জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য দুটো পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি। স্বল্প মেয়াদে কনডম এবং দীর্ঘমেয়াদে ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি। ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি হলো পুরুষের শুক্রকীটবাহী নালি কেটে দেওয়া। তবে আমাদের সমাজে সাধারণত পুরুষরা সহজে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে চান না। এর কারণ কী?
এ বিষয়ে কথা হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ পুরুষরা স্বল্প মেয়াদে পদ্ধতি গ্রহণ করতে চাইলেও দীর্ঘমেয়াদে পদ্ধতি গ্রহণে কম আগ্রহ দেখান। মূলত, এই ক্ষেত্রে কিছু ভুল বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। অনেকে ভাবেন, স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণে যৌন ইচ্ছা বা ক্ষমতা কমে যেতে পারে। স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে এটি ভুল ধারণা।
ডা. রেজাউল করীম কাজল বলেন, ‘আসলে প্রচলিত সামাজিক ও পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের দায়টিও নারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।’
এই বিষয়ে সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে যেমন ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে, তেমনি পারিবারিকভাবেও অনেকে চান না পুরুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করুক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেবা প্রদানকারীদের এই বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে এবং পুরষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে’।
ভুল ধারণা দূর করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে পারিবারিক , সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। একটি মেয়ের যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে কষ্ট হয় তেমনি একটি ছেলেরও তেমন হতে পারে। এটি মেনে নেওয়া প্রয়োজন।’
পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই পুরষদেরও স্বাচ্ছন্দ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment