ওষুধের বালাই নেই। ইনজেকশন, অপারেশন নেই। সাইড এফেক্টের ভয় নেই। শুধু স্পর্শেই ভ্যানিশ দুরারোগ্য অসুখ। মাইগ্রেন বা আলসার। ব্লাড প্রেশার বা ডিপ্রেশন। রেইকিতে জব্দ সবই। স্পর্শে রোগ উধাও।
সঙ্গীতের মৃদু মূর্ছনা। আঙুলের ছোঁয়ায় আরাম। নিরাময়ী আলো এসে ঘুচিয়ে দিক অন্ধকার, বেদনাপূর্ণ দেহের সেসব স্থান উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। নুয়ে পড়া, কুঁজো এক নারী শরীর শুধু হাতের স্পর্শে অজস্র মানুষের মুখে ফুটিয়ে তুলেছেন হাসি। বুকে আঙুল ছুঁইয়ে নরেনকে ঈশ্বরদর্শন করিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। সেই স্পর্শেই অবিশ্বাস্য রোগমুক্তি।
প্রায় ৫ হাজার বছর আগে বশিষ্ঠ মুণি রেইকির স্রষ্টা বলে পুরাণে উল্লেখ আছে। তারপর রোগমুক্তির সেই ধারাকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যান গৌতম বুদ্ধ। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গয়ায় তপস্যা করে ফের রেইকি ফিরিয়ে আনেন তিনি।
জ্বালা-যন্ত্রণাহীন নিরাময়। স্পর্শের শক্তি। পাঁচটি চেতনার অন্যতম। কঠিন রোগ থেকে সহজেই মুক্তি। আরাম ও সুখ।
ফেথ হিলার বা রেইকি থেরাপিস্টদের দাবি, হাত-পায়ের যন্ত্রণা, গাঁটের ব্যথা, পাইলস, ফিসচুলা খুব অল্প সময়ে সহজেই সারে। পারকিনসন্স, অ্যালঝাইমার্সের মতো নার্ভের জটিল রোগ, শ্বেতীও সারানো সম্ভব টাচ থেরাপিতে। এমনকী প্রথম পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে রেইকিতে সারানো সম্ভব। ইনসুলিন, ওষুধে কাজ না দিলেও রেইকিতে হাই ব্লাড সুগারও নামানো সম্ভব। এমনই দাবি রেইকি থেরাপিস্টদের। ধ্যানের মাধ্যমে মনঃসংযোগে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক রোগও নিরাময় সম্ভব।
গবেষকদের দাবি, মগজের সতর্ক ঘণ্টা স্ট্রেস হরমোন দ্রুত উৎসারিত করে। তখন হার্টবিট বেড়ে যায়, বাড়ে রক্ত চলাচল। অর্থচিন্তা, সম্পর্কহানির চিন্তা বাড়ে। সেই চিন্তা থেকে মুক্তি দেয় রেইকি। বড় কোনও অপারেশনের আগে সময়মতো টাচ থেরাপি নিলে উদ্বেগ, উত্কণ্ঠা কমে যায়। যেসব মহিলা তাঁদের জীবনসঙ্গীকে দিনে একাধিকবার আলিঙ্গন করেন, সেই সব পুরুষের রক্তচাপ অনেকটাই কমে যায়। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে সাপোর্ট পেলে হার্টের রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমে যায়। মন, শরীর, আত্মার বিচ্ছেদকে জুড়ে দেয়, পূর্ণতা দেয় স্পর্শ।
No comments:
Post a Comment