় বেশ ধৈর্য ও যত্নবান হতে হয়। বয়ঃসন্ধিকালে বীর্য উৎপাদনের প্রক্রিয়া {প্রথম বীর্যস্খলনের পর (মাস) হিসাবে গড় পরিমাণ (মিলিমিটার)} হলোঃ
০-৫ মাসে বীর্য উৎপাদন বা বিকাশের পরিমান ০.৫ মি.মি.। তেমনিভাবে, ৬-১১ মাসে ১.০ মি.মি. ১২-১৭ মাসে ২.৫ মি.মি. ১৮-২৩ মাসে ৩.০ মি.মি. এবং ২৪- পরবর্তী ৫ মাস ৩.৫ মি.মি. পরিমান বীর্য উৎপাদন হয়। যা পরবর্তীতে শারীরিক-মানসিক ও অপচয় বা বদঅভ্যাস গ্রহন বা বর্জন করার মাধ্যমে কম-বেশি হয়ে থাকে।
বীর্যের পরিমাণঃ
উৎপাদিত বীর্যের পরিমাণ বীর্যপাতের সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে তা গড়ে ৩.৪ মিলিলিটার এবং সর্বোচ্চ ৪.৯৯ মিলি থেকে সর্বোনিম্ন ২.৩ মিলি হয়। সে হিসেবে প্রতিবার যৌনমিলনে সাধারণত ১ টেবিল চা-চামচের সামান্য বেশি পরিমাণ বীর্য বের হয়। তবে শারীর-বৃত্তীয় কোনো কারণের জন্য বীর্যের পরিমাণ কম-বেশি হওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক।
প্রতিবার বীর্যপাতে বয়স ভিত্তিক বীর্যের পরিমানঃ
স্বাভাবিক বীর্যপাতে প্রতিবার বীর্যের পরিমান ৪ মি.লি. কম হয়ে থাকে। তবে এ কথা সত্য যে, বিভিন্ন কারণে বীর্যের পরিমান কম বেশিও হয়ে থাকে। আবার একই দিনে একাধিকবার বীর্যপাত বা বীর্যস্খলনে বীর্যের পরিমান অনেক কমে যায়। বয়সের উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক বীর্যের প্রকৃত পরিমান নিচে দেয়া হলোঃ
• ২০-৩০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান প্রায় ৪ মি.লি.।
• ৩০-৫০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান প্রায় ৩.৫ মি.লি.।
• ৫০-৭০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান প্রায় ২ মি.লি.।
• ৭০ উর্দ্ধ পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান ১ মি.লি. এর মত।
@ স্বাভাবিক বীর্যস্খলনে বীর্যের পরিমান কতটুকু? যৌন উদ্দীপনায় বীর্যের পরিমান, বীর্যস্খলনে বীর্যের পরিমাণ, বীর্য উন্নয়ন, বীর্য কি? সেক্স... পরিমান, বয়ঃসন্ধিকালে বীর্যের পরিমান, দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান, দ্রুত বীর্যপাত বা প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেন কি? দ্রুত বীর্যপাত কেন হয়? @ স্বাভাবিক বীর্যপাতে প্রতিবার বীর্যের পরিমান কতটুকু হয়? বীর্যের পরিমাপ, সহবাসে @বীর্যের সঠিক পরিমান
No comments:
Post a Comment