আত্ববিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি সফল সেক্স করতেও আত্ববিশ্বাসের প্রয়োজন। সেক্সের সময় বহু পুরুষ স্ত্রীকে সামনে পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে যান অথবা কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেন। এমনকী, অনেক ধৈর্যের পর সঙ্গীনিকে একান্তে কাছে পেয়েও হতাশা বা দ্বিধায় ভোগেন পুরুষ। আবার এমন অবস্থাও হয় যে, যোনিদ্বারে পুরুষাঙ্গ ঢোকার পূর্বেই বীর্য ঢুকে যায়। অনেকের আবার পেনিস উত্তেজিত হয় না, বীর্য খুবই পাতলা।
এমন নানান সমস্যার কারণে অনেক পুরুষ ভাবেন যে, তার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হয়ে তৃপ্ত করতে পারবেন- কী না। এমন অবস্থার মধ্যে যারা আছেন, তাদের সেক্স কনফিডেন্স বাড়ানোর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় উপায়ঃ
১। "একবার না পারিলে দেখো শতবার।" হেরে যাবার পরও পুনরায় জয়ী হবার অভ্যাস করুন। নিজ থেকে কখনোই পরাজয় বরণ করবেন না। সেক্স করে মন ভরে না! ভাববেন নিশ্চয়ই কোন ভুল হয়েছে; বিকল্প পথে হলেও- অবশ্যই তা শোধরানোর উপায় বের করুন।
২। শুধু ফোরপ্লে করে থেমে যাবেন না। কারণ, এতে আপনার স্ত্রী হতাশ হতে পারেন। কাজের চাপ থাকবেই, কিন্তু এর মধ্যেও নিজের সঙ্গিনীকে কতটা ভালবাসেন তা কখনোই চেপে রাখবেন না।
৩। কখনোই হতাশাগ্রস্থ হবেন না। দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগবেন না। পর্ন ফিল্মের নায়ক নন যে, ঘন্টার পর ঘন্টা সেক্স করবেন। আপনার সেক্স পাওয়ার আরও পাঁচ-দশটা পুরুষের মতই।
৪। যাবতীয় বদভ্যাস চিরতরে ত্যাগ করুন। হস্তমৈথুন, পর্ণগ্রাফি, উত্তেজনাকর ভিডিও, গান, বই ও অন্যের কুমন্ত্রনা থেকে দূরে থাকুন।
৫। সেক্সের সময় অন্য কোন ভাবনায় জড়িয়ে যান। কারণ, এমন হলে বীর্যকে বেশি সময় ধরে আটকিয়ে রাখা যায়।
৬। সেক্সের পূর্বে এমন অস্বস্থ্যিকর কিছু করবেন না যা দম্পতিদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। যেমন- স্ত্রী হয়তো শৃঙ্গার বেশি পছন্দ করে কিন্তু আপনি সবরকম শৃঙ্গারে অভ্যস্ত না, তা স্ত্রীকে শান্তভাবে বোঝান।
৭। প্রথমবার সেক্সের পূর্বে ভয় বা সংকোচ করবেন না। আপনার মতই মানসিক অবস্থায় রয়েছেন আপনার স্ত্রীও। আবার কোন সমস্যা মনে হলে তা খাটো করে না দেখে সঙ্গীর সাথে শেয়ার করুন।
৮। আপনার সঙ্গিনী কিন্তু আপনার চেয়েও বেশি কল্পনাপ্রবণ। তিনি আপনার সঙ্গে মিলনের আগে বহুবার সে কথা মনে মনে ভেবে ফেলেছেন। আপনার সঙ্গে শয্যাশায়ী হয়ে সে সবের পুনরাবৃত্তি করছেন মাত্র। তাই আপনাকেও তার মতই হতে হবে।
৯। নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যে মন দিন। সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকুন। সকাল ও রাতে ব্রাশ করতে ভুলবেন না। এসব কারণে স্ত্রীর যেন মনোক্ষুন্ন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
১০। খুব বেশি সমস্যা মনে হলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন। এটা আপনাকে সমাধানের পথ দেখাবে।
No comments:
Post a Comment