দাম্পত্য জীবনে দৈহিক মিলনের গুরুত্ব ও উপকারীতা অসীম। আপনি জানেন কি? যদি ওজন বেড়ে যায়, তাহলে ওজন কমানোর জন্য হাঁটার চেয়ে ভালো ব্যায়াম হচ্ছে সেক্স!
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা দৈহিক মিলন বা সেক্সকে হাঁটাহাটির চাইতে ভালো শরীরচর্চা বলে এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, দৈহিক মিলনের সময় প্রতি মিনিটে পুরুষের শরীর থেকে খরচ হয় ৪.২ ক্যালোরি। আর নারীর ক্ষেত্রে খরচ হয় ৩.১ ক্যালোরি।
একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, হাঁটার চাইতে ভালো ব্যায়াম হলো দৈহিক মিলন।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা দৈহিক মিলন বা সেক্সকে হাঁটাহাটির চাইতে ভালো শরীরচর্চা বলে এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, দৈহিক মিলনের সময় প্রতি মিনিটে পুরুষের শরীর থেকে খরচ হয় ৪.২ ক্যালোরি। আর নারীর ক্ষেত্রে খরচ হয় ৩.১ ক্যালোরি।
একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, হাঁটার চাইতে ভালো ব্যায়াম হলো দৈহিক মিলন।
তবে বিজ্ঞানীদের দেয়া এইসব তথ্য নিয়ে অনেক দিন থেকেই বিতর্ক ছিল যে; দৈহিক মিলনের ফলে আদৌ কোনো ব্যায়াম হয় কিনা।
একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে, একবার যৌন মিলনের ফলে ১০০ থেকে ৩০০ ক্যালোরি খরচ হয়। তবে এই তথ্যটা ছিল একেবারেই অনুমান নির্ভর। সম্প্রতি কয়েকজন সাহসী মানুষ এই গবেষণায় অংশগ্রহন করেন এবং গবেষক
উইলিয়াম মাস্টার্স এবং ভার্জিনিয়া জনসন তাদের শরীরের সক্রিয়তার তথ্য লিপিবদ্ধ করেন।একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে, একবার যৌন মিলনের ফলে ১০০ থেকে ৩০০ ক্যালোরি খরচ হয়। তবে এই তথ্যটা ছিল একেবারেই অনুমান নির্ভর। সম্প্রতি কয়েকজন সাহসী মানুষ এই গবেষণায় অংশগ্রহন করেন এবং গবেষক
সেক্স বা দৈহিক মিলনের সময়ে তাদের হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে- মিনিটে ১৮০ পর্যন্ত চলে যায়। সাধারণ ব্যায়ামের সাথে এর তুলনা করলে দেখা যায়, মাঝারি ধরণের ভারী ব্যায়াম করতে থাকা অবস্থায় ৫০ বছর বয়সী মানুষের হৃদস্পন্দন থাকে মিনিটে- ৮৫ থেকে ১১৯ পর্যন্ত। এ থেকেই বোঝা যায় যে, সাধারণ মাঝারি মাত্রার ব্যায়ামের চাইতে ভালো উপকার পাওয়া যায় দৈহিক মিলন থেকে। অর্থাৎ এক ঘন্টার সেক্স সমান ৩৬ মিনিট ব্যায়াম; যা ওজন কমাতে সমান কাজ করে।
এর আগে ১৯৮৪ সালে, সাহসী ১০ দম্পতির ওপর চালানো হয়েছিল এমন একটি গবেষণা। হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, অক্সিজেন গ্যাস অ্যানালাইজার এবং ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফি ব্যবহার করে তাদের শারীরিক অবস্থার তথ্য নেওয়া হয়। তখনও দেখা যায় সেক্সের সময় হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার একটা বড় সমস্যা আছে।
সেটা হল, এমন অজস্র যন্ত্রপাতির সাথে লাগানো সেন্সর, টিউব ইত্যাদির উপস্থিতিতে- স্বাভাবিক মানসিকতা নিয়ে দৈহিক মিলন সম্ভব না। আর তাই এ পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যকেও তখন সম্পূর্ণ সঠিক বলে ধরা যায়নি। বর্তমানে অবশ্য এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
সেটা হল, এমন অজস্র যন্ত্রপাতির সাথে লাগানো সেন্সর, টিউব ইত্যাদির উপস্থিতিতে- স্বাভাবিক মানসিকতা নিয়ে দৈহিক মিলন সম্ভব না। আর তাই এ পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যকেও তখন সম্পূর্ণ সঠিক বলে ধরা যায়নি। বর্তমানে অবশ্য এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
সেন্সওয়্যার (SenseWear) নামের একটা আর্মব্যান্ড পরিধান করার মাধ্যমেই অংশগ্রহণকারীদের শরীরের ক্যালোরি খরচের সব তথ্য পেয়ে যান গবেষকরা। প্রথমে এসব অংশগ্রহণকারীদেরকে ৩০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করতে বলা হয়। যাতে গবেষকরা একটা প্রাথমিক ধারণা পান। পরে সেই আর্মব্যান্ড পড়া অবস্থায় তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাসায় যৌন মিলন করার সময় তাদের শরীর থেকে তথ্য চলে আসে গবেষকদের কাছে।
নি:সন্দেহেই জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা, দৌড়ানো বা সাঁতার কেটে ঘাম ঝরানোর চাইতে মানুষ সেক্স বেশি পছন্দ করে। আর ঘরের কাজকর্মের চাইতেও যেহেতু এটা বেশি কার্যকর; তাই গবেষকরা আশা করছেন, এই তথ্য জানার ফলে মানুষ সেক্সে আগ্রহী হবে এবং তাদের ক্যালোরি ক্ষয়ের পরিমাণ আগের থেকে একটু হলেও বাড়বে।
#সহবাস , #স্বাস্থ্য #যৌনমিলন #হাঁটার #ব্যায়াম
No comments:
Post a Comment