আধুনিক সমাজের যৌনতায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষণীয়। পাশ্চাত্য সমাজের কৃষ্টি ও কালচারে অতিউৎসাহী হয়ে কিছু তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতী সেক্সের বিকৃতি ঘটিয়ে মজা লুটছে। আর তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে এসব তারা সাধারণ পাবলিককে যৌনতার অপরিহার্য অংশ হিসেবে পরিচিত করাচ্ছে। তেমনই বিকৃত একটি যৌনক্রিয়া হচ্ছে ওরাল সেক্স।
সহজভাবে বলতে গেলে, ওরাল সেক্স হলো মুখের মাধ্যমে সেক্স বা যৌনতায় অংশগ্রহন করা। পশ্চিমা
কুসংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শনগুলোর একটি হলো ওরাল সেক্স বা মুখ দিয়ে সেক্স করা। এই যৌন ক্রিয়াটি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মতভেদ দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হলো যে কোন রোগ অতি দ্রুত একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। তাছাড়া এখানে রুচিরও ব্যাপার জড়িত। পার্টনারের সাথে জোরপূর্বক ওড়াল সেক্স করা থেকে বিরত থাকতে হবে।ওরাল সেক্স কি?
ওরাল সেক্স করলে ক্ষতি হবে?
ধর্মীয়ভাবে ওরাল সেক্স করা কি হারাম?
ওরাল সেক্স কিভাবে করলে কোন ঝুঁকি থাকে না?
ওরাল সেক্সের নৈতিক দিকটি প্রত্যেকেরই বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এটা একেবারেই স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়। ধর্মীয়ভাবে ওরাল সেক্স হারাম নয়; তবে এটাকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।
ওরাল সেক্স করার সময় প্রত্যেক দম্পতির উচিত সব সময় বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা। কারণ পেনিস বা যোনি অর্থাৎ যৌনাঙ্গ বেশির ভাগ সময়ই নানান জীবানু বহন করে। বিশেষ করে প্রসাব-পায়খানা, পোশাকের জন্য ও যৌন মিলনের পর জীবানুর তৎপরতা খুব বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ওরাল সেক্সের সময় যদি মুখে কোন প্রকার রোগ-জীবানু, কাঁটা-ফাটা-ক্ষত জায়গা বা ঘা থেকে থাকে; তবে তা থেকে খুব সহজেই সাধারণ রোগ বা যৌনবাহিত রোগ সংক্রমিত হয়।
ওরাল সেক্স যদি করতেই হয় তবে সবসময়; বিশেষ করে ওরাল সেক্স করার আগে ও পরে যৌনাঙ্গ ও মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরী। যেমন- পেনিস, যোনি, মুখ এবং আশপাশের জায়গাগুলোও পরিস্কার রাখা প্রয়োজন।
ওরাল সেক্স বা মৌখিক যৌন মিলনের সময় বেশ কিছু রোগ বা ইনফেকশন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। যেমন- human-papilloma-virus (HPV), গনোরিয়া, এইচআইভি এইডস্, হারপিস, সিফিলিস এবং ভাইরাল হেপাটাইটিস জাতীয় রোগগুলো ওরাল সেক্সের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। তাছাড়া ওরাল সেক্স থেকে মুখের ক্যান্সারও হতে পারে। ওরাল সেক্স গ্রহণের চেয়ে প্রদানের সময়- রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। কারণ প্রদানের সময় যৌনাঙ্গের তরলের সাথে সংস্পর্শ বেশি থাকে। মুখে ঘা, ক্ষত বা আলসার থাকলেও এই ঝুঁকির হার উচ্চ মাত্রায় থাকে।
ওরাল সেক্স করার আগে দাঁত ব্রাশ বা দ্রুত ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এর ফলে মাড়িতে রক্তপাত বা ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। অবশ্য মাউথওয়াশ অর্থাৎ মুখ ধোবার তরল প্রতিষেধক অথবা মিন্ট ব্যবহার করা যাবে।
ওরাল সেক্সে উৎসাহ থাকা দোষের কিছু নয়। তবে অতি উৎসাহ আবার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। সঠিক উপায়ে সেক্স বা যৌন মিলন করতে পারলে ওরাল সেক্সের প্রয়োজন আছে কি? তাই সুস্থ্য ও সুন্দর সেক্স করুন; দাম্পত্য জীবন সুখী করুন।
#ওরাল-সেক্স, #ওড়াল, #Oral, #সেক্স
No comments:
Post a Comment