কনডম নিয়ে ভুল ধারণা

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ছাড়াও অনেক কারণেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে জন্মনিরোধক কনডম।

এছাড়াও রয়েছে নানারকম প্রচলিত ধারণা। স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে এরকমই কিছু ধারণার কথা জানানো হয় যা ঠিক নয়।

কনডম কেনার বয়স:
কনডম কেনার কোনো বয়স সীমা নেই। পাশাপাশি পারিবারিক স্বাস্থ্য ক্লিনিক, যৌনবিষয়ক হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যেও কনডম পাওয়া যায়।

কেনো প্রয়োজন:
কনডম শুধু গর্ভধারণ এড়াতে নয়, ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন’ (এসটিআই) অর্থাৎ যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়ানো রোগ এড়াতেও প্রয়োজন। তাই সঙ্গীর শরীরে এমন কোনো সংক্রামক রোগের জীবানু আছে কিনা তা নিশ্চিত না হলে সচেতন থাকাই শ্রেয়।

কনডমের মেয়াদ:
সব পণ্যের মতো কনডমেও ‘এক্সপায়ারি ডেট’ বা ব্যবহারের মেয়াদ থাকে। তাই কেনার আগে মেয়াদ দেখে নিন। অনেকেই মনে করেন, একেবারেই ব্যবহার না করার চাইতে মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করা ভালো। তবে এই ধারণা ভুল। মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম ব্যবহারে যৌনাঙ্গে র‌্যাশ তৈরি করতে পারে বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। পাশাপাশি ব্যবহারকালে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সংবেদনশীলতা কম:
কনডম ব্যবহারে যৌন মিলনের তৃপ্তি কমে যায় এমন ধারণা অনেকের। তবে গবেষণা অনুযায়ি, মিলনকালে কনডম ব্যবহার করা বা না করার সঙ্গে যৌনাঙ্গে সংবেদনশীলতার কোনো তারতম্য হয় না।

গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে কনডম দরকার নেই:
গর্ভনিরোধক পিল খেলেই গর্ভে সন্তান আসার সম্ভাবনা সবসময় শেষ হয় না। পাশাপাশি এসব ওষুধ যৌন মিলনের মাধ্যমে সংক্রমিত রোগবালাই থেকে রক্ষা করে না।

বেশি কনডম ব্যবহার:
মাত্র একটি কনডমই অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ ও যৌন সংক্রামক ব্যধি থেকে বাঁচাতে যথেষ্ট। তাই একসঙ্গে একাধিক কনডম ব্যবহার অপ্রয়োজনীয়। বরং একাধিক কনডম ব্যবহারে ঘর্ষণ বেশি হয়, ফলে কনডম ছিঁড়ে যেতে পারে।

সঙ্গী ভালো মানুষ:
যৌন সংক্রামক রোগ মানুষ বুঝে হয় না। তাই সঙ্গীর মন-মানসিকতা, চরিত্র যেমনই হোক সাবধানের মার নেই।

কনডমের সঙ্গে তেল নয়:
সব কনডমই যথেষ্ট পিচ্ছিল থাকে। তবে আরও পিচ্ছিল করার প্রযোজন হলে পানি বা সিলিকনভিত্তিক পিচ্ছিল পদার্থ ব্যবহার করা উচিত। রাবার ক্ষয় করে ফেলে তেল, ফলে কনডম ছিঁড়ে যেতে পারে।

কনডম পরার সময়:
সে‌ক্সের মাঝামাঝি সময়ে কনডম পরলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ থামানো পুরোপুরি সম্ভব নয়। পাশাপাশি যৌন সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচাও সম্ভব নয়।

দ্বিতীয়বার কনডম লাগে না:
প্রতিবার বীর্য স্খলনেই শুক্রাণু নির্গত হয়। বরং দ্বিতীয়বারে গর্ভধারণের সম্ভাবনা আরও বেশি। সঙ্গে যৌন সংক্রামক রোগেও ঝুঁকিও বেশি।

কনডম সংরক্ষণ:
অত্যন্ত ঠাণ্ডা বা অত্যন্ত গরম স্থানে কনডম সংরক্ষণ করা উচিত নয়। রাখতে হবে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়। পকেটে, মানিব্যাগে কনডম রাখলে ঘষা লেগে ফুটো হয়ে যেতে পারে।

রাবারে অ্যালার্জি:
রাবার সহ্য না হলেই যে আপনাকে ঝুঁকিপূর্ণ যৌন মিলন করতে হবে এমনটা নয়। এজন্য কিনতে হবে নন-লেটেক্স কনডম। যা প্রাকৃতিক উপাদান বা ‘পলিয়াসপ্রিন’ দিয়ে প্রস্তুত। কিছু কনডম আছে ‘ল্যাম্বস্কিন’ বা ভেড়ার চামড়া দিয়ে প্রস্তুত করা। তবে ‘ল্যাম্বস্কিন’ কনডম গর্ভধারণ ঠেকাতে পারলেও যৌন বাহিত রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে না।

No comments:

Post a Comment