নর-নারীর যৌনতা বিষয়ক পরিপূর্ণ ও তথ্যবহুল ব্লগ; ধর্মীয় ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে- যৌনতার নানান দিক, যৌন সমস্যার সমাধান, সফলতার একগুচ্ছ কার্যকর টিপস... JounoSeba
স্তন ক্যানসারের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
হস্তমৈথুন করা বন্ধ করবেন যেভাবে
নর-নারীর যৌনতায় শৃঙ্গার কেন জরুরী
যৌন মিলন বা সেক্সের পূর্বেই ছেলেদের উচিত মেয়েদের শরীরে বিভিন্নভাবে পরিপূর্ণ যৌন উত্তেজনা জাগ্রত করা। এর ফলে মিলন এবং কাজেকর্মে আসবে পূর্ণ তৃপ্তি ও প্রশান্তি। নারীর দেহে সহজে যৌন উত্তেজনা আসেনা। এর কারণ, নারীর যৌন অঙ্গ ছাড়াও কামকেন্দ্র শরীরের নানা অঞ্চলে বিস্তৃত। যেমন- ঠোঁট, গাল, মুখ, স্তন, স্তনের বোঁটা, নিতম্ব, ভগাঙ্কুর ও
নারীর যৌবন ও দীর্ঘায়ু নিয়ে একটি প্রতিবেদন
যেসব মেয়েদের দেরিতে শারীরিক পরিপক্কতা আসে অর্থাৎ যারা দেরিতে যৌবনবতী হন, তারাই বেশি দিন বাঁচেন। আবার যাদের তাড়াতাড়ি যৌবন শুরু হয়, তারা মারাও যান তাড়াতাড়ি।
আমেরিকার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ওমেইনে অবস্থিত জ্যাকসন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ওপর দীর্ঘ গবেষণা চালান। তারা জানান, যেসব ইঁদুরের দেহে আইজিএফ১ হরমোন নিম্নমাত্রার, তারা অন্য ইঁদুরের চেয়ে ছয় মাস বেশি বাঁচে। উল্লেখ্য, আইজিএফ১ হরমোনটি দৈহিক বৃদ্ধি ও যৌবনের পূর্ণতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইঁদুরের ওপর গবেষণার বিষয়টি ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্সে জার্নাল প্রসেডিংয়ে প্রকাশিত হয়।
গবেষক দলের প্রধান ড. রাঙ ইউয়ান বলেন, নারীদের বেলায়ও নিম্নমাত্রার আইজিএফ১ হরমোন থাকলে তাদের যৌবন দেরিতে আসে এবং তারা বেশিদিন বাঁচেন।
জার্নালটিতে গবেষকরা লেখেন, উচ্চমাত্রার আইজিএফ১ হরমোন যেমন নারীদের দ্রুত যৌবন এনে দেয়, তেমনি মেনোপজও আগেভাগেই শুরু হয়। আর জীবনের সীমারেখাও সীমিত করে দেয় হরমোনটি। তিনি বলেন, সম্প্রতি ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি
বিশেষ একটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। আর এ পরীক্ষায় তাঁরা সফল হয়েছেন। ফলে এখন পুরুষের জন্য কার্যকর নন-হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
শুধু খাওয়ার ওষুধই নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পুরষের দেহে প্রয়োগের কার্যকর ইঞ্জেকশনও তৈরি করেছেন গবেষকরা। এ ধরনের একটি ইঞ্জেকশনের নাম ভ্যাসেলজেল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ অনুমোদন পেয়েছে এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে এটি ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাজারে ছাড়া হবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা দাবি করেছেন, পুরুষের মুখে খাওয়ার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি একেবারে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন তাঁরা। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় সফলতার পর এখন পুরুষের ওপর এ বড়ির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে আগ্রহী গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ডানা-ফারবার ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও বেলর কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা জানান, নারীর ক্ষেত্রে কয়েক দশক ধরেই জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হিসেবে পিল বা বড়ির প্রচলন রয়েছে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে কার্যকর তেমন কোনো বড়ি তৈরি করা এখনো সম্ভব হয়নি। 'জেকিউ১' নামের একটি ড্রাগ তাঁদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে। এ ড্রাগ দিয়ে তাঁরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন। জেকিউ১ ব্যবহারে ইঁদুরের স্বাভাবিক যৌনজীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। গবেষকরা আশা করছেন, এ ড্রাগ মানুষের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে পারবেন তাঁরা। তবে নিরাপদ ও কার্যকর করতে এ ড্রাগ নিয়ে আরো পরীক্ষা চালাবেন তাঁরা।
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যালান পেইসি জানিয়েছেন, পুরুষের জন্য এ ধরনের বড়ি প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ হিসেবে ইনজেকশন বা ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কমানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে।
পুরুষের জন্য অন্য একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি আবিষ্কার করেছেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন খাওয়ার এই বড়ি শুক্রাণুকে জরায়ুতে প্রবেশের আগেই অকার্যকর করে দেবে। ফলে নারীর অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের আশঙ্কা থাকবে না। বড়ির উদ্ভাবনকারী গবেষকরা জানান, প্রতি তিন মাসে মাত্র একবার বড়ি খেলেই চলবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে এই বড়ি। জন্মবিরতিকরণ ইনজেকশনের মতো এই বড়িতে পুরুষদের হরমোন টেস্টোস্টেরন ও মেয়েদের হরমোন প্রজেস্টেরনের সমন্বয় ঘটানো হয়নি। এই বড়ি শরীরে ঢুকে শুক্রাণু থেকে গর্ভসঞ্চারকারী অতিপ্রয়োজনীয় প্রোটিন অংশ সরিয়ে ফেলবে। ফলে শুক্রাণু জরায়ুতে ঢুকলেও ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে পারবে না। গবেষকদের বিশ্বাস, এতে নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বন্ধ রাখতে সক্ষম হবে এই বড়ি। বর্তমানে পুরুষের জন্য পরীক্ষাধীন হরমোন ইনজেকশনের ব্যবহারে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, বিষণ্ণতা ও যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও গর্ভনিরোধক বড়ির প্রধান সমস্যা এটি।
এ বিষয়ে বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেইম ব্রেইটবার্ট বলেন, 'পুরুষরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না। এ কারণেই অনেকেই হয়তো বড়ি খেতে চাইবেন না। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবিত বড়ির ক্ষেত্রে সে ভয় নেই।' নিয়মিত প্রতিদিন পিল খাওয়ারও ঝক্কি নেই। নতুন পিলটি প্রতি মাসে বা প্রতি তিন মাসে একটি করে খেলেই চলবে।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার গবেষকরাও পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। বড়িটির নাম জেন্ডারুসা। গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। এ পদ্ধতিটি কাজ করে শুক্রাণুর ওপর। মূলত শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করায় বাধা দেয় এ ওষুধটি।
এতদিন ধরে পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পদ্ধতিই কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার নাম কনডম। এটি ব্যবহারের নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে পুরুষেরা অনেকেই এটি ব্যবহারে ভুল করেন। আর এ কারণে নারীর গর্ভধারণের আশঙ্কা থেকে যায়। নতুন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এগুলো বাজারে এলে সে ঝুঁকি কমে যাবে।
সঙ্গীর যৌন তৃপ্তি হয় না, কী করব?
এক নারী জানিয়েছেন, তার সঙ্গীর যৌনতার সমস্যা রয়েছে। মূলত যৌনতার সময় তার বীর্যপাত হয় না। আর এ কারণে তার যৌন তৃপ্তিও হয় না। এ কারণে তিনি বেশ চিন্তিত। এ সমস্যার সমাধান কী হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সেক্স থেরাপিস্ট ডেনিস নৌলেস।
বিশেষজ্ঞ ডেনিস নৌলেস বলেন, কোনো পুরুষের যদি যৌনতার সময় বীর্যপাত না হয় তাহলে তা যথেষ্ট মানসিক চাপ তৈরি করে। আর এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অবশ্য এজন্য চিন্তার কিছু নেই। কারণ সঠিক উপায় অবলম্বন করলে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
যাদের সমস্যাটি বেশি হয়
বহু পুরুষেরই এ সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত বয়স্ক পুরুষের এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে যে কোনো বয়সের পুরুষেরই এ সমস্যা হতে পারে।
বীর্যপাত না হলেই এ ধারণা করা যাবে না যে, তিনি আপনার প্রতি আকৃষ্ট নন। একইভাবে তিনি যৌনতার জন্য অনুপযুক্ত, এমনটা ভাবারও কারণ নেই। কারণ সঠিক চিকিৎসায় বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব।
যেসব কারণে পুরুষের বীর্যপাত হয় না
বিভিন্ন কারণে পুরুষের বীর্যপাত নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে, সঠিকভাবে কারণটি নির্ণয় করে তার সমাধানের চেষ্টা করা।
সাধারণ যে কারণগুলোতে বীর্যপাত নাও হতে পারে সেগুলো হলো- অ্যালকোহল আসক্তি, ডায়াবেটিস বা এ ধরনের রোগ, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সার্জারি, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, নার্ভাসনেস ইত্যাদি।
বীর্যপাতহীনতা সমস্যার সমাধান
এগুলোর মধ্যে অ্যালকোহল আসক্তি বা অন্য কোনো নেশা গ্রহণের প্রবণতা থাকলে তা বাদ দিলে উপকার হবে। ডায়াবেটিস ও এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সমস্যা দূর হবে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে এমনটা হলে মানসিক চাপ দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম ও চাপ মুক্ত থাকার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্বেগজনিত সমস্যা ও বিষণ্ণতা থাকলে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেক পুরুষেই তাদের সঙ্গী গর্ভবতী হয়ে পড়েন কি না, এ চিন্তায় সঠিকভাবে বীর্যপাত করতে পারেন না। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরোধক ব্যবস্থা কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে তাকে আশ্বস্ত করলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।
এছাড়া যৌনতার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় এবং আরামদায়ক স্থানে যৌনতার জন্য আগ্রহী হতে হয়। মানসিক চাপ, বাড়তি পরিশ্রম, পুষ্টিকর খাবারের অভাব ইত্যাদি সমস্যাগুলো দূর করলেও এ সমস্যা চলে যায়। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ সেবনেও এ সমস্যা দূর করা যায়।
অনেকেই সঠিকভাবে কারণ নির্ণয় করতে না পারায় নিজে থেকে এ সমস্যা সমাধান করতে পারেন না। আপনার সঙ্গীর সমস্যা যদি সমাধান করতে না পারেন তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
স্তন ক্যান্সার: প্রয়োজন সহায়তা ও সচেতনতা স্বাস্থ্য পরিচর্যা
স্তন ক্যান্সার (Breast-Cancer) যখন কোনো নারীর হয়, তখন তা যে কেবল রোগীর ওপর প্রভাব ফেলে তাই নয়। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের ওপরও এর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে জীবন সঙ্গী তো প্রভাবিত হনই। সংকটাপন্ন এমন রোগীর জন্য, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জীবন সঙ্গীর সাহায্য সহানুভূতি, অবলম্বন খুবই প্রয়োজন। স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা যখন চলে, নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তো হয়ই। অস্ত্রোপচার করা হলে এবং লসিকাগ্রন্থি সরিয়ে নিলে ফুলে যায় বাহু। কেমোথেরাপি নিলে হয় ববি বমি ভাব, বমি, কেশহানি, ক্ষুধামন্দা ও ওজন হ্রাস। বিকিরণ চিকিৎসায় অবসাদ, ক্লান্তি, স্তনে ব্যথা, স্তন আয়তনে পরিবর্তন ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্যদিকে আবেগ মেজাজেরও হয় পরিবর্তন।
স্বশরীরের উপস্থিতি থাকা চাইঃ
প্রিয়জনের স্তন ক্যান্সার হলে তাকে অবলম্বন দিতে হয়। আপাত: দৃষ্টে মনে হয় তা সহজ। প্রিয় খাবার ও অনেক সময় রোগীর কাছে বিস্বাদ হয়ে উঠে। এমন কিছু চিকিৎসা আছে যা নেওয়ার পর আগের প্রিয় খাবার তখন ভালো লাগে না। অনেকে স্বাভাবিক সময় যে খাদ্য উপভোগ করতেন এসব খাবার এখন এড়াতে চাইতে পারেন। অনেক নারী চান ডাক্তারের কাছে যেন তার জীবনসঙ্গী তাকে নিয়ে যান এবং সঙ্গে থাকেন। চিকিৎসা হোক বা মামুলী চেক আপ হোক, ডাক্তারের সঙ্গে এমন সেশন্ বেশ ক্লান্তিকর হয়ে উঠে।
সে সময় কেউ যদি পরামর্শগুলো নোটবুকে টুকে নেন, দেখভাল করে, পরে বাড়ি নিয়ে যান তখন রোগী বেশ স্বস্থি অনুভব করেন। যতটুকু অন্তরঙ্গ হলে রোগী স্বস্তি পান ততটুকু তাকে দিলে ভালো। চিকিৎসায় তা যৌন ইচ্ছা দমে গেলেও শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তিনি চাইতে পারেন। সেদিকে খেয়াল রাখবেন জীবন সঙ্গী।
আবেগ ও মনের সঙ্গী হওয়াঃ
মানুষ যখন চাপে থাকে তখন মন খুলে কথা বলার লোক পেলে মানুষ স্বস্তি পায়। আশ্রয় খোঁজে কারো, যিনি কান পেতে তার কথাগুলো শুনবেন, শেয়ার করবেন তার সঙ্গে। জীবন সঙ্গীর কাছে এমন চাহিদা থাকতেই পারে। গবেষণায় দেখা গেছে চিকিৎসা চলার সময় দম্পতি যখন মন খুলে কথা বলেছেন, সেক্ষেত্রে রোগীর দুর্ভোগ অনেক কমে, সম্পর্কের তুষ্ঠিও হয় এতে বেশি। রোগ নির্ণয়ের পর অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেসময় জীবন সঙ্গীর সক্রিয় ভূমিকা বাঞ্ছনীয়। প্রয়োজন হতে পারে দ্বিতীয় মত নেওয়ার। জীবন সঙ্গীকে ভালো শ্রোতা হতে হয়। সঙ্গী ভয় পেলে সে ভয়কে স্বীকার করে তাকে আস্বস্ত করতে হয়। চট জলদি সমাধান দেবার লোভ সামলানো উচিত, হয়ত এরকম করলে তার উদ্বেগকে তুচ্ছ করার মত ব্যাপার ঘটে, অন্তত: রোগী তা মনে করতে পারেন, আর এরকম মনে হলে অভিমানে হয়ত মনের দুঃখ কষ্টের কথা আর তিনি বলবেনই না।
তাকে যেমন উৎসাহ দিতে হবে, তেমনি চিকিৎসার বাস্তব দিক, চিকিৎসা দিলেও কত দিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা এসব ধারণা কৌশলে দেওয়াও উচিত। ধৈর্য রাখা বড় কথা। স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নারীর হরমোনসমূহ বিশৃঙ্খল হতে পারে, তখন মন মেজাজ খারাপ হওয়া, বিরক্তিরভাব প্রায়ই হওয়া খুবই স্বাভাবিক। মনে জমে উঠা বাষ্প বের হবার পথও চাই তাদের। এজন্য প্রয়োজন ক্যান্সার সাপোর্ট গ্রুপ। ধ্যান চর্চা, প্রানায়াম বা গান শোনার মত উপায়।
রোগীর অবলম্বন কারীর ভূমিকাঃ
যিনি রোগীর অবিরাম সঙ্গী, তিনি যেন ভেঙ্গে না পড়েন, এ বড় ক্লান্তিকর, একাকী কাজ, হতাশা মনকে আছন্ন করলেও সঙ্গী প্রিয়জনের কথা ভেবে সহ্য করতে হবে। যিনি পরিচর্যা দেন রোগীকে, তারও চাই মন ভালো করার মত কাজ। হয়ত ছবি দেখা, গলফ খেলা-এসব। রোগীর যথাযথ অবলম্বন হয়ে উঠার জন্য তাদেরকে হতে হয় শান্ত, স্থির, ধৈর্যশীল ও প্রফুল্ল। রোগীর পরিচর্যাকারী বা কেয়ার লিডার যেন বিষন্নতা ও উদ্বেগের শিকার না হন তাও দেখতে হবে। আর সেজন্যই তাদেরকে থাকতে হবে প্রফুল্ল, আর তা থাকার জন্য সব কিছু করতে হবে সঙ্গীকে।
অধ্যাপক ডা: শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম, ঢাকা
#স্তন-ক্যান্সার #Breast-Cancer