ভায়াগ্রা না হার্বাল? যৌনশক্তির জন্য প্রকৃত বাজিকারক কোনটি?

বিছানায় প্রয়োজন কামশক্তির। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সমস্যা হয়। ভায়াগ্রার মতোই বহু কাম উদ্দীপক রয়েছে আয়ুর্বেদ ও হোমিও জগতে। শিথিল যৌন জীবনে মজা আনতে কোনটি নিরাপদ, কার সাইড এফেক্ট বেশি? তা জানা প্রয়োজন।

৪০ কিংবা ৬০ যে কোন বয়সে সেক্সের সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর যৌনতা জনিত সমস্যা সমাধানের জন্য এখন অনেকেই বিভিন্ন চিকিৎসার সাহায্য নিচ্ছেন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়! কার্যকরী কি না অথবা কার্যকর হলে কোনটি ভালো। “ভায়াগ্রা নেওয়া ভালো? না কি হার্বালের উপরে ভরসা করা উচিত?” এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, বন্ধুটির উত্তর, “ভাল-মন্দ সবেরই আছে। আমার হোমিও সুট করে।” 

ব্যায়াম করতে করতে আর এক ব্যবসায়ী বন্ধু বললেন, “ভায়াগ্রা ভাল, আয়ুর্বেদিকেও সাইড এফেক্ট নেই। তবে নিজে না কিনে একজন স্পেশালিস্ট  দেখিয়ে নিস।” যে কোন আড্ডায় এমন আলোচনা এখন নতুন কিছু নয়। কারণ, পঞ্চাশোর্ধ বয়স পেরনোর আগে-পরেই পরিবর্তনটা বেশি হয়। কারও সমস্যা শীঘ্রপতনে, কেউ বিরক্ত লিঙ্গের উত্থান না হওয়ায়। তবে ৩৫-৪৫ বছর বয়সিদেরও হতে পারে। আবার আরও তরুণ বয়সেও সমস্যা হয়। এই সব সমস্যার সমাধান করে যৌনশক্তিবর্ধক। 

 

তৈল শক্তি

লিঙ্গ দৃঢ় হওয়া বা না হওয়ার সমস্যার সমাধানে বেশ কিছু তেল ব্যবহার করা যায়। এগুলির বেশিরভাগই আয়ুর্বেদিক, প্রাণীজ ও ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। সাধারণত এই ধরনের যৌন উত্তেজনাবর্ধক তেলে থাকে আকরকরা শিকড়, জলপাই তেল, গোলমরিচ, সরিষা ও চামেলি তেল, হিং, কেশর, কস্তুরী, হরতাল ভস্ম, জাফরান, কার্পাস বীজের তেল। তবে বাজারচলতি জনপ্রিয় এমন তেল আদৌ কতটা বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় এবং তাতে কতটা সঠিক পরিমাণে উপরোক্ত উপাদানগুলি থাকে তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে। তাই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়েই এই ধরনের তেল ব্যবহার করা উচিত।

 

শক্তি ফেরাবে বাজিকরণ

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যৌনশক্তি বৃদ্ধির পদ্ধতিকে বলা হয় বাজিকরণ। এর উপাদানকে বলে বাজিকারক। মূলত দু’টি উদ্দেশ্যে এই চিকিৎসা করা হয়। 

এক) পরবর্তী প্রজন্মের জন্ম দেওয়ার জন্য ভাল মানের শুক্রাণু বহন করা। অর্থাৎ ভাবী সন্তান যাতে সুস্থ, সবল হয় তার জন্য যৌবনশক্তি ধরে রাখা ও শুক্রাণুর মান ভাল করা। 

দুই) যৌনক্রীড়া সক্রিয় রেখে আনন্দ উপভোগ।

একটু বয়স বাড়লে নানা রোগভোগে শরীর জর্জরিত হয়। তাই এই সময় যৌনক্ষমতা বাড়াতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত হঠাৎ কামবর্ধক কোনও ওষুধ সেবন করা উচিত হবে না। 

 

ক্ষমতা বাড়াতে রসায়ন থেরাপি ও বাজিকারক

একটু বয়স বাড়লে যৌনশক্তি বৃদ্ধির ওষুধ প্রথমেই দেওয়া উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির হাই ব্লাড প্রেশার, হাই ব্লাডসুগারের মতো সমস্যা থাকলে যৌনশক্তি বেড়ে শরীরের ক্ষয় হয়। তাই প্রথমে রসায়ন থেরাপি করা দরকার। যাতে জরা, ব্যাধি তাড়াতাড়ি না আসে, বার্ধক্য রোধ হয়। এতে আপনা থেকেই যৌনক্রীড়ার শক্তি কিছুটা বৃদ্ধি পায়। 

ঠিকমতো বীর্যপাত না হলে-  প্রথমে কিছুদিনের জন্য একটি তেল পুরুষাঙ্গে লাগানোর জন্য দেওয়া হয়। তারপর আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার জরুরি।

অতি দ্রুত বীর্যপাত হলে – অশ্বগন্ধা চূর্ণ ৩ গ্রাম করে দিনে দু’বার খেতে হবে। দুধের সঙ্গে খেলে ভাল। এতে স্পার্ম গাঢ় হয়। যৌন মিলনের আগে যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা হয় তা কমে যাবে। মুসলিও ৩ গ্রাম করে দিনে দু’বার খাওয়া যায়। এছাড়া সুপারিপাক বলে একটি ওষুধ আছে।

যৌন চাহিদা বাড়ায় – মুরগি, চড়াই পাখির মাংস, পাঁঠার মাংসের অণ্ড, রসুন, মৃগনাভিকস্তুরী ও শিলাজিৎ। শিলাজিৎকে পাহাড়ের ঘাম বলে। এতে থাকে প্রচুর খনিজ, তেল, ঘি, সোনা, রুপো, টিন, মৃগনাভিকস্তুরী। দ্রুত কাম উত্তেজনা বাড়ায় শিলাজিৎ, মৃগনাভিকস্তুরী, স্বর্ণ ও রৌপ্য ভস্ম।

 

নিষেধ যখন

সত্তরোর্ধ্বদের কখনওই বাজিকারক দেওয়া হয় না।  ৫০-৬০ বছর বয়সিদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করে বাজিকারক দেওয়া হয়। ষাটোর্ধ্বদের দেওয়া হবে কি না তা নানা দিক পর্যালোচনা করে ঠিক করা হয়। এই ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ নিজের মতো করে বেশি বেশি খেয়ে নেওয়া উচিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে খেলে চটজলদি উপকার মেলে না।

 

 

 

@ সম্প‌র্কিত Jouno Seba : কি খে‌লে সেক্স বা‌ড়ে, যে খাবারে যৌন শ‌ক্তি বৃ‌দ্ধি পায় । sex power. কোন খাবা‌রে সেক্স বা‌ড়ে, সেক্স, খাদ্য, যৌন শক্তি, খাবার, চা‌হিদা, sex libido. বৃ‌দ্ধির, উপায় । 'যৌন শ‌ক্তি' । 'সেক্স পাওয়ার' । ফল, vaygra, harbal, ভায়াগ্রা কী? কখন ব্যবহার করতে হয় ভায়াগ্রা? কাদের জন্য ভায়াগ্রা,, Viagra 100/ 50 MG Tablet in bangla ভায়াগ্রা ১০০ এম জি ট্যাবলেট ব্যবহার

No comments:

Post a Comment