হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে মুক্ত করার সফল টিপস

স্ব‌মেহন বা হস্তমৈথুন শরীরের জন্য খুবই ক্ষ‌তিকর। তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। এটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারে-

১. প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্ত-মৈথুন পাপ বা অপরাধ। এটা প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করে অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধ জা‌গে। মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন।

২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্ত-মৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। যদি হস্ত-মৈথুন থেকে সত্যি মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। কোন সেক্সটয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।কোন কোন সময় হস্ত-মৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন।
বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাৎ কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লেগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্ত-মৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন।
গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান।
হস্ত-মৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না। যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্ত-মৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান।

৩. বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্ত-মৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন। সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন।নিয়মিত খেলাধূলা করুন। ব্যায়াম করুন। এতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেন। বিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন।

স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন। ফলমূল-শাকসবজি বেশি খাবেন। নতুন কোন শখ বা হবি নিয়ে মেতে উঠুন। বাগান করতে পারেন, নিজের রান্না নিজে করতে পারেন, আরো কত কিছু আছে করার। আপনি যা করতে বেশি পছন্দ করেন, সেটাই করবেন। কিছুদিন পর আবার আরো নতুন কিছু করতে বা জানতে চেষ্টা করুন।অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন। দেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন।

৪. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে।
ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেন। ভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেন। ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেন। নিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন।

৫. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা জা‌গে তাই কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়।

কিছু টিপস:
১. ঘুমে সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি মিন্টস্ বা ক্যাণ্ডি চিবাতে পারেন। হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়। তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন।
২. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুলে যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না।
৩. কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।
৪. হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।
৫. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
৬. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।
৭. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।

নোট:
সব সমস্যার সমাধান ধর্মীয় অনুশাসন। তাই  হস্ত‌মৈথুন থে‌কে বাঁচ‌তে ধর্ম-ক‌র্মে লে‌গে পড়ুন। পর্যাপ্ত ধর্মীয় বই-পুস্তক পাঠ করুন।

নিয়‌মিত যৌন মিল‌নের সুফল

মানসিক চাপ কমানো থেকে শুরু করে হৃদযন্ত্র ভালো রাখা – নিয়মিত যৌনমিলন এমন নানা সুফল বয়ে আনে৷ স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি এবং ম্যান’সে হেলথ জানিয়েছে এই তথ্য৷ চলুন জেনে নেই সঙ্গমের দশটি সুফলের কথা৷

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
যারা যৌনজীবনে সক্রিয়, তারা নাকি অসুস্থতাজনিত ছুটি কম নেন৷ হ্যাঁ, এমনটাই মনে করেন যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইভোন কে. ফুলব্রাইট৷ তাঁর কথায়, নিয়মিত যৌনসঙ্গম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে৷ পেনসেলভেনিয়ার উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও দেখান যে, যেসব শিক্ষার্থী সপ্তাহে এক বা দু’দিন যৌনমিলনে লিপ্ত হন তাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা যারা এর চেয়ে কম ‘সেক্স’ করেন তাদের তুলনায় বেশি৷

যৌনকামনা বাড়ায়
নিয়মিত যৌনজীবন যৌনতার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে৷ বিশেষ করে নারীদের যোনিপথ পিচ্ছিল রাখতে, সেখানে রক্তচলাচল বাড়াতে এবং নমনীয়তা ঠিক রাখতে নিয়মিত যৌন জীবনের বিকল্প নেই, মনে করেন শিকাগোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লওরেন স্ট্রাইচার৷

নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
নারীর মূত্রাশয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ‘পেলভিক ফ্লোর’ শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন৷ আর ভালো যৌনজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে৷ বিশেষ করে ‘অরগ্যাসমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে৷ জেনে রাখা ভালো, প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে৷

রক্তচাপ কমায়
নিয়মিত যৌনজীবনের সঙ্গে রক্তচাপ কম থাকার একটি সম্পর্ক রয়েছে, মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন৷ তিনি জানান, গবেষণা বলছে যৌনমিলন (হস্তমৈথুন নয়) ‘সিস্টোলিক’ রক্তচাপ কমায়৷

এটাও ব্যায়াম
যৌনমিলন একটা ভালো ব্যায়াম, বলেন পিনসন৷ কেননা এতে প্রতি মিনিটে পাঁচটি ক্যালোরি খরচ হয়, যা টিভি দেখার চেয়ে চার ক্যালোরি বেশি৷ তিনি জানান, যৌনমিলনে দু’ধরনের সুবিধা মেলে৷ এটি আপনার হৃদ কম্পনে গতি আনে এবং একইসঙ্গে অনেকগুলো মাংসপেশীকে সক্রিয় করে৷

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
সুস্থ যৌনজীবন আপনার হৃদপিণ্ডের জন্যও ভালো৷ হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি এটি আপনার ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরনের’ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ গবেষণা বলছে, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন যৌনমিলনে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর শঙ্কা, যারা খুব কম ‘সেক্স’ করেন তাদের চেয়ে অর্ধেক কম৷

ব্যথা কমায়
ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিনের চেয়ে ‘অরগ্যাসম’ বেশি কার্যকর হতে পারে৷ নিউ জার্সি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক বলেন, ‘‘অরগ্যাসম ব্যথা বন্ধ করতে পারে৷ কেননা এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷’’

প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
যেসব পুরুষের মাসে অন্তত ২১ বার ‘ইজেকুলেট’ হয় তাদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কম, বলছে এক গবেষণা৷ তবে এই হিসেবে শুধু যৌনমিলন নয়, হস্তমৈথুনও অন্তর্ভুক্ত৷ তবে শুধু ‘সেক্স’ করলেই ক্যানসার মুক্ত থাকা যাবে কিনা, তা অবশ্য পুরোপুরি নিশ্চিত নয়৷ প্রোস্টেট ক্যানসারের পেছনে আরো অনেক কারণ থাকে৷

ঘুমে সহায়ক
যৌনমিলনের পর আপনি দ্রুত ঘুমাতে পারেন৷ কেননা ‘অরগ্যাজমের’ সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা দেহকে শিথিল করে এবং ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে৷

মানসিক চাপ কমায়
আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে থাকলে আপনার মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমতে পারে৷ গবেষকরা মনে করেন, সুস্থ জীবনের জন্য ‘সেক্স’ এবং ঘনিষ্ঠতা অত্যন্ত জরুরি৷

পর্নোগ্রাফি আসক্তি; হতে পারে অপূরণীয় ক্ষতি!

তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও ইন্টারনেটের কল্যাণে গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনের একটি ক্লিকেই আপনি ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বের যে কোনও স্থানে। প্রবেশ করতে পারেন পর্নোগ্রাফির সাইটেও। কিন্তু পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি আপনার জীবনে নিয়ে আসতে পারে বিরূপ প্রভাব এমনকি অনাগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন স্বাভাবিক যৌন জীবনে।
পর্নোগ্রাফির প্রভাব ব্যক্তিবিশেষের জন্য অন্যদের থেকে ভিন্ন হতে পারে। যা স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া ও যৌন সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আমেরিকার ব্রিগহ্যাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দাবী করা হয়েছে, আত্মবিশ্বাসের অভাব, নিজেকে ছোট মনে করা এবং প্রেমের সম্পর্ক থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কারণ পর্নোগ্রাফিতে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি।
আমেরিকার ৩৫০ জন পুরুষ এবং ৩৩৬ জন মহিলার ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাথান লিওনহার্ট গবেষণায় জানান, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নিঃস্ব মনে করেন। তারা বিশ্বাস করেন কোন মূল্যই নেই তাদের। অতিরিক্ত পর্ন দেখার ফলে এ নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়।
এর ফলে রোম্যান্টিকতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আসছেন তারা। কোনও রকম সম্পর্ক তো দূরের কথা, সামান্য ডেটিংয়েও অনীহা তৈরি হচ্ছে তাদের।

সেক্স রোবটে সর্বনাশ!

বর্তমান এই যুগে জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। আরাম-আয়েশ একটু বাড়িয়ে নিতে নিত্যনতুন উদ্ভাবনের যেন শেষ নেই। তবে বিজ্ঞজনরা বলেন, সব বাড়াবাড়িরই একটা ভালো-মন্দ আছে। এ কথা মানলে মন্দের প্রভাব থেকে প্রযুক্তিই বা বাদ যাবে কেন।
সম্প্রতি প্রযুক্তির তালিকায় যুক্ত হওয়া সেক্স ডল বিশ্বজুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। এর উদ্ভাবকরা বলছেন, মানব শয্যাসঙ্গিনীর সব চাহিদাই মেটাতে পারবে এই পুতুল। এমনকি আপনার অনুভূতি বুঝে নিয়ে সেগুলোও বিপরীত অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে। এ সবকিছুই সম্ভব হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে।
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই একসময় নাকি সর্বনাশের কারণ হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এমনকি ঘরের বাসিন্দা রোবটগুলো আনন্দ দেওয়ার পরিবর্তে মানুষকে হত্যাও করতে পারে। তাছাড়া পা‌রিবা‌রিক, সামা‌জিক ও বি‌শেষ ক‌রে শারী‌রিক সমস্যা যে প্রকট আকার ধারণ কর‌বে তা বলা বাহুল্য।
এ বিষয়ে নিজের মতামতের কথা তুলে ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডিয়াকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিক প্যাটারসন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সেক্স রোবটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হ্যাকারদের কাছে অনেক সহজ হয়ে পড়েবে। আর একবার তা সম্ভব হলে দূর থেকেই মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে চালনা করা যাবে রোবটগুলো। এতে সেগুলো দিয়ে সংঘটিত করা যাবে যেকোনো অপরাধ।
পিটারসন বলেন, কোনো কোনো সেক্স রোবটের ওজন ২০০ পাউন্ড পর্যন্ত এবং খুব শক্তিশালী হয়। ফলে একজন শক্তিশালী মানুষের মতো যেকোনো অপরাধ করতে পারবে সেগুলো। অপরাধের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না ডাকাতি ও খুনখারাবিও। প্রয়োজন হবে হ্যাক করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। আর সেটা করাও বেশি কঠিন হবে না। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার জন্য সেগুলোকে সব সময় ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে।
তাই ভিন্ন মাত্রার আনন্দের কথা চিন্তা করে সেক্স রোবট ঘরে আনার আগে একটু সাবধান।

বিয়ের আ‌গেই যৌন সম্প‌র্ক: শীর্ষ ১০ দেশ

বি‌য়ের আ‌গেই যৌন সম্পর্কে জরিয়ে পড়ায় থাইল্যান্ডের জনগণ শীর্ষে।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই সবাই পশ্চিমা বিশ্বের দিকে ইঙ্গিত করেন। এই ধারণা কিছুটা হলেও ভুল। কারণ বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের শীর্ষে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। দেশটির ৫৬ শতাংশ বিবাহিত দম্পতিই অবৈধ সম্পর্ক রাখেন।
যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তালিকার কথা জানিয়েছে। তালিকার শীর্ষ দেশ থাইল্যান্ড হলেও অপর নয়টি দেশ ইউরোপের। শীর্ষ দশে যুক্তরাজ্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র নেই্। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে সমীক্ষাটি চালায় দ্য রিচেস্ট ও ম্যাচ ডটকম।
সমীক্ষার শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান না হওয়া বিষয়ে রিচেস্ট ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে মানব ক্লোনিং, আত্মহত্যা ও বহুগামিতার চেয়েও খারাপ মনে করেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় প্রতারণা।
অবৈধ সম্পর্কের তালিকা নিম্নক্রম অনুসারে শীর্ষ দশটি দেশের তালিকা ও তালিকায় স্থান হওয়ার কারণ দেওয়া হলো।
১০। ফিনল্যান্ড : ৩৬ শতাংশ
২০১০ সালের পর থেকে ফিনল্যান্ডে বিবাহিতদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার দ্রুত বাড়ছে। অনেকের মতে, ফিনল্যান্ডে অনেক সময় অবৈধ সম্পর্ককে অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা হয়। অনেক সময় সামাজিকভাবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ম্যাচ ডটকমের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচজন পুরুষের অন্তত একজনের সঙ্গে ১০ নারীর সম্পর্ক দেখা যায়। নারীদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার এর চেয়েও বেশি।
৯। যুক্তরাজ্য : ৩৬ শতাংশ
যুক্তরাজ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার ফিনল্যান্ডের সমান। তবে যুক্তরাজ্যেবাসীর মধ্যে সম্পর্কের কারণে অনুশোচনা দেখা যায়। অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করা অর্ধেক ব্যক্তি এজন্য অনুশোচনায় ভোগেন। এই অনুশোচনা বোধের হার ফরাসিদের দ্বিগুণ। অনেকে মনে করেন, সমীক্ষায় রাজপরিবারকে যুক্ত হলে যুক্তরাজ্যের অবস্থান আরো ওপরে হতো।
৮। স্পেন : ৩৯ শতাংশ
ঐতিহ্যগতভাবেই স্পেনে ক্যাথলিক প্রভাব বেশি। তাই সামাজিকভাবে অবৈধ সম্পর্ককে খারাপ দৃষ্টিতেই দেখা হয়। তবে বিবাহবিচ্ছেদের হার এখানে ৬০ শতাংশ। বিচ্ছেদের আগেই অন্য সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার কারণেই অবৈধ সম্পর্কের হার বেশি হতে পারে।
৭। বেলজিয়াম : ৪০ শতাংশ
বেলজিয়ামের সঙ্গে ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মানুষের চিন্তাধারায়ও মিল পাওয়া যায়। দেশটিতে বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে অনলাইট ডেটিং সাইটের বেশ জনপ্রিয়তা দেখা যায়। দেশটির একটি শীর্ষ ডেটিং সাইটে এই সংখ্যা ১০ লাখ। অর্থাৎ, দেশের জনসংখ্যার ১০ শতাংশই অবৈধ সম্পর্কে যুক্ত।
৬। নরওয়ে : ৪১ শতাংশ
নরওয়ের আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের হার পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্মকালে অনলাইনে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাহকের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু শীতকালে নরওয়েবাসী অবৈধ সম্পর্কের চেয়ে নিজের বাড়িতে থাকাকেই প্রাধান্য দেন।
৫। ফ্রান্স : ৪৩ শতাংশ
বিশ্বের অনেক দেশেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে অতটা খারাপ ধরা হয় না। ফ্রান্সের কথাই ধরা যাক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক তরুণীর সম্পর্ক প্রকাশ পেলে বিশ্বজুড়েই তা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। তবে ফ্রান্সে বিষয়টি ততটা আলোচিত হয়নি। তবে ফ্রান্সের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এখানে ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ -এর মতো অতিমাত্রায় রগরগে চলচ্চিত্রকেও ১২ বছর বা তদূর্ধ্বদের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করেছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফরাসিদের প্রথম না হওয়াকে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। অধিকাংশ ফরাসি মনে করে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকা খারাপ কিছু নয়। ৬৩ শতাংশ ফরাসি মনে করেন, সম্পর্কের বিষয়ে সৎ না থেকেও একজনকে ভালোবাসা সম্ভব। অবৈধ সম্পর্কের বিষয় স্বীকার করে অনুশোচনা করার হার মাত্র ২৮ শতাংশ।
৪। জার্মানি : ৪৫ শতাংশ
বিবাহিত সম্পর্ককে ফরাসিদের চেয়ে গুরুত্ব দেন জার্মানরা। তবে তাঁদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হারও বেশি। অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করা ৪০ শতাংশ পুরুষ এ জন্য অনুশোচনা করেন। জার্মান নারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪৩ শতাংশ।
৩। ইতালি : ৪৫ শতাংশ
ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রীই অবৈধ সম্পর্কের জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচিত। অষ্টাদশ শতাবব্দীতে অবৈধ সম্পর্কের জন্য আলোচিত ক্যাসানোভা কাহিনীয় ইতালিরই। সেই দেশের মানুষ বিশ্বতালিকায় বৈধ সম্পর্কে তৃতীয় হওয়া অতি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ইতালিতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশ কম। অর্থাৎ, অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ সম্পর্ককে সামাজিকভাবে মেনে নেওয়া হয়।
২। ডেনমার্ক : ৪৬ শতাংশ
দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপের বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। তবে, সম্প্রতি শহরটি এই গৌরব (? ) হারিয়েছে। ডেনমার্কের অনলাইন ডেটিংয়ে বিবাহিত নারীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।
১। থাইল্যান্ড : ৫৬ শতাংশ
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে রেড লাইট ডিস্ট্রিক্টের (যৌনপল্লী) সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির অর্থনীতির একটি বড় আয় আসে এই খাত থেকে। থাই বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার হার বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫৬ শতাংশ। থাইল্যান্ডের অনেক সমাজে পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী ব্যতীত সম্পর্ককে খারাপ চোখে দেখা হয় না। এ ছাড়া ধনীদের মধ্যে মিয়া নোয়িস নামক একটি প্রথার মাধ্যমে স্ত্রী ব্যতীত অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ককে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে।

মিলনের পর যে কাজগুলো নারীরা ক‌রে

কিছুক্ষণ আগে কী হলো তা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে! তখন তো দুইজনেই উন্মত্ত ছিলেন! অতএব, কীভাবে ব্যাপারটা হয়ে গেল, তা টের পাওয়া বেশ মুশকিলের! কিন্তু, তারপর? সেক্স হয়ে গেলে সাধারণত নারীরা সাধারণত কিছু কাজ না করে থাকতেই পারেন না।
পাঠকদের জন্য সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
১. কতক্ষণ হলো :
শোনা যায়, সেক্স হয়ে যাওয়ার পরেই না কি সবার আগে ঘড়ি দেখেন নারীরা! কারণ তো স্পষ্ট- মিলিয়ে দেখে নেওয়া এবার কতক্ষণ সময় লাগলো! বেশি সময় লাগলে বেশি তৃপ্তি, অন্যথায় খুঁতখুঁতুনি!
২. কনডমটা ছিঁড়েছে কিনা:
পুরুষরা যখন কাজকর্ম সেরে আবেশে বিভোর, নারীরা তখন চুপিসাড়ে একবার দেখে নেন ফেলে দেওয়া কনডমটা- ওটা ছিঁড়ে যায়নি তো! বিস্তারিত বলার দরকার নেই- কেন তারা এরকম করে থাকেন! গর্ভবতী হয়ে পড়লে তো তাদেরই চাপ বেশি!
৩. বক্ষে তৃষ্ণা:
এক তৃষ্ণা মেটার পরেই অন্য তৃষ্ণা নিবারণে না কি ব্যস্ত হয়ে পড়েন নারীরা! সাধারণত তাদের উন্মাদের মতো ঢকঢক করে জল খেতে দেখা যায়! যারা ধূমপান করেন, তারা তাড়াতাড়ি ধরিয়ে ফেলেন একটা সিগারেট!
৪. এক কোণে গুটিসুটি:
যদি কোনো কারণে বিছানার চাদরটা নোংরা হয়ে যায় এবং পালটানোর ইচ্ছা না থাকে, তবে নারীরা বিছানার এক কোণে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে থাকেন। একটু আগেই ওই চাদরে গড়াগড়ি খেলেও এখন এড়িয়ে যান!
৫. চুল নিয়ে চুলবুল:
সেক্স হয়ে যাওয়ার পর সব নারীই নিজেদের চুলের দিকে একবার তাকান! যতটা পারেন, এলোমেলো চুল গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন!
৬. ফোনে সময় দেওয়া:
যাদের তাড়াহুড়ো থাকে, তারা সেক্সের পরেই সবার আগে ফোনের দিকে হাত বাড়ান! বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায়- তারা বাড়িতে ফোন করছেন!
৭. মিরর মিরর অন দ্য ওয়াল:
সেক্সের পরে অনেক নারীই আয়নায় একবার নিজের নগ্ন শরীরটা দেখে নেন! বুঝে নিতে চান- সঙ্গীর পক্ষে তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণে আকর্ষণীয় কি না!
৮. স্বামীসঙ্গ: শিশুরা যেমন মা‌য়ের কোল খুঁ‌জে ফে‌রে; ঠিক তেম‌নি, মিল‌নের পর মে‌য়েরাও স্বামীসঙ্গ পে‌তে বু‌কে বা কোল জ‌ড়ি‌য়ে থা‌কে।

৯. অন্তর্বাসের খোঁজ:
সবার শেষে নারীরা হাত বাড়ান অন্তর্বাসের দিকে! পুরুষটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেই চলতে থাকে ঘরের এখানে-ওখানে অন্তর্বাসের খোঁজ!
যদিও তারা যে এমনটা করেন সঙ্গীকে ফেলে রেখে, এটা অনেক নারীই স্বীকার করতে চান না!

বাচ্চা নেয়ার আদর্শ বয়স কত? জে‌নে নিন।

২০ থেকে ২৪ বছরটা পার করে মা হওয়াই শ্রেয়। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সে মা হলে মাঝ বয়সে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রথমবার মা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স।
মা হওয়া কি মুখের কথা? কিন্তু মা হওয়ার পরও তো একটা জীবন আছে। আর সেই জীবনটা সুস্থ্য কাটাতে প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য একটু সময় দেওয়াই ভালো। খুব দেরি না করলেও কমপক্ষে ২০ থেকে ২৪ বছরটা পার করে মা হওয়াই শ্রেয়। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা।
সেই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সে মা হলে মাঝ বয়সে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সকলের জন্যই এটা সত্যি না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা লক্ষ্য করা গেছে। তবে গবেষণা একটা কথা পরিষ্কার বলছে, মহিলাদের মাঝ বয়সের স্বাস্থ্য নির্ভর করে তাদের বৈবাহিক জীবনের ওপর এবং তারা কবে প্রথম সন্তানের জন্ম দিলেন।
গবেষণা বলছে, যৌবনের সন্ধিক্ষণে মা হওয়া বরং কম ঝুঁকির। টিন এজে মানে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে যাঁরা প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাদের তুলনায় ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সে প্রথমবার মা হওয়া মহিলারা মাঝ বয়সে বেশি সমস্যায় প‌ড়েন।
নিউ ইয়র্কের ওই সমীক্ষা নিয়ে আমেরিকার ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ক্রিস্টি উইলিয়ামস বলেন, এতকাল খালি ভাবা হত নাবালিকারা মা হলে তাদের স্বাস্থ্য কেমন হবে তা নিয়ে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের থেকেও বিপদ বেশি সদ্য যৌবনপ্রাপ্তাদের।
সমীক্ষার বক্তব্য অনুযায়ী মাঝ বয়সে সুস্থ সবল থাকতে হলে প্রথমবার মা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স। আর ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।