ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে দিয়েছেন সবাইকে। ব্রিটেনে সুপার-গনোরিয়া মহামারি আকারে ছড়িয়েছে গেছে। একে নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যৌনবাহিত এই রোগটি ক্রমেই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। প্রচলিত কার্যকর চিকিৎসা আর কাজ করছে না। এতে রোগটি আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যৌনবাহিত এই রোগটি ক্রমেই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। প্রচলিত কার্যকর চিকিৎসা আর কাজ করছে না। এতে রোগটি আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে।
এ বছরের এপ্রিলে তথাকথিত সুপার-গনোরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর শুরু লিডস থেকে। এর পর ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, লন্ডন এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে দেখা দিতে থাকে। নারী-পুরুষের যৌনতায় ছড়ায় রোগটি। পরে সমকামীদের
মধ্যেও ছড়িয়ে যায়।
স্বাস্থ্য সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচএল-অ্যাজিআর গনোরিয়া ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ছেই। এ বছর সেখানে এইচএল-অ্যাজিআর গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। গত বছরের একই সময় ১৫ জন এতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৮টি কেস নিশ্চিত করা গেছে।
সমকামী এবং নারী-পুরুষের যৌনকর্মে এইচএল-অ্যাজিআর এন. গনোরিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সমকামী এবং নারী-পুরুষের যৌনকর্মে এইচএল-অ্যাজিআর এন. গনোরিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
চরম অস্বস্তিকর অনুভূতি, পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিস এবং উর্বরতা নষ্ট হতে পারে এ রোগে। আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের একজন এবং অর্ধেক নারীর এই রোগ শনাক্তকরণের বাইরেই থেকে যায়। যৌনাঙ্গ থেকে হলুদ বা সবুজ বর্জ্য বের হওয়া, মূত্র ত্যাগের সময় অসুবিধা এবং পিরিয়ডের মাঝে রক্তপাত হতে পারে।
যৌন স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যারিটি এফপিএ এর চিফ এক্সিকিউটিভ নাটিকা এইচ হালিল জানান, যৌন ও স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো বেশি জানতে হবে মানুষের। জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে।
সেক্সুয়াল হেলথ উইক এর এক জরিপে বলা হয়, অনেক মানুষ কনডম ব্যবহারে অস্বস্তিবোধ করেন। এতে তারা যৌন তৃপ্তি পান না। কিন্তু যৌনবাহিত যেকোনো রোগ সামলাতে কনডম সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে।
No comments:
Post a Comment