বর্তমান এই যুগে জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। আরাম-আয়েশ একটু বাড়িয়ে নিতে নিত্যনতুন উদ্ভাবনের যেন শেষ নেই। তবে বিজ্ঞজনরা বলেন, সব বাড়াবাড়িরই একটা ভালো-মন্দ আছে। এ কথা মানলে মন্দের প্রভাব থেকে প্রযুক্তিই বা বাদ যাবে কেন।
সম্প্রতি প্রযুক্তির তালিকায় যুক্ত হওয়া সেক্স ডল বিশ্বজুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। এর উদ্ভাবকরা বলছেন, মানব শয্যাসঙ্গিনীর সব চাহিদাই মেটাতে পারবে এই পুতুল। এমনকি আপনার অনুভূতি বুঝে নিয়ে সেগুলোও বিপরীত অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে। এ সবকিছুই সম্ভব হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে।
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই একসময় নাকি সর্বনাশের কারণ হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এমনকি ঘরের বাসিন্দা রোবটগুলো আনন্দ দেওয়ার পরিবর্তে মানুষকে হত্যাও করতে পারে। তাছাড়া পারিবারিক, সামাজিক ও বিশেষ করে শারীরিক সমস্যা যে প্রকট আকার ধারণ করবে তা বলা বাহুল্য।
এ বিষয়ে নিজের মতামতের কথা তুলে ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডিয়াকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিক প্যাটারসন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সেক্স রোবটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হ্যাকারদের কাছে অনেক সহজ হয়ে পড়েবে। আর একবার তা সম্ভব হলে দূর থেকেই মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে চালনা করা যাবে রোবটগুলো। এতে সেগুলো দিয়ে সংঘটিত করা যাবে যেকোনো অপরাধ।
পিটারসন বলেন, কোনো কোনো সেক্স রোবটের ওজন ২০০ পাউন্ড পর্যন্ত এবং খুব শক্তিশালী হয়। ফলে একজন শক্তিশালী মানুষের মতো যেকোনো অপরাধ করতে পারবে সেগুলো। অপরাধের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না ডাকাতি ও খুনখারাবিও। প্রয়োজন হবে হ্যাক করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। আর সেটা করাও বেশি কঠিন হবে না। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার জন্য সেগুলোকে সব সময় ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে।
তাই ভিন্ন মাত্রার আনন্দের কথা চিন্তা করে সেক্স রোবট ঘরে আনার আগে একটু সাবধান।
নর-নারীর যৌনতা বিষয়ক পরিপূর্ণ ও তথ্যবহুল ব্লগ; ধর্মীয় ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে- যৌনতার নানান দিক, যৌন সমস্যার সমাধান, সফলতার একগুচ্ছ কার্যকর টিপস... JounoSeba
সেক্স রোবটে সর্বনাশ!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment