নর-নারীর যৌনতা বিষয়ক পরিপূর্ণ ও তথ্যবহুল ব্লগ; ধর্মীয় ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে- যৌনতার নানান দিক, যৌন সমস্যার সমাধান, সফলতার একগুচ্ছ কার্যকর টিপস... JounoSeba
পুরুষের লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা, কারণ ও প্রতিকার
জন্মতারিখ দিয়ে জেনে নিন আপনার যৌনভাগ্য
সব সময়ে সব কিছুতেই নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন। খেলার মাঠ থেকে বিছানা— সব জায়গায়। যৌনতার সময়ে এঁরা সঙ্গীর
স্ত্রীর স্তন চোষা ও দুধ পান করা যাবে কি-না ?
বীর্যপাত কি ? বা বীর্যস্খলন কাকে বলে ?
যৌনতার প্রধান নিয়ামক হচ্ছে বীর্য। আর এই বীর্য যখন নানান উপায়ে বের করা হয় বা বের হয়; তখন তাকে বীর্যপাত বা বীর্যস্খলন বলা হয়। পুরুষের বীর্যপাত বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। তবে প্রধানত সেক্স বা যৌন মিলন করেই বীর্যপাত বেশি করা হয়। এছাড়াও হস্তমৈথুনের মাধ্যমেও বীর্যপাত ঘটানো যায়। আবার স্বপ্নেও বীর্য বের হয়; তখন সেটা স্বপ্নদোষ। কখনও কখনও সামান্য উত্তেজনাতেও আপনা আপনিই বীর্যপাত ঘটে।
প্রতিবার বীর্যপাতে নির্গত বীর্যের পরিমান
যৌন উত্তেজনার চুড়ান্ত পর্যায়ে পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ দিয়ে সবেগে যে তরল পদার্থ নির্গত হয়, সেই তরল পদার্থকে সাধারণ অর্থে বীর্য বলা হয়। বীর্য হল অসচ্ছ, গাঢ়-সাদা ও পিচ্ছিল তরল পদার্থ যা বীর্যপাত বা বীর্যস্খলনের সময় পুরুষাঙ্গের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত মুত্রনালীর মাধ্যমে শরীর থেকে বাহিরে নির্গত হয়। বীর্য বের করা বা বের হওয়াকে বীর্যপাত বলে।
শুক্র বীজ ব্যতীত অন্যান্য যেসব উপাদান বীর্যে পাওয়া যায়, তার ৯০%-ই তরল জল জাতীয় উপাদান। এছাড়াও বীর্যে থাকে সুগার বা গ্লুকোজ যা শুক্রাণুর কার্যকারিতা ও বলিষ্ঠতার জ্বালানি স্বরূপ। বীর্যে আরো থাকে ক্ষারীয় উপাদান। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের কিছু পরিমাণ এনজাইম ও কিছুমাত্রায় ভিটামিন সি, কিঙ্ক এবং থাকে কোলেস্টেরল। দেহের বীর্য সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি অন্যান্য দশবারোটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মতোই সাধারণ।
অধিকাংশ বীর্যের তরলই প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড থেকে বের হয়। যার বেশি অংশই যৌন অনুভুতির সময় পুরুষ প্রজননতন্ত্রের নিঃসরন হতে সৃষ্ট।
৬৫% বীর্য- Seminal Vesicles দ্বারা উৎপাদিত।
৩০% থেকে ৩৫% বীর্য- মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থিবিশেষ থেকে সরবরাহকৃত।
৫% বীর্য- শুক্রাশয় এবং অন্ডকোষের epididymes নামক অংশ হতে সৃষ্ট।
বয়ঃসন্ধিকালেই বীর্যের বিকাশ বা উৎপাদনের সূত্রপাত হয়। তাই এ সময়টা যৌনতায় বেশ ধৈর্য ও যত্নবান হতে হয়। বয়ঃসন্ধিকালে বীর্য উৎপাদনের প্রক্রিয়া {প্রথম বীর্যস্খলনের পর (মাস) হিসাবে গড় পরিমাণ (মিলিমিটার)} হলোঃ
০-৫ মাসে বীর্য উৎপাদন বা বিকাশের পরিমান ০.৫ মি.মি.। তেমনিভাবে, ৬-১১ মাসে ১.০ মি.মি. ১২-১৭ মাসে ২.৫ মি.মি. ১৮-২৩ মাসে ৩.০ মি.মি. এবং ২৪- পরবর্তী ৫ মাস ৩.৫ মি.মি. পরিমান বীর্য উৎপাদন হয়। যা পরবর্তীতে শারীরিক-মানসিক ও অপচয় বা বদঅভ্যাস গ্রহন বা বর্জন করার মাধ্যমে কম-বেশি হয়ে থাকে।
বীর্যের পরিমাণঃ
উৎপাদিত বীর্যের পরিমাণ বীর্যপাতের সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে তা গড়ে ৩.৪ মিলিলিটার এবং সর্বোচ্চ ৪.৯৯ মিলি থেকে সর্বোনিম্ন ২.৩ মিলি হয়। সে হিসেবে প্রতিবার যৌনমিলনে সাধারণত ১ টেবিল চা-চামচের সামান্য বেশি পরিমাণ বীর্য বের হয়। তবে শারীর-বৃত্তীয় কোনো কারণের জন্য বীর্যের পরিমাণ কম-বেশি হওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক।
প্রতিবার বীর্যপাতে বয়স ভিত্তিক বীর্যের পরিমানঃ
স্বাভাবিক বীর্যপাতে প্রতিবার বীর্যের পরিমান ৪ মি.লি. কম হয়ে থাকে। তবে এ কথা সত্য যে, বিভিন্ন কারণে বীর্যের পরিমান কম বেশিও হয়ে থাকে। আবার একই দিনে একাধিকবার বীর্যপাত বা বীর্যস্খলনে বীর্যের পরিমান অনেক কমে যায়। বয়সের উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক বীর্যের প্রকৃত পরিমান নিচে দেয়া হলোঃ
• ২০-৩০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান প্রায় ৪ মি.লি.।
• ৩০-৫০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান প্রায় ৩.৫ মি.লি.।
• ৫০-৭০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান প্রায় ২ মি.লি.।
• ৭০ উর্দ্ধ পুরুষের বীর্যপাতে বীর্যের পরিমান ১ মি.লি. এর মত।
@ স্বাভাবিক বীর্যস্খলনে বীর্যের পরিমান কতটুকু? যৌন উদ্দীপনায় বীর্যের পরিমান, বীর্যস্খলনে বীর্যের পরিমাণ, বীর্য উন্নয়ন, বীর্য কি? সেক্স... পরিমান, বয়ঃসন্ধিকালে বীর্যের পরিমান, দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান, দ্রুত বীর্যপাত বা প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেন কি? দ্রুত বীর্যপাত কেন হয়? @ স্বাভাবিক বীর্যপাতে প্রতিবার বীর্যের পরিমান কতটুকু হয়? বীর্যের পরিমাপ, সহবাসে @বীর্যের সঠিক পরিমান
নারীর বীর্যপাত কি পুরুষের মতো ?
নারীর বীর্যপাত (Female Ejaculation) নিয়ে যৌন সচেতন নারী পুরুষদের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল বা ভুল ধারণা দেখা যায়।
পুরুষদের মতো নারীদেরও কী বীর্যপাত হয়? বা নারী বীর্য কি পুরুষ বীর্যের মতো? এই জাতীয় প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানার জন্য, যৌন ক্রিয়া বা যৌন উত্তেজনার সময় যে তরল ও পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়; সেই বিষয়ে জানা জরুরী। এটা ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত যে, নর-নারীর যৌনাঙ্গ দিয়ে শুধুমাত্র বীর্য বের হয় না। বীর্য জাতীয় মযী ও অদী বের হয়।
যৌন মিলনের সময় বা কাল
যৌন মিলন বা সহবাসের কিছু বিধি নিষেধ বা সময়সীমা আছে, যা না মানলে যৌন জীবন অশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এসব মেনে চলা প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির অবশ্য কর্তব্য। আর যদি না মানি তাহলে আমাদের মধ্যে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই নিষিদ্ধ সময়ে সহবাস থেকে বিরত থাকা উত্তম। সহবাসের সঠিক কাল বা সময়ের কিছু নমুনা জেনে নিন।
* ঘুমোবার পর রাতের দ্বিতীয় প্রহর সহবাসের শ্রেষ্ঠ সময়।
* দিনের বেলা সহবাস না করাই ভালো।
* ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার রাতে সহবাস না করা ভালো।
* ভোরবেলা সহবাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হ’তে পারে।
* প্রবাস গমনের পূর্বে রাতে স্ত্রী সহবাস।
* গুরুর গোশত খাওয়ার পর পর সহবাস নিষিদ্ধ।
* শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা নিয়ে সহবাস করা অনুচিত।
* ক্রুদ্ধ বা চিন্তিত মেজাজে সহবাস উচিত নয়।
* রোগ অবস্থায় সহবাস করলে রোগ আরো বৃদ্ধি পায় ও শরীরের মারাত্বক ক্ষতি হয়।
* বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা বয়সে বা বারবনিতার সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায় এবং নিজেকে মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
চারটি ক্ষেত্রে সহবাসের ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে (সহবাস নিষিদ্ধ বা হারাম)। এগুলো হলঃ
১। পায়ুমৈথুন বা পায়ুপথে সহবাস,
২। মেয়েদের রজঃস্রাবকালীন সময়। অর্থাৎ হায়েজ নেফাছ অবস্থায় সহবাস নিষিদ্ধ।
৩। সন্তান জন্মের পর প্রথম চল্লিশদিন,
৪। রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় (রাতের বেলা যায়েজ) এবং হজ্জ ও ওমরাহ পালনের সময়। হজ্জ বা ওমরা চলাকালীন সময়ে বিবাহ হলে তা সক্রিয় বলে গণ্য হবে না।
@ নিষিদ্ধ সময়ে সেক্সের কুফল, মৈথুন সময়।
নিষিদ্ধ সময়ে সহবাসের, নিষিদ্ধ সময়ে সেক্স, সহবাসের কাল, নিষিদ্ধ সময়ে সঙ্গম, পায়ুপথে সঙ্গম, বৈবাহিক সহবাস, সেক্স কাল
ভায়াগ্রা জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে রাখুন
পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখা খুবই জরুরী। পুরুষদের এমন অনেক যৌন সমস্যা বা অবস্থা থাকে যেগুলোর জন্য জীবনের কোন না কোন সময়ে তাকে ভুগতে হয়। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা ইত্যাদি। আর এসব হলে, বিভিন্ন জনের বিভিন্ন উপদেশ শুনে- বিরাট কিছু ভেবে সামান্য সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলি। তবে এসব ক্ষেত্রে অনিরাপদ ওষুধের ভূমিকাই বেশি থাকে।
যৌনতার এই সমস্যার সমাধান ঘরোয়া ভাবেই করা সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক থেকে মানসিক ও জীবন যাত্রার প্রভাব এই সমস্যাগুলোর জন্য দায়ী হয়। নিচে যৌনতায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
এই কথা সত্য যে, যৌন সমস্যায় অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবনে অস্থায়ী আরোগ্য হলেও তা ক্ষতি করে স্থায়ীভাবে। ভায়াগ্রা এবং এই ধরণের ঔষধের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল মাথাব্যথা বা মাথা ধরা, যা ১৬% সেবনকারীর মধ্যে দেখা যায়। ১০% সেবনকারীর রক্তচাপ কমে যায়, মাথা ঝিমঝিম করে, মুখে লাল ভাব দেখা দেয়, চোখ লাল বর্ণ ধারণ করে। ১০% সেবনকারীর খাবার হজমে অসুবিধা দেখা দেয়। ১০% সেবনকারীর নাক বন্ধ হয়ে যায়। ভায়াগ্রা, কামাগ্রা ইত্যাদি সেবনকারীদের মধ্যে কারও কারও দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়। ওষুধ সেবনের পর নেশা দ্রব্য গ্রহনের অনুভূতি হতে পারে।
যৌনতা বৃদ্ধির ওষুধে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি যৌন সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এসব ঔষধের প্রভাবে পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য অত্যন্ত ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
যৌন বা সেক্স সমস্যার সমাধানে করণীয়
* নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, (রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা)।
* ধূমপান, মদ্যপান অর্থাৎ সমস্ত নেশা বর্জন করতে হবে।
* যৌনতায় আত্ববিশ্বাস বেশ কার্যকর।
* পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে।
* রক্তচাপ ও কোলেস্টরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
* বদঅভ্যাস, খারাপ চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা চাই।
* দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
* শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
* ফলমূল খেতে হবে।
* তরমুজ, ডালিমের জুস খেতে পারেন।
* মানসিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হবে।
* বিশ্বস্ত ও জ্ঞানী কারও সাথে যৌন ব্যাপার নিয়ে কথা বলুন।
উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া নিয়ম কানুন মেনে এবং শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতির মাধ্যমে সহজেই যৌনতা জনিত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আর এসবের ব্যতিক্রম হলে অভিজ্ঞ ও ভালো চিকিৎসকের স্বরণাপন্ন হোন।
@ যৌন ওষুধের অপকারিতা, লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা কী? "Viagra" , পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য ... ED এর জন্য যে ঔষধ দেওয়া হয় তাতে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে? 'camagra' . দ্রুত বীর্যপাত ।। লিঙ্গ না দারানো সমস্যা কী? সেক্স ওষুধের ক্ষতি , ওষুদ , #Viagra , লিঙ্গের খারা সমস্যা । সেক্স ঔষুদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?
লিঙ্গ উত্তেজিত না হওয়ার কারণ ও সমাধান
লিঙ্গ উত্তেজনা জনিত এই সমস্যার সমাধান সহজভাবেই করা সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক, মানসিক ও জীবন যাত্রার প্রভাব এই সমস্যার সৃষ্টি করে।
পুরুষের লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা, ধ্বজভঙ্গ বা যৌন মিলনে অক্ষমতা এবং পুরুষাঙ্গের উত্থান জনিত রোগ বা ব্যাধি নামে অধিক পরিচিত।
দীর্ঘক্ষণ সেক্স করার কার্যকর উপায়
সেক্স করার অনেক আগেই সঙ্গি বা সঙ্গিনীকে জানান তার সাথে সেক্স করবেন। দুজনেই সেক্সের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিন। যদি কোন একজনের অসম্মতি থাকে; তবে সে যাত্রায় ধৈর্য ধরুন। কারণ এসময় সেক্স না করা
অসময় বা নিষিদ্ধ সময় সহবাস করলে যেসব ক্ষতি হতে পারে
নিয়মের বাইরে বা নিষিদ্ধ সময় সহবাস করলে মানুষের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। যা সরাসরি যৌন জীবন থেকে সংসার জীবনেও প্রভাব সৃষ্টি করে। ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। মানব কল্যানের জন্য ইসলামে কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। সেসব মেনে চললে প্রত্যেক মানুষের জন্যই রয়েছে কল্যান। কিন্তু ইসলামি বিধি নিষেধ না মানলে ইহকাল, পরকাল দুই জায়গায়ই অশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
যৌন মিলন বা সহবাসেরও কিছু বিধি নিষেধ আছে। এসব মেনে চলা প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির অবশ্য কর্তব্য। আর যদি না মানি তাহলে আমাদের মধ্যে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই নিষিদ্ধ সময়ে সহবাস করার কিছু ক্ষতিকর দিক জেনে নিন।
নিষিদ্ধ সময়ে সহবাসের কুফল
* বেশি গরমের মধ্যে, শরীরে জ্বর নিয়ে সহবাস করলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
* স্বামী বা স্ত্রীর অসম্মতিতে সহবাস করলে দুজনের মধ্যকার প্রেম ভালবাসা কমে যায়।
* বুধবার রাতে সহবাসে জন্ম নেয়া সন্তান তার সন্তান, পিতা ও মাতা কে কষ্ট দিয়ে থাকে।
* বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা বয়সে বা বারবনিতার সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায় এবং নিজেকে মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
* চাঁদের প্রথম ও পনের তারিখের সহবাসের ফলে জন্ম নেয়া সন্তান পাগল ও অত্যাচারী হয়।
* রাগ, চিন্তা, কষ্ট ও ভয়জনিত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
* বিদেশ গমনের পূর্বের রাতে সহবাসের সন্তান অপব্যয়ী ও পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে থাকে।
* ঈদুল আযহার রাতে সহবাসে জন্ম নেয়া সন্তান বাইশ আঙ্গুল বিশিষ্ট হয়।
* রোগ অবস্থায় সহবাস করলে রোগ আরো বৃদ্ধি পায় ও শরীরের মারাত্বক ক্ষতি হয়।
* অত্যধিক ঠাণ্ডায় সহবাসের জন্য মিলিত হলে নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে।
* হায়েজ নেফাছ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে, স্বামী স্ত্রী দুই জনেই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। যার মধ্যে মেহ প্রমেহ রোগ অন্যতম।
* বিদঘুটে অন্ধকার ঘরে, ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় সহবাস করলে স্থায়ী স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
@ সার্চঃ সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, যে সময়ে সেক্স করা যাবেনা, যৌন মিলনের নিষিদ্ধ সময়... সেক্সের নিষিদ্ধ সময় । যৌনতায় সীমারেখা ও বিধিনিষেধসমূহ, যে সময়ে সঙ্গম করা যাবে না, অসময়ে সেক্স ক্ষতি, নিষিদ্ধ সেক্সে ক্ষতি,
সহবাসে শক্তিহীনতা ও তার কারণসমূহ
সহবাস বা শারীরিক সম্পর্ক বিবাহিত নর নারীর সহজাত প্রবৃত্তি। সহবাস করতে শারীরিক ও মানসিক শক্তির প্রয়োজন। আর এই শক্তির মাধ্যমে সহবাস দীর্ঘতর সুখ ও শান্তিতে ভরে ওঠে। সহবাসে শক্তির স্বল্পতা আর দ্রুত বীর্যপাত করা একই কথা, যদিও এই দু’টির কারণ কিছুটা ভিন্ন। বিভিন্ন কারণে সহবাসের শক্তি হ্রাস পায়।
দ্রুত বীর্যপাত এক ধরনের সমস্যা বা রোগ। আর এই সমস্যার প্রধান কারণ রতিশক্তির সাপোর্ট না পাওয়া। আজকের টপিক্স রতিশক্তি বা সহবাসের শক্তি স্বল্পতা নিয়ে; দ্রুত বীর্যপাত নয়। দ্রুত বীর্যপাত বিষয়ে পূর্বে অনেক পোষ্ট হয়েছে; প্রয়োজনে পরবর্তীতেও হবে। তাই আজ সহবাসে শক্তিহীনতা নিয়েই আলোচনা হবে।
সহবাসের শক্তি স্বল্পতা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এটি শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দরুন হয়ে থাকে। সহবাসে শক্তিহীনতার বিভিন্ন কারণ থাকে। আর এই কারণগুলো সফল সহবাসের প্রধান অন্তরায়।
সহবাসে শক্তিহীনতার কারণঃ
০১। প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া সহবাস করা;
০২। সহবাসে অত্যধিক উত্তেজনা;
০৩। ঘন ঘন উত্তেজনা আসা কিন্তু তা অস্থায়ী;
০৪। উত্তেজনার সময় সহবাস না করা;
০৫। অতিরিক্ত বা ঘন ঘন সহবাসে মিলিত হওয়া;
০৬। সহবাসের সময় ভয়, লজ্জা ও কোন বাধার ফলে;
০৭। বহুদিন পর সহবাস করা;
০৮। মানসিক অস্থিরতা;
০৯। হস্তমৈথুন করা;
১০। শারীরিক অসুস্থতা;
১১। নেশা করা ও সেই অবস্থায় সহবাস করা;
১২। জন্মগত দুর্বলতা;
১৩। যৌন শক্তি বৃদ্ধির অনিরাপদ ওষুধ সেবন;
১৪। যৌন ব্যাধিতে আক্রান্ত;
১৫। স্বামী-স্ত্রী ব্যতীত সহবাস করা।
উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন কারণ ছাড়াও, সহবাস বা যৌন শক্তি স্বল্পতার আরও অনেক কারণ রয়েছে।
যৌন শক্তি স্বল্পতার উপরোক্ত কারণগুলো চিহ্নিত করে, তা প্রতিকারে মনোযোগী হোন।
@ সেক্স শক্তি স্বল্পতার, যৌন শক্তির স্বল্পতা ।। শীঘ্র রেতঃপাত, যৌন মিলন, শীঘ্র পতন, যৌন ব্যাধি... জন্মগত.. সেক্স দুর্বলতা । সেক্স রোগের কি ঔষধ । মৈথুন শক্তির স্বল্পতা, শীঘ্র রেতঃপাত, সেক্স শক্তি স্বল্পতা