পিরিয়ডের ব্যথায় মুক্তি মিলবে সহজেই

নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাবকারী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে পিরিয়ড, যাকে বাংলায় মাসিক বলা হয়। নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় সাধারণত ১০-১৬ বছরের মাঝামাঝি সময়ে। তবে বেশিরভাগ মেয়েদেরই ১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। সাধারণত ৫০ বছর বা তার অধিক বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

পিরিয়ড হয়েছে আর পেটের ব্যথায় ভোগেনি, এমন নারীর সংখ্যা নিতান্তই কম। পিরিয়ডের আগে ও পিরিয়ড চলাকালীন তলপেটে, স্তন, হাত-পায় ও কোমরে প্রচুর ব্যথা হয়। ব্যথার সময় মাথা ব্যথা ও বমিও হয় অনেকের। আর কর্মজীবী নারীরা এক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়েন। কারণ তাদের ঘর থেকে বের হতেই হয়। পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা দূর করার রয়েছে অনেক উপায়।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন বলেন, পিরিয়ডের আগে ও পড়ে ব্যথা হতেই পারে। তবে এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু খাবার বাদ দেয়া, ব্যায়াম, শরীরে ঠাণ্ডা না লাগান, গরম পানির সেঁক বিশেষ উপকারী। আর অতিরিক্ত ব্যথা হলে সাধারণ প্যারাসিটামল খেলেই যথেষ্ট।

আসুন জেনে নেই পিরিয়ড চলাকালীন স্তনে ব্যথা হলে কী করবেন...

১. তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন :
পিরিয়ড চলাকালীন খাদ্য তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন। বাড়তি লবণ, চা-কফি বা ক্যাফেইন জাতীয়  যে কোনো পানীয়, চিনি ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এতে পিরিয়ডের সময় স্তন ও তলপেট ব্যথা হতে মুক্তি পাবেন।

২. ব্যায়াম :
অনেক মেয়েরই পিরিয়ডের আগে ও পরে স্তনে ব্যথা হয়। তাই সাবধানে ব্যায়াম করতে করতে হবে। এমন কোনো ব্যায়াম করবেন না যাতে বুকে চাপ পড়ে। এমন ব্যায়াম করুন, যেগুলো শরীরের নিচের অংশে কার্যকর। এক্ষেত্রে সাইকেল চালানো, হাঁটা, ভুল ব্যায়াম পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেবে।

৩. কিছু স্তনে ব্যথা কমাবে :
কিছু বিশেষ ধরনের ব্যায়াম আছে, যেগুলো এই স্তনে ব্যথা কমায়।ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। স্তনকে সাপোর্ট দেয়, এমন ব্রা পরিধান করুন। সঠিক মাপের আরামদায়ক ব্রা ব্যথা কমাতে সহায়তা করবে।

৪. ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না :

পিরিয়ড চলাকালীন শরীরে ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। এ সময় ঠাণ্ডা লাগলে স্তন, হাত-পা ও  কোমরের ব্যথা বেড়ে যাবে। এছাড়া পিরিয়ড চলাকালীন স্তনে কোনো প্রকার চাপ দেবেন না, এতে ব্যথা আরও বাড়বে।

৫. গরম পানির সেক :
পিরিয়ড চলাকালীন তলপেট, স্তন, কোমর, হাত ও পায়ের ব্যথা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গরম পানির সেঁকা দিতে পারেন। তবে হালকা গরম তেল দিয়ে ব্যথায় অংশে ম্যাসেজ পারেন। যদি ব্যথা খুব বাড়ে তবে প্যারাসিটামল বা ব্যথা জাতীয় ওষুধ খেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া যাবে না।

৬. ডাক্তার :
শরীরে যে কোনো জায়গায় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

No comments:

Post a Comment