কালোজিরা সর্ব রোগের মহৌষধ



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

কালোজিরা হচ্ছে মৃত্যু ছাড়া সর্ব রোগের মহৌষধ

কালোজিরাকে ফার্সীতে শোনিজ, আরবীতে হাব্বাতুস সাওদা এবং ইংরেজীতে ব্লাক কিউমিন (Black-Cumin) বলা হয়। যার চারাগাছগুলি দেখতে অনেকটা ছোঁপ (গুয়ামুরী) -এর চারাগাছ সদৃশ। ডাল-পালা চিকন চিকন, ফলগুলি লম্বাটে কালো এবং শ্বাষ সাদা বর্ণ হয়। কালোজিরা সম্পর্কে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বানী অবিস্মরণীয়ঃ হযরত আবূ সালামাহ (রাযিঃ) হযরত আবূ হুরাইরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ “তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র সামব্যতীত সর্বরোগের শেফা (আরোগ্য) রয়েছে। হাদীসে উলে­খিত সামএর আর্থ মৃত্যু”  -বুখারী ও মুসলিম

.
বিস্ময়াভিভুত ইউনানী মতের অভিজ্ঞ চিকিতসকগণ নবীয়ে উম্মী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র বাণীর সত্যতার স্বাক্ষ্য এভাবে দিয়েছেন যে, “কালোজিরা ঠান্ডা জাতীয় ব্যাধি-সর্দি, কফ, কাশি ইত্যাদির জন্য অত্যান্ত উপকারী।
.
পক্ষাঘাত (প্যারালাইসীস) ও কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়। কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উতকৃষ্ট ঔষধ। সর্দি, কাশি, বুকের ব্যাথা, পাকস্থলীতে বায়ু সঞ্চয় (অম্ল­পিত্ত) শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে অত্যধিক উপকারী। ব্রুনের জন্যও উত্তম ঔষধ। এবং এতে শে­ষ্মা, পুরাতন জ্বর, মূত্রথলির পাথর ও পান্ডুরোগ (কামিলা, জন্ডিস) আরোগ্য লাভ করে। তাছাড়া এটা মুদরে হায়েজ, বা অধিক ঋতু স্রাব, মুদরে বাওল মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধক ও ক্রিমিনাশক। কিতাবুল মুফরাদাত ঃ খাওয়াসসুল আদোবিয়া ঃ ২৭৯
.
হযরত কাতাদাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবে-
.
প্রথমবার ডান নাশারন্দ্রে  ২ ফোঁটা এবং বাম নাশারন্দ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাশারন্দ্রে  ২ ফোঁটা  এবং ডান নাশারন্দ্রে  ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাশারন্দ্রে  ২ ফোঁটা ও বাম নাশারন্দ্রে  ১ ফোঁটা। তিরমিযী,বুখারী,মুসলিম
.
হযরত আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে অতঃপর পানি ও মধু সেবন করবে। মুজামুল আওসাতঃ তাবরানী।


রোগ, উপকারীতা,সর্বরোগে, স্বাস্থ্য, ওষুধ, #রোগ, #স্বাস্থ্য, #উপকারীতা

No comments:

Post a Comment